নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
ঘোড় সওয়ার সবুজ নকসা কাটা মাটির দেয়াল ঘেরা তার গ্রামের বাড়ির সদর দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আমার ছবি তোলা দেখে হাসছে।
উপরের ঘোড়াটিই তার প্রতিযোগীতার ঘোড়া।
দিনাজপুর সদর থানার সালকি গ্রামে বেড়াতে গিয়েছিলাম। ঘোড় সওয়ার সবুজের সাথে দেখা। কথা হলো তার সাথে। সে এবছর ঘোড় দৌড় প্রতিযোগীতায় অনেকগুলো পুরুষ্কার জিতেছে। নিজের এলাকা ছাড়াও অনেক দূরের খেলাতেও অংশগ্রহণ করে জিতে এনেছে প্রথম পুরুষ্কার।
এবার ঘোড় দৌড়ে প্রথম পুরুষ্কার হিসাবে পেয়েছে দুইটি গরু, একটি ছাগল, দুইটি মোবাইল ফোন। আরো অনেক পুরুষ্কার হয়তো পেত কিন্তু বিধি বাম হওয়ায় আর সম্ভব হয় নাই, দিনাজপুর পাঁচকুড় এলাকায় ঘোড় দৌড় প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করে তার ঘোড়া পায়ে ব্যথা পায়, যে কারণে বিভিন্ন এলাকায় পরের খেলাগুলোতে আর যোগদান করা সম্ভব হয় নাই।
সবুজ হাসি মুখেই আমাকে তার বড় সাফল্যের কথা জানালো। বগুড়ার মেয়ে ঘোড় সওয়ার মারিয়াকে সে পরাজিত করে প্রথম পুরুষ্কার নিয়েছে। মারিয়া এই প্রতিযোগীতায় দ্বিতীয় হয়েছিল। এটা তার বড় সাফল্য।
কিন্তু এত সাফল্য যার ঘোড় দৌড় খেলায়, সেই সবুজের নিজের ঘোড়া নেই। তার গ্রামেরই শহীদ মেম্বারের ঘোড়ায় সে ঘোড় সওয়ার হিসাবে প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করে। বিনিময়ে পায় কিছু অর্থ।
সবুজ এবছর গ্রামের স্কুলে ক্লাস সিক্সে পড়ে। পড়ালেখার ফাঁকে ফাঁকে ঘোড়া পেলেই পিঠে চড়ে উর্ধ্বশ্বাসে মাঠের পর মাঠ দৌড়ে বেড়ায়। এতটুকু বয়সে সওয়ার হিসাবে বেশ নাম করেছে। ঘোড়াটি তার অবাধ্য নয়, যেভাবেই নির্দেশ করে সেভাবেই ছুটে চলে। তার ঘোড়ায় চড়া আর দ্রুতবেগে ছুটে চলা দেখে আশ্চার্যই হয়েছিলাম।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৭
প্রামানিক বলেছেন: জী এবার ক্লাস সিক্সে পড়ে।
২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৫
গেম চেঞ্জার বলেছেন: নিজের ঘোড়া না থাকার পরও সে এত ভাল কিছু অর্জন করেছে সেটাই বরং বেশি। ওকে ক্রিড়া পরিষদের সাথে মিলিয়ে দিলে ভাল হয়।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০০
প্রামানিক বলেছেন: আসলে ওই বয়সে দ্রুতগামী ঘোড়ার সওয়ার হওয়া সাহসের ব্যপার। এদেরকে একটু সহযোগীতা করলে এরা অনেক দূর এগিয়ে যাবে। আপনি ঠিকই বলেছেন।
৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪১
নাবিক সিনবাদ বলেছেন:
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০১
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ
৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫০
শাহাদাত হোসেন বলেছেন: পুরষ্কার গুলো কি তবে শহিদ মেম্বার পাই।সবুজের মতো মানুষরা আরো বেশি কিছু পাওয়ার দাবিদার ।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০২
প্রামানিক বলেছেন: ঘোড়া শহীদ মেম্বারের সেই হিসাবে সে নেয় পুরুষ্কার আর ঘোড় সওয়ার হিসাবে সবুজকে দেয়া হয় কিছু টাকা।
৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৪
মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম বলেছেন: পোস্টটি পড়ার পর বুকের কোথায় যেন একটা চিনচিনে ব্যথা অনুভব করলাম।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৩
প্রামানিক বলেছেন: জী ভাই অনেক মেধা আছে যারা নিজের সামর্থ না থাকায় মেধা বিকাশ করতে পারে না। ধন্যবাদ আপনাকে।
৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৭
ডাঃ প্রকাশ চন্দ্র রায় বলেছেন: আহা প্রামানিক ভাই ছড়া ছেড়ে এবার ঘোড়া ধরুন দারুন হবে । খুবই আফসোসের কথা । ক্লাস সিক্সের ছাত্র সবুজ ভাল ঘোর সওয়ার অথচ নিজের ঘোড়া নেই.... কি করতে পারি আফসোস ছাড়া ।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১০
প্রামানিক বলেছেন: জী ভাই আফসোসই বটে। এরকম একটা ঘোড় সওয়ার অথচ তার নিজের ঘোড়া নাই।
৭| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৯
সুমন কর বলেছেন: সবুজের কাহিনী আর ছবি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৬
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সুমন কর। অনেক অনেক শুভ্চেছা রইল।
৮| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০০
কে এম মিজানুর রহমান বলেছেন: সবুজের কাহিনী খুব ভালো লাগলো, মনে হচ্ছে ওকে আমিই একটা ঘোড়া কিনে দেই। আমি শারিরীক ভাবে ভালো আছি প্রামাণিক ভাই, তবে অফিসের অবস্থা ভালো নয়।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৭
প্রামানিক বলেছেন: ভাইরে অফিসের অবস্থা সেই প্রথম দিকে যা ভাল ছিল এর পর আর কখনও কি ভাল হয়েছে। অফিসের ওই অবস্থার ভিতরেই চলতে হবে। উপায় নাই।
৯| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৭
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: সবুজের কাহিনী আর ছবি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৮
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ কামরুন্নাহার আপা। শুভেচ্ছা রইল।
১০| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:০৪
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: সবুজ আপনারে তার ঘোড়ায় চড়াইছিলো নাকি?
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩৪
প্রামানিক বলেছেন: সবুজ সন্ধার সময় ঘোড়া দেহাইবার আনছিল, কিন্তু আমি ঘোড়ায় চড়ার সাহস পাই নাই। এত উঁচা ঘোড়ায় কেমনে চড়মু সেইডা বুঝবার পারলাম না। কিন্তু সবুজ দেখলাম বান্দরের মত এক লাফে ঘোড়ার পিঠে চইড়া বসল। আমি হা কইরা চাইয়া রইলাম। বুঝলাম ঘোড়ায় চড়তে হইলে বান্দরের লাফ দেওয়া বিদ্যা শিখতে হইবো। হেই বিদ্যা আমার মধ্যে নাই। কাজেই আমি ফেল মাইরা চইলা আইলাম। ধন্যবাদ কামাল ভাই।
১১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
গ্রামের মেম্বার সবুজকে ঠিকঠাক মত টাকা পয়সা দেয়ত ?
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩৮
প্রামানিক বলেছেন: সেই মেম্বারের সাথেও দেখা হয়েছে কথা হয়েছে। প্রতি খেলায় তাকে কিছু কিছু দেয়। একবারে বিমুখ করে না। ধন্যবাদ ভাই কান্ডারি।
১২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৫
মিজানুর রহমান মিরান বলেছেন: গেম চেঞ্জার
বলেছেন: নিজের
ঘোড়া না থাকার পরও
সে এত ভাল কিছু অর্জন
করেছে সেটাই বরং
বেশি। ওকে ক্রিড়া পরিষদের
সাথে মিলিয়ে দিলে ভাল হয়।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৩
প্রামানিক বলেছেন: গেম চেঞ্জার ঠিকই বলেছে। ধন্যবাদ
১৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২০
উল্টা দূরবীন বলেছেন: সবুজের গল্প শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৮
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই উল্টা দূরবীন। শুভ্চেছা রইল।
১৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: সবুজের জন্যে শুভকামনা রইলো।
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩১
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই হাসান মাহবুব। অনেক অনেক শুভেচছা রইল।
১৫| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৪
স্বপ্নহীন মানুষ বলেছেন: টেলেন্টেড বয়। দেখতে যাওয়ার আগ্রহ আছে। যাবো একবার সময় করে।
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৩
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই স্বপ্নহীন মানুষ। আপনার আগ্রহ দেখে খুশি হলাম। আশা করি সময় পেলেই যাবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩১
চাঁদগাজী বলেছেন:
পড়ালেখা করে?