নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

pramanik99

আমার স্কুল জীবনের স্মৃতিগুলো বার বার মনে পড়ে। ফিরে যেতে ইচ্ছে করে সেই দিনগুলোতে।

প্রামানিক

শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

প্রামানিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুধ লাল (গল্প)

০৯ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৩২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

এসএসসি পাশ করেই আমার বন্ধুদের সাথে গ্রাম থেকে শহরের কলেজে গিয়ে ভর্তি হয়েছি। কলেজে ভর্তি হওয়ার পর নোটিশ অনুযায়ী নির্দিষ্ট দিনে প্রথম ক্লাস করার জন্য কলেজে গিয়ে হাজির হলাম। দশটায় ক্লাস শুরু। আমার সাথের অন্যান্য বন্ধুদের সাথে আমিও শিক্ষক আসার আগেই ক্লাসে গিয়ে বেঞ্চে জায়গা দখল করে বসে আছি। আমার ডান পাশে আমার স্কুলজীবনের দুই সহপাঠী, বাম পাশে মাঝারী ধরনের চেহারের ফর্সা রঙের একজন অপরিচিত ছাত্র।

কলেজ জীবনের প্রথম ক্লাস। অতি আগ্রহ নিয়ে সবাই অপেক্ষা করছি স্যারের জন্য। কিছুক্ষণ পরেই বাংলা স্যার ছাত্র হাজিরা খাতাসহ ক্লাসে ঢুকলেন। গ্রাম্য স্কুলের স্বভাব অনুযায়ী বেশিরভাগ ছাত্রই উঠে দাঁড়ালাম। স্যার আমাদের হাত ইশারায় বসতে বললেন। সবাই স্যারের ইশারায় বসে গেলাম। স্যার তার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দিয়ে বললেন, আজ তোমাদের কলেজ জীবনের প্রথম ক্লাস। রোল নাম্বারের পাশাপাশি নাম ধরে ডাকব। পরবর্তী ক্লাস থেকে আর কখনও নাম ধরে রোল কল করা হবে না। তোমরা তোমাদের নামের পাশে রোল নাম্বার মনে রাখবে। বলেই রোল নাম্বারের পাশাপাশি সবার নাম ধরে ধরে রোল কল করা শুরু করলেন। প্রায় তিন শ’ ছাত্র। কলেজ জীবনের প্রথম ক্লাস হওয়ায় ক্লাসে ছাত্রের উপস্থিতি অনেক। বেঞ্চে জায়গা হচ্ছে না। পিছনে কিছু ছাত্র দাঁড়িয়ে আছে। এক শ’ সিরিয়ালের পরে আমাদের তিন বন্ধুর রোল এবং নাম কল করলে ইয়েস স্যার বলে জবাব দিয়ে বসে পড়ি। আরো কয়েক জন ছাত্রের নাম ডাকার পরে স্যার রোল নাম্বার বলার পরে ‘দুধ লাল, দুধ লাল’ বলেই থেমে গেলেন। আমি স্যারের মুখে ‘দুধ লাল’ শুনে হাসি চেপে রাখতে না পেরে হো হো করে হেসে উঠলাম। স্যার তৎক্ষনাত বলে উঠলেন, কে কে, হেসে উঠল কে?

আমি সাত আটটি বেঞ্চ পরেই বসা ছিলাম। আমার দিকে আঙ্গুল ইশারা করে বললেন, এই ছেলে দাঁড়াও। ক্লাসে অনেক ছাত্র থাকায় আমি ঠিক বুঝতে পারছিলাম না কাকে দাঁড়াতে বলছেন। আমি স্যারের দিকে তাকেতেই স্যার আঙুল তুলে বললেন, ইউ, ইউ। আমি বুকে হাত দিয়ে নিজেকে দেখিয়ে বললাম আমি কিনা? স্যার বললেন, ইয়েস, ইউ। আমি কিছু না বুঝেই অপরাধীর মত দাঁড়িয়ে গেলাম। স্যার কিছুটা বিরক্ত হয়েই বললেন, এই ছেলে, তুমি হাসলে কেন?

কলেজের প্রথম ক্লাস হওয়ায় আমার মধ্যে কিছুটা জড়তা কাজ করছিল। জড়তার মাঝেও সাহস নিয়ে বললাম, স্যার, সারা জীবন দেখে এসেছি দুধ সাদা, আজই প্রথম শুনলাম দুধ লাল।
একথা বলার সাথে সাথে পুরো ক্লাস জুড়ে সবাই হো হো করে হেসে উঠল। পুরো ক্লাসে হাসি দেখে স্যার জোরে শব্দ করে বলে উঠলেন, প্লিজ সাইলেন্ট।

সবাই থেমে গেলে স্যার বললেন, কারো নাম নিয়ে হাসাহাসি করা ঠিক নয়। সবাইর নাম তো এক হতে পারে না। বিভিন্ন জনের বিভিন্ন নাম হতেই পারে। তাই বলে কি তোমরা হাসাহাসি করবে? সবার যদি একই নাম হয়, তহলে কে কাকে ডাকল, কি করে বুঝবে? কাজেই আন কমন নাম নিয়ে কেউ হাসবে না। বলেই স্যার বললেন, দুধ লাল কে?
দুধ লাল যে আমার পাশেই বসা ছিল আমি ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারিনি। এবার দেখি সে আস্তে আস্তে দাঁড়িয়ে বলল, জি স্যার, আমার নাম দুধ লাল।

দুধ লাল দাঁড়ানোর সাথে সাথে পুরো ক্লাসের ছাত্ররা তার দিকে তাকিয়ে দেখছে। স্যারও তাকে এক নজর দেখেই বললেন, ঠিক আছে বস। বলেই স্যার আবার রোল কল করতে লাগলেন।

দুধ লাল বেঞ্চে বসে নিচের দিকে মাথা নত করে থাকল। স্যার রোল কল করে অল্প সময় প্রথম ক্লাস হিসাবে নানা প্রসঙ্গ নিয়ে কিছু বক্তৃতা দিয়ে চলে গেলেন।

স্যার চলে গেলে বেশিরভাগ ছাত্রই বেঞ্চ থেকে উঠে দাঁড়িয়ে যায়। ক্লাসে স্যার না থাকায় কেউ কেউ বারান্দায় হাঁটাহাঁটি করছে আবার কেউ কেউ বেঞ্চে বসে পরস্পর গল্পগুজোব করছে । কিন্তু তখনও দেখি দুধ লাল নিচের দিকে মাথা দিয়ে বসে আছে। আমি সহপাঠি হিসাবে তাকে লক্ষ্য করে বললাম, কিরে, তোর নাম যে দুধ লাল আগে বলবি না? আমি স্যারের সাথে তোর নাম নিয়ে ইয়ার্কী করলাম।
দুধ লাল মাথা তুলে বলল, তাতে কি হয়েছে, তুই তো আর আমার নাম জানিস না, জানলে তো আর ইয়ার্কী করতিস না।

এর পরে ওকে লক্ষ্য করেছি ক্লাসে আসলেই আমার কাছে বসে ক্লাস করতো। আমার পাশে সিট না থাকলে একবারে পিছনে চলে যেত। শহরের কারো কাছে বসতো না। আমার পাশে বসে ক্লাস করায় ওর সাথে আমার মোটামুটি ভাল সখ্যতা হয়েছে। সেকেন্ড ইয়ারে উঠার পর অনেক দিন ওর সাথে দেখা হয় না।
একদিন কলেজ থেকে ফিরে শহরে ঢুকতেই আমার পায়ের চপ্পলের ফিতা ছিঁড়ে গেল। রেল গেট পার হয়েই দেখি একজন তরুণ মুচী মাথা নিচু করে জুতা সেলাই করছে। আমি পা থেকে চপ্পল খুলে তার সামনে দিয়ে বললাম, এই--, আমার চপ্পলের ফিতেটা সেলাই করে দেতো।
তরুণ মুচীটি মাথা না তুলেই আমার চপ্পল সেলাই করে সামনে ঠেলে দিয়ে অন্য একটি জুতা সেলাই করতে লাগল। মাথা না তুলে জুতা সেলাই করাটা আমার কাছে খুব অহঙ্কারী মনে হলো। আমি তার অহঙ্কারকে তুচ্ছ করার জন্য তুচ্ছ ভাবেই বললাম, সেলাই কত রে?
তরুণ মুচী মাথা না তুলেই জবাব দিল, পয়সা লাগবে না।

আমার কাছে তার কথাটা আশ্চার্য মনে হলো। চেনা নাই জানা নাই মুচী পয়সা নিবে না, এ আবার কেমন কথা! আমি তাকে পাল্টা প্রশ্ন করলাম, কেন রে, পয়সা লাগবে না কেন?

ও বলল, ইচ্ছা হলো না তাই পয়সা নেব না।
-- কাজ করেছিস পয়সা নিবি না মানে?
-- আমার ইচ্ছা আমি নেব না।
-- নিবি না কেন, নিতেই হবে, বলেই আমি দু’টি টাকা তার সামনে ফেলে দিলাম।
সে টাকাটা আমার পায়ের কাছে ছুঁড়ে দিল।
মুচীর ব্যাহারটা আমার কাছে খুব খারাপ লাগল। একে তো মুচী তারোপর মুখ না তুলেই অহঙ্কার করে কথা বলছে। জুতা সেলাইয়ের টাকা দিলাম তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে আমার পায়ের কাছে ছুঁড়ে দিল। হাজার হলেও মুচী, নীচু জাত, ওর কাছে ছোট হওয়া যাবে না। আমি আরো দু’টি টাকা ওর সামনে দিয়ে সরে যাওয়ার চেষ্টা করলাম। ও তৎক্ষনাৎ টাকাটা সামনে ছুঁড়ে দিয়ে বলল, বললাম তো টাকা নিব না।
তরুণ মুচীর দেমাগ মার্কা কথায় মেজাজ বিগড়ে গেল। চোখটা বড় করে ধমকের সুরে বললাম, নিবি না কেন? টাকা তুলে রাখ, না হলে লাথি দিয়ে মাথা চ্যাপ্টা করে দিব।
-- লাথি দিলে দে তারপরেও তোর টাকা নিব না।
মুচীর মুখে তুই তোকারী কথা শুনে আরো অপমানবোধ করলাম। এই মুচী তো দেখচি আচ্ছা ঠ্যাটা। অনেক বয়স্ক মুচীকে দেখেছি বাবুজি ছাড়া কথা বলে না আর অল্প বয়স্ক এই মুচী আমাকে তুই তোকারী করে কথা বলে। মুচী যাতে আর কোনদিন আমাকে তুই করে কথা বলার সাহস না পায় সেই রকম একটা ভাব নিয়ে রাগত স্বরে বললাম, তুই আমাকে তুচ্ছভাবে কথা বললি কেন রে?
-- আমি তোর বন্ধু এই জন্য তুচ্ছভাবে কথা বললাম।
-- আমি তোর কবে বন্ধু হলাম রে?
-- অনেক আগে।
-- দেখি তোর মুখটা?
-- মুখ দেখাবো না, তুই চলে যা।
ওর কথায় আমি আরো গো ধরে বললাম, আমি তোর মুখ না দেখে যাবো না। বলেই ওর চুল ধরে উপর দিকে মুখটা তুলতেই হতভম্ব হয়ে গেলাম। এ যে দুধ লাল! দুধ লাল যে মুচী, এটা ঘুণাক্ষরেও জানতাম না। মনের অজান্তেই দুটি কথা বেরিয়ে গেল, দুধ লাল, তুই কি মুচী রে?
ও মাথা নেরে বলল, হ্যাঁ।
আমার মুখের দিকে তাকিয়ে ভেজা ভেজা চোখে বলল, তুই কি এখন আমাকে ঘৃণা করবি রে?
একে তো ক্লাস ফ্রেন্ড তারোপর চোখের জল ছেড়ে দেয়ায় মায়া হলো। মুহুর্তেই ঘৃণার কথা ভুলে গেলাম। সহজ সরল ভাবে দুধ লালের চোখর দিকে একপলক তাকিয়ে থেকে বললাম, না রে, তুই আমার বন্ধু, তোকে কি আমি ঘৃণা করতে পারি?
ও আমার মুখের দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থেকে বলল, সত্যিই বলছিস? তুই আমাকে ঘৃণা করবি না তো?
আমি মাথা নাড়ালাম, না।
আমার কথা শুনে ওর মলিন মুখটি মুহুর্তেই উজ্জল হয়ে উঠল। খুশিতে গদগদ হয়ে বলল, তোর প্রতি আমি খুব খুশি হলাম রে। স্কুল জীবনের অনেক বন্ধুই কলেজে পড়ে। কিন্তু মুচী হওয়ার কারণে তারা কেউ আমাকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করে না। স্কুলেও আমাকে কাছে ঘেষতে দিত না, কলেজে এসেও কাছে ঘেষতে দেয় না। পরিচয় না জানার করণে কলেজে একমাত্র তুই আমাকে কাছে বসতে দিয়েছিস। কাজেই তোকে আমি বন্ধু হিসাবে পেয়ে খুব খুশি রে। তুই যখন আমাকে জুতা সেলাই করতে দিয়েছিস, তখন আমি লজ্জায় মুখ দেখাতে পারছিলাম না। তাই নিচের দিকে মুখ করে বসে ছিলাম। তুই চুল ধরে মাথা না উঠালে আমি কখনই মুখ তুলতাম না।
এতক্ষণে ওর মাথা নিচু করে বসে থাকার কারণ বুঝতে পারলাম। আমি তখন প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে অন্য প্রসঙ্গ নেয়ার চেষ্টা করে বললাম, তুই কলেজে যাস না কেন?
দুধ লাল অসহায়ভাবে বলল, আমার বাবা খুব অসুস্থ্য। যে কারণে কলেজে যাওয়া বন্ধ করে কাজ করতে হচ্ছে।
আমি বললাম, তোর বাবা সুস্থ্য হলে কলেজে আসিস। বলেই আমি ওর কাছ থেকে দ্রুত সরে গেলাম। ওর সামনে থেকে দ্রুত সরে গেলে কি হবে, ওকে লাথি মারতে চেয়ে যে অপরাধ করেছি সে অপরাধবোধ মনের মধ্যে উকি দিতে লাগল। নিজের বিবেকের কাছে নিজেই হেয় হতে লাগলাম।
০০০ সমাপ্ত ০০০

(ছবি ইন্টারনেট)

মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৪৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: খুব কষ্ট লাগলো দুধ লালের জন্য!

০৯ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৫৬

প্রামানিক বলেছেন: জী ভাই, দুধ লালদের স্কুলে কেউ কাছে বসতে দিতে চায় না। মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ

২| ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:১০

মিজানুর রহমান মিরান বলেছেন: দুঃখজনক। এরকম অসংখ্য দুধ লাল আমাদের সমাজে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। দুধ লাল কেন, আমরা যেন কোনো মানুষকেই হেয় প্রতিপন্ন না করি।
তোমাদের জন্য শ্রদ্ধা, ভালোবাসা; তোমরা এগিয়ে যাও 'দুধ লাল'।

০৯ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৩৬

প্রামানিক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন ভাই, আমাদের সমাজে অনেক দুধ লাল আছে যারা স্কুলে জায়গা পায় না। ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:১২

আজমান আন্দালিব বলেছেন: দুধ লালরা এ সমাজেরই অংশ...এ বিষয়টি সবার মাথায় থাকলেই সমাজের মঙ্গল। টাচি গল্প। ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।

০৯ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৩৮

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আজমান আন্দালিব। আপনার মূল্যবান মন্তব্য দুধ লালদের জন্য মঙ্গল বয়ে আনুক এটাই কামনা করি।

৪| ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:১৩

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: শুরু টা মজার , শেষ টা কষ্টের।
ধন্যবাদ ভাই

০৯ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৩৯

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই শাহরিয়ার কবীর। আপনি পুরো গল্পটি পড়েছেন যেনে খুশি হলাম। শুভেচ্ছা রইল।

৫| ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:২৩

আমিই মিসির আলী বলেছেন: গল্প কবিতা সবকিছুতে টেলেন্ট!!
আমরা কম্মে যাবো!

অনেক ভালো লাগলো।
+

০৯ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৩৫

প্রামানিক বলেছেন: আপনিও কম না, আপনের ভূতের গল্প পড়ে ছোটকালে যা শুনেছি তার সব মজা পেয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে।

৬| ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৩৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমার কাছে সব পেশাই অনেক গুরুত্বপূর্ন। পেশার কারণে মর্যাদা নয়, মর্যাদা হবে সততার জন্যা। ন্যায়- নিষ্ঠার জন্য্। পরোপকারের জন্য।

গল্পে এ+।

০৯ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৪১

প্রামানিক বলেছেন: সুন্দর কথা বলেছেন ভাই। আমাদের সমাজে চোর চোট্টাদের ঘৃণা করা হয় না অথচ সৎ জীবন যাপনকারী মূচীদের ঘৃণা করা হয়। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যর জন্য।

৭| ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৩৮

বিজন রয় বলেছেন: আপনি একজন প্রতিভা বটে!!!
কবে থেকে লেখালেখি করেন?


++++

০৯ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৪১

প্রামানিক বলেছেন: স্কুল জীবন থেকেই লেখার হাতে খড়ি। ধন্যবাদ আপনাকে।

৮| ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৪৫

সুমন কর বলেছেন: শেষটা হৃদয় ছুঁয়ে গেল। +।

০৯ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৪৮

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সুমর কর। আপনি পুরো গল্প পড়েছেন জেনে খুশি হলাম। শুভেচছা রইল।

৯| ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৪৮

বিজন রয় বলেছেন: কটি বই বেরিয়েছে ভাই?
জানতে চাইছি জানা জন্য, আবার কিছু মনে করবেন না।

০৯ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৫৪

প্রামানিক বলেছেন: ভাই এখানেই কবি নিরব। প্রতি বছরই বই বের করার চেষ্টা করি কিন্তু অলসতার কারণে বের হয় না।

১০| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:২২

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
Lekhata vaLo hoise

১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৪৫

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ইমরাজ কবির মুন। অনেক অনেক শুভ্চেছা রইল।

১১| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:০৪

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভাইয়া দেখি গল্পও খুব ভাল লেখেন

১০ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৪২

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মোস্তফা সোহেল। মন্তব্যে উৎসাহিত হলাম। অনেক অনেক শুভেচছা রইল।

১২| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:২১

হামিদ আহসান বলেছেন: কষ্টের অাখ্যান .....

১০ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৪২

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ হমিদ ভাই। অনেক অনেক শুভ্চেছা রইল।

১৩| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:১৭

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: আপনার লেখাটি এতই ভাল লেগেছে যে, আমার চোখের বাধ মানছিল না, মনের অজান্তেই পানি পরে গেল। এটাই মানবিক বিবেক, তাই না? +++++++++++++++

১০ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৪৭

প্রামানিক বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে খুবই উৎসাহিত হলাম। আপনার প্রতি রইল আমার অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৪| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫০

শামছুল ইসলাম বলেছেন: আপনি হাসাতে পারেন, কাঁদাতেও যে পারেন, তা আজ বুঝলাম।

দুধ লালরা যেমন সমাজেরই অংশ, তেমনি এখনো কিছু প্রামানিক সমাজে আছে-তাই সমাজটা এখনো পঁচে যায়নি।

ভাল থাকুন। সবসময়।

১০ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৩৩

প্রামানিক বলেছেন: আসলেই আমাদের সমাজে আমরা শুধু পেশার কারণে সৎ মানুষদের দাম দেই না তুচ্ছ ঘৃণার চোখে দেখি কিন্তু যাদের ঘৃণার চোখে দেখার কথা সেই চোর চোট্টাদের আমরা অনেক সম্মান দিয়ে যাই।। ধন্যবাদ ভাই শামছুল ইসলাম। আপনার মূল্যবান মন্তব্য পড়ে অনেক খুশি হলাম।

১৫| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:২৫

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: আমাদের সমাজে এমন দুধলাল কম নয়। তবে, দুধলালদের বুঝা উচিত, কোন কাজই ছোট নয়। কাজে কোন লজ্জা নেই । লজ্জাতো তাদের হওয়া উচিত, যারা কাজের লোকদের মূল্যায়ন করতে জানে না।

১০ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৩২

প্রামানিক বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই, যারা কাজের মূল্যায়ন করতে জানে না তারাই এদেশের মাতুব্বর সেজে বসে আছে। মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৬| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৩

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: মনটা খারাপ হয়ে গেলো ! গল্প বেশ ভালো লেগেছে!

১০ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৬

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ বোন ঈপ্সিতা চৌধুরী। গল্পটি পড়ার জন্য অনেক অনেক শুভ্চেছা রইল।

১৭| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:০৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: সত্যি ঘটনা নাকি? গল্প হিসেবে সাধারণ মানের।

১০ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:০৮

প্রামানিক বলেছেন: গল্পটি পড়ে আপনার কি মনে হলো?

১৮| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ভালো লিখেছেন। টাচি

১০ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৭

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আরণ্যক রাখাল। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

১৯| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:২৩

জেন রসি বলেছেন: বৈষম্য কি চলতেই থাকবে?

শুভকামনা রইলো।

১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৫১

প্রামানিক বলেছেন: বৈষম্য তো দিন দিন বাড়ছে কমছে না। ধন্যবাদ

২০| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৩৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জাত গেল জাত গেল বলে
একি আজব কারখানা...

মানুষকে মানুষ বলে বুকে নেবার সমাজ কবে হবে?????

ছুঁয়ে যাওয়া লেখা।

১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৫৩

প্রামানিক বলেছেন: জাত নিয়েই তো জাতিগত দাঙ্গা। জাতের সমস্যা না থাকলে এত জাতের কোন দরকারই নাই। ধন্যবাদ

২১| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:২৮

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: বাস্তব কিনা গল্প বুঝে ওঠতে পারিনি। গল্পহলে নিতিমুলক কিছু শিখার আছে বাস্তবহলেত কথাই নাই জীবন যেখানে যেমন ওদের জন্য আমরা প্রায় মায়া দেখায় কিন্তু পরক্ষনেই ভুলে যাই ওরাও মানুষ আমাদের মতোই কোন অংশে কম নয়।
আমার ইয়ারমেটের এক ভাই উচ্চশিক্ষা নিয়ে মেজিট্রেড হয়েছিল তখন ও তার পরিচয় জানতামনা একদিন যখন মেয়েটির সাতে চুকিয়ে কথা বলছি তা দেখে আরেক বান্ধবী পরে বলছে 'আজতো দেখি শিখার প্রেমে পরেগেছিস বেশ' জানিস ওরা মুচির জাত !

১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:১৮

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার জীবনের সুন্দর কাহিনী তুলে ধরার জন্য। অনেক সময় ঘটনা এরকমই ঘটে থাকে। আপনার মন্তব্য পড়ে ভাল লাগল। শুভ্চেছা রইল।

২২| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:১২

উল্টা দূরবীন বলেছেন: শেষটা হৃদয় ছুঁয়ে গেল।

১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৪৫

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই উল্টা দূরবীন। আপনার মন্তব্য পড়ে উৎসাহিত হলাম।

২৩| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০৩

মোঃহাদী বলেছেন: খুব সুন্দর , প্রমানিক ভাই এরকম লেখা বেশি বেশি আশা করছি আপনার থেকে

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:২৬

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই হাদী। আপনার মন্তব্য পড়ে খুশি হলাম এবং উৎসাহও পেলাম। আন্তরিক শুভেচছা রইল।

২৪| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:৫২

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: জীবন থেকে নেওয়া গল্প। হাই স্কুল জীবনে শুরুর দিকে অনেক বন্ধু ছিলো যারা দারিদ্রতার কারণে অনেকে ঝড়ে পড়েছে। আমার একটা বন্ধু আলু-পটলের-মরিচ বিক্রি করা শুরু করলো ক্লাস সেভেন কিং বা ক্লাস এইট পড়ার পরে। প্রাইমারী স্কুলের বেশ কিছু বন্ধু এখন কামলা দেয় আমাদেরই জমিতে। আমি এখনও তাদের তুই-তোকারি বলে কথা বলি তারাও একই ভাবে কথা বলে। সব সময়ই ভাবি তাদের পরিবারে দারিদ্রতা না থাকলে হয়ত সেও আজকে আমার মতো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রী নিয়ে আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল থাকতো।

আপনার ঘটনাটা মনে দাগ কাটল। আপনাকে ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই ঘটনাটা শেয়ার করার জন্য।

১১ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৪৯

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মোস্তফা কামাল পলাশ। আপনি আমার ছোট বেলার কথা মনে করিয়ে দিলেন। আপনার মত আমারও স্কুল জীবনের অনেক কাহিনী আছে। সময় সুযোগ পেলে সেসব কথা লিখব্। আপনার মন্তব্য পড়ে খুব ভাল লাগল। শুভেচছা রইল।

২৫| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৪৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: গল্প হাচানি? হাচা মিছা যাই হোক গল্প পড়ে আমি আপ্লুত

১১ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৫০

প্রামানিক বলেছেন: গল্প পড়ার পর হাচা মনে না হইলে গল্প হইল কেমনে, তাইলে তো রুপকথা হইতো। ধন্যবাদ কামাল ভাই। অনেক অনেক শুভ্চেছা রইল।

২৬| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৫৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

১১ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৫২

প্রামানিক বলেছেন: সকাল বেলা চা দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। আপনে নাস্তা করছেন নি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.