নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

pramanik99

আমার স্কুল জীবনের স্মৃতিগুলো বার বার মনে পড়ে। ফিরে যেতে ইচ্ছে করে সেই দিনগুলোতে।

প্রামানিক

শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

প্রামানিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেকালের গ্রাম্য বিয়ের খাওয়া

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আমার দূর সম্পর্কের ফুফাতো ভাইয়ের বিয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। বাবা ছিলেন সেই বিয়ের মাতব্বর। বাবার পিছন না ছাড়ায় এমন একটি সুযোগ পেয়েছিলাম।

আনুষ্ঠানিকভাবে কনে দেখার দিন তারিখ আজ মনে করতে পারছি না, তবে সঠিক তারিখ মনে না থাকলেও মাসের নামসহ ঘটনাগুলো মনে আছে। বাংলা তেরোশ' পঁচাত্তুর সাল, মাসটি ছিল পৌষ মাস। দুপুরের দিকে আমি এবং বাবাসহ প্রায় সাত আটজন মেয়ের বাড়ি গিয়ে উপস্থিত হলাম। বাড়ির সামনে বিশাল উঠান। উঠানের পশ্চিম পার্শ্বেই এক সারিতে বড় বড় চারটি টিনের ঘর। ভিতর বাড়ির উত্তর এবং পশ্চিম পার্শ্বে আরো টিনটি টিনের ঘর। দক্ষিণ পার্শ্বে গোয়াল ঘর ও খানকা ঘর। বাহির বাড়ির পূর্ব পার্শ্বে বিশাল বিশাল তিনটি খড়ের গাদা।

কনের বাবারা দুই ভাই। দুই ভাইয়ের চারটি স্ত্রী। ছেলে-মেয়ে নাতি-নাতনীসহ ২৫/২৬ জনের সংসার। কনে হলো বড় ভাইয়ের বড় স্ত্রীর সাত সন্তানের মধ্যে সব চেয়ে ছোট। বাড়ির পরিবেশ কিছুটা হাট বাজারের মত। ছোটদের চিল্লাচিল্লি কান্নাকাটি আর বড়দের হাউকাউ কথার চোটে সবসময় গমগম করে। খড়ের গাদা, বাড়ির সাইজ আর লোক সংখ্যা অনুযায়ী বড়সর গৃহস্থ বাড়িই বলা চলে।

বাড়িতে পৌছার সাথে সাথেই দুইজন বৃদ্ধ এগিয়ে এসে ছালাম দিয়ে সবার হাতে হাত মিলালেন। হাত মিলানো হলে আমাদেরকে সাথে নিয়ে সামনের সারির মাঝখানের একটি ঘরে বসতে দিল। লম্বা টিনের ঘর। পুরো ঘরে কোন পার্টিশন নেই। ঘরের এই মাথা থেকে ঐ মাথা পর্যন্ত মাটির মেঝেতে ধানের খড় বিছিয়ে তার উপরে নক্সি কাঁথা বিছানো আছে। আমরা ছেলে পক্ষের আটজন মাঝামাঝি বসলাম। মেয়ে পক্ষের কয়েক জন লোক আগে থেকেই বসা ছিল। বর পক্ষের লোকজনের মধ্যে আমিই ছোট বাকি সবাই বয়স্ক। দুপুরের খাওয়া খেতে খেতে প্রায় বিকাল হয়েছিল। কনে দেখা উপলক্ষে মেয়ের বাড়িতে যে খাবারগুলো দিয়েছিল তার অনেকটাই এখনো মনে আছে।

ঘরটি ছিল পশ্চিম দুয়ারী। খাবারের জন্য আমরা পশ্চিম মুখ করে বসলাম। আমরা ছাড়াও মেয়ে পক্ষের লোকজন বসেছে। সম্ভাবত তারা ঝি জামাই, বেয়াই টেয়াই হবে। ঘরের এই মাথা থেকে ঐ মাথা পর্যন্ত কমপক্ষে ২৫/২৬ জন লোক। প্রত্যেকের সামনে একটি করে থালা দেয়া হলো। থালা দেয়ার পর একজন কাসার বদনা দিয়ে থালার ভিতর পানি ঢেলে হাত ধুয়ে দিল। আরেকজন থালার পানি একটি বালতিতে ঢেলে থালা ধুয়ে পরিষ্কার করে দিল। ধোয়া হাতে থালা সামনে নিয়ে খাবারের জন্য অপেক্ষ করছি, এমন সময় একজন মুখ ছড়ানো একটি মাটির নতুন হাঁড়ি নিয়ে হাজির। এর আগে কখনও এরকম অনুষ্ঠানে খাওয়ার সৌভাগ্য না হওয়ায় হাঁড়ির ভিতর কি আছে বুঝতে পারি নাই। যখন হাঁড়ি থেকে প্রত্যেকের পাতে পাতে দু’টি করে গোল গোল দিয়ে গেল তখন বুঝতে পারলাম এগুলো মুড়ির মোয়া। মুড়ির মোয়া কড়মড় করে খেতে না খেতেই আরেকজনে চিড়ার মোয়া দিয়ে গেল, আরেকজনে কাউনের মোয়া, তিলের মোয়া, খইয়ের মোয়া, চাউল ভাজার মোয়া এমনি করে এক এক করে প্রায় সাত আট প্রকারের মোয়া দিয়ে যাওয়ার পরে নিয়ে এলো নারকেলের কুলি পিঠা, তেলে ভাজা পিঠা, চিতই পিঠা, সব শেষে দিল দুধে ভিজানো রসের পিঠা।

মোয়া আর পিঠা খেয়েই আমার পেট ভরে গেল কিন্তু তখনও অর্ধেক আইটেম বাকি ছিল। পিঠা খেতে না খেতেই নিয়ে এলো চাউলের পায়েস, কাউনের পায়েস। আখের গুড় আর গাভীর খাঁটি দুধে তৈরী পায়েস, আহা! কি যে মজা হয়েছিল তা বলে বুঝানো যাবে না। এখনও অনেক পায়েস খাই কিন্তু সেই দিনের মত অত স্বাদের পায়েস আর পাই না। যাই হোক, সেই স্বাদের পায়েস আমার পক্ষে এক থালার বেশি খাওয়া সম্ভব হলো না কিন্তু আমি খেতে না পরলে কি হবে অনেকেই সেই পায়েস দুই তিন থালা করে খেতে লাগল। বিশাল এক গামলা ভরে পায়েস নিয়ে এসেছিল। দুই তিন থালা করে পায়েস খাওয়ার পরও গামলার পায়েস শেষ হলো না। আধা গামলা পায়েস তখনও ছিল। পায়েস ওয়ালা বলল, আপনারা কি পায়েস আরো নিবেন না ফেরৎ নিয়া যামু?
যাদের পেট ভরেছে তাদের অনেকেই বলল, অনেক খাইছি, আর লাগবো না, ফেরৎ নিয়া যান।
মেয়ে পক্ষের এক বৃদ্ধ বলে উঠল, কি খাইলেন আপনারা? এক গামলা পায়েসের আধা গামলাই বেশি হইল? আপনাদের মধ্যে মনে হয় পায়েস খাওয়ার লোক নাই?
বৃদ্ধের এমন খোঁচা মারা কথায় ছেলে পক্ষের এক বৃদ্ধের মনে হয় আঁতে ঘা লাগল। তিনি বলে উঠলেন, আধা গামলা পায়েস ফেরৎ নিতে যহন আপনাদের আপত্তি তহন আর ফেরৎ নেওনের দরকার কি? নিয়া আইসেন চেষ্টা কইরা দেখি খাওয়া যায় কিনা।

আমার যত টুকু মনে পড়ে সেই আধা গামলা মানে বর্তমানের দশ প্লেটের কম নয়। যে বৃদ্ধটি পায়েস ফেরৎ আনতে বলল তার পাশে আরো দুইজন বৃদ্ধ বসা ছিল, একজনে পায়েস ফেরৎ আনতে বললেও তারা তিন জনে মিলেই খেতে লাগল এবং মুহুর্তেই আধা গামলা সাবার করে ফেলল। তাদের খাওয়ার কথা মনে হলে আজও আমার চোখ কপালে উঠে যায়। বৃদ্ধদের পায়েস খাওয়ার নমুনা দেখে আমি আশ্চার্য হয়ে হা করে তাকিয়ে ছিলাম। এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখি আমার মত অনেকেই তাদের পায়েস খাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। পরে শুনেছিলাম ঐ বৃদ্ধকে পাল্লাপাল্লি করে পায়েস খাওয়ার জন্যই দাওয়াত দিয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল। বৃদ্ধদের পায়েস খাওয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা বাকি সবাই হাত গুটিয়েই বসে থাকলাম।

তিন খাদোকের পায়েস খাওয়া শেষ হতে না হতেই বাঁশের তৈরী ঝাকা ভরে ভাত নিয়ে এলো। থালা ভর্তি করে ভাত দিয়ে গেল। আমার সামনে টিনের থালা আর বুড়োদের সামনে কাসার থালা। কাসার থালাগুলি সাইজে এত বড় ছিল যে থালা ভরতে সেই সময়ের মাপে কমপক্ষে আধা সের চাউলের ভাত লাগত। সেই থালা ভর্তি করেই ভাত দিয়ে গেল।

ভাত দেয়ার পরপরই একজনে পাতের কিনারে একটু করে লবন দিয়ে গেল, লবন দেয়ার পরপরই আরেকজন কাসার চামুচ দিয়ে আলু ভাজি দিয়ে গেল। যতটুকু মনে পড়ে নতুন দেশি আলূ চিকন চিকন সুতার মত করে কাটা। মুখের মধ্যে দিলে চিবাতে হয় না এমনিই মিলিয়ে যায়। সেই আলু ভাজির স্বাদের কথা কি আর বলবো। আজো সেই স্বাদ মুখে লেগে আছে।

এরপর দিয়ে গেল গোল গোল করে ভাজা বেগুন ভাজি, লাউ ভাজি, মিস্টি কুমড়ার ফুল ভাজি, কয়েক প্রকারের শাক একত্র করে শাক ভাজি। শাক ভাজির কথা কি আর বলবো, হেলাঞ্চা শাক, বতুয়া শাক, পুন্যনাপা শাক, খুদিয়ামন শাক, এইরকম সাত প্রকারের শাক একত্র করে নাকি এই শাক ভাজা হয়েছিল। ঐ বয়সে আমি বাড়িতে খুব একটা শাক খেতাম না। কিন্তু কনের বাড়ির ঐ শাক আমার কাছে এত মজা লেগেছিল যে পুরো শাক খেয়ে বাবার পাত থেকে আরো একটু নিয়েছিলাম। সেই শাকের মজা বলে বুঝাতে পারবো না।
পরবর্তীতে শুনেছি ঐ শাকের মধ্যে নাকি অল্প পরিমাণ দুর্বা ঘাসও দেয়া ছিল। দুর্বাঘাস দেয়ার কারণ এখন আর মনে করতে পারছি না। তবে যতটুকু জেনেছি শাকের ভিতর দুর্বা ঘাস দেয়াটা ছিল সেই সময়ে গ্রামের কুসংস্কারের অংশ।

শাকসব্জির ভাজি খাওয়া শেষ করতে না করতেই নিয়ে এলো কই মাছের ভাজি, রুই মাছের ভাজি (নলা জাতীয় রুই মাছ), বড় বড় পুঁটি মাছের ভাজি। এইরকম প্রায় আট নয় প্রকারের ভাজি দেয়ার পরে এলো মুরগীর মাংসের ভুনা। ভুনা মাংস খাওয়া শেষ হতে না হতেই আলু দিয়ে মাংসের তরকারী। মাংস খাওয়ার পরে এলো মাসকালাইর ডাল। আমি ভুনা মাংস খেয়েই খাওয়া শেষ করে হাত গুটিয়ে বসে থাকলাম কিন্তু এত কিছু খাওয়ার পরেও ঐ তিন বুড়ো কমপক্ষে আধা গামলা ডাল চুমুক দিয়ে খেলেন। ভাত খাওয়ার পর মনে করেছিলাম খাওয়া বুঝি এখানেই শেষ কিন্তু হাত ধুতে চাইলে নিষেধ করল। চেটে খাওয়া থালায় আরো একটু ভাত দিয়ে গেল, ভাত দেয়ার পরপরই গরম গরম দুধ ঢেলে দিল। দুধের পরিমান একেবারে কম নয়। আমার থালে যে পরিমাণ দিয়েছে তাতে আধা শের না হলেও এক পোয়া তো হবে। ভরা পেটে খুব কষ্টে দুধ ভাত খাওয়া শেষ করলাম। বুড়োগুলো এত খাওয়ার পরও দুধ ভাত খেতে কৃপণতা করলেন না। কম করে হলেও এক দেড় সের করে খেয়ে নিল। তাদের খাবার দেখে হা করে তাকিয়ে ছিলাম। আহারে খাওয়ারে! তারা একজনে যে খাবার খেলেন বর্তমানে দশজনেও এ খাবার খেতে পারবে কিনা সন্দেহ! সেকালের খাওয়ার কথা এখন শুধু স্মৃতি।

দাদীর কাছে গল্প শুনেছি-- বিয়ের অনুষ্ঠানে নাকি অনেকেই এক মণ চাউলের ভাত খেয়ে ফেলতো। এত খাবার খেয়েও তাদের নাকি পেট এক ইঞ্চিও উঁচু হতো না। আমরা দাদীকে প্রশ্ন করতাম, দাদী-- এত ভাত পেটের কোন জায়গায় যেত? দাদী বলতো, আরে বোকা, ভাত মুখে পুরলেও পেটে যেত না, যাদু টোনার মাধ্যমে বাইরে চলে যেত। বুড়োদের খাবার দেখে ঐদিন আমারও তাই মনে হয়েছিল।

ছোটকালে এসব বিশ্বাস করলেও বর্তমানে যতটুকু জানি, যাদুটোনা বলে কিছু নেই। আমার দেখা খাদোক বুড়োগুলোও যাদুটোনার লোক ছিল না। তারা ছিল তাদের এলাকার মাতব্বর। প্রতি মাসেই এরকম দু'চারটি বিয়ের অনুষ্ঠানের দাওয়াত থাকতো। প্রতিযোগীতার মধ্যমে খেতে খেতেই তাদের এরকম প্রাকটিস হয়েছিল।

*** অনেকেই হয়তো ভাবতে পারেন পোলাও কোরমা ছাড়া এ কেমন বিয়ের খাওয়া! সেই সময় গ্রামের ঐসব এলাকায় বিয়ের দাওয়াতে সাধারণ গৃহস্থ বাড়ি পোলাও কোরমা খাওয়ানোর প্রচলন ছিল না। বিভিন্ন প্রকার পিঠা, পায়েস এবং ভাতের সাথে নানা রকম মাছ, মাংসের তরকারী খাওয়ানো হতো। তবে এটাও সত্য-- পোলাও কোরমা খাওয়ালে কারো পক্ষেই এত খাওয়া সম্ভব হতো না। আশির দশকের পরে আস্তে আস্তে গ্রাম পর্যায়ে পোলাও কোরমা খাওয়ানো শুরু হয়। বর্তমানে পোলাও কোরমা ছাড়া বিয়ের অনুষ্ঠান চিন্তাই করা যায় না। পোলাও কোরমার সহজ পদ্ধতি অনুসরণ করায় পিঠা পায়েসের প্রচলন উঠেই গেছে। আমি যে এলাকার বিয়ের বর্ণনা দিচ্ছি সেটা ছিলা তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলার অন্তর্গত জামাল পুর মহকুমার যমুনা নদী বেষ্টিত চরাঞ্চল।

আরেকটি কথা না বললেই নয়-- যে বুড়ো খাদোকের খাওয়ার উল্লেখ করেছি তিনি নাকি এক বসায় চার সের জিলাপী এবং আড়াই সের রসগোল্লাও খেতে পারতেন। তবে তিনি যে ভালো খাদোক এটা সেদিন তার খাওয়া দেখেই বুঝেছি।

(ছবিঃ ইন্টারনেট)

মন্তব্য ৯৬ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৯৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৯

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: এখন অভাবের তাড়নায় মানুষ দাওয়াত দিতেও চিন্তা করে। শুধু ভেজাল আর ভেজাল।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৩

প্রামানিক বলেছেন: এখনকার দাওয়াতে ঐরকম তলাবিহীন পেটের খাওয়া দেখলে মেয়ের বাপ চিৎপটাং দিবে।

২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৯

চানাচুর বলেছেন: এত খাওয়া মানুষ একবারে খেতে পারে! প্রতিটা আইটেম এক চা চামচ পরিমাণ খেলেই অবস্থা খারাপ হয়ে যাবার কথা! :|| :||:||:||:||:||:||:||:||:||

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৬

প্রামানিক বলেছেন: যাদের খাওয়ার কথা বলেছি তারা একে তো খেটে খাওয়া মানুষ তারোপর এলাকার মাতাব্বরও বটে। মাসে তাদের এরকম দুইচারটা প্রতিযোগীতামূলক দাওয়াত খেতে হয় সেই কারণে তারা স্পেশাল খাদোক।

৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


জানি না কোন এলাকা, ১০৬০ সালের দিকে, চট্টগ্রামে বউ দেখতে গেলে, প্রথমে সামান্য শরবত দিতো, খুবই ছোট গ্লাসে; এরপর আসল খবার, পোলাও, কোর্মা, মাংস, মাছ; তারপর দই ও মিষ্টি জাতীয় খাবার; আপনার এলাকায় উল্টভাবে পরিবেশন!

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৮

প্রামানিক বলেছেন: আমি পাকিস্তান আমলের ঘটনা তুলে ধরেছি। সেই সময় ঐ এলাকায় বিয়ের অনুষ্ঠানে পোলাও কোরমার প্রচলন ছিল না। এলাকাটি ময়মনসিংহ জেলার যমুনার চরাঞ্চল।

৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৩

অন্তরন্তর বলেছেন: নস্টালজিক অভিজ্ঞতা বর্ণনা করলেন। তবে বুড়ো খাদকদের খাবার কথা শুনে আমার আক্কেল গুড়ুম। আগের দিনের বিবাহের খাবার দাবার ছিল আসল ব্যাপার। আমারও কিছু বিয়ের খাবারের কথা মনে পরে গেল। ভাল লিখেছেন। শুভ কামনা।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২১

প্রামানিক বলেছেন: সেই সময় বিয়েতে এরকম খাদোককে শুধু খাওয়ার প্রতিযোগীতা করার জন্যই আলাদাভাবে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে যাওয়া হতো। বর্তমানে এরকম খাদোক দেখলে মেয়ের বাপ চিৎপটাং হয়ে শুয়ে পড়বে।

৫| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৫

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: সবগুলোই চেখে দেখলাম। পায়েসটাই বেশি মজা লাগল। =p~

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৭

প্রামানিক বলেছেন: আমার কাছেও পায়েসটা মজা হয়েছিল।

৬| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ওরে বাবারে! এ কি খানাপিনা! এত পদের খাবার আপনারা খেয়েছিলেন কিভাবে প্রামানিক ভাই? আর বৃদ্ধদের খাওয়ার বিবরন পড়ে আমি টাস্কি খেলাম। আমাদের তরুণ বয়সেও তো এত খেতে পারতাম না।


ভালো লাগলো আপনার স্মৃতিচারণ পড়ে। ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৮

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই হেনা ভাই। শুভেচ্ছা রইল।

৭| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০২

জুন বলেছেন: প্রামানিক ভাই আপনার বিয়েবাড়ির ইলাহী ভোজের কথায় মনে পরলো একটি ঘটনা। ছোটবেলায় এক বিয়েতে যাবার পর এত প্রকারের মিষ্টি সাথে পিঠা পায়েস দিলো যা একটু একটু করে চাখতেই পেট ভরে গেল। তারপর আসলো যখন পোলাও মাংস তখন চেয়ে দেখা ছাড়া আর উপায় ছিলনা। আপনার লেখায় বহু আগের একটি দিনে ফিরে গেলাম মনে হচ্ছে।
আপনার লেখায় অনেক ভালোলাগা রইলো ।
+

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৩

প্রামানিক বলেছেন: জুন আপা, সেই সময়ের বিয়ের কিছু অনুষ্ঠানের কথা এখনও মনে পড়ে। সাত দিন আগে থেকেই বিয়ের আয়োজন শুরু হতো। ঢেঁকির পাঁড় সারা দিনই চলতো। এত এত আয়োজনের চালের গুড়ি ঢেঁকি দিয়েই করা হতো। জামাই ঝি নায়োরী দিয়ে বাড়ি ভরে যেত। দুপুরের গোসলের সময় কালি মাখামাখি সে আরেক আনন্দ। সেই আয়োজনের চিত্রগুলো এখনও চোখে চোখে ভাসে।

৮| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২২

শিখণ্ডী বলেছেন: বৃদ্ধদের খাবার নমূনা শুনে অনেকের বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে। আসলে গ্রামবাংলায় এখনও এমন লোক আছে। আমাদের পাড়ায় একটি পরিবার (ওদের বাপ-চাচাদের পরিবারের সবাই) আছে ওদের সবাই অসম্ভব পরিমাণ খেতে পারে। এক কেজি গরুর মাংস, বিশটি পরোটা সাবাড় করতে পারে সেই পরিবারের একজন। সে আমার বাল্যবন্ধু, এখন পুলিশ বিভাগে চাকরিতে আছে।

আপনার স্মৃতি থেকে লেখাটি বেশ লাগল। দুই দশক আগেও আমাদের অঞ্চলেও এমটি চালু ছিল। তবে একটি কথা তখন কিন্তু এখনকার মত চল্লিশ মিনিটের খাওয়া ছিল না। অনেকটা সময় ধরে গল্প-গুজব চলত আর খাওয়া হত।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৫

প্রামানিক বলেছেন: তখন তো চেয়ার টেবিল দিয়ে এত ব্যাচ করে খাওয়াতো না। এক ব্যাচেই সবাইকে বসিয়ে দিত। যে কারণে বুড়োদের গল্পও চলতো আস্তে ধীরে খাওয়াও চলতো। পরিমাণে সবাই বেশিও খেত।

৯| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২২

মলাসইলমুইনা বলেছেন: প্রামানিক ভাই, ভালো লাগলো খুব আপনার বিয়ের খাবার দাবারের রাজসিক বর্ণনা | অনেক দিন আগে পড়া কবি জসীমউদ্দীনের "চলে মোসাফির" বইটাতে মনে হয় এরকম বাংলাদেশের গ্রামের বিয়ের একটা বর্ণনা পড়েছিলাম | বিদেশে বেড়াতে গিয়ে উনি বাংলাদেশের গ্রামের বিয়ের সেই বর্ণনা দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের বা আমেরিকার একদল মানুষের কাছে | ওরা মুগ্ধ হয়েছিল সেই বর্ণনা শুনে -সেই পিঠা থেকে শুরু করে পোলাউ খাবার বর্ণনা শুনে | আপনার লেখা পরে আমিও তেমন মুগ্ধ হলাম এই বিদেশে | ভালো থাকবেন |

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৯

প্রামানিক বলেছেন: সেই সব বিয়ের অনুষ্ঠানের কথা মনে হলে এখনও অতীতে হারিয়ে যাই। সাধারণ খরচের ভিতরও কত আনন্দ ছিল। এত এত খাবার খেলেও পেটে কোন সমস্যা হতো না। এখন পোলাও কোরমা যত মুখোরোচকই হোক না কেন একটু পরিমাণে বেশি খেলেই বারোটা বেজে যায়। আপনার স্মৃতিময় বর্ণনা পড়ে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

১০| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপ্নিওতো দেখি কম খাদক ছিলেন না প্রামানিক ভাই :P

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১২

প্রামানিক বলেছেন: ঐসব বুড়োদের কাছে আমি কিছু না। তবে ১৯৭৬সালে শুধু আলু ভর্তা দিয়ে এক সের দুই ছটাক চালের ভাত খেয়েছিলাম। এর পরে এত ভাত আর কখনও খাওয়া হয় নাই। এখন তো দুই ছটাক চালের ভাত খেতেই জান যায়।

১১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৭

সোহানী বলেছেন: খাবারের যা লিষ্ট দিলেন তাতে তো এখনি জিভে পানি আসছে....... :P ... আপনিও তো কম যান না এতো খাবার একটু করে খেলে ও তো বিশাল অবস্থা। এবং তা খেয়ে ও টিকে আছেন.......হাহাহাহাহা

গ্রামে কিছু লোক থাকে তারা প্রচুর খেতে পারে। কারন খুব ছোট বেলায় মনে পড়ে একবার দাদুর বাড়িতে খাবারের আয়োজন করে ছিল। সেখানে শুধুমাত্র কামলাদের জন্য আলাদা বসার ব্যবস্থা করেছিল কারন তাদের জন্য পরিবেশনা বা পরিমান ছিল ভিন্ন এবং তাদের অনেক সময় নিচ্ছিল খাবারের জন্য।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৩

প্রামানিক বলেছেন: সেই সময়ে কামলারা প্রচুর ভাত খেত। এখনকার কামলারা খেতেও পারে না সেই কামলাদের মত কাজও করতে পারে না। ধন্যবাদ আপনাকে স্মৃতিচারণ তুলে ধরার জন্য।

১২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৯

সুমন কর বলেছেন: আপনার পোস্ট পড়ে, পেট ভরে গেল...........

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৪

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সুমন কর, আপনার পেট ভরায় খুশি হলাম।

১৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৭

ঢাকার লোক বলেছেন: এই খাওয়াদাওয়ার পর আর কনে দেখা দরকার করে না, পছন্দ অবধারিত! এমনকি কনে না দিলেও সই !!

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৬

প্রামানিক বলেছেন: খাওয়া দাওয়ার বর্ণনা দিতে গিয়ে লেখাটা অনেক বড় হয়ে গেল যে কারণে কনে দেখার বর্ননা তুলে ধরতে পারলাম না। পরবর্তী পোষ্টে তুলে ধরার ইচ্ছা আছে।

১৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৩

শাহানাজ সুলতানা অধরা বলেছেন: আমাকে দাওয়াত করলে আয়োজন কারীর আয়োজন নষ্ট হবে কারণ আমি মোটেও খেতে পারিনা , বুড়ো খাদোকের কথা শুনে অবাকই হলাম ।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫২

প্রামানিক বলেছেন: আমিও সেদিন বুড়োর খাবার দেখে অবাক হয়েছিলাম। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

১৫| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৪

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: কনে দেখতে গিয়েই এতো খাওয়া ।
আমাদের গ্রামে কিছু চাচা তো মামা আছেন ওনারা নাকি একাই ২জন মিলে একটা খাসি খেতে পারতেন । কখনো চোখের সামনে দেখা হয়নি ।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৩

প্রামানিক বলেছেন: ৭১সালে যুদ্ধের সময় কাদেরিয়া বাহিনীতে সামাদ গামা নামের একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন তিনি একাই একটি খাসি খেয়ে ফেলতেন। কাদের সিদ্দিকীর যুদ্ধের বর্ননায় ঘটনাটি উল্যেখ আছে। ধন্যবাদ আপনার মামাদের কাহিনী উল্যেখ করার জন্য।

১৬| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৫

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ভাল লাগল গ্রামীণ অতীত ইতিহাস ব্লগে তুলে ধরেছেন।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৩

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

১৭| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৬

নতুন নকিব বলেছেন:



তবে ১৯৭৬ সালে শুধু আলু ভর্তা দিয়ে এক সের দুই ছটাক চালের ভাত খেয়েছিলাম।

-সনটা ঠিক আছে তো? আপনাকে দাওয়াত দেয়ার ইচ্ছে হচ্ছে।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১১

প্রামানিক বলেছেন: জী ভাই সনটা ঠিক আছে তবে আমার সেই পেট আর নাই। এখন দুই ছটাক চালের ভাত খেতেই জান থাকে না।

১৮| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৭

লেখা চোর বলেছেন: দাওয়াত থেকে একটা অতীত গল্প মনে পড়ে গেল। একবার কিছু কাজে একটা গ্রামে যেতে হয়েছিল। তো দুপুরে চেয়ারম্যান সাহেবের বাড়ী দাওয়াত। তো সবাই যখন খেতে বসলাম প্রথমে ভাতের সাথে দুইটা ভর্তা ও একটা সবজি দিল। তো আমরা যা আছে তা দিয়েই খাওয়া শুরু করলাম। আমরা ৫ জন ছিলাম এবং সবাই খুব দ্রুত খেয়ে অভ্যাস। তো আমরা ওই ভর্তা আর সবজি দিয়েই খাওয়া শেষ করে ফেললাম। এরপর চেয়ারম্যান সাহেব ভেতর থেকে নিয়ে আসলো মুরগি। আমরা একজন আরেকজনের দিকে তাকিয়ে হাসছিলাম। চেয়ারম্যানের পিড়াপিড়িতে মুরগি দিয়ে আরো অল্প একটু খেলাম। এরপর চেয়ারম্যান আবার ভেতর গেল নিয়ে আসলো খাসী। পুরা ব্যাপারটাই কেমন যেন লাগছিল। লজ্জায় পড়ে বলতেও পারছিনা আবার খেতেও পারছিনা। পরে এক জুনিয়র অফিসার সরাসরি জিজ্ঞেস করে ফেললো যে আর কিছু আছে কিনা। এটা ছিল এক মজার অভিজ্ঞতা।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১২

প্রামানিক বলেছেন: মজার অভিজ্ঞতা। আপনার কাহিনী পড়ে হাসিই পেল। রসালো মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

১৯| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এখনো অনেক গ্রামে পোলাও কোরমা শুধু বর পক্ষের জন্য X( । আবার অনেক গ্রামে পোলাও-ই থাকে না। সুগন্ধি চাল দিয়ে ভাত রান্না করা হয়। কারণ, সবাই পেট ভরে খেতে পারে না বলে!!! তবে বেশীরভাগ গ্রামেই এখন পোলাও মাস্ট...

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৫

প্রামানিক বলেছেন: ঠিক কথাই বলেছেন। বিয়ের খরচ কুলোতে না পেরে এখনও অনেক বিয়েতে পোলাও কোরমা সবার জন্য করে না, শুধু বর পক্ষকে খাওয়ানোর জন্য রান্না করে থাকে।

২০| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০১

আবু তালেব শেখ বলেছেন: ভাত দেওয়ার আগে যতগুলো আইটেম খেতে দিছে তাতে ভাত খাওয়ার তো বারোটা বেজে গেছে। কোন প্রকারের গোস্ত ছাড়া আপ্যায়ন বেশ ।
যে মুরব্বি পায়েস খেয়েছিল উনি কি পরে ভাত খেয়েছিল???

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৯

প্রামানিক বলেছেন: উনি খাদোক মানুষ, পায়েস যতই খায় না কেন ভাত খাওয়া বাদ দেয় নাই। ভাত খাওয়ার পরও ডাইল চুমুক দিয়ে খেয়েছে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যর জন্য।

২১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২১

কাতিআশা বলেছেন: খুব মজা লাগলো লেখাটা পড়ে..খিদে লেগে গেলো প্রামানিক ভাই!

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৩

প্রামানিক বলেছেন: চলে আসেন মতিঝিল, দেখা যাক আপনার খাওয়ার কোন ব্যাবস্থা করতে পারি কিনা।

২২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:



স্যরি, উপরে আমার মন্তব্যে, সাল হবে ১৯৬০ সাল।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৪

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই।

২৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:৫১

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: প্রামানিক ভাই আগের বিয়ে বাড়ির খাওয়ার যে বর্ণনা দিলেন আমার তো এখন ওসব খাবার খেতে ইচ্ছে করছে।

এখন মনে হচ্ছে এই যুগের খাওয়ার চেয়ে আগেরগুলিই ভালো ছিলো।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৭

প্রামানিক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন বোন, আগের ওসব ন্যাচারাল খাবার হলেও খেয়ে মজা পাওয়া যেত এবং একটু পরিমাণে বেশি খেলেও পেটের সমস্যা হতো না। এখনকার খাবার যত মুখোরোচকই হোক না কেন বেশি খেলেই খবর আছে।

২৪| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:৪৫

ওমেরা বলেছেন: ওমা গো —— খাবারের কথা শুনে আমার কেমন কেমন মানে অস্তির অস্তির লাগতেছে । মানুষ এত খাবার খেতে পারে !!!

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৮

প্রামানিক বলেছেন: এমনও শোনা যায় সেই কালে বিয়ে বাড়ির খাবারের প্রতিযোগীতা করার জন্য লোক ভাড়া করে নেয়া হতো। ধন্যবাদ বোন।

২৫| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৫৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এতো খাবরের কথা শুনে আমার কিন্তু মাথা ঘুরছে

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০০

প্রামানিক বলেছেন: মাথা ঘুরে কিল্লাই? আন্নের কি ঘুরানি ব্যারাম আছে নি?

২৬| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৫৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০১

প্রামানিক বলেছেন: এই তো একখান কামের কাম করছেন। এইয়া তো অনেক দিন হইল চোকখেই দেখি না। ধন্যবাদ

২৭| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: আগে কি সুন্দর কাটাইতাম।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০২

প্রামানিক বলেছেন: আসলেই আগে অভাবের মধ্যেও শান্তি ছিল। ধন্যবাদ

২৮| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০০

রানার ব্লগ বলেছেন: হুম আমাদের গ্রামেও এমন খাদক আছে। যাদের নিমন্ত্রন করে নেয়া হয় খাওয়ার জন্য যাতে কন্যা বা বর পক্ষ অপবাদ দিতে না পারে। তো এই সব খাদকরা যেত হেটে আসতো নদীতে ভেসে ভেসে।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৩

প্রামানিক বলেছেন: অনেক সময় তাই হতো, অতিরিক্ত খাওয়ার পরে হাঁটতে পারতো না তখন তাদেরকে নৌকায় তুলে ভাসিয়েই দেয়া হতো। ধন্যবাদ

২৯| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০২

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: এতো খাবার! এক চামচ এক চামচ খেয়ে স্বাদ টেস্ট করলে এখনকার মানুষের খাওয়া শেষ হয়ে যাবে।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৪

প্রামানিক বলেছেন: এখনকার মানুষের জন্য অনেক হলেও তখনকার খেটে খাওয়া মানুষের জন্য খুব বেশি ছিল না। ধন্যবাদ

৩০| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০৭

বেয়াদপ কাক বলেছেন: এত সুন্দর করে বর্ননা হয়েছে যে, পড়তে পড়তেই ক্ষুধা লেগে যাচ্চিল। দিনগুলি যদি আবার ফিরে পাওয়া যেত!

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৫

প্রামানিক বলেছেন: তখন মানুষ প্রচুর শারীরিক পরিশ্রম করতো ক্ষুধাও ছিল বেশি খেতও বেশি। ধন্যবাদ

৩১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:১৭

মোহাম্মদ মজিবর রহমান বলেছেন: ঐ সময়টায় কাসার বা সিলভারের থালা বাটি কলসি জগ এগুলো উপহার হিসাবে দিত।স্বাধিনতার পর ১৯৭৬ সাল থেকে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ স্বস্তিতে দাওয়াতের মাধ্যমে সামাজিক আচার-অনুষ্ঠান আয়োজন শুরু করে।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৬

প্রামানিক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, তখন বিয়ের দাওয়াত দিলে কাসার থালা বাটি কলস উপহার হিসাবে দিতে হতো।

৩২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০০

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: আমি এত খাইতে পারি না---! তাই একটু হাল্কার উপরে শুধু চেখে দেখলাম ভাই!

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৮

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ বোন ঈপ্সিতা চৌধুরী, শুধু দেখলেও অর্ধেক ভোজন হয়।

৩৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আগে সবছিল ফ্রেস তাই লোকজনও ভাল খেতে পারত। এখন সব ভেজাল মানুষ খায়ও কম।


সুন্দর ঘটনা/অভিজ্ঞতা শেয়ার।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৯

প্রামানিক বলেছেন: ঐ সময় তেল পানি কোন কিছুতেই ভেজাল ছিল না। যে কারণে মানুষ বেশি খেলেও পেটের অসুখ হতো না।

৩৪| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৬

কাছের-মানুষ বলেছেন: খাবারের আইটেমের নাম শুনেই আমার খেতে ইচ্ছে করছে । সময়ের সাথে দেখছি অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়েছে ।

লেখাটার কল্যাণে গ্রাম বাংলার অনেক কিছুই জানতে পারলাম।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫০

প্রামানিক বলেছেন: গ্রামের সাধারণ আইটেম হলেও খাবারগুলো মুখোরোচক ছিল। ধন্যবাদ

৩৫| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫০

আমিন রবিন বলেছেন: পুন্যনাপা, খুদিয়ামন .... এই শাকগুলো চিনলাম না

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৭

প্রামানিক বলেছেন: পুন্যনাপা শাকের কান্ড কিছুটা লালচে ধরনের পাতাগুলো লাল সবুজ মিশ্রণ, পাতাগুলো পালন শাকের মত পুরু তবে আকারে ছোট এবং কিছুটা গোল গোল, ডাল পালা মাটি বেয়ে গেলেও পাতাগুলো মাটি থেকে অনেকটা উঁচুতে থাকে। খেতে বেশ সুস্বাদু। খুদিয়ামনের পাতা খুবই ছোট ছোট এটাও খেতে মন্দ না। ধন্যবাদ

৩৬| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৯

আখেনাটেন বলেছেন: বুড়োগুলো এত খাওয়ার পরও দুধ ভাত খেতে কৃপণতা করলেন না। কম করে হলেও এক দেড় সের করে খেয়ে নিল। -- হা হা হা। এতো দেখছি মহাখাদক।

গ্রামের এই অাতিথীয়তা এখন শহুরে কালচারে নীলিন হয়ে গেছে।


ভালো লাগল চমৎকার লেখাটি।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৮

প্রামানিক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, গ্রামের এই কালচার আর দেখা যায় না, শহরের প্রভাবে বিলীন হয়েছে। ধন্যবাদ

৩৭| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৮

তারেক ফাহিম বলেছেন: প্রাথমিক খানা-পিনায় মোয়া খেয়েতো মুখের অব্স্থা খারাপ হয়ে যাওয়ার কথা।

মোয়া খেয়েইতো গালের অবস্থা খারাপ হয়ে যাওয়ার কথা। :-P

মুখের চাল তোলার জন্য আগে মোয়া খাওয়ানোর টেকনিক অবলম্বন করেও বুড়োরা খানা-পিনা কম খায়নি।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৮

প্রামানিক বলেছেন: মোয়া পিঠা সব ছিল টাটকা এবং হাতে বানানো, খেতে গালের কোন সমস্যাই হয় নাই। তাছাড়া ঐ বুড়োগুলো সব খেতে পারে তাতে তাদের খাওয়ার অসুবিধা হয় না। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

৩৮| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৫

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক মজাদার স্মৃতিকথা। সেই সাথে মনে করিয়ে দিলেন ছোট সময় গ্রামের দাওয়াত সবসময় আমাকে পাঠানো হতো কেবল বেশি খেতে পারতাম বলেই। যদিও আমার ইচ্ছেটাই বেশি ছিল গ্রাম্য মেজবানে।

সুন্দর পোষ্টে ভালো লাগা জানবেন শ্রদ্ধেয়।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৫

প্রামানিক বলেছেন: গ্রাম্য মেজবানী খেলে এমনিতেই পেট বেড়ে যায়। কেন যেন মেজবানীতে খাওয়ার রুচি বেড়ে যায়। ধন্যবাদ মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য।

৩৯| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রামানিক ,



ভেবেছিলুম আপনার এই গ্রাম্য বিয়ের খাওয়াতে "হোগলা পোলাও" এর দেখা পাবো । হতাশ হলুম ।
আমাদের গ্রা-গ্রামে এরকম বিয়ের মজলিশে সবাই হাজির হতো আর সেখানে "হোগলা পোলাও" খাওয়ানো হতো । "হোগলা পোলাও" চেনেন তো ?
ভাত রান্না হতো তারপরে তা ঢালা হতো হোগলার উপরে । হোগলা হলো হোগল পাতার তৈরী পাটি যেটা কোরবানীর সময় রাস্তার ধারে ধারে বিক্রি হয় গরু ছাগল কেটে তার উপর রাখার জন্যে । তো এরপরে চারজন লোক ঐ হোগলার চারকোনা তুলে ধরত । একজন ঐ গরম গরম ভাতে কিছুটা ঘি ঢেলে যেতো । তখন ঐ চারজনে হোগলা নেড়েচেড়ে ভাতের সাথে ঘি মিশিয়ে দিতে । হয়ে গেলো পোলাও - আমরা বলতুম হোগলা পোলও । :|| :D

আপনার লেখায় আবার সেই "হোগলা পোলাও" এর কথা মনে পড়ে গেলো । আহা.... কি ছিলো সে সব দিন !!!!!!!

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৭

প্রামানিক বলেছেন: আহমেদ জী এস ভাই, এইটা কিন্তু বিয়ের খাওয়ার কথা বলি নাই পাত্রী দেখার খাওয়া, এর পরে আসবে বিয়ের খাওয়া। বিয়ের খাওয়ায় হোগলা ভরা পোলাও আর নৌকা ভরা ডাইল-এর বর্ণনা থাকবে। ধন্যবাদ

৪০| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৫

সনেট কবি বলেছেন: এক নং মন্তব্যের সাথে একমত।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৭

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, অনেক অনেক শুভ্চেছা রইল।

৪১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রামানিক ,




হা...........হা..............হা............ছালা ভরা রসে গড়িয়ে যাওয়া প্রতিমন্তব্য । B-)

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৯

প্রামানিক বলেছেন: এই তো বুঝতে পারছেন। বর দেখা এবং বিয়ে পরানোর গল্প তো এখনো বলিই নাই -- - -

৪২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:২৬

জাহিদ অনিক বলেছেন:


এই শীতের রাতে এমন কব্জি ডুবিয়ে খাওয়ার পোষ্ট পড়ে আমার আবার এখন ভরা পেটেও ঢেঁকুর তুলতে ইচ্ছে করেছে !

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৭

প্রামানিক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, খাওয়ার কথা শুনেও অনেক সময় ঢেঁকুর উঠে। ধন্যবাদ

৪৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২৭

কালীদাস বলেছেন: আল্লাহু আকবার।
কতদিন বিয়ার দাওয়াত খাই না :-0

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫২

প্রামানিক বলেছেন: হয়তো আপনি বিদেশে আছেন যে কারনে বিয়ের দাওয়াত থেকে বঞ্চিত।

৪৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৮

মুহাম্মদ তারেক্ব আব্দুল্লাহ বলেছেন: আহ কি খাবাররে বাবা, পেট ভরে বমির অবস্থা হয়েগেছে। আমি চিন্তা করছি আপনি ছোট হওয়া সত্যেও ভোজের শেষ খাবার দুধভাত পর্যন্ত লাস্টিং করলেন কিভাবে?

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৪

প্রামানিক বলেছেন: আমি ভাই অল্প অল্পই খেয়েছি, ওই বুড়োদের তুলনায় আমি কিছুই খায়নি এবং আমার পক্ষে খাওয়া সম্ভাবও ছিল না, যে কারণে শেষ পর্যন্ত বসে থাকতে পেরেছি। তারপরেও মনে হয় যতটুকু খেয়েছিলাম এখনকার তুলনায় অনেক বেশি।
তবে একটা কথা আপনাকে না বললেই নয়, এখনকার তুলনায় তখনকার লোকজন ভাত একটু বেশিই খেত, কারণ তারা ক্ষেতে খামারে প্রচুর শারীরিক পরিশ্রম করতো এবং ছোট ছোট বাচ্চারাও সারাদিন খেলাধুলা দৌড়াদৌড়ি করতো যে কারণে এখনকার বাচ্চাদের তুলনায় তখনকার বাচ্চাদের ভাতের চাহিদা বেশি ছিল। ধন্যবাদ

৪৫| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৩০

আটলান্টিক বলেছেন: কালীদাস বলেছেন: আল্লাহু আকবার।
কতদিন বিয়ার দাওয়াত খাই না

আমিও তো প্রতি সপ্তাহে সপ্তাহে বিয়া খাচ্ছি কই আমি তো আর এমন ভয়ানক ভাবে খেতে পারিনা?আর আপনিইবা এতো খেলেন কিভাবে?

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৩৭

প্রামানিক বলেছেন: আমি যা খেয়েছি তাদের তুলনায় কিছু না। ধন্যবাদ ভাই।

৪৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: আগে গ্রামে গঞ্জে অতিথি আপ্যায়নে খাবার দাবার এ রকমেরই হতো। ধন্যবাদ, সেসব পুরনো দিনের কথা মনে করিয়ে দেবার জন্য।
একবার আমি আর আমার এক কাজিন ভাই মিলে বাসার সবার ভাত (প্রায় ৭/৮ জন) আমরা দু'জনাই সাবার করে দিয়েছিলাম, তেমন কিছু নয়- শুধু ডাল, আলু ভর্তা, পাটশাক ভাজি, আর একটা ছোট মাছের তরকারি দিয়ে। বাকীদের জন্য আবার ভাত বসাতে হয়েছিল বোন ও বুয়াদের বকা খেয়েছিলেম।
নাপাশাক রংপুর এলাকায় প্রসিদ্ধ। শোলকা, প্যালকা, সিঁদোল ইত্যাদিও।
পোস্টে ভাল লাগা + +

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:২৬

প্রামানিক বলেছেন: নাপাশাক, শোলকা, প্যালকা, সিঁদোল সবই একসময় প্রচুর খেতাম এখন ঢাকা থাকার কারনে এসব আর খাওয়া হয় না। ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই।

৪৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:০২

টারজান০০০০৭ বলেছেন: দারুন পোস্ট ! বুইড়া গুলোর খাওয়ার বহর দেইখা মনে হইল সবগুলার ডায়াবেটিস ছিল। হাইপো হওয়ায় কোপাইয়া খাইয়া শেষ করছে ! কলা পাতায় দাওয়াত খাওয়ার স্মৃতি মনে করাইয়া দিলেন !

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:২৮

প্রামানিক বলেছেন: না ভাই তারা কেউ ডায়াবেটিসের রুগী ছিল না, সবাই সুস্থ্য সবল খাদোক ছিল। তারা যেমন খেতে পারে তেমনি শক্তি দিয়ে কাজও করতে পারে। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

৪৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: "বাকীদের জন্য আবার ভাত বসাতে হয়েছিল বোন ও বুয়াদের বকা খেয়েছিলেম।" - কথাটা হবেঃ "বাকীদের জন্য আবার ভাত বসাতে হয়েছিল বলে বোন ও বুয়াদের বকা খেয়েছিলাম"।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:২৯

প্রামানিক বলেছেন: পুনরায় মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.