নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

trust no one.....

প্রিনস বিএসটিআর

am simple....

প্রিনস বিএসটিআর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ReAlIzAtIoN..

১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:০৫

-এটাই কি তার ডায়েরি....!!!!!
-হুম....আপনার জন্য রেখে গেছে..
-ধন্যবাদ....
.

এক
শত কষ্টের মাঝেও হাসি-খুশি থাকার চেষ্টা করি।কারন আমাদের লাইফটাই এরকম।সবার না অবশ্য....জাস্ট মিডল ক্লাস ফ্যামিলি।এই ফ্যামিলিগুলির প্রত্যেকটা সদস্যকে অভিনয়ের জন্য নোবেল দেওয়া উচিত।কারন আমার মতে এদের মত এত সুন্দরভাবে হয়তোবা কেউ অভিনয় করতে পারবে না।
আমিও এই দলেরই লোক,বাট আমি নোবেল চাই না।হাহা.....!!!ফানি লাগতাছে,তাই তো....?আসলে রিয়েল লাইফের মজা পাইতে হইলে মাস্ট বি মিডল ক্লাস ফ্যামিলিতে জন্ম নিতে হবে।
বাই দা ওয়ে,আমি......!!!নামটা কি বলা খুব জরুরি....!!!!?মেবি ইয়েস,মেবি নট.....হু কেয়ারস...রাইট...?বাট নাম আছে তো...তাই প্রকাশ করাটা ভাল।যদিও আকীকা দিয়ে নাম রাখা হয় নাই,তবুও বলি......সিম্পল....নিল।
এত কথা বলতাম না।হাত পা গুলি আমার মাথার মস্তিকের কাছে বিচার চাচ্ছে বারবার।হু তাদের সাথে আজকে বিরাট অন্যায় করা হয়ে গেছে।সাড়ে তিন মাইল+সাড়ে তিন মাইল=সাত মাইল রাস্তা শুধু হেটেই কভার করেছি।উদ্দেশ্য.........!!!!!!!শুধু একটাই........চাকরি।
ভাই.... আমি কিছুই খাই নাই... সুস্থ মস্তিকেই কথা গুলো বলছি।যদি মনে হয় আবোল তাবোল...দেন আসেন আমরা জায়গা চেঞ্জ করি।আপনে আমার জায়গায় আর আমি আপনের জায়গায়...পারবেন.....???
মনটা আজকে ভীষন খারাপ।ভীষন রকমের...যা বলে বোঝানো যাবে না।
চাকরির খোজ করতে করতে পায়ের স্যান্ডেল এর দিকে আর তাকানো হয় নাই।বেচারা কে অনেক কষ্ট দিতেছি।স্যান্ডেল এর তলা সব ছুটে গেছে।তারপরও এটা দিয়েই কাজ চালাই।কতবার যে হাটতে গিয়ে রক্ত বের হইছে....ধুর.. !!!! হু কেয়ারস......?!!!!
বিকেলের ঘটনা.....
-নিল....তুই কোথায়...?(এক বড় ভাই)
-কোথায় আবার....?রাস্তায়....
-তোর জন্য একটা সুখবর আছে....
-ও আচ্ছা....
-ও আচ্ছা...মানে...? শুনবিনা কি সুখবর.. ?
-ভাই....ইন্টারেস্ট জাগে না।ভুমিকা না কইরা কইয়া ফালান।বাসায় যাওয়া লাগবো...মার ওষুধ কিনা লাগবো।
-তোর জন্য একটা চাকরির ব্যবস্থা করেছি।৩ টার দিকে এসে পড় ইন্টারভিউ দিতে....
-কাজ হইবো....?
-ট্রাই করতে দোষ কি....?
-ট্রাইয়ের মধ্যেই তো আছি।ওকে ঠিকানাটা এসএমএস করে পাঠাইয়া দেন...
-ওকে।
ফোনটা রেখে একটা দীঘশ্বাস ফেল্লাম।বুঝলাম না আজকাল হুদ্দাই এত দীঘশ্বাস আসে কে......
পকেট খুজে দেখলাম পাচশ টাকা আছে।এই টাকায় এখনো সাত দিন চলতে হবে।মার ওষুধেই চলে যাবে ১০০০।ধার করা লাগবো আর কি....
বাসায় আসলাম।মার দিকে তাকাতেই পারি না।তাকালেই কেমন যেন একটা ভয় লাগে।তাই বোনটাকে ডাক দিলাম
-ফারিয়া....
-হ্যা ভাইয়া...
-মার শরির কেমন রে....?
-এখন একটু ভাল।
-মা,তুই খাইছিস....?
-হুম....
-ওষুধ গুলো নিয়ে যা।আর তোর চেহারা এমন হইছে কেন....আমার এত কিউট বোনটা এমন পেত্নি হয়ে গেছে কেন....?
হাহ....!!!খারাপ সময়গুলো আসলেই অনেক খারাপ,যা মানুষের হাসি গুলোও কেড়ে নিয়ে যায়
-তুই খাইছিস ভাইয়া....?
-আমি....!!!!হু খাইছি তো....
-বাসায় ভাত নাই ভাইয়া।চাইলেও খেতে পারবি না।
-আরে কে বলছে আমি না খাওয়া।খালি বেশি বুঝোস।আচ্ছা..আমার একটু বেরুতে হবে।কাজ আছে
আমি বের হতে যাব ফারিয়া আমার হাতটা ধরে থামালো
-খেয়ে নিস ভাইয়া....
আমি জানি আমি কখনোই ওর কাছে কিছু লুকাতে পারবো না।আজও না
-আচ্ছা...(কিছুটা অপরাধীর মত)
সেই যে বের হলাম তারপর থেকে শুধু হাটার উপরেই।ইন্টার্ভিউ শেষ করে যখন বাড়ির সামনে আসলাম আমার কানে শুধু মাছির চলাফেরার ভনভন শব্দ শুনতেই থাকলাম।সারাদিদিন পেটে কিছুই যায়নি।তাই দোকান থেকে একটা রুটি কিনে খাওয়া শুরু করলাম।কিন্তু গলা দিয়ে আর নামে না।পানি দিয়ে রুটি গলা দিয়ে নামালাম।চোখ দেখি অলরেডী ভিজে গেছে।আমি কি কাদছি........!!!!!!!
ধুর মাথা খারাপ হয়ে গেছে।আমাকে এখন পড়াতে যেতে হবে।এই টিউশনিটাএ জন্য এখনো বেচে আছি
-স্লামাইকুম ভাইয়া.....
-হুম.....
যাকে পড়াতে আসছি সে হল বড়মাপের ধনীর দুলালি।ইয়েস.....সি ইজ এ মেয়ে.......নাম লামিয়া।
-ভাইয়া একটা কথা বলি....?
-হুম বল....?
-আপনার মুখটা না অনেক শুকনো লাগছে।অনেক হাটাহাটি করেছেন...তাই না....?
-হুম...কিছুটা।আমার বিষয়ে এত ইন্টারেস্ট হওয়ার দরকার নেই।বই বের কর
-জি ভাইয়া।
মেয়েটা আমার সামনে আসলে এত চুপ থাকে যা বলার বাহিরে।এবার ইন্টার ফাস্ট ইয়ারে।সেই ৮ম থেকে পড়াচ্ছি।ওর বাবা মাও খুব ভালো।
-উম...লামিয়া....তোমার আম্মু/আব্বু কি বাসায় আছে....?
-না ভাইয়া...একটু বাহিরে গেছে।কিছু দরকার....?
-হ্যা মানে.....আজকে টাকাটা খুব দরকার ছিল...
-ও....আচ্ছা ভাইয়া...আপনি বসেন।আমি আসছি
বলে মেয়েটা ভিতরের রুম এ গেল।আমি টেনশনে পড়লাম টাকা না পাইলে আজকে আর রাতে কেউ কিছু খেতে পারবে না।টাকাটা আজকেই খুব দরকার।
-এই নিন ভাইয়া....
-ওহ....তোমার কাছে দিয়ে গিয়েছিল...?
-না ভাইয়া....
-তাহলে....!!!
-ইয়ে মানে....আমার থেকে দিয়েছি....
আমি অবাক হলাম।মেয়েটা সব সময় আমার দরকারটা কিভাবে যেন বুঝে ফেলে
-ভাইয়া....আপনার জন্য রান্না করছিলাম....খাবেন....?
এমন ভাবে আবদার করল আর সারাদিন খিদে পেটে আর না করতে পারলাম না।খাওয়া শুরু করলাম।লামিয়া দেখি আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
দুই
মার পাশাপাশি এখন আবার ফারিয়াও অসুস্থ হয়ে পড়েছে।ওর মুখটা ভীষন রকমের শুকিয়ে গেছে
-কিরে...তোর গায়ে তো ভীষন জ্বর।এই শরিরে কাজ করছিস কেন....?
-তেমন কিছু না রে ভাইয়া....
-ফাইজলামি করস আমার সাথে....!!!!!যা...চুপচাপ শুয়ে থাক
-ভাইয়া...তুই যদি এত কষ্ট সহ্য করতে পারিস..আমি পারবো না কেন....রিমেমবার...আমি তোরই বোন (কাদতে কাদতে)
-আমাকে আরর কষ্ট দিস না রে...(জড়িয়ে ধরে বল্লাম)যা..এখন শুয়ে থাক।
হাহ!!!!আমার আবার কষ্ট।I am born to survive......
রাস্তা দিয়ে হাটছিলাম।ছোটবেলার এক বন্ধুর সাথে দেখা হল।মেট্রিক এ দুইবার,ইন্টারে দুইবার ফেল করছিল অথচ কি ভাব....সবই টাকার খেলা
-কিরে নিল...কি অবস্থা....?
-এই তো আছি..... তোর খবর কি....!!!!
-আমার আর কি খবর শুনবি...!!!পড়ালেখা ভাল লাগে না বুঝছিস....তাই ভাবছি কানাডা চলে যাব।ওখান থেকে অস্ট্রেলিয়া.....
-বাহ...ভাল তো....আচ্ছা যাই...আমার একটু কাজ আছে।
-আরে একটু চল না ঘুরে আসি।
-নাহ...!!!!ঘুরাঘুরি আমাদের জন্য মানায় না...
-চা খাবি...?
-নাহ..!!!পারলে একটা বিড়ি খাওয়া....
ওর দেওয়া সিগারেট টা টানতে শুরু করলাম।না....নেশা করার জন্য না...কষ্টগুলো কে পুড়িয়ে মারার জন্য।
ইন্টারভিউ এর রেজাল্ট ঘোষনা করবে আজকে।তাই অফিসের সামনে দাড়িয়ে আছি।ভিতরে ঢোকার জায়গা নাই।তাই খাড়া রোদের মধ্যে দাড়িয়ে আছি...
-ভাইয়া...আপনি এখানে....?
তাকিয়ে দেখি লামিয়া।দিনের আলোতে আজকে ওকে সত্যি অনেক সুন্দর লাগছে।
-হ্যা...মানে....ওই একটা কাজে আসছিলাম।তুমি এখানে কেন...?
-আমি তো শপিং করতে গিয়েছিলাম কিন্তু কিছু পচ্ছন্দ হয়নি তাই চলে যাচ্ছি।চলেন ভাইয়া কিছু খাবেন....
-আরে না না।কিছু খাওয়া লাগবে না।তুমি যাও...বাসায় যাও।
-ভাইয়া...প্লিজজজজ.....চলেন...
ওর অনুরোধ আর ফেলতে পারলাম না।একটা ক্যান্টিনে বসলাম।
-ভাইয়া...জায়গাটা খুব সুন্দর না....?
-হুম....
-একটা কথা জিজ্ঞেস করব ভাইয়া....?
-হুম কর...?
-আপনি সবসময় এত গম্ভীর হয়ে থাকেন কেন...?
-আমার চেহারাটাই এমন...
-নাহ...কে বলছে।আপনি দেখতে অন্নেক কিউট।যে কোন মেয়েই......!!!!(চুপ হয়ে গেল)
-কিহ.....!!!!!!??
-সরি ভাইয়া...কিছুনা।
-এত তাড়াতাড়ি পেকে গেছ...হ্যা....?
-ভাইয়া সরি বল্লাম তো....!!!!আর আমি কি কিছু বলেছি....মেয়েরা আপনাকে পচ্ছন্দ করতে পারে না.....!!!!?
-উফ....!!!!!!!ফাজিল হয়ে গেছ....যাও বাসায় যাও (ধমক দিয়ে বল্লাম)
-আসি ভাইয়া.. (মন খারাপ করে চলে গেল)
হাহ...!!!!!এদের টাকা আছে তো...তাই অবসর সময় প্রেম করে টাইম পাস করতে চায়...মানে বিনোদন আর কি.....!!!!!আমাদের কি আর এত বিনোদন করলে চলে....!!!!
তিন
লামিয়া কয়েকদিন ধরে প্যারা দিতাছে।ওর কোন মামার নাকি বিয়ে আর আমাকে নাকি যেতেই হবে ওদের সআআথে।নাহলে সে যাবে না।এমনেই টেনশনে বাচি না তার উপর নতুন প্যারা
-ভাইয়া..আপনি যাবেন না.....!!!?
-উফ!!!!কয়বার বলবো....!!!!না.....
-কেন যাবেন না....!!!!?
-আমার ইচ্ছা.....
-তাহলে কিন্তু আমিও যাব না।
-ওকে...
লামিয়া হয়তো বিশ্বাস করতে পারছিল না।দেখলাম টুপ করে এক ফোটা পানি খাতার উপর পড়লো।উফ!!!!এই মেয়েদের এই একটা দোষ।সরি দোষ না,বদঅভ্যাস
-তুমি কি বাচ্চা নাকি...!!!
-আপনি না গেলে আমার ভালো লাগবে না।
-এই...ভালো লাগবে না মানে টা কি..!!!(অবাক হয়ে)
-কিছু না
-হাহ..!!!!ওকে ফাইন....যাব...
-ইয়েস...................
সেদিন ওর আনন্দ দেখে কে...!!!!একটা জিনিস আমি রিয়েলাইজ করতে পারলাম..আমার মাধ্যমে যদি কেউ খুশি হয় তাহলে তা নিজের মধ্যেও ভাল লাগা কাজ করে।
চার
অনেকদিন পর আবার লিখতে বসলাম।আসলে ভাবি নাই মেয়েটা এমন একটা কাজ করবে।যদিও এটা ওর দোষ না।
লামিয়ার পরিবারের সাথে গিয়েছিলাম সেই বিয়েতে।আমার বেশি হইচই ভালো লাগে না।তাই একটু একা একা থাকি।আর তাছাড়া এটা ওদের অনুষ্ঠান,আমার লাফালাফি করার কোনো মানে হয় না।কিন্তু এই মেয়েটার জালায় আর থাকতে পারিনা।প্রতিটা বিষয়ে আমাকে হাজির করবে।
তো বায়না ধরল আমার সাথে শপিং এ যাবে আর আমারো যেতেই হবে।কোনো উপায় না দেখে রাজি হলাম।রিক্সা দিয়ে যাচ্ছিলাম
-ভাইয়া..জায়গাটা খুব সুন্দর না...?
-হুম...
-আমার মামির ছবি দেখেছিলেন...!!!কিউট না অনেক....!!?
-হুম...
-বাট আমার থেকে বেশি কিউট না...ঠিক না ভাইয়া..?
-হুম...(দীঘশ্বাস ফেলে)
-কি হল ভাইয়া...আমি একাই বকবক করছি..আপনি শুধু হুম হুম করছেন....!!!
-দয়া করে একটু চুপ থাকো।বেশি কথা বল্লে বা শুনলে আমার মাথা ঘুরায়....
কতক্ষন চুপ।
-ভাইয়া একটা কথা বলি...?
-হুম
-আপনার কি গালফ্রেন্ড আছে...?(আস্তে করে)
-হুম....হুম..!!!!!কি.... বুঝি নাই...!!?
-বল্লাম আপনার কি জিএফ আছে....?
-অনেক ফাজিল হয়ে গেছ...টিচারকে জিজ্ঞেস কর তার গালফ্রেন্ড আছে কিনা....!!!!!
-ভাইয়া....একটু বল্লে কি হয়....!!!
-না...নাই
-উফ!!!!!তাহলে আর চিন্তা নাই...
-মানে....?
-কিছু না
আমি তো বুঝতে পারছি কিসের ইজ্ঞিত এটা।আমার টিউশনিটাও মনে হয় গেল...!!
ওর মামার বাসার থেকে আসার দিন ঘটলো আসল ঘটনা।সবাই গাড়িতে উঠছে।আমার ইচ্ছে ছিল বাসে করে আসব।বাস জার্নি টা অনেকের কাছে বিরক্ত লাগলেও আমার কাছে ভালই লাগে।তাই আমি একা যাবার প্লান করে দাড়িয়ে থাকলাম।হঠাৎ দেখি লামিয়া আমার পাশে এসে দাড়ালো
-কিরে লামিয়া...গাড়িতে উঠ...(লামিয়ার মা)
-মা...আমি ভাইয়ার সাথে আসবো...
-মানে কি......!!!(আমি)
-আপনি চুপ থাকেন তো...
-কেন...এই গাড়িতে কি হইছে...!!!
-বমি বমি ভাব লাগে।
-তোর হইছে যত আজাইরা সমস্যা....ইয়ে..নিল....ওকে একটু দেখেশুনে বাসায় নিয়ে এসো।
-হা...!!!!!!জি আচ্ছা....
লামিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখি ভীষন এক্সাইটেড।
TO BE CONTINUED..........

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:২৭

প্রিনস বিএসটিআর বলেছেন: ami to cmnts tai porte parlam na...ki lekche....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.