নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

trust no one.....

প্রিনস বিএসটিআর

am simple....

প্রিনস বিএসটিআর › বিস্তারিত পোস্টঃ

RoBoTiC lIfE

১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৫১

কত ব্যস্ত এই নগরী।সপ্তাহের সবদিন গুলোতে মাছের বাজারের মত ভীড় লেগে থাকে।মানুষের ভীড়,যানবাহনের ভীড় আরো কত কিছু।কিন্তু তারপরো আমাকে বের হতে হবে,শুধুমাত্র জীবিকার তাগিদে।
মতিঝিলের একটা ব্যাংকে চাকরি করি।ভালই চলে যায় আমার জীবন।বাসায় শুধু বাবা মা।কারন আমি বাবা মার একমাত্র সন্তান।
অনাস কম্পলিট করেই এই ব্যাংকের চাকরির অফার পাই।আমি কোন কালেই কারো সাথে তেমন আড্ডা দিতাম না।কিন্তু প্রবল ইচ্ছে আছে।যেখানে সবাই প্রেম করতে ব্যস্ত,সেখানে আমি ফাইল নিয়ে ব্যস্ত।অনেকটা রোবোটিক হয়ে গেছি।এজন্য অফিসে আমাকে নিয়ে অনেকে হাসাহাসি ও করে।
অফিস আমার প্রতি খুশি হয়ে একটা গাড়ি গিফট করেছে,সাথে সাথে ২ দিনের ছুটিও দিয়েছে।তাই আজ অফিস যাইনি।ভাবলাম নতুন গাড়ি টা নিয়ে ঘুরে আসি।
ড্রাইভ আগের থেকে কিছুটা আয়ত্ত্ব করা আছে।গাড়ি চালিয়ে শাহবাগ চলে আসলাম।হঠাৎ কেউ লিফট চাওয়ার মত হাত উঠালো।আমি গাড়ির স্পীড কমিয়ে দিলাম
-আমাকে একটু হেল্প করুন প্লীজ....?
আমি মেয়েটার দিকে একনজর তাকালাম।চিকন ফ্রেমের গ্লাস,মুখে বিন্দু বিন্দু পানি,চুল গুলো ছাড়া। মেয়েটা আমার কাছে হেল্প চাচ্ছে আর আমি কি না তার রুপ দেখছি!!!!!!!
-প্লীজ,আমাকে হেল্প করুন!!!!
মেয়েটার চোখে পানি টলমল করছে।
-আরে রিলেক্স।বলেন কি করতে পারি....?
-আমাকে একটু মেডিকেলে নিয়ে চলেন।আমার বাবা এক্সিসেন্ড করেছে
-ও তা আগে বলবেন না!"!?উঠুন তারাতারি।
মেয়েটা সাথে সাথেই উঠল।আমিও তারাতারি গাড়ি চালাতে লাগলাম।কিন্তু এইটা যে বাংলাদেশ ভুলে গেছিলাম।১ ঘন্টার রাস্তা ৩ ঘন্টা লাগে।যেই জ্যাম।
যাক কোনোমতে হাসপাতাল আসলাম।
মেয়েটি তারাতারি নেমে ভিতরে চলে গেল।আমি ওকে অনুসরন করলাম।এক নাস কে জিজ্ঞেস করল,সে মেয়েটির বাবার ক্যাবিনে নিয়ে গেল।আমিও পিছু পিছু গেলাম।
-আপনার বাবার শরির থেকে প্রচুর ব্লাড বের হয়ে গেছে।রক্ত দরকার ইমিডিয়েট....
-কোন পজেটিব....?
-ও পজেটিব
আমি তাদের কথা গুলো শুনছিলাম।আমার রক্ত ও পজেটিব।কিন্তু আমার আবার রক্ত দিতে ভয় লাগে।কিন্তু মেয়েটির করুন চোখের দিকে তাকিয়ে আর থাকতে পারলাম না
-শুনুন.....?
-হ্যা.....বলুন...?
-আমার রক্ত ও পজেটিব।আমি দেব
মেয়েটির মুখে হাসি ফুটে উঠল আর চোখের কোণে পানিও দেখতে পেলাম।
-আপনি রক্ত দিবেন....?
-হুম
-চলুন আমার সাথে।
আমি আবার রক্ত দিতে ভয় পাই।কিন্তু এই সিচুয়েশনে না দিয়ে তো আর পারা যায় না।
রক্ত দিয়ে শরির কেমন যেন নিস্তেজ হয়ে গেল।মনে হচ্ছে আমার ভেতরে গ্যাস ঢুকিয়ে দিয়েছে।ভীষন ভয় লাগা শুরু করল
মেয়েটি ততক্ষনে আমাকে দেখতে এসেছে
-আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
-হুম।আপনার বাবার অবস্থা এখন কেমন...?
-এখন মোটামুটি ভাল।
-আচ্ছা,আমি আসি তাহলে....
-এখন না।আমাদের সাথে বাসায় যাবেন তারপর।
-আরেকদিন।বাসার সবাই টেনশন করবে।এই নিন আমার কাড।
মেয়েটি আমার কাডটি রেখে দিল।
-ও...আপনার নামই তো জানা হল না.....!?
-লামিয়া....
-নাইছ নেম....আ.. আমি নিল...
-নিল...!!!!আকাশের নিল....?
-নাহ....শুধু নিল... আসি।
আসার পথেও দেখলাম মেয়েটি আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
মেয়েটির সাথে দেখা হওয়ার পর থেকেই মনটা উদাস হয়ে গেছে।আজ দুইদিন হয়ে গেল মেয়েটা একটা ফোন ও দেয়নি,বা আমার অফিসেও আসেনি।তাহলে কি ভুলে গেল...!!!!
আরে ধ্যাত...আমি ই বা কেন ওর কথা এত ভাবছি....
২ দিন পর অফিসে আবার কাজ শুরু করলাম।কিন্তু কেন যেন অফিসের কাজে মন বসাতে পারছি না।প্রেজেন্টেশন এর সময় অন্যমনস্ক হয়ে পড়লাম,যার কারনে বিশাল এক প্রোজেক্ট হাতছাড়া হয়ে গেল।আমার কর্মকান্ডে অফিসের সবাই অবাক
-মি.নিল....আপনার কি শরির খারাপ...?
-নো স্যার।আমি ঠিক আছি...
-আর উ সিওর..?
-জি...
-আমার তো মনে হচ্ছে না।আপনি দিনের পর দিন কাজের প্রতি উদাসীন হয়ে যাচ্ছেন।আপনার কি কোনো সমস্যা হচ্ছে....?
-......
-আমি আপনাকে আরো কিছুদিন ছুটি দিলাম।মন ফ্রেশ করে আবার কাজে যোগ দেন।মন ভাল না থাকলে কিছুই করতে ইচ্ছা করে না।
-জি স্যার।
আসলেই আমার মন ভাল না।সারাদিন শুধু মেয়েটার চেহারাই মনে পড়ে।এরকম হওয়ার মানে কি!!!!!একদিনের পরিচয়ে কি প্রেম হয়ে যায়.......!!!!!!!!
মেডিকেলে আবার গেলাম।যদি মেয়েটাকে পাওয়া যায়।কিন্তু নাহ,হতাশ হলাম।
মেয়েটাকে আর পাওয়া গেল না।আমি আবার সেই রোবোটিক লাইফেই চলে গেলাম
[১৪ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ৩ টা গল্পের থিম মাথায় ছিল।তার মধ্যে এই গল্পটাও।বাট এই গল্পটার থিমটাই বাজে লাগছে,যার কারনে লেখতে বোরিং লাগছে।এত দিন ঝুলাইয়া রাখছি,আজকে ভাবলাম শেষ করি।তাই ভাল হয় নাই]

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.