![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
-ভাইয়া ভালো আছেন!!!?
-তোমাকে না কতোবার বলেছি আমাকে ভাইয়া বলবা না!!!?সার বলবা...?
-ভাইয়া....সার বল্লে কেমন জেনো বুড়ো বুড়ো লাগে।!!!!
-মানলাম বুড়ো লাগে বাট তারপরো সার বলবা।
-ভাইয়া বল্লে সমস্যা কি!!!
-লামিয়া!!!!!!বেশি কথা বলবা না
আমার ধমক খেয়ে চুপ হয়ে গেল।
লামিয়া আমার স্টুডেন্ট।ওকে সেই ক্লাস ৯ থেকে পড়াচ্ছি।এখন ইন্টার ২য় বষে পরে।দেখতে খুব সুন্দর।টানা টানা চোখ,মায়াবি চেহারা,ঘন কালো চুল আর মোস্টলি ভুবন ভুলানো হাসি।কিন্তু আমার এইসব দেখলে চলবে না।
আমি অনাস ফাইনাল ইয়ারের স্টুডেন্ট।টিউশনি অনেক আগে থেকেই করতাম।লামিয়ার সাথে পরিচয় হইছে আমার আগের স্টুডেন্ট এর বাসায়।আমার আগের স্টুডেন্ট ৯ এ পরত।ওর নাম ছিল নিলা।
তো একদিন নিলাদের বাসায় মেহমান আসে।তাদের সাথে লামিয়াও আসে।আমি পরাচ্ছিলাম তখন হঠাত লামিয়ার আগমন
-কিরে এইটা তোর সার(নিলাকে উদ্দেশ্য করে)
-হুম।
-হাই সার(আমার দিকে তাকিয়ে)!!!
-কিছু বলবা!!!!(বিরক্তি নিয়ে)
-ভাল আছেন!!?
-হুম(এই আজাইরা পেচালের কোনো মানে হয়)
-ভাইয়া কোথায় থাকেন!!!
-পাবনায়!!!(রাগ নিয়ে)
-তাই!!!!
বলেই হেসে দিল।আমি এতক্ষন বিরক্ত হলেও ওর হাসি দেখে কাইত হয়ে গেলাম।মেয়েটাকে হাসিতে খুব মানায়।তো অইদিন চলে গেল।তারপর নিয়মিত নিলাদের বাসায় আসা শুরু করলো।লামিয়া নাকি নিলার কাজিন!!!!এই সুবাদেই আসে।
তো একদিন পড়াচ্ছি এমন সময় লামিয়ার আগমন
-ভাইয়া ভাল আছেন!!?
-হুম
-একটা কথা বলব!!!?
-বলো?
-আমাকে পড়াবেন!!?
এবার রিতিমত টাস্কি খাইলাম।বলে কি এই মেয়ে!!!
-মানে!!!
-মানে আমাকে পড়াবেন!!?
-কেনো তোমার বর্তমান টিচার!!!?
-পড়া বুঝি না।তাই আপনাকে বলতেছি।
-ঠিক আছে।তোমার বাবা মা কে নিয়ে আস।কথা বলে দেখি।
পরদিন লামিয়া তার বাবা মাকে নিয়ে নিলাদের বাসায় হাজির।কথাবার্তা বলে সব ফাইনাল করলাম।বেতন ৪০০০.আমি তো পুরাই খুশি।একটা ভালো টিউশনি পেলাম তাহলে।
প্রথম দিন কথা বাদে লামিয়া অন্ন কিছু পড়ে নাই।যেন ওর সাথে কথা বলার জন্ন আমাকে রাখা হয়েছে।লামিয়া তখন ৯ এর শেষ দিকে।ওকে ভয় দেখানোর জন্ন বল্লাম ফাইনালে যদি রেজাল্ট খারাপ হয় তাহলে পড়াবো না।তখন ওর করুন মুখ দেখে আমার অনেক খারাপ লেগেছিল।কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে ফাইনালে ও ২য় হয়।
এভাবে দিন যেতে থাকে।লামিয়া এস.এস.সি তে জিপিএ ৫ পায়।কলেজে উঠে লামিয়া অনেক টা চেঞ্জ হয়ে জায়।এখন সার এর বদলে ভাইয়া ডাকা শুরু করে।বয়সের এই এক টা দোষ।বিভিন্ন ভাবে আমাকে বুঝাতে থাকে যে ও আমাকে ভালোবাসে।কিন্তু আমি ইগনোর করি।এইগুলা আবেগ।আবেগ প্রশয় দিতে নাই।
তো একদিনের কথা।চাকরির ইন্টার্ভিউ ছিল কিন্তু মোটা অংকের টাকা ঘুস চাওয়ায় চাকরি টা হলো না।তাই মেজাজ টা অনেক গরম।বাসা থেকেও প্রচন্ড চাপ দেওয়া শুরু করে।সারাদিন খোটার উপরে থাকি।এখন সম্বল বলতে শুধু এই টিউশনিটা।
বিকেলে পড়াতে গেলাম।আজকে লামিয়া সেই রকম ভাবে সেজেছে।মাথা এমনেই গরম ছিল তার উপর লামিয়ার এই কাহিনি দেখে মেজাজ আর গরম হয়ে গেল।
-কি বেপার লামিয়া!!!পড়তে আসছো নাকি বেড়াতে!!?
-কেনো ভাইয়া!!!আমাকে দেখতে কি পচা লাগছে!!!
-চুপ(কঠিন ভাবে ধমক দিলাম)।পেয়েছো টা কি!!!ভাইয়া বলতে না নিষেধ করেছি।
-সরি সার(চোখের কোনায় পানি)!!
-পড়া বের কর(ধমক দিয়েই)!!!পড়ার নাম নাই খালি আজাইরা পেচাল!!!
-জি সার।
সেই দিন আর কোনো কথা বলে নাই।ওকে এত গুলো কথা বলে নিজেরি অনেক খারাপ লাগছে।রাতে শুধু আফসোস হতেই লাগল।
পরদিন পড়াতে গেলাম।লামিয়ার মুখে কোনো কথা নাই।আর চোখ গুলা অনেক ফোলা ফোলা।
-লামিয়া...(অনেক নরম ভাবে)
-জি সার!!?
-পড়া পড়েছো?!!
-জি সার।
দেখলাম আজকে পড়ায় খুব মনোযোগী।
-লামিয়া...
-জি সার।।
-মন কি খারাপ!!?
-না সার।
-আসলে কালকে মাথা টা অনেক গরম ছিল।তাই তোমার সাথে খারাপ আচরন করেছি।I am sry for that...
-it's ok,sir....
-অকে।আমাকে সার বলার দরকার নাই।ভাইয়া বলেই ডেকো ওকে??
-রিয়েলি সার(খুশি ভাব টা ফিরে এসেছে)
-হুম।খুশি তো এইবার!!!?
-জি ভাইয়া...
লামিয়ার মুখে আবার সেই ভুবন ভুলানো হাসি দেখলাম।ওর এই হাসি টা আমার কাছে খুব ভালো লাগে।
এইভাবেই দিন যেতে থাকলো।লামিয়া h.s.c তেও জিপিএ ৫ পেল।আমারো অনাস শেষ।চাকরির খুব চেষ্টা করতেছি।লামিয়া ঢাকাতে চান্স পেল।এখন আর ওকে পড়ানোর দরকার নাই।এই বিষয় টা যখন ওকে বলি ওর সেই কি যুক্তি!!!
ওকে পড়াতেই হবে,অন্ন টিচার খারাপ হয়,এই সেই আরো কত কি!!!!শেষ পযন্ত রাজি হলাম।তো একদিন পড়াচ্ছি..
-ভাইয়া..?
-বলো?
-আপনার জিএফ আছে!!?
-মানে কি!!!ফালটু পেচাল বাদ দাও।
-ভাইয়া বলেন না প্লিজ...!?
-না নাই
-তাই!!"(অনেক খুশি)
-এত খুশি কেন!!!?
-না এমনেই।
ওর কথা তো আমি বুজতে পারছি কি বলতে চায়।কিন্তু তারপর না বুঝার ভান করে থাকি।দরকার কি আজাইরা।।
শরির টা কয়দিন ধরে খারাপ। তাই লামিয়াকে পড়াইতে জাইতে পারি নাই।তিন দিনের দিন আমাদের বাসায় এসে হাজির।
-ভাইয়া কেমন আছেন!!?
-যেমন দেখতেছো।
-কেরে!!(মা বলল)
-মা, আমার স্টুডেন্ট লামিয়া।
-আন্টি,আসসালামু আলাইকুম।
-ওয়ালাইকুম সালাম।বসো।
-ভাইয়ার শরির খারাপ তো,তাই দেখতে আসলাম।ভাইয়া আসি
-কিছু খেয়ে যাও!!!
-না আরেকদিন।
তারপর থেকে প্রায় সময় লামিয়া আমাদের বাসায় আসত।আমার মাকে পুরোপুরি পটিয়ে ফেলসে।মা দেখি আমার থেকে ওকে গুরুত্ব দেয় বেশি।
-ভাইয়া চলেন!!..
-কোথায়!!?
-কিছু কেনাকাটা করতে।আমি একা যাব এর জন্ন আমার সাথে আপনাকে যেতে বলেছে।
-কে!!?
-বাবা।
-অকে চলো।
সারাদিন ওর সাথে বিভিন্ন কেনাকাটা করার পর বাসায় আসলাম।অনেক ক্লান্ত থাকার কারনে এসেই ঘুমিয়ে পরলাম। পরদিন চাকরির ইন্টার্ভিউ ছিল।তাই লামিয়াকে পড়াতে যেতে পারি নাই।
কপাল খারাপ যাকে বলে।২ টায় শুরু হবার কথা থাকলেও কোনো এক কারনে হয় নাই।তাই আমার এক ফ্রেন্ড ফারিয়া জোর করে ওদের ভার্সিটি তে নিয়ে আসে।তাই আর লামিয়াকে পড়াতে যাই নাই।গল্প করার মাঝখানে হঠাত লামিয়া হাজির
-এই তোমার কাজ তাই না (চরম উত্তেজিতভাবে)
আমি ভীষন রকমের অবাক হই।এই ফার্স্ট আমাকে তুমি করে বলছে।আর ভাবখানা এমন ও আমার বিয়ে করা বউ
-কি!!!!এখন কথা বের হয় না মুখে!!!!
-লামিয়া,Behave urself..কি বলছো তুমি বুঝতে পারতেছো!!?
-Yes..I am very much clear what i am saying...
রাগে লামিয়ার ফর্সা মুখ লাল হয়ে গেছে।লামিয়ার এমন react কিছুই বুজলাম না।
-থাকো তোমার কাজ নিয়ে
কাদতে কাদতে চলে গেল।আমি অবাক হয়ে ওর যাওয়ার পথের দিকে তাকিয়ে থাকলাম।এরপর ২-৩ দিন আর পড়াতে যাই নি।৪ দিনের দিন ও আমার বাসায় এসে হাজির।
-সমস্যা কি আপনার!!!?
-মানে!!!(কিছুটা বিরক্তি নিয়ে)
-আপনার কি অনেক ভাব বেরে গেছে!!!?
-লামিয়া তুমি কিন্তু বেশি বলে ফেলছো!!?
-আপনি আমার টিচার বলে কি বেশি ভাব দেখান!!!জানেন ভার্সিটির কত ছেলে আমার পিছে ঘুরে!!!!আপনি জানেন আপনার জন্ন আমার কোনো ছেলে ফ্রেন্ড নাই (অভিমানের সুরে)
-মানে কি!!!!!আমি কি না করেছি কখনো!!!
-কিরে এত চিল্লাচিল্লি কেন!!!?(মা বললো)
-আন্টি,আমি ভাইয়া কে নিয়ে একটু বাইরে জাবো।একা যাব তো তাই ভাইয়া কে বল্লাম আমার সাথে আস্তে।কিন্তু রাজি হচ্ছে না।
-যা তাহলে!!!! এত করে যখন বলতেছে।
-থেংকু আন্টি।চলেন!!!!....
রাস্তায় এসে লামিয়া রিক্সা ঠিক করল।রমনা...
-অই খানে কি কাজ!!!?
-এত কথা বলেন কেন!!!উঠেন
রমনায় এসে একটা বেঞ্চে বসলাম।লামিয়া চুপচাপ বসে পড়লো।আমিও ওর পাশে বসলাম।
-আচ্ছা লামিয়া,এই পাগলামির মানে কি!!!!
-কেনো আপনি বুঝেন না!!!
-দেখো লামিয়া,তোমার বাবা আমাকে বিশ্বাস করে।আমি এই বিশ্বাস ভংগ করতে পারব না...আর সামনের সপ্তাহে আমি বিদেশ যাচ্ছি।
-মানে কি!!!!!
-মানে কিছু না!!!!আমার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করো না।বাবার পছন্দ মত ছেলেকে বিয়ে করে ফেল।
-এটাই তোমার শেষ কথা!??
-হুম।
লামিয়াকে কাদানোর কোনো ইচ্ছেই ছিল না।কিন্তু অভাব আর প্রাচুর্য এর মাঝে চিরদিনি দন্দ।নিজে আগে প্রতিষ্ঠিত হই,তারপর দেখা যাবে।এতদিন যদি লামিয়া অপেক্ষা করতে পারে,তাহলে কিছু করা যেত।কিন্তু তা পসিবল না!!!
আগামীকাল আমার ফ্লাইট।এই ৬ দিন লামিয়া আমার সাথে দেখা করে নাই।ইচ্ছা ছিল একটি বার দেখা করা।এয়ারপোর্ট এ এসে এদিক ওদিক তাকাতে থাকলাম।মা হয়ত বুজতে পেরেছে।
-ও আসে নাই।
-কে মা!!??
-তুই যাকে খুজছিস...
-না।।আমি কাউকে খুজছি না।
মন খারাপ করে যেতে থাকলাম।হঠাৎ কি মনে করে পিছনে তাকালাম।অনেক দুরে লামিয়ার মত কেউ একজন আমার সামনে আসতেছে।আস্তে আস্তে আমার সামনে এসে দাড়ালো।আমি এক পলক ওর দিকে তাকালাম।
এই কয়দিনে চোখের নিচে কালি পরে গেসে।তবুও মুখের মায়াবী ভাব টা এতটুকু মলিন হয়নি।
-কেমন আছো?
-ভাল
-ভাল!!তোমার চোখের নিচে এত কালি পড়েছে কেন!!?
-কাজল দেই,তাই হয়তো এরকম।
আমি হাত দিয়ে ওর চোখে কাজল আছে কিনা দেখলাম।
-ভাল করে পড়াশোনা করবে।নিজের খেয়াল রাখবে।বাবার কথা মেনে চলবে।ভাল ছেলে দেখে বিয়ে করে ফেলবে।আমার জন্ন ওয়েট করবে না!!!!
-আর তুমি!!(কিছুটা কেদে)
-হাহ!!!আমি!!!আমি আমার জিবন সংগ্রামে নামব।মা বাবার মুখে হাসি ফোটাবো।তারা যেন বাকি জিবন শান্তি তে কাটাতে পারে সেই বেবস্থা করব।আর...
-আর.....
-থাকনা কিছু কথা অজানা।।সব কথা জানতে হয় না।আসি।ভাল থেকো।
আমি পা বাড়ালাম।
-শুনো।
-হুম।বলো।
-আমি আজ পযন্ত তোমার নাম টাই জানলাম না!!!!
-আমার নাম ঈ জান না!!!(কিছুটা হেসে)
-তুমি না বল্লে কিভাবে জানব!!?
-Bstr..
-মানে!!!!
-নাম বল্লাম।
-এইটা কেমন নাম!!!
-It's my modified name....4 names shortcut...
-সেই গুলো কি শুনি।
-নাহ!!!!এইটা শোনার দরকার নেই।
সামনে গিয়ে ওর মাথায় হাত রাখলাম।
-লামিয়া,আমিও তোমাকে ভালবাসি।বাট সব ভালবাসা সফল হয় না।এটাই নিয়ম।ভাল থেকো।।।আসি।।
ওকে ছেড়ে আস্তে অনেক কস্ট হয়েছে কিন্তু তারপর আমাকে আস্তে হবে।আমাকে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে।সফল হতে হবে।।।।।
10 Years Later.........
প্রায় ১০ বছর পর আমার নিজের দেশে ফিরে আসলাম।লামিয়ার সাথে প্রথম কয় বছর কথা হলেও পরে আর কথা হয় নাই।এয়ারপোর্ট এসে দেখলাম আমার পরিবার দাড়িয়ে আছে।
আজ আমি একজন সফল মানুষ।এখন আমার সব আছে।।শুধু লামিয়া নেই।
ঢাকা এসে সোজা আমার বাসা উত্তরা উঠলাম।ভাবলাম কয় দিন ঢাকা শহর ঘুরে বেড়াবো।তো পরের দিন নিউ মার্কেট গেলাম কিছু কেনাকাটা করতে।হঠাৎ আমার চোখ একটি মেয়ের দিকে গেলো।
আরে!!!!!এইটা তো লামিয়া।
-লামিয়া!!!!তুমি এখানে!!!??
-বাট তুমি এখানে!!!?বাংলাদেশে!!!(অবাক হয়ে)
-হুম কিছুদিন হল আসলাম।তো কার জন্ন কেনাকাটা!!!?? তোমার হাসবেন্ড এর জন্ন!!!?
-আমি বিয়ে করি নি!!!(মুখটা নিচু করে)
-মানে কি!!!!!কেনো কর নি!!!??
-মনে করতে পারো তেমন ছেলে পাইনি....তুমি করেছো?
-আমার আবার বিয়ে!!!!?
-আচ্ছা আসি তাহলে।
বলেই চলে গেল।১০ বছর rewind করে মনে করার চেষ্টা করলাম।সেদিন বিমানে উঠার আগে পকেটে একটা চিঠি পেয়েছিলাম।লামিয়া লিখেছিল....
"I WILL WAIT 4 U FOREVER.NO MATTER HOW LONG TIME WILL NEED."
আমি চিঠিটাকে গুরুত্ব দেই নি।কিন্তু লামিয়া ঠিকি বিয়ে করেনি।সেদিন রাতটা কোনোমতে কাটিয়ে পরের দিন লামিয়ার বাসায় যাই।লামিয়ার বাবাকে সরাসরি লামিয়াকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেই।লামিয়ার বাবা শান্ত ভাবে বল্ল
-বাবা,তোমার বাবা মাকে নিয়ে আস,কথা বলে দেখি।
-জি।
মাকে আগেই সেটিং দেওয়া আছে।সো নো চিন্তা।বাবা মাকে পাঠিয়ে দিলাম ওদের বাসায়।কথা বার্তা সব ফাইনাল।আগামি সপ্তাহে আমাদের বিয়ে।
এর ভেতরে লামিয়া আমার সাথে দেখা করতে চাইল।
বেইলি রোডের কোনো এক রেস্তোরায় বসে বসে লামিয়ার জন্ন অপেক্ষা করছি।ভাবছি শেষ পযন্ত আমার ছাত্রী কে বিয়ে করবো!!!বেপার টা কেমন দেখায়!!!আবার ভাবলাম everything is fair love n war..so what......
একটু পর লামিয়া আসল।এতদিন পর আবার ওর সেই মায়াবি চেহারা টা নতুন করে দেখলাম।আজকে ফাস্ট লামিয়া শাড়ি পরেছে।শাড়িতে যে ওকে এত সুন্দর লাগবে ভাবতে পারিনি!!!আর সেই ভুবন ভুলানো হাসি।
-কি বেপার সার!!!!হা কেনো।!!?
-সার!!!!কে সার!!!কার সার!!?
-আপনি....নিজের ছাত্রী কে বিয়ে করবেন,বেপার টা কেমন দেখায় না!!!
-আজিপ!!!!তার মানে তুমি রাজি না!!!?
-কিভাবে হবো!!!এখন পযন্ত তো প্রপোজ করো নাই।
-সব বিয়ের পর।
-না।সব আগে!!!....
-সব আগে!!!!!.....
-এই.....শুধু প্রপোজ।আর কিছু না হুম।।
কেমন ডা যে লাগে না!!!!আমার তো এইসবে অভিজ্ঞগতা নাই।কেমনে কি করি!!!!আমার অবস্থা দেখে লামিয়া হাসতেছে।আর আমি ওর হাসি দেখেই যাচ্ছি।
থাক না কিছু কথা না বলার।।সব সময় বলতেই হবে এমন কিছু না।।।আজাইরা।।।।।
©somewhere in net ltd.