নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
কয়েক বছর আগে সকালে গুলিস্থান রাজধানী হোটেলে নাস্তা খেতে গিয়েছিলাম। আমার সামনের টেবিলে দুইজন লোক বসেছিল। একজনের হাতের দিকে তাকাতেই আমার চোখ থেমে গেল। তার বাম হাতের পাঁচ আঙুলে সাতটি আঙটি। বৃদ্ধাঙ্গুলি বাদ দিয়ে বাকি চার আঙুলেই পাথর বসানো আঙটি। কনিষ্ঠ আঙুলে একটি, অনামিকায় একটি, মধ্যমা আঙুলে তিনটি, তর্জনীতে দু'টি। ডান হাতও খালি নেই। ডান হাতের মোগরায় লোহার বয়লা। মাথার চুল কিছুটা লম্বা লম্বা। মেরুণ রঙের প্যান্টের সাথে সাদা শার্ট পরেছে। বয়স ত্রিশ পঁয়ত্রিশের কম নয়।
মানুষ শখের বশে দুই একটি আংটি আঙুলে পরে এবং পরাটা স্বাভাবিক। কিন্তু একই হাতের চারটা আঙুলে সাতটি আংটি পরাটা মোটেই স্বাভাবিক নয়। তার হাতের রঙ বেরঙের পাথর বসানো এতগুলো আংটি দেখে কৌতুহল জাগল। কৌতুহল দমিয়ে রাখতে না পেরে আংটির রহস্য জানার জন্য আমি আমার চেয়ার থেকে উঠে গিয়ে তার পাশের চেয়ারে বসলাম। এ কথায় সে কথায় খাতির জমিয়ে আস্তে আস্তে তার আঙটির বিষয়ে জিজ্ঞেস করলাম, ভাই, আপনার হাতে যে এত আঙটি দেখতেছি, এগুলো কি পাথরের আঙটি?
লোকটি আমার দিকে মুখ ফিরিয়ে হাসি দিয়ে বলল, জী ভাই সবটি পাতথর।
-- আপনি পাথর কি নিজে নিজে কিনেছেন না জ্যেতিষীদের পরামর্শে কিনেছেন?
আমার কথা শুনে বিজ্ঞের মত বলল, নিজে নিজে পাতথর কিনলে কি কাজ হইবো, যারা পাতথর চেনে তাদের পরামর্শে কিনলে না কাজ হইবো। আমি তিনটা জ্যোতিষীরে হাত দেখাইয়া তারপরে আঙটি কিনছি।
-- আপনি কি কি পাথর কিনেছেন?
আমাকে আঙুল দিয়ে একটি একটি করে পাথর দেখিয়ে নাম বলতে লাগল, এইটা হলো সোলাইমানী আকীক, এইটা নীলা, এইটা গোমেদ, এইটা মুন, আরো কি কি পাথরের নাম বলল আমার সে সব মনে নেই। তবে বুঝলাম সে অনেক পাথরের নাম জানে।
জিজ্ঞেস করলাম, এই সব পাথরে কি কি কাজ হয়?
-- কি কি কাজ হয় কেমনে বুঝাই আপনারে, তয় অনেক কাজ হয়।
-- আপনার হাতের পাথরও কি অনেক কাজ করে?
লোকটি খুব দৃঢ়তার সাথে বলল, অবশই করে, করবো না ক্যান? এইগুলা কি প্লাস্টিকের পাতথর নাকি। এইগুলা অরজিনাল আল্লার সৃষ্টি পাতথর।
বললাম, আলাদা আলাদা পাথরে কি আলাদা আলাদা কাজ করে?
আমার কথায় আমাকে অনাভিজ্ঞ মনে করে বলল, আপনি দেখি পাতথর সম্বন্ধে কোন জ্ঞানই রাখেন না। সব পাতথর একই কাজ করলে কি আর এত পাতথর হাতে লই। একটা নিলেই তো হইতো?
-- কোন পাথরে কি কাজ করে, একটু বুঝিয়ে বলেন তো?
আমার এমন প্রশ্নে কিছুটা বিরুক্ত হয়েই বলল, কোন পাথরে কি কাজ করে এত কইবার পারুম না। তয় শনির দৃষ্টি কাইটা যাওয়ায় অনেক বিপদ-আপদ থাইকা রক্ষা পাইছি। আয় রোজগারও বাইড়া গেছে। আল্লায় দিলে খুব ভাল আছি, খুব সুখে আছি। বলেই লোকটি উঠে চলে গেল। আমি তার চলে যাওয়া পথের দিকে তাকিয়ে রইলাম।
পাথরের উপরে তার আত্মবিশ্বাস দেখে অবাক হলাম। তার কথা শুনে মনের মাঝে কিছু প্রশ্নও দেখা দিল-- তার কি কি বিপদ ছিল আর কি কি বিপদ কেটে গেছে সে কি করে বুঝলো? পাথর সম্পর্কে তার এমন বিশ্বাসের কোন উত্তর খুঁজে পেলাম না।
এর কয়েকদিন পরের ঘটনা, গুলিস্থান সিনেমা হলের সামনে দিয়ে ঠাঁঠারী বাজারের দিকে যাচ্ছি। গুলিস্থান মোড় পার হয়ে দক্ষিণ দিকে কিছুদূর যেতেই রাস্তার পাশে হকারের পণ্য বিক্রির আকর্ষণীয় দলীয় কোরাস কানে এলো। তাকাতেই দেখি সেই আঙটিওয়ালা লোকটি হকারী করছে। পীচঢালা রাস্তায় পলিথিন বিছিয়ে তার উপর কিছু পাঞ্জাবী সাজিয়ে রেখে সাথে আরো দুইজন অল্প বয়সী ছোকরা নিয়ে সুর করে বলছে, বাইচ্ছা লন-- তিন শ', দেইকখা লন-- তিন শ', গুইন্না লন-- তিন শ', সস্তায় লন-- তিন শ',।
তার হকারী সুরের সাথে তাল মেলানো শরীর দোলানো দেখে মনে হলো-- হাতের আঙটি বা পাথর তাকে ভালই সুখে রেখেছে। এরকম সুরে বেসুরে চিল্লানো কথাগুলো দুই একজন নয় হাজার হাজার মানুষকে শোনাতে পারছে, বিনিময়ে রোজগারও হচ্ছে। এটাও কম সুখের নয়।
আমি দূরে দাঁড়িয়ে তার হকারী কার্যকলাপগুলো দেখতেছিলাম। হঠাৎ কয়েক জন পুলিশ রাস্তার হকারদের তাড়াতে লাগল। একজন পুলিশ পাথরওয়ালার পাছায় ঠাস্ করে দু'টা বাড়ি দিতেই পাছা ডলতে ডলতে দৌড়ে পালিয়ে গেল। অন্য দুইজন দ্রুত পলিথিনের দুই মাথা ধরে পাঞ্জাবীগুলো নিয়ে পাশের হকার মার্কেটে ঢুকে গেল।
পাথরওয়ালার পাছায় পেটন আর পাছা ডলতে ডলতে পালিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখে মনে হলো-- বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার মত এতগুলো পাথর আঙুলে থাকলেও পুলিশের পেটন থেকে রক্ষা পাওয়ার মত একটা পাথরও তার আঙুলে নেই। যদি থাকতো তাহলে হয়তো পুলিশ তাকে পেটন দিতে পারতো না। পুলিশ পেটনের শনির দশা থেকে রক্ষা পেতে তাকে আরো পাথর ধারন করা দরকার।
(ছবি ইন্টারনেট)
০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:৩৪
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ বোন কানিজ রিনা। অনেক অনেক শুভ্চেছা রইল।
২| ০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:১৯
সুমন কর বলেছেন: হাহাহা......শেষটা ভালো লাগল।
০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:৩৪
প্রামানিক বলেছেন: আপনার কাছে ভালো লেগেছে এতেই আমি খুশি।
৩| ০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:৪৯
জনৈক অচম ভুত বলেছেন: পুলিশের হাত থেকে রক্ষা করার মতো পাথর এই দুনিয়ায় নাই।
০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:১৬
প্রামানিক বলেছেন: এই কথাডা পাথরওয়ালাদের বুঝাইতে হইবো। তারা তো পাথর দিয়া সব মুশকিল আসান কইরা ফালায়। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
৪| ০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:৩১
মশার কয়েল বলেছেন: ব্যপক মজা পাইলাম ৷ভবিষ্যতে আবার দেখা হলে পুলিশের মাইরের হাত থেকে বাঁচার জন্য একটা আংটি পাছায় লাগাইতে বইলেন
০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:৪২
প্রামানিক বলেছেন: হা হা হা দারুণ কথা বলেছেন। আংটি দুই একটা পরলে তাও হয় সাত আটটা আংটি পড়া পাগল ছাড়া আর কিছূ।
৫| ০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:৫৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: পাথরের মতো শক্ত বিষয়কে এতো সাবলীলভাবে উপস্থাপন করার জন্য অনেক শুভেচ্ছা।
পোস্টে এ++
০৭ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:০০
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সাজ্জাদ হোসেন। মন্তব্য পড়ে খুশি হলাম। শুভেচ্ছা রইল।
৬| ০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:২৩
শামছুল ইসলাম বলেছেন: হা..হা....
//পুলিশ পেটনের শনির দশা থেকে রক্ষা পেতে তাকে আরো পাথর ধারন করা দরকার।// -- পাথরে কোন কাজ হবে না, পুলিশের হাতে কিছু গুঁজে দিতে হবে সময়মত।
ভাল থাকুন। সবসময়।
০৭ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:০০
প্রামানিক বলেছেন: কথা ঠিকই বলেছেন। ধন্যবাদ
৭| ০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:৫০
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: পাথরওয়ালার পাছায় পেটন আর পাছা ডলতে ডলতে পালিয়ে যাওয়ার দৃশ্য
হাহ হাহ হাহ হাহ হা! মজা পেলাম।
০৭ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:০১
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মোটা ফ্রেমের চশমা। অনেক অনেক শুভেচছা রইল।
৮| ০৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:২৪
অগ্নি সারথি বলেছেন: হা হা হা।
০৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:১৪
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই অগ্নি সারথি। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
৯| ০৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:০৩
মো: ইমরান আল হাদী বলেছেন: অনেক ভাল লাগলো, চমৎকার ভাবে শেষ করেছেন।
০৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:১৫
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ইমরান আল হাদী। আপনার মন্তব্য পড়ে খুশি হলাম। শুভেচ্ছা রইল।
১০| ০৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:২৬
হাফিজ বিন শামসী বলেছেন:
হাহাহা.....। শেষের লাইনগুলো পড়ে বেশ মজা পেলাম।
যেহেতু সে রাস্তায় রাস্তায় হকারী করে তার তো anti-police beat stone আগে খোজা উচিৎ ছিল।
০৭ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:০৯
প্রামানিক বলেছেন: এটাই তো কথা। বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য হাতে আংটি পড়েছে কিন্তু পুলিশের পেটন থেকে রেহাই পেল না।
১১| ০৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:৩২
রানার ব্লগ বলেছেন: পাতথর কাম করে নাই, নিশ্চিত থাকেন এর পর যদি দেখা হয় একটু খেয়াল করে দেখবেন উনি পায়েও পাতথর পরেছেন। দেইখেন কিন্তু !!!
০৭ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:১১
প্রামানিক বলেছেন: হেই লোকেরে আর পাইতেছি না, পাইলে জিগামু আপনার পাতথর পুলিশের পেটন ঠেকাইতে পারে না ক্যারে?
১২| ০৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:১৭
পবন সরকার বলেছেন: হা হা হা পাথর ভাগ্যই বটে। ব্যাটা এত পাথর আংটি পড়েও পুলিশের পেটন থেকে রেহাই পেল না।
০৭ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:১২
প্রামানিক বলেছেন: পাথরওয়ালা তো মনে করে তার সব বিপদ পাথরেই রক্ষা করে। কিন্তু বাস্তবে কি তাই হয়।
১৩| ০৭ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:১২
মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: আপনার গল্পের নায়ক মানে পাত্থর ওয়ালার মতো একজন ছিলেন আমাদের এলাকায়। তিনি বন বিভাগের একজন ডিসিএফ (সহকারী বন সংরক্ষক)। দুই হাতেই পাঁথরের আংটি পড়তেন। উনাকে সবাই ভান্ডারী বলে ডাকতেন। ২০ লাখের চেয়ে বেশী ঘুষ দিয়েছিলেন বদলী ঠেকাতে কিন্তু পারেননি। সত্যিই সেলুকাস! তার মানে পাথর ভোগাস!! আপনার গল্পের নায়ক মানে পাত্থর ওয়ালার মতো একজন ছিলেন আমাদের এলাকায়। তিনি বন বিভাগের একজন ডিসিএফ (সহকারী বন সংরক্ষক)। দুই হাতেই পাঁথরের আংটি পড়তেন। উনাকে সবাই ভান্ডারী বলে ডাকতেন।ভান্ডারী ডিএফও। ২০ লাখের চেয়ে বেশী ঘুষ দিয়েছিলেন বদলী ঠেকাতে কিন্তু পারেননি। সত্যিই সেলুকাস! তার মানে পাথর ভোগাস!!
০৭ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:১৭
প্রামানিক বলেছেন: মইনুদ্দিন ভাই, মানুষ খামাখাই পাথরের উপরে অন্ধ বিশ্বাস করে। পাথর কিছুই করতে পারে না। যার ভাগ্যে যা আছে তা ঘটবেই।
১৪| ০৭ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:১৮
মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: সরি! মন্তব্য করতে গিয়ে দেখি ডাবল হয়ে গেছে। এটা অনিচ্ছাকৃত। আর ছবির ভদ্রলোক সেই ডিসিএফ নহেন। এটা ইন্টারনেট থেকে নেয়া।।আপনার চমৎকার রম্য রচনার জন্য। ভালো থাকবেন।
০৭ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৯
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, পুণঃরায় মন্তব্য করার জন্য খুশি হলাম। ছবিটা যে ঐ ভদ্রলোকের নয় এটা ছবি দেখেই বুঝেছি। ছবিটা ভারতের কোন স্বর্ণকারের দোকানের ছবি।
১৫| ০৭ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:২৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হাহাহা
০৭ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৩
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ বোন মনিরা সুলতানা। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
১৬| ০৭ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৫
বাংলার জামিনদার বলেছেন: পাথর দিয়া কাম হবেনা, পুলিশরে আরেক পুলিশ ও ঠেকাইতে পারেনা।
০৭ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৬
প্রামানিক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন ভাই, যেই পুলিশরে পুলিশ ঠেকাইতে পারে না সেই পুলিশরে পাথর ঠেকাইবো কেমনে?
১৭| ০৭ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১:৩৪
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার মত এতগুলো পাথর আঙুলে থাকলেও পুলিশের পেটন থেকে রক্ষা পাওয়ার মত পাথর তার আঙুলে নেই। যদি থাকতো তাহলে হয়তো পুলিশ তাকে পেটন দিতে পারতো না। পুলিশ পেটনের শনির দশা থেকে রক্ষা পেতে তাকে আরো পাথর ধারন করা দরকার।
চমৎকার মেসেজ দিয়েছেন প্রামাণিক ভাই ।
আপনি হয়তো জানেন না , পুলিশ পেটনের শনির দশা থেকে রক্ষা পেতে চমৎকার কাজ করে এরকম পাথরও আছে -
ছবিতে দেখুন - বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার মত এতগুলো পাথর আঙুলে থাকলেও পুলিশের পেটন থেকে রক্ষা পাওয়ার মত পাথর তার আঙুলে নেই। যদি থাকতো তাহলে হয়তো পুলিশ তাকে পেটন দিতে পারতো না। পুলিশ পেটনের শনির দশা থেকে রক্ষা পেতে তাকে আরো পাথর ধারন করা দরকার।
চমৎকার মেসেজ দিয়েছেন প্রামাণিক ভাই ।
আপনি হয়তো জানেন না , পুলিশ পেটনের শনির দশা থেকে রক্ষা পেতে চমৎকার কাজ করে এরকম পাথরও আছে (এটা ব্যবহারকারীদের ধারনা) -
ছবিতে দেখুন -
০৭ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১:৫৪
প্রামানিক বলেছেন: হা হা ভালই বলেছেন। এরকম পাথর দেখলে আসলেই পুলিশ ভয় পায়। ধন্যবাদ
১৮| ০৭ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:২১
হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: পাথরওয়ালার পাছায় পেটন আর পাছা ডলতে ডলতে পালিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখে মনে হলো-- বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার মত এতগুলো পাথর আঙুলে থাকলেও পুলিশের পেটন থেকে রক্ষা পাওয়ার মত একটা পাথরও তার আঙুলে নেই। যদি থাকতো তাহলে হয়তো পুলিশ তাকে পেটন দিতে পারতো না। পুলিশ পেটনের শনির দশা থেকে রক্ষা পেতে তাকে আরো পাথর ধারন করা দরকার।
ভাই চমৎকার বলেছেন, খুব ভাল লাগল। ব্যাপক বিনোদন.............
০৭ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:২৩
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই হাসান জাকির। আপনার মূল্যবান মন্তব্যর জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
১৯| ০৭ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৫:১১
রোষানল বলেছেন: মজাই লাগলো
০৭ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:২৪
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রোষানল। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
২০| ০৭ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৮
কল্লোল পথিক বলেছেন: হা হা হা
বেশ মজা পাইলাম।
০৭ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:২৫
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ কল্লোল পথিক ভাই। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
২১| ০৭ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৩
রাশেদ রাহাত বলেছেন: আহারে পাথর। প্রধান সমস্যাটা হলো বিশ্বাস। মানুষ ভাগ্য ও নিজ চেষ্টার উপর বিশ্বাস না করে পাথর এর উপর বিশ্বাস করছে। সাথে সাথে নিজের ইমান যে লুপ্ত হচ্ছে তার খেয়াল নেই।
তবে যাই বলেন, বং বেরং এর পাথর কিছু কিছু মানুষকে খুবই মানায়। ফ্যাশন হিসাবেও এটার ব্যবহার চলে। শুধূ সমস্যা হলো। পাথরের উপর ""বিশ্বাস নিয়ে, যে এটার কিছু করার ক্ষমতা আছে।""
০৭ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:২৭
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রাশেদ রাহাত। অনেক মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য শুভ্চেছা রইল।
২২| ০৭ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৫
রাশেদ রাহাত বলেছেন: ওহ.. আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ কথা। ছবি টা যে নেট থেকে নেওয়া তা কিন্তু বলতে ভুলে গেছেন।
০৭ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:২৮
প্রামানিক বলেছেন: বিষয়টি মনে করে দেয়ার জন্য অন্তরিক ধন্যবাদ।
২৩| ০৭ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৯
জিয়ানা বলেছেন: হে হে হে...অনেক মজা পেলাম! চমৎকার হাসির রম্যগল্প!
০৭ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:২৯
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই জিয়ানা। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
২৪| ০৭ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:৩৬
রাশেদ রাহাত বলেছেন:
১০ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:৫১
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রাশেদ রাহাত। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
২৫| ০৭ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:৪২
শায়মা বলেছেন: হা হা এইবার গিয়ে পাথরওয়ালাকে জিগাসা করতে হবে, পুলিশ পেটন থেকে বাঁচার পাথর কি?
১০ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:৫২
প্রামানিক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন বোন শায়মা। কিন্তু পাথরওয়ালাকে পাচ্ছি না পেলেই জিজ্ঞেস করবো।
২৬| ০৭ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:০২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: পুলিশ পেটনের শনির দশা থেকে রক্ষা পেতে তাকে আরো পাথর ধারন করা দরকার।
পুলিশকে পাতথর কেনো শুধু বলছেন জ্বীন ভুতও ভয় পায়, বাংলাদেশে জ্বীন ভুত দেখেননি এবং জ্বীন ভুতের গল্প ধারণ করা এমন লোক পাওয়া বিরল, কিন্তু আমাদের পরিবারে বেশ কয়েকজন জাদরেল পুলিশ আছেন যারা দিনে রাতে শহরে গ্রামে, হরতালে গহীণ জঙ্গলে, পাহাড়ে এমনকি নদীতে ডিউটি করেও জ্বীন ভুতের দেখা পান নি । ভাই আপনার গল্প অনেক আনন্দ দিয়েছে আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ । জীবনের সুখ দুঃখ ও আনন্দের গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করবেন এই কামনায় দোয়া রইলো ।
১০ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:৫৪
প্রামানিক বলেছেন: পুলিশ দেখলে ভুতেরাও ভয় পায়। আজ পর্যন্ত দেখলাম বা শুনলাম যে পুলিশের উপর জ্বীন ভূতে আছড় করেছে। চমৎকার একটি বিষয় মন্তব্যে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ
২৭| ০৭ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:০৯
কালনী নদী বলেছেন: আপনার রম্য পোস্টগুলাও অনেক ভাল। মজা পেলুম ভাইজান। । ।
১০ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:৫৪
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই কালনী নদী। উৎসাহ দানের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
২৮| ০৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:০২
সোহানী বলেছেন: আরে ভাই পাথর কি শুধু দেশে আছে ... বিদেশে ও আছে। সব দেশেই ছাগল আছে... যাহোক নীচে কানাডার নামকরা পত্রিকার এডের ছবি দিলাম পাথর/হুজুরের ব্যবসা সব দেশেই রমরমা....
১০ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:৫৬
প্রামানিক বলেছেন: আপনি চমৎকার একটি বিষয় তুলে ধরেছেন। এই অবাস্তব বিষয়গুলো পত্রিকাওয়ালারাও পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ছাপে যেটার কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নাই।
২৯| ০৮ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:২৮
বাঘ মামা বলেছেন: এমন কুসংস্কার গুলো সমাজে নীরব ব্যাধি ছড়াচ্ছে,মানুষের কর্ম ক্ষমতা কমিয়ে ভাগ্য এবং পাথর নির্ভর করে তুলছে,অভাব অনটনে পড়া অসহায় মেধাহীন মানুষ গুলো এসবের পিছে পড়াটা কিছুটা মেনে নেয়া গেলেও যখন দেখি সমাজের উচু এবং এক শ্রেনীর শিক্ষিত মানুষগুলো এমন কিছুতে বিশ্বাস রাখে তখন অবাক না হয়ে পারিনা,আরো বেশি অবাক হই যখন দেখি দেলোয়ার হুসাইন সাঈদির মত মানুষের আঙ্গুলে এমন পাথর আংটি থাকে।
এই বিষয়ের উপর গত কিছুদিন আগে কোথায় যেন একটা মন্তব্য করেছিলাম।
সে যাই হোক মানুষ সচেতন হবে এটাই আশা রাখি
শুভ কামনা আপনার জন্য
১০ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:৫৭
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই বাঘ মামা, মন্তব্যে অনেক সুন্দর বিষয় তুলে ধরার জন্য অনেক অনেক শুভ্চেছা রইল।
৩০| ০৯ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:২৫
আনু মোল্লাহ বলেছেন: বেচারা হকারকে আবার কাছে পাইলে পুলিশের ডান্ডার বাড়ি হতে রক্ষাকারী পাথর সংগ্রহের উপদেশ দিতে পারতেন।
০৯ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:২২
প্রামানিক বলেছেন: দেখা পাচ্ছি না, দেখা পেলে অবশ্যই পুলিশের পেটন থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আরো পাথর নিতে বলতাম।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:১০
কানিজ রিনা বলেছেন: হা হা হা পড়ছিলাম আর হাসছিলাম বেটা
মনটা ভাল হয়ে গেল। ধন্যবাদ