![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কি চমৎকার একটি মেয়ে মেঝেতে পড়ে আছে।লম্বা কালো চুল,মায়াবি চেহারা।এখনো জীবিত মনে হচ্ছে।কিন্তু........
ঠিক বুকের মাঝখান টায় লম্বা একটি ছুরি বসানো,যেন খুব যত্ন সহকারে ঢোকানো হয়েছে।হাতের দুটি দুটি করে আংগুল কেটে নেওয়া হয়েছে।পুরো মেঝে মেয়েটির রক্তে ভেসে গেসে।
অনেকক্ষন ধরে আবিদ বিষয়গুলা পযবেক্ষন করছে।কিন্তু কোনো ক্লু খুজে পাচ্ছে না।কেইস টা খুব সিরিয়াস।
-কি ব্যাপার আবিদ সাহেব,got any clue....?(ওসি জামাল)
-এখন পযন্ত কিছু পেলাম না।
-কেইস টা খুব সিরিয়াস মনে হচ্ছে।
-আমারও......
লাশ টা ময়নাতদন্ত এর জন্য মরগে পাঠানো হল।গোয়েন্দা আবিদ এর মাথায় গভীর চিন্তার ভাজ পড়েছে।কিলার অতি ঠান্ডা মাথায় খুন টা করেছে।এতে করে তাকে identity করা কঠিন হয়ে গেসে।
কিন্তু আবিদ নাছোরবান্দা।সে থামবার পাত্র না।অতীতে এর থেকেও সিরিয়াস কেইসের সমাধান করেছে।
বাড়ীর এক লোকের মাধ্যমে আবিদ কিছু তথ্য পেয়েছে।তার মাধ্যমে আবিদ মেয়েটার নাম জানতে পেরেছে।মেয়েটির নাম লামিয়া।
"লামিয়া এখানে একাই থাকত।তার বাবা মার সাথে কি একটা ঝামেলার কারনে সে নিজেই এখানে বাসা ভাড়া করে থাকে।একটি প্রাইভেট ভাসিটিতে অনাস ২য় বষে পড়ে।মাঝে মাঝে তাকে একটি ছেলের সাথে ঘুরতে দেখা যেত।বলাবাহুল্য,তাদের মধ্যে সম্পক আছে।কিন্তু হঠাৎ হয়তো তাদের সম্পকের ফাটল ধরে।এতে প্রায়ই লামিয়াকে বিষন্ন দেখাতো।কিন্তু গতকাল হঠাৎ তাকে আবার খুশি খুশি দেখা গেল।কারন জানতে চাইলে বল্ল কিছু না,এমনেই।তারপর ত আপনারাই দেখলেন।"
এতক্ষন মনোযোগ সহকারে সব কথা শুনল আবিদ।
আচ্ছা ছেলেটা খুন করেনি তো,...?
-ছেলেটার নাম কি,কোথায় থাকে বলতে পারেন...?
-নাম শুভ্র।লামিয়ার সাথেই পড়ে।কিন্তু কোথায় থাকে তা জানি না।
-ওর কোনো ছবি আছে আপনার কাছে ?
-না।
হুম....আগে ছেলেটাকে ধরতে হবে।
পরদিন আবিদ লামিয়াদের ভাসিটিতে গেল।যদিও তাকে কেউ চিনে না।তাই আবিদ সরাসরি প্রিন্সিপালের কাছে গেল।
-আসসালামু আলাইকুম।
-ওয়ালাইকুম সালাম।আপনি...?
-জি আমি আবিদ।গোয়েন্দা আবিদ।
-ও আবিদ সাহেব,বসুন।কেমন আছেন...
-জি ভাল।আমি আসলে কিছু কথা জানতে এসেছিলাম।
-হুম বলুন।
-আপনাদের ভাসিটির ২য় বষে পড়া লামিয়ার মারা যাওয়ার ঘটনা হয়তো জানেন....?
-হুম।
-লামিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠ ভাবে কারা চলত বলতে পারেন....?
-সেইটা তো আর আমরা বলতে পারবো না,তবে ওর ক্লাসমেটদের থেকে জানতে পারেন।
-আচ্ছা।ওর ডিপার্টমেন্ট টা কোনদিকে একটু দেখিয়ে দেন।
-চলুন।
আবিদ প্রিন্সিপালের পিছনে চলতে থাকলো।তারপর এক ক্লাসে এসে থামল।
-Students,this is Abid...লামিয়ার কেইসটা উনি সলভ করবেন।আশা করি তোমরা সবাই উনাকে সাহায্য করবে।
-জি সার।(ছাত্রছাত্রী)
-ওকে আবিদ সাহেব,আমি আসি তাহলে।
-ধন্যবাদ।
আবিদ পুরো ক্লাস টা একনজর দেখে গেল।তার অনুসন্ধানী চোখ দুটো শুভ্রকে খুজছে।
-আচ্ছা,শুভ্র কে....?
মাঝখানের সারি থেকে শুভ্র দাড়ালো।
-জি আমি।
-আমার সাথে একটু বাইরে আসো।
বাইরে আবিদ আর শুভ্র মুখোমুখি দাড়ালো।
-লামিয়ার খবর জানো তো....?
-জি সার।
-তোমার কি কাউকে সন্দেহ হয়....?
-না সার।ওর যে কোনো শত্রু থাকতে পারে এটা আমি এখনো বিশাস করতে পারছি না।
-আচ্ছা।ওইদিন কি তুমি লামিয়ার বাসায় গিয়েছিলে...?
-হুম গিয়েছিলাম।কিন্তু আমি সাথে সাথেই চলে এসেছিলাম।
-তোমাদের মধ্যে কি কোনো রিলেশন ছিলো...?
-আমরা শুধুই বন্ধু ছিলাম।
-আচ্ছা।তুমি যাও তাহলে।
আবিদ কিছুই বুঝতে পারলো না।ছেলেটা এমন ভাবে বল্ল যে বিশাস না করে উপায় নাই।
এর সপ্তাহ খানেক পর আরেকটা খুন হল।এবারে খুনি একটি বার্তা লিখে গেছে দেয়ালে।
"TARGET ELIMINATED"
আর যে খুন হইছে সে আর কেউ নয়,শুভ্র।
আবিদ কাহিনি কিছুই বুঝলো না।কিলার ওদের দুইজন কেই কেনো টার্গেট করলো।
শুভ্রর সাথেও সেইম কাজ করা হয়েছে।কিন্তু তারপাশে একটা ডায়রি রাখা।
আবিদ ডায়রিটা খুলে পড়তে লাগল।
১১/৫/১৫
অনেক কষ্টে,জিবন সংগ্রাম করে ভার্সিটি তে এডমিট হলাম।কারো সাথে তেমন মিশি নি যার কারনে জীবনের বেশিরভাগ সময় একা কাটিয়েছি।আজো তার বেতিক্রম হয়নি।সব সময়ের মতো আজও পিছনের সিটে গিয়ে বসলাম।
১৩/৫/১৫
আজ ভাসিটিতে আমার ৩য় দিন।সবাই নিজেদের মধ্যে পরিচিত হয়ে গেছে।আমি এখনো কারো সাথে পরিচিত হতে পারি নাই।তাই ক্যাম্পাসে বেশিক্ষন থাকি না।ক্লাস শেষ হলেই চলে আসি।
১৭/৫/১৫
কয়েকদিন ধরে একটা মেয়েকে লক্ষ্য করছি আমার দিকে আড় চোখে তাকায়।এই মেয়েটা সারাটা ক্লাস মাতিয়ে রাখে।সবার সাথে হাসি,খুনসুটি যেন তার নিত্য দিনের কাজ।আমি চুপচাপ বলে হয়তো বা আমার দিকে তাকায়।
১/৬/১৫
অনেকদিন পর লেখলাম।আসলে পরীক্ষা চলছিল।এর মাঝে একটা ঘটনা ঘটছে।আমার সাথে অই মেয়েটার সিট পড়েছে।আমি আপন মনে লেখতেছি হঠাৎ মেয়েটা আমাকে বলে,"কি এত লেখো..?দেখাও।
অদ্ভুদ!!!আমি না করতে পারলাম না।এক্সাম শেষ এ আমার সাথে দেখা করল।
"থ্যাংকস দোস্ত।তুমি না দেখাইলে কি যে হত।"
"ইটস ওকে"
"আচ্ছা তুমি সব সময় এত চুপচাপ থাকো কেন!!!উফ!!!!কিভাবে যে পারো!....আমি তো একদিনেই দম আটকে মারা যেতাম।তুমি...........
আমি মন্রমুগ্ধের মত শুনে যাচ্ছি।মেয়েটা দারুন ভাবে কথা বলে।
"আচ্ছা,তোমার নাম কি!?"
"লামিয়া।তোমার...?"
"Bstr..."
২/৭/১৫
লামিয়া এখন আমার বেস্ট ফ্রেন্ড।সারাদিন ওর সাথে সময় কাটাই।লামিয়াকে মনে মনে অনেক ভালবেসে ফেলেছি।এখন কি করা যায়।আমার ডাকে যদি সাড়া না দেয়।
১০/৭/১৫
ইদানিং লামিয়ার সাথে একটা ছেলেকে ঘুরতে দেখি।আমার সাথেও যোগাযোগ কমিয়ে দিয়েছে।অনেক খারাপ লাগে যখন ওর পাশে আরেকটা ছেলেকে দেখি।
২০/৭/১৫
বাবা মা তো মারা গেসে সেই ছোটবেলা।মামার কাছেই মানুষ হলাম।সেই মামাও ২ দিন ধরে মারা গেল।আর কেউ রইলো না আপন বলতে।
২/৮/১৫
ছেলেটার নাম শুভ্র।এর মাঝে একদিন লামিয়া এসে বলে
"দোস্ত,একটা ঝামেলা হয়ে গেছে"
"কি হইসে বল"
"মা বাবা সবাই যেনে গেছে শুভ্র আর আমার ব্যাপার টা।"
"ও।তা কি করবি ভাবছিস।"
"তোর কাছে কোনো আইডিয়া নাই.?"
"না"
"দুরে গিয়া মর!"
বলে আমাকে ধাক্কা দিয়ে চলে গেল।
১৯/৮/১৫
লামিয়া নাকি এখন আলাদা বাসায় থাকে।ওর বাবা মার সাথে রাগ করে একা থাকে।এদিকে আমি খবর পেয়েছি শুভ্র ছেলেটা ভাল নয়।লামিয়ার ক্ষতি করে পালাবে।কিন্তু ও আমার কোনো কথাই শুনে না।
২৫/৮/১৫
আজ লামিয়ার জন্মদিন।ভাবছি আজকেই লামিয়াকে প্রপোজ করবো।যা হবার হয়
"লামিয়া...."
"হুম বল।"
"একটা কথা বলবো।"
"বলে ফেল"
"আমি তোকে ভালবাসি"
"হোয়াট!!!!!!"
"আমি জানি তুই শুভ্রকে ভালবাসিস।কিন্তু বিশাস কর,শুভ্র ছেলেটা ভাল না।ও তোর ক্ষতি করার জন্য তোর পিছনে...........
ঠাসসসসসস...........
অনুষ্ঠানের সবাই স্তব্ধ।আমি নিজেও স্তব্ধ।
"তুই কোন সাহসে শুভ্রকে নিয়ে বাজে কথা বলিস,হ্যা..?(চিৎকার করে বল্ল) আমি কার সাথে চলাফেরা করবো তা কি তোকে বলতে হবে.....?আজকের পর যেন তোর মুখ না দেখি।
২/৯/১৫ ৭.০০ am
আজকে আমি রেডী।আমার জিবনের সবচেয়ে ইম্পরট্যান্ট কাজটা করবো।হ্যা।লামিয়া কে আজকেই খুন করবো।আমি তিলে তিলে মরবো,ও সুখে থাকবে তা হবে না
৩/৯/১৫ ১২.২৫ am
কিছুক্ষনের মধ্যেই লামিয়ার জ্ঞান ফিরবে।
৩/৯/১৫ ২.০০ am
কাজ শেষ। লামিয়ার নিথর দেহটা পরে আছে ফ্লোরে।সেই মায়াবি মুখ,যা দেখে প্রথমবার ক্রাশ খেয়েছিলাম।আমার লামিয়া পরম নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে আছে।
১০/৯/১৫
গোয়েন্দা আবিদ আমাকে ধরার বিভিন্ন উপায় খুজছে।কিন্তু পারছে না।সেদিন ক্যাম্পাসেও আসলো।কোনো সমস্যা নাই।আমার টাগেট কম্পলিট হলেই আমি ধরা দিব।
১৭/৯/১৫
যার কারনে আমার লামিয়াকে নিজ হাতে খুন করলাম,সেই পাপী রেও আমি রেহাই দিলাম না।লামিয়াকে যেভাবে মেরেছিলাম,ওকেও সেইম ভাবে মারলাম।আমার কাজ শেষ,তাই ভাবছি আমিও লামিয়ার কাছে চলে যাব।
আবিদ ভাই,আপনি যদি এই ডায়রি পান,তাহলে আমাদের ক্যাম্পাসে চলে যাবেন।কাল
ও মাই গড!!!!!!!
এতক্ষন আবিদ ডায়রি টা পড়ে শেষ করলো।ক্যাম্পাসে এখনি যাওয়া দরকার।ভোর হয়ে গেছে
আবিদ তারাতারি ক্যাম্পাসে গেল।এবং যা ভেবেছিল,তাই হলো।ছেলেটার নিথর দেহটা পড়ে আছে।আর একটা কাগজের টুকরা,যাতে লেখা.....
"আমি তোমার কাছে আসছি।প্লীজ,ফরগিভ মি।"
আবিদ কিছুক্ষন ছেলেটার সামনে বসলো।মাথায় হাত বুলিয়ে দিল,যদিও সে একজন কিলার।
তারপরো কেনো যেন মনে হল ছেলেটার দোষ নাই।
Rest In Peace........
(ডিটেক্টিভ গল্প আমার খুব পচ্ছন্দ।যার কারনে সাহস করে লেখলাম।বাট বুঝলাম যে এই ক্যাটাগরির লেখা আমাকে দিয়ে পসিবল না)
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৪
প্রিনস বিএসটিআর বলেছেন: thnxx
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৪
রানা আমান বলেছেন: ভালোই তো লিখেছেন ।