![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
-এই যে ভাইয়া....
যা ভাবলাম তাই।মেয়েটি ডাক দিছে আমাকে।
-হুম বলেন।
-না ইয়ে মানে.....কেমন আছেন??
-খুব ভাল।
-ওকে.....আ...বাসায় যাচ্ছেন!!!>
-কেন বলেন তো....?
-না এমনি....
-ও আচ্ছা।হুম আমি বাসায় যাচ্ছি।
-আমি কি আপনার সাথে যেতে পারি....?
-এতদিন তো একাই এসেছেন আবার চলে গেছেন!!!আজ আমার সাথে যেতে চাইছেন যে.....
লজ্জায় মেয়েটির মুখ লাল হয়ে গেল
-না ঠিক আছে।আপনার সমস্যা থাকলে যাওয়ার দরকার নেই।
-আমার সমস্যা নেই।চলেন
মেয়েটি যে অনেক খুশি হইছে তা তার চেহারা দেখলেই বুঝা যায়।
রিক্সা ঠিক করলাম।যদিও জানি না মেয়েটি কোথায় যাবে।
-আচ্ছা ভাইয়া...আপনার নাম টা কি....?
-নিল।
-ওয়াও!!!!!
-ওয়াও এর কি হল!!""??
-না আমার অন্নেক ভাল্লাগসে।
-.......
-আমার নাম জিজ্ঞেস করবেন না...?
-আমি জানি....
-জানেন....!!!!!?কিভাবে...???
-এত দিন দাড়াইয়া থাকলে যে কেউ এমনি জেনে যাবে।
মেয়েটি আবার লজ্জায় লাল হয়ে গেল।এই লাল হওয়া চেহারাটা মেয়েটাকে আরো ভীষনভাবে মানিয়েছে। ও......মেয়েটির নাম লামিয়া।
আমার নাম তো আগেই বল্লাম।মেডিকেল ২য় বষে পড়ি।তো আমার ক্লাস শেষ হওয়ার পর বের হলে দেখতাম লামিয়া দাড়িয়ে আছে।আমি ভেবেছি হয়তো বা তার bf এর জন্য দাড়িয়ে আছে।কিন্তু না,পরপর কয়দিন এমন দেখলাম।আবার আরেকটা বিষয় হচ্ছে আমার সাথে চোখাচোখি হলেই চোখ নামিয়ে ফেলত।তাই এক ফ্রেন্ড এর মাধ্যমে ওর ডিটেইলস সম্পকে জানতে পেরেছি
আর এটাও জানতে পেরেছি ও আমাকে ভালবাসে।
-কি হল ভাইয়া,কোথায় হারিয়ে গেলেন!!!!?
আমি ভাবনার জগত থেকে বাস্তবে ফিরে আসলাম।
-তো লামিয়া,আমার হলের সামনে তোমাকে দাড়িয়ে থাকতে দেখতাম.....কাহিনি কি!!!!!
যথারিতি লজ্জায় শেষ অবস্থা।বুঝলাম না ইচ্ছা করেই কি এমন করে নাকি অন্য কিছু
-কেন!!!!আপনি জানেন না!!!!..?
-দেখো....তুমি হয়তো বা আমার অতীত জানো না।
-আমি জানতে ইচ্ছুক নই।
-ওকে আমার বাসার সামনে চলে এসেছি।আসি।
-আপনার নাম্বার টা পেতে পারি...?
-না!!!!!......
-না!!!!!!!!!!??....আচ্ছা।
লামিয়া রিক্সা দিয়ে চলে গেল।
প্রতি বছর ফাস্ট ইয়ারে নতুন নতুন মেয়ে আসে।বাট আমার এইদিকে আগ্রহ নাই।লামিয়াও ওদের সাথে হয়তো ভরতি হয়েছে।তো একদিন আমাদের একটা প্রাকটিক্যাল ক্লাস ছিল।১ম আর ২য় বষ একসাথে।সেদিন লামিয়াকেও দেখেছিলাম।খুব গভীর মনোযোগ দিয়ে সারের লেকচার শুনছে।
তার পরের দিন থেকেই লামিয়াকে হলের সামনে দেখা শুরু করলাম।এক ফ্রেন্ড এর মাধ্যমে সব জানতে পারলাম।কিন্তু আমি তো রিলেশন এর উপর থেকে বিশাস হারিয়ে ফেলছি।
পরেরদিন সকালে একটা আননোন নাম্বার থেকে কল আসে।লামিয়াই হয়তো ফোন দিসে।
-আমার নাম্বার ও যোগার করে ফেলছো....?
-কিভাবে বুঝলেন যে এটা আমি!!!"?
-কারন আমার পরিচিত ছাড়া কেউ আমাকে ফোন দেয় না।
-ও আচ্ছা।আমার সাথে কি একটু দেখা করতে পারবেন!!!?
-কেন!!"?
-প্লিজ,না করবেন না।
-আচ্ছা,কোথায়!!!?
-ক্যাম্পাসের পাশের পারকে চলে আসেন।
-ওকে
আজকে ক্লাস নাই।তাই দেখা করতে আসলাম।আমি আসার আগেই দেখি লামিয়া হাজির
-সরি,একটু দেরি হয়ে গেল
-ইটস ওকে।
-তারপর বল,ডেকেছো কেন....?
-একটা কথা বলতাম....!!!
-বলে ফেল...
-আপনার নাকি gf ছিল!!!!?
-.....
-ভাইয়া...?
-হুম ছিল।এত কিছু থাকতে এই কথা কেনো....?
-তার সম্পকে জানতে খুব ইচ্ছা করতেছে।
এই ঘটনা গুলো আমি ভুলে যেতে চাই।কিন্তু লামিয়ার জন্য বলতে হবে।অন্তত আমার পিছু যেন ছাড়ে
খুব ছোটকাল থেকে আমারর ইচ্ছা ছিল মেডিকেলে পড়বো।ডাক্তার হবো।বাবা মা চাইতেন ইঞ্জিনিয়ার বানাতে।কিন্তু ডাক্তারির দিকে ঝোক বেশি থাকার কারনে মা বাবাও দিমত করে নি।ঠিক ভাবেই চলছিল সব।ঝামেলা বাধলো 10 এ উঠার পর।
সারাদিন স্কুল শেষ করার পর আবার সন্ধায় বিরক্তিকর কোচিং।আসলে ক্লাস টিচার আতিকুর রহমান ম্যাথ খুব সহজভাবে করান।তাই তার কাছে গিয়েছিলাম যেন তিনি আমাদের পড়ান।কিন্তু স্যার বল্ল ব্যাচ করতে।এই ব্যাচের কথা টা শুনলেই আমার কাছে প্যারা লাগে।তার উপর কপাল খারাপ।আমি ছেলেদের মধ্যে একা আর ৩টা মেয়ে।
যাই হোক,আমি ছিলাম রেগুলার স্টুডেন্ট।তাই স্যার আমাকে খুব পচ্ছন্দ করতেন।আর মেয়েদের মধ্যে একটা মেয়ে আছে,সে কয়েকদিন পর পর মিস দেয়।নাম তিয়ানা।ভীষন চঞ্চল,যেদিন আসে সেদিন সবাইকে অস্থির করে ফেলে।যদিও আমি প্রথম প্রথম বিরক্ত হতাম কিন্তু কেন যেন পরে ভাললাগা শুরু হল।হয়তো আমি ক্রাশ খাইছি।
ভালই চল্ল ৬ মাস।ইতিমধ্যে অনেকেই তিয়ানার কাছে বলতাসে,দেখ দেখ,অই চশমা পড়া আতেল ছেলেটা না তোর দিকে তাকিয়ে থাকে।হয়তো গেসে কাইত হইয়া।
আমি ওর সাথে কথাই বলি নি অথচ আমি কিভাবে ওর প্রতি ক্রাশ খেয়ে গেলাম!!!!!!ভাবতেই অবাক লাগছে
টেস্ট পরীক্ষার পর এক রাতের ঘটনা।আমার নাম্বারে একটা কল আসে।দেখলাম আননোন নাম্বার।
-কারে চাই......?
-...........
-ওই কথা কবি না ফোন রাখুম!!!!!
-ছি!!!!!!ফোন এ কেউ এভাবে কথা বলে!!!!!
হঠাৎ করেই মনে হল কেউ আমারে ১০০ ভোল্টের শক দিসে
-কে আপনি!!!!!!
-আমি যেই হই,এভাবে কারো সাথে কথা বলবা না,ঠিক আছে....?
-আচ্ছা তা না হয় বুঝলাম।কিন্তু আপনি কে!!!!
-তিয়ানা....
-কোন তিয়ানা!!!!?
-কয়টা তিয়ানাকে চিন!!!!?
-ঈ'ম......উম.......একটাকে চিনি.....
-অইটাই আমি....
-তুমি আমার নাম্বার পেয়েছো কিভাবে!!!!!
-সেটা জানার দরকার নেই।শোনেন আতেল সাহেব,এখন থেকে না আতলামি বাদ দিতে হবে।
-এই তোমার প্রব্লেম কি!!!!!!!আতেল জিনিসটা কি আর আতলামি তা বা কি!!!!!!!
-চুপ কথা কম।কাল ধানমন্ডি লেকে চলে আসবা।
বলেই রেখে দিল।এই মেয়েটার সাথে কথা বল্লাম আট মাস পর।এতদিনে একটা ওয়াড বলতে পারি নাই,আর আজ!!!!!উফ!!!!!নিল....তোরে দিয়া কিচ্ছু হইবো না।
পরদিন গেলাম লেকে।ভাবছি কি জন্য ডাকল।উদাস চোখে প্রকৃতি দেখছি।কখন যে তিয়ানা এসেছে খেয়াল করিনি
-এই যে আতেল.....
-নিল,নট আতেল......
-হু হইছে।আতেলে আবার রাগ ও করে।
-বল,কি জন্য ডাকছো....?
-কেনো খারাপ লাগছে...??চলে যাবো...?
-আরে না!!!!!আমি সেটা বলিনি।
-আচ্ছা,তুমি কি আমাকে ভয় পাও!!!?
-নাতো!!!!
-তাহলে কোচিং এ কথা বলতানা কেন!!!!!
-এমনেই।
-এখন থেকে আমার সাথে বেশি করে কথা বলবা।আতলামি বন্ধ করবা।
তো এইভাবেই চলতে থাকে আমাদের কথাবার্তা।কিন্তু আমি তখনো জানতাম না আসলে তিয়ানা কোন শ্রেনীর মানুষ।
একদিন ফারিয়া এসে আমাকে বলতাসে
-নিল.....?
-হুম বল।
-তুই কি তিয়ানাকে পচ্ছন্দ করিস!!!!?মানে লাভ টাভ এরকম কিছু....
-আমি পচ্ছন্দ করি কিন্তু ও করে কিনা জানি না।
-দোস্ত একটা কথা....
-আবার কি!"""...
-মেয়েটা ভাল না।প্লে-গাল।অনেকের সাথে ওর রিলেশন আছে।
-তুই কিভাবে জানলি!!!
-অনেকভাবেই।ক্যাম্পাসের সাইডে গিয়ে দেখ
আমি প্রায় সাথে সাথেই গেলাম আর যা দেখলাম তা বিশাসই করতে পারছি না।তিয়ানা আর একটা ছেলে আপত্তিকর অবস্থায় বসে আছে।আমি চলে আসলাম
সেদিনের পর থেকে আর তিয়ানার সাথে যোগাযোগ করি নি।আগের বাসাটাও চেঞ্জ করে ফেলি।
তাই এখন কোনো মেয়েকে বিশাস করি না।তারা টাকার লোভী।যার টাকা আছে মেয়ে রা তার পিছেই ঘুরে
লামিয়া দীঘশ্বাস ফেলল
আমিও ফেললাম।একটানা বলতে বলতে হাপিয়ে গেছি।
-চল ওঠা যাক।
লামিয়া নিরবে আমার সাথে হাটতে লাগল।ওর বাড়ির দিকে রওয়ানা হবার পথে শুধু এতটুকু বল্ল
-নিল,সবাই এক না।
বলেই চলে গেল।বুঝতে পারলাম মেয়েটা চরমভাবে ক্রাস খাইছে।যাই হোক আমিও চলে আসলাম।
সেদিনের পর থেকে লামিয়া আর আমার সাথে কথা বলেনি।শুধু মাঝে মাঝে আড়চোখে তাকায়।
আমিও আস্তে আস্তে কি যেন মিস করা শুরু করলাম।বুঝতে পারলাম মিস করার জিনিসটা।কিন্তু সেইম মিসটেক আবার করতে চাই না
ক্যাম্পাসের এক ফ্রেন্ড এর বাথডে।সবাইকে ইনভাইট করা হয়েছে।সো আমাকেও যেতে হল।আমি এসে সোজা একটা চেয়ারে এসে বসলাম।ভাল লাগছে না।তাই সিগারেট খাচ্ছিলাম হৎাৎ কে যেন মুখ থেকে সিগারেট কেড়ে নিল।আমি তাকিয়ে দেখি লামিয়া
-সিগারেট খাওয়া ভাল না।স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
আমি ওকে দেখে বেশ অবাক হলাম।কেমন শুকনো হয়ে গেছে।আমি ওর দিকে তাকিয়ে আছি দেখে আবার লজ্জায় লাল হয়ে গেল।কেমন এক মায়াময় চেহারা,যা মনে চায় আজিবন দেখি।
-আমি আসি
ওর হাতটা ধরে একটানে আমার কাছে আনি।
-কোথায় যাবা....হা.....?
-আমায় যেতে দিন!!!
-কাহিনি না!!!!??আমি কিভাবে বিশ্বাস করবো যে সব মেয়ে এক না...?
-আমি তো ভেবেছিলাম আপনি নিজেই বুঝবেন আমি কোন মেয়ে.....
-তুমি আমার জীবন টা আবার ওলটপালট করে দিলা
-সরি।আমি আসি
-এই সরি মানে!!!!আমি মাফ করসি তোমারে!!!!!তোমাকে শাস্তি পেতে হবে।
-জি....
-আমাকে প্রপোজ কর।
-জি..!!!!!!?????
-হ্যা।তাড়াতাড়ি......
-আমি পারবো না।
-করবা না!!!!?
-না!!!
-করবা না!???????
-.............!!!!!!
-কি হল বল!!!????
-এগুলা আগে ছেলেরা বলে।এটাই নিয়ম।
-আমি চেঞ্জ করবো।বলবা নাকি চলে যাব...?
-...........
-ও বুঝছি বলবা না।ওকে বাই।
যেই পা বাড়ালাম অমনি লামিয়া হাত ধরলো
-I love u......
-এটার বাংলা কি!!!!?
-ইশশ......!!!!
-কি ইশশ!!!!!
-তোমাকে ভালবাসি!!!!....
-সত্যি...?
-হুম।
-আমিও।
-কি!!!?
-ভালবাসি
২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৬
প্রিনস বিএসটিআর বলেছেন:
৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৮
মুখোশধারী মুসাফির বলেছেন: ভালোবাসায় গলে গেলাম
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৮
প্রিনস বিএসটিআর বলেছেন:
৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৭
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: একটা মেয়ে আপনার নাম জেনেই রিকশায় উঠল!!!!!!
অল্প একটু পড়ে মন্তব্য করছি
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৯
প্রিনস বিএসটিআর বলেছেন: puro ta poren na hole bujben kivabe!!!!!!
৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: বাংলা লেখা তো জানেন। তো শিরোনাম এবা দিসেন ক্যান?
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১০
প্রিনস বিএসটিআর বলেছেন: na mane golpo lekhi mobile die......keyborad a bangla type vule gesi....
jar karone english a lekte hoi....
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩১
চাঁদগাজী বলেছেন:
'বাংলাদেশ' শব্দটির অর্থ কি 'প্রেম - ভালোবাসা"?