নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
আগের দিনে জামাইগুলো
শ্বশুর বাড়ী যেত
শীতের দিনে পিঠা খেয়ে
কি যে মজা পেত!
সকাল বিকাল গুড়ি কুটতে
ঢেঁকিত পড়তো পাড়
বউঝিগুলো খাটনি খাট্ত
ফুরসত নাইকো তার।
হরেক রকম পিঠা বানাতো
সারা রাত্রি ধরে
কাসার থালা সাজিয়ে দিত
কাক ডাকা সেই ভোরে।
তেল ডুবাডুব মালপোয়া আর
সাথে ভাপা পুলি
রসে ডুবানো চিতই পিঠা
নারকেল নাড়ুর কুলি।
পাটিসাপটাও থাকতো সাথে
থাকতো নকসী পিঠা
খেজুর গুড়ের পায়েস থাকতো
আহা কি যে মিঠা!
হাতে বানানো সেমাই থাকতো
হায়রে মজার স্বাদ
নলেন গুড়ের পিঠা ছাড়া
জীবনটাই বরবাদ।
ফুলঝুরি আর শামুক পিঠা
নারকেল নাড়ুর সাথে
চিড়া, মুড়ির খইয়ের মোয়া
দিত জামাইয়ের পাতে।
পাতা পিঠা জালি পিঠা
মেরা পিঠা আর
পিঠা খেয়েই দিনটা কাটতো
খাওয়া থাকতো না আর।
এখনো তো অনেকে ভাই
শ্বশুর বাড়ী যান
আগের দিনের সেইসব খাওয়া
এখন কি আর পান?
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৫৫
প্রামানিক বলেছেন: সে সব পিঠা তৈরী করার
শ্বাশুরীগুলো নাই
মডার্ন মাইন্ডের শ্বাশুরী হওয়ায়
পিঠা ভাজে না তাই।
২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৫৪
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: সুন্দর প্রামানিরক দা
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৫৫
প্রামানিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ
৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
কেবল কি জামাইদেরকেই পিঠা খাওয়ানো হতো?
বউরা কি দোষ করলো?
নাকি পুরুষ হওয়ার মজাই আলাদা!
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:০৭
প্রামানিক বলেছেন: সারা জীবন জামাই খাওয়ানোর কথাই শুনেছি বউ খাওয়ানোর কথা শুনি নাই। এখনো জামাইদের যেভাবে দাওয়াত দেয়া হয় বউদের সেইভাবে দাওয়াত দেয়া হয় না। তবে শীতকালে বউরা বাপের বাড়ির দিকে তাকিয়ে থাকতো বাপেরাও মেয়েদেরকে এই উছিলায় নাইওর নিয়ে পিঠা খাওয়া থেকে বঞ্চিত করতো না।
৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: বেশ সুন্দর।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৯
প্রামানিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ
৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৬
বিজন রয় বলেছেন: অসাম! অসাম!!
ছাড়ার তালে একবারে নেচে উঠলাম!!
আপনি পারে বটে!!
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩১
প্রামানিক বলেছেন: আপনারা যা পারেন সেটা তো আমি পারি না কাজেই আমাকে ছন্দ নিয়ে খুশি থাকতে হয়। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য
৬| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আমার পিঠা খাওয়ার ভাগ্য অতিমন্দ।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩২
প্রামানিক বলেছেন: কেন ভাই শ্বাশুরী কি বেঁচে নাই?
৭| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩
শেরজা তপন বলেছেন: আহা কি জামাই আদর পাইছেন এককালে ভাই। কই সেই দিন গেল!!!
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩
প্রামানিক বলেছেন: ভাই আগের দিনে গ্রামে কারো বাড়িতে জামাই আসলে ঢেঁকির ঢুক্কুর ঢুক্কুর শব্দ শুনলেই বোঝা যায়।
৮| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৬
রানার ব্লগ বলেছেন: এখনকার জামাইরাও যায় শশুরবাড়ি
পিঠাপুলি খায় কি না?
তবে খায় ঠিকি ঝাড়ি।
আজকালকার জামাই গুলা বড্ড অসহায়
পাটি সাপ্টা খাবার বদলে
মুখ ঝামটা খায়।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫
প্রামানিক বলেছেন: আধুনিক শ্বাশুড়িদের কাছে পিঠার বদলে ঝারি খাওয়াও আনন্দের।
৯| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২৮
করুণাধারা বলেছেন: আগের জামাইরা ছিল ভাগ্যবান। আপনি দেখি অনেক পিঠার নাম জানেন!
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:০২
প্রামানিক বলেছেন: এগুলোর বাইরেও একশত রকমের পিঠা আছে যা আমি খাওয়া তো দূরের কথা চোখেও দেখি নাই।
১০| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ ভোর ৪:৩৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
সুন্দর হয়েছে শীতে জামাই পিঠা ।
আহা শীতের দিনে জামাই পিঠার সে যে কি সুখ
যারা পাইনি তা তাদের মনে জানি কত দুখ ।
শুধু শ্বশুর বাড়িতে গেলেই যে জামাই পেতো পিঠা খাওয়ার সুখ, তাতো নয় । যে সব মেয়েরা বাবা বাড়ি
আসতে পারেনা তাদের শ্বশুর বাড়ীতে শীত মৌসুমী পিঠা পাঠাতেও ভুল করতনা জামাই এর শ্বাশুরিরা ।
এই নগর কেন্দ্রিক আধুনিকতার যুগে এর প্রচলন অনেকটা কমে গেলেও এখনো এর ধারা অনেকটাই
রয়ে গেছে গ্রাম গঞ্জ ও শহরে । শুধু কি দেশেই, বিদেশে বসবাসকারী বাংগালী পরিবারে এখনো বয়ে
চলেছে এর ক্ষীন ধারা।বিদেশে ভিন্ন শহরে বসবাসকারি আমার মেয়ের জামাইকে তার শ্বাশুরী শীতের
দিনে দাওয়াত দিয়ে এই ছড়াটির মতই হরেক পদের পিঠা দিয়ে করে আপ্যায়ন । আমার জানা শুনা
প্রতিবেশি বিদেশী বাংগালী পরিবারেই জামাই এর জন্য ঘটে এমনতর শীতের পিঠা পরিবেশনা ।
তবে গ্রাম বাংরার মত ঢেঁকিতে গীত গাইতে গাইতে চাল থেকে আটা তৈরী করে তা দিয়ে যে পিঠা বানাত
তেমনটি হয়না ।যাহোক ঢেঁকির শব্দ এখন কানে না বাজলেও পিঠা খাওয়ার আনন্দ কমে যায়নি বলা চলে।
যাহোক, ছড়াটিতে বাংলার মানুষের শীতে পিঠা বানানোও পরিবেশনার নান্দনিকতার বহিঃ প্রকাশ ও আনন্দ
বিনোদনের যে জীবন গাথার বর্ণনা দেয়া হয়েছে তা আসলেই ইতিহাসের কালজয়ী সাক্ষী।
উল্লেখ্য এদেশে ১৫০ বা তারও বেশী রকমের পিঠার মধ্যে অপনার ছড়াটিতে এসেছে প্রায় ১৫ প্রকারের পিঠা,
যার প্রচলন খুবই বেশি লক্ষ্যনীয়। মুলত এই পিঠাগুলিকেই আরো একটু প্রকার ভেদ করে পিঠার বৈচিত্রতা
আনা হয়েছে গ্রাম বাংলা পিঠাতে । যেমনটি দেখা যাবে নীচে দেয়া পিঠার নামগুলির ধরণ হতে -
নকশি পিঠা, ভাঁপা পিঠা, ছাঁচ পিঠা, রস পিঠা, দোল পিঠা, পাকান পিঠা, চাপড়ি পিঠা, চিতই পিঠা, মুঠি পিঠা,
চিতই পিঠা, ছিট পিঠা, পাতা পিঠা, খেজুরের পিঠা, পুলি পিঠা, পাটিসাপটা পিঠা,পানতোয়া পিঠা, ডিম চিতই
পিঠা, জামদানি পিঠা, ভেজিটেবল ঝাল পিঠা, সরভাজা পিঠা, ছিটকা পিঠা, গোলাপ ফুল পিঠা, চাঁদ পাকন পিঠা,
মালপোয়া পিঠা, ঝালপোয়া পিঠা, কাটা পিঠা, তেজপাতা পিঠা, তেলপোয়া পিঠা লবঙ্গ লতিকা পিঠা, হাঁড়ি পিঠা,
মালাই পিঠা, চুটকি পিঠা, গোকুল পিঠা, নারকেল পিঠা, আন্দশা পিঠা, পুডিং পিঠা, মুঠি পিঠা, সুন্দরী পাকন পিঠা,
রসফুল পিঠা, মেরা পিঠা, তেলের পিঠা চাপড়ি পিঠা, সেমাই পিঠা, দুধরাজ পিঠা, গোকুল পিঠা, বিবিয়ানা পিঠা,
ঝিনুক পিঠা, ঝুড়ি পিঠা, ফুল পিঠা, ফুল ঝুরি পিঠা, কলা পিঠা, ক্ষীর কুলি, কুশলি পিঠা, ফিরনি পিঠা, সূর্যমুখী
পিঠা, নারকেলের ভাজা পুলি পিঠা, ঝাল মোয়া পিঠা, নারকেলের সেদ্ধ পুলি পিঠা, নারকেল জেলাফি পিঠা,
চিড়ার মোয়া পিঠা, নারকেল নাড়ু পিঠা এবং কাউনের মোয়া পিঠা ইত্যাদি।
সুন্দর এই ছড়াটির জন্য ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা রইল
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:০৯
প্রামানিক বলেছেন: ভাই আপনি পিঠার বাহারী নাম বলে আমার মাথাটা ঘুলিয়ে দিলেন। ১৯৮৩ সালে গিয়ে মামীর মায়ের হাতের কিছু আনকমন পিঠা খেয়েছিলাম কিন্তু নামগুলি মনে নাই। ধন্যবাদ আপনাকে এতসুন্দর করে মন্তব্যে বাহারী পিঠার নাম উল্ল্যেখ করায়।
১১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:০৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পিঠা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ভুলেই গিয়েছিলাম
এ পোষ্টের তরে গ্রাম বাংলার কিছু পিঠা পরিবেশন
করতে , যাহোক এখন তা পরিবেশন করে গেলাম ।
নীজে বানাতে পারিনা বলে
কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে
উইকিপিডিয়া হতে
এনে দিলাম ,পিঠার
ছড়াটি যেন আরো
পিঠার রূপ ধরে
ফুটে উঠে ।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:১০
প্রামানিক বলেছেন: পুনরায় মন্তব্যে পিঠার ছবি দেয়ার জন্য আবারো অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
১২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:২৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
তার মানে মেয়েদের কোন সাধ আহ্লাদ থাকতে নেই।
কেবল বাপের বাড়িতেই তাদের আদর।
শ্বশুর বাড়ীতে তাদের কোন আদর নেই।
এই ভাবেই আমাদের মেয়েরা অনাদৃত হয়ে আসছে যুগের পর যুগ।
কেউ এটা বদলানোর কথা বলেও না।
আফসোস।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:১৪
প্রামানিক বলেছেন: যুগ যুগ ধরে শ্বাশুড়িদের শুধু জামাই আদরের কথাই শুনে আসছি কিন্তু কোন শ্বাশুড়ির কাছে বউ আদরের কথা শুনি নাই। তবে শ্বাশুড়িরা ছেলের হোক আর মেয়ের হোক নাতিদের কিন্তু প্রাণ খুলে খাওয়ায়। এইখানে মনে হয় নাতিরা জামাইয়ের চেয়েও বেশি আদর পায়।
১৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৩
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: পিঠেপুলি খাওয়া হলো না এবার।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:১৬
প্রামানিক বলেছেন: এখন তো অনেকে আগের মতো উৎসব করে পিঠা বানায় না বাজার থেকে কিনে এনে খায়।
১৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০১
রাজীব নুর বলেছেন: কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা দেখতে আবার এলাম।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:১৬
প্রামানিক বলেছেন: পুনরায় আসার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৪৫
বাকপ্রবাস বলেছেন: এখন সময় বদলে গেছে
উল্টো রথে চলে
শ্বাশুড়ি বলে জামাই বাবা
এই নাও থলে
বাজার করে আসলে তবে
খেতে পাবে হুমম
নইলে কিন্তু উপোষ থেকে
দিতে হবে ঘুমম