নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

trust no one.....

প্রিনস বিএসটিআর

am simple....

প্রিনস বিএসটিআর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ThE LIfE MUST gO oN

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৯

-কিরে মামা....এমনে আর কয়দিন....???
-যেকয়দিন চলতে পারি.....
-কিছু একটা কর।এমনে জীবন চলে না।একটা জব কর,বিয়ে কর।মাইয়া পটাইতে না পারলে ক আমি পটাইয়া দেই।
আমি বিষন্নতা ভাব নিয়ে হাসলাম।যা পেরায় জজরিত হওয়ার হাসি।
-মামা,কান্দিস না।আমি আছি তো....
-ওই হারামি,কে কান্দে....!!??
-মামা,তোরে যদি আমি চিনতে না পারি,তাহলে পৃথিবীর কেউ তোরে চিনতে পারব না।
-তোর হইছে কিরে কয়দিন ধইরা!!!!!!!
-কিছুনা
কথা হচ্ছিল আমার আর রাফির সাথে।রাফি আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড।সেই ক্লাস ৫ থেকে এখন অবধি হারামি আমার পিছে লেগে আছে।
আমার জীবন নিয়ে আমি খুব চিন্তিত নই।কারন আমার কিছুই নেই।বাবা মা মারা গেছে ক্লাস ৯ এ থাকতে।তখনি ভেবেছিলাম আর কিছুর দরকার নেই।তাদের কবরের পাশে জীবন কাটিয়ে দিব।বাট পরে বুঝলাম,"The life must go on."
মা বাবা মারা যাওয়ার পর রাফির বাসায় উঠলাম।কারন আমার মামারা আমাকে রাখতে রাজি নন,আর কাকাদের কথা তো প্রশ্নই আসে না।
যাই হোক,রাফিদের ফ্যামিলিতে সদস্য ৪ জন।আমাকে নিয়ে ৫ জন।রাফির বাবা,মা,রাফি আর.....ওর একটা বোন।
হ্যা,ওর বোন....তারপরও কেন আমাকে ওদের বাসায় নিয়ে গেল জানি না।আমি এত কিছু জানতেও চাই না।
রাফির মা খুব ভাল।আমার প্রতি কখনো অবহেলা করেন নি।
তো এইভাবে আমার জীবন চলতে থাকলো।আমি টিউশনি করে আমার পড়ালেখার খরচ যোগাতাম আর রাফির বোন কে পড়াতাম।ও........ওর নামই তো বলা হয়নি...
লামিয়া.......
লামিয়া এখন ইন্টার ১ম বষে পড়ে।খুবই মেধাবী।আমাকে ভাইয়া বলেই ডাকে।পড়ার সময় অনেক কথা বলে।তখন মনে হয় সারাদিন সব জমিয়ে রেখেছে।
-ভাইয়া...
-বল
-আচ্ছা,আপনি সারাদিন এমন গম্ভীর থাকেন কেনো...?
-এমনেই।
-আমি জানি,আপনি নিজেকে অনেক একা মনে করেন।এসব একদমই মনে করবেন না।আম্মু আছে,ভাইয়া আছে আর.....
-আর.......!!!??
-না কিছু না।তারপরো কেন নিজেকে একা মনে করেন।
-উফ!!!!!পড়ো তো।আমার চিন্তা না করলেও চলবে।
ওদের বাসায় যখন এসেছিলাম তখন থেকেই দেখতাম লামিয়া আড়ালে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে।আমি ছাদে গেলে ও ছাদের এক কোনে দাড়িয়ে থাকে।আমি ঘটনা বুঝতে পেরেছি।তাই যথাসম্ভব ওর থেকে দুরে থাকি।
একদিনের কথা।ভাসিটি থেকে আসছি।সাথে ছিল আমার ফ্রেন্ড ফারিয়া।ওকে রিক্সায় উঠিয়ে যেই পিছনে ফিরলাম দেখি লামিয়া।
-কি ব্যাপার লামিয়া,!!!!তুমি এইখানে!!!!?
-........
-কি কোনো সমস্যা!!!!
-না......
-তাহলে......?
-বাসায় চলেন.....
-এখন...?
-হুম
ওকে নিয়ে বাসার দিকে রওয়ানা হলাম।রিক্সায় উঠিনি,হেটেই যাচ্ছি
-নিল....ভাইয়া আমার বিয়ে ঠিক করেছে.....
ওর মুখে আমার নাম শুনে অবাক হলাম
-তো আমি কি করবো....?বিয়ে ঠিক করছে,করে ফেল।
-তুমি এইটা বলতে পারলা!!!"?
-মানে.....?
-তুমি জাননা.....?
-না।
-আমি তোমাকে......
ওকে থামিয়ে দিয়ে
-লামিয়া ভাল লাগছে না।তুমি বুঝতে পারছো কি বলছো....?
-হুম খুব ভাল করে বুঝেই বলছি.....
-আমি রাফির সাথে কখনো বেইমানি করতে পারবো না।
-নিল....
-এইসব ব্যাপারে আমি আর কথা বলতে চাচ্ছি না।তুমি যদি ঝামেলা কর,তাহলে তোমাদের বাড়ি থেকে চলে যাব
-ঠিক আছে,ঠিক আছে।(কেদে কেদে)।আমার জন্য বাড়ি ছাড়তে হবে না।ভাল থাকো তুমি
ও চলে গেল।আমার কোনো অনুভুতি হচ্ছে না।হয়তো মা বাবা মারা যাওয়ার সাথে সাথে অনুভুতিও মরে গেছে।শুধু বুকে একটা চিনচিনে ব্যাথা করছে
লামিয়া আবার ফিরে আসল
-তোমাকে একটা কথা জিজ্ঞেস করবো...?
-কর...!!
-তুমি কি আমাকে ভালবাসো....?
এই ছোট্ট উত্তর টা আমি চট করে দিতে পারলাম না।একবার ভাবলাম মিথ্যে বলে দেই।আবার ওর চোখের দিকে তাকিয়ে মিথ্যেও বলতে পারছি না
-থাক।বলা লাগবে না।আমি বুঝতে পেরেছি।
সেদিনের পর আর কথা বলেনি আমার সাথে।এমন কি পড়তেও বসে নাই।এর কারন জিজ্ঞেস করলে বলে ভাল লাগে না।আমি তো জানি কেন এমন করে।
তাই এখন আরো ভবঘুরে হয়ে গেছি।তাই সালার রাফি কয়দিন ধরে আমার উপর নজর দিচ্ছে।কিন্তু আমি কিভাবে বলি যে আমি ওর বোন কে পচ্ছন্দ করি।
রাফির আর আমি একসাথে অনাস কম্পলিট করলাম।ও জব পেয়েও গেছে।আমিও অফার পেয়েছি কিন্তু জয়িন করার ইচ্ছা হয় না।তাই ভাবছি বিদেশ চলে যাব।রাফি কে বল্লে ব্যবস্থা করে দেবে।
-মামা,তুই এত মন খারাপ করে থাকস কেন!!!!!!কোনো সমস্যা থাকলে বল....?
-কোনো সমস্যা নাই।
-কয়দিন পর আমার বোনটার বিয়ে,আর তুই এখন মন খারাপ আছোত।
-মামা,আমার কিচ্ছু হয়নাই।আরে দেখবি ওর বিয়েতে আমি বেশি লাফামু।
-হাহা।চল বাসায় চল
আমি বলতে গিয়েও ওকে বলি নাই।থাক,একজনের আনন্দময় সময়টা নস্ট করতে চাই না।
দুইদিন পর লামিয়ার বিয়ে।তাই কোথায় কি লাগবে আমাকে সব দেখিয়ে দিচ্ছে রাফি।মার্কেটিং ও পাঠাইছে,সাথে লামিয়াকেও।
কেনাকাটার সময় লামিয়া কোনো পচ্ছন্দ করে নি।শুধু বল্ল,"তোমার পচ্ছন্দই আমার পচ্ছন্দ."তাই আমি নিজেই সব কেনাকাটা করলাম।
একসাথে যখন রিক্সায় ফিরছিলাম,দেখলাম লামিয়া নিরবে কাদছে।
-লামিয়া... কোনো সমস্যা ......?
-তুমি মেইন সমস্যা।
-এই জন্য তো আমি চলে যেতে চাইলাম।তুমি ঈ তো আটকালে....?
-নিল... তুমি কেন এমন করছো....?তুমি ভাইয়াকে বল যে তুমি আমাকে বিয়ে করতে চাও।ভাইয়া কখনো তোমার কথা ফেলবে না।
-পসিবল না।
-ধুর....তোমার সাথে কথা বলাই ভুল হইছে।তুমি আসলেই........
-আসলেই......!!?
-আমার মাথা.....
রাফিকে বল্লে হয়তোবা রাজি হতে পারে কিন্তু ওর মা কখনো রাজি হবে না।আর তাছাড়া আমি কিভাবে রাফিকেই বলি।
আগামিকাল লামিয়ার বিয়ে।তাই ভাবলাম আজকে রাতেই গ্রামে চলে যাব।আমি থাকলে হয়তোবা লামিয়া ঝামেলা করতে পারে।তাই ব্যাগ গুছিয়ে স্টেশন রওয়ানা দিলাম।
একবুক কষ্ট নিয়ে চলে আসলাম।কেউই টের পেল না।তাই নিশ্চিন্তে বেরিয়ে পরলাম।
স্টেশন এসে দেখলাম ট্রেন যাবে রাত ১২ টায়।এখনো ২ ঘন্টা বাকি।তাই একটা বেঞ্চে বসে ভাবছি আর সিগারেট ফুকছি।কাল থেকে লামিয়া আরেকজনের।
কতক্ষন ঝিমুচ্ছিলাম জানি না।মনে হল আমার পাশে এসে কেউ বসল।আমি তাকাতেই দেখি লামিয়া।
আমি ভাবছি হয়তোবা সপ্ন দেখছি।কিন্তু না..?মেয়েটি কথা বলে উঠল
-আমাকে ছেড়ে পালাচ্ছিলে,না....?
-তুমি......!!!!!!এখানে!!!!!!এত রাতে......!!!!!!??কি করছো এত রাতে এখানে....!!!!?
-তুমি যা করছো,আমিও তাই করছি।
-মানে কি!!!!
-মানে কিছু না।তোমাকে কোথাও যেতে দিচ্ছি না।
হঠাৎ পিছনে কারো হাতের স্পশ অনুভব করলাম।ফিরে দেখি রাফি
-মামা.....আমাদের ছেড়ে পালিয়ে কোথায় যাবি.....?
-না মানে......
-তুই আমাকে একবার বলে দেখলেই পারতি.....??এতটা পর ভাবস কেন!!!!....
-না দোস্ত....মানে.....বিষয়টা......
-আমি জানি।লামিয়া আমাকে সব বলেছে।
-.......
-দেখ দোস্ত,তোর আমার বন্ধুত্ব আজকের নয়।আমি বিষয়টা নিজেও বুঝেছি।কিন্তু বিশাস করি নি।পরে লামিয়ার কাছে সব জানতে পেরেছি।আমি জানি তুইও লামিয়াকে পচ্ছন্দ করস।তাই আমি ভাবছি যাচ্ছিস যেহেতু লামিয়াকেও সাথে নিয়ে যা।
-কিন্তু.......
-কোনো কিন্তু নাই।আমি গেলাম।
রাফি চলে গেল।
-কি মিস্টার......
-......
-এখনো কথা বলবা না.....?
-কি বলবো...?
-অদ্ভুদ...!!!তাও কি আমাকে বলে দিতে হবে....?
-হুম..
-ধুর!!!!!!
-লামিয়া......?
-........
-লামিয়ায়ায়ায়া.......
-উফ!!!!আস্তে!!!!!বল।
-ভালবাসো!!!??
-না....
-সত্যি...?
-হুম....
-আসলেই....?
-না....
-তাহলে.....?
-জানিনা।
আমি জানি এই কথার মানে কি!!!!কিছু কিছু নেগেটিভ কথা পজিটিভ ধরতে হয়।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫১

আম আদমি বলেছেন: খুবই ভালো লাগলো। জানি না গল্প না সত্যি। তবে পড়ে তৃপ্তি পেয়েছি।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৫

প্রিনস বিএসটিআর বলেছেন: bolen ki....!!!!!
amr nijer kachei to valo lage nai....!!!!!!

২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৬

রুহুল আমিন রাজ বলেছেন: valo

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৪

প্রিনস বিএসটিআর বলেছেন: thnxx

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.