নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সীমাহীন সমুদ্রে আমি পালবিহীন এক ছোট্র ভেলা

-----

princejohn

**প্রথম পরিচয় হিউম্যান** **দ্বিতীয় টি অবশ্যই বাঙালী**

princejohn › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাস্তিকতা তো হাতের মোয়া, যে চাইলেই পাওয়া যায় বা না চাইলেও দেওয়া যায়

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৩১

এখন নাস্তিকতা হাতের মোয়া ( এক প্রকার শুকনা খাবার যা গুড় ও চিড়া মুড়ির সংমিশ্রনে তৈরী) যাকে ইচ্ছা তাকে দেওয়া যায়। শুধু বলে দিলাম তুই নাস্তিক আর সে নাস্তিক হয়ে গেল। কিন্তু একজন ব্যাক্তি যে নিজেই তার নিজ ধর্ম জানে না সে কীভাবে নাস্তিক হয়। আমি জানি ইতিমধ্যে অনেকের চোখ কপালে উঠে গেছে। এই লোক কি বলে আমি যদি আমার ধর্ম সমন্ধে ভাল জ্ঞান রাখি তাহলে আবার আমি নাস্তিক হলাম কি করে। আসলে ক্লু টা এই খানেই। একজন নাস্তিক হওয়া এত সহজ ব্যাপার না। একজন নাস্তিক হতে হলে আপনার চাই একটা দেড় কেজি ওজনের সার্প ব্রেন আর ধর্ম ও বিজ্ঞানের উপর অসীম জ্ঞান। শুধু নিজের ধর্মের জ্ঞান হলে হবে না, লাগবে সকল ধর্মের উপর ব্যাপক জ্ঞান। আমি তো মনে করি নাস্তিকতা খুব বড় একটা ব্যাপার মানে এক প্রকার সম্মানের। তার কারণ হচ্ছে একজন নাস্তিকই সকল ধর্ম সমন্ধে খুব ভাল জ্ঞান রাখে। যদিও এই মুহূর্তে বাংলাদেশে এই নাস্তিক শব্দটা একেবারেই পা দিয়ে পিশে ধূলোয় মিশিয়ে দিয়েছে। আমি একজন প্রকৃত নাস্তিক কে কোন ভাবেই এই শব্দটা দিয়ে সম্মান বা অসম্মান করব না তার কারণ হচ্ছে এই শব্দটা এখন নোংরা শব্দে পরিনত হয়েছে। আমি কোন ভাবেই বর্তমানে যারা বাংলাদেশে নাস্তিক নামে পরিচিত তাদের নাস্তিক বলব না তার কারণ হচ্ছে এরা না বোঝে ধর্ম না বোঝে বিজ্ঞান, শুধু মাঝখানের একটা অংশ। কথায় বলে অল্প বিদ্যা ভয়ংকর। বর্তমানে যারা নাস্তিক নামে পরিচিত তারা এক কথায় অপরাধী এবং হয়তো ধর্ম বিদ্বেষী। নাস্তিকতার নিয়ম হচ্ছে সর্বদা সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্বা । তার কারণ হচ্ছে একজন নাস্তিকই জানে আসলে সত্যটা কি। এর মানে এই নয়, যে ষাঁড়ের মত চেচিয়ে বা সাহিত্যিক বা লেখকের মত ব্লগ লিখে তা প্রকাশ করতে হবে। আমার ত মনে হয় নাস্তিক ও হ্যাকারদের মধ্যে একটা খুব ভাল মিল রয়েছে। আপনারা যারা হ্যাকার তারা এইটা ভাল বুঝবেন। একজন প্রফেশনাল মানের হ্যাকার হতে হলে আপনাকে অবশ্যই সকল প্রকার প্রোগ্রামিং বা ল্যাংগুয়েজ জানতে হবে। তার কারণ হচ্ছে আপনি যত ভাল কোডিং জানবেন আপনার কাছে কোন সাইটের বা ডাটাবেসের সিকিউরিটি ভেঙ্গে হ্যাক করা ততই সহজ হবে। প্রকৃত নাস্তিকতার ব্যাপারটাও একই রকম, একজন নাস্তিকের অবশ্যই সকল ধর্মের ও বিজ্ঞানের উপর ব্যাপক জ্ঞান থাকতে হবে। যাতে সে নাস্তিকতার প্রধান যে মত গুলো আছে তা প্রমাণ করতে পারে। আর তাই তো বলি নাস্তিকতা এত সহজ ব্যাপার না যে, চাইলেই দিয়ে দেওয়া যায় বা পাওয়া যায়। আমি কিন্তু একজন সাধারণ ধর্ম প্রান লোক।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪২

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: ভালো বলেছেন। আমার মনে হয় একটা অবান্তর বিষয় নিয়ে বর্তমানে এদেশে ক্যাচাল চলতেছে। মানুষের আসল পরিচয় মানুষ।
যারা সাম্প্রদায়িক পরিচয়কে মূখ্য করে দেখে তারা মানুষেরই আওতায় পড়ে না।
আমার একটা লেখার অংশ কপি পেস্ট মারলাম

সমাজের মুসলিমদের মধ্যে কমপক্ষে ৯৮ শতাংশই মডারেট মুসলিম। এরা সবাই সহনশীল। নাস্তিক শুনলে এরা কেও কেও স্বাভাবিকভাবেই নেয়। কেও কেও ক্ষোভ প্রকাশ করে। চেতেও উঠেন। কিন্তু গায়ে হাত তোলে না। হুমায়ূন আজাদ বা রাজীবের গায়ে এরা হাত তোলেনি।
গায়ে হাত তুলেছে কারা??
হিসাবটা খুব সোজা। গায়ে হাত তোলে তারাই যারা ধর্ম বেঁচে খায়। অর্থাৎ ধর্ম দিয়ে যাদের পেট চলে। তারা নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে বা পেট বাঁচাতে অবিশ্বাসীদের গায়ে হাত তোলে। ধর্মের প্রতি দরদ থেকে নয়। নিজেদের পেট বাঁচাতে বা ধর্ম দিয়ে যারা ব্যবসা করে খায় তারা তাদের ব্যবসায়ীক স্বার্থে বারবার আঘাত হানে। অতীতের পুরোহীতেরা বিজ্ঞানীদের পুড়িয়ে মেরেছে। বর্তমানেও ধর্মের সুবিধাবাদী গোষ্ঠীগুলো অর্থাৎ এই ধর্ম বেঁচে খাওয়া লোকগুলোই ভাড়াটে গুন্ডা দিয়ে আঘাত করছে। অথবা পরোকালের বেহেশতের লোভ আর টাকা পয়সা দিয়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাওকে ভাড়া করছে আঘাত করার জন্য। এদের ভণ্ডামি বোঝা যায় একটা ব্যাপার দেখলে, সেটা হলো এরা নিজেরা কিন্তু কখনোই জীবনের ঝুঁকি নেয় না।

ধর্ম দিয়ে তো পেট চালানোর কথা নয়। রাজনীতিও করার কথা নয়। সাম্প্রদায়িক পরিচয় যখন মানুষের প্রধান হয়ে দাড়ায় তখন মানুষ আর মানুষ থাকে না।

জীবনধারনের জন্য ধর্ম পরিচয় অপরিহার্য বিষয় নয়। অপরিহার্য বিষয় তাদের জন্য যারা ধর্ম বেঁচে খায়।
বর্তমান ইহুদি জাতির মধ্যে তাদের ধর্মের প্রতি খুব যে দরদ আছে তা কিন্তু নয়। কিন্তু একত্র হওয়ার জন্য এবং দুনিয়াব্যাপী অনাসৃষ্টি করে নিজেরা ভালো থাকার জন্য ধর্ম পরিচয় তাদের দরকার। তাদের পরিচয় তারা ইহুদি জাতি। এটাকেও এক ধরনের ধর্ম বেঁচে খাওয়াই বলে।
যে কোনো ধরনের জাতীয়তাবাদও সন্ত্রাসিমূলক ধারণা। যেভাবেই হোক নিজেরা ভালো থাকো। সাম্প্রদায়িক চেতনার মধ্যে অর্ন্তনিহিত থাকে, ‘নিজের সম্প্রদায়ের লোকেরা ভাই ভাই, বাকীরা চুদির ভাই’।
বিশ্বের বড় বড় অশান্তির মূলে রয়েছে সাম্প্রদায়িক তথা জাতীয়তাবাদী চেতনা। ইতিহাস তাঁর সাক্ষী। ইহুদি নিয়ন্ত্রিত যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই ধর্মকে ব্যবহার করছে সাম্রাজ্যবাদ বিস্তারের হাতিয়ার হিসেবে। তালেবান নামক গোষ্ঠীটি তাদেরই সৃষ্টি। মুসলিমদের জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করে তারা তা মিডিয়ায় প্রচার করে। নিজ সম্প্রদায়ের লোকজনকে বুঝিয়ে মুসলিম দেশগুলোর তেল সম্পদ দখল করার জন্য আক্রমণ বৈধ করাই তাদের লক্ষ্য। যুগ যুগ ধরে ধর্ম, জাতীয়তাবাদ তথা সাম্প্রদায়িক চেতনাকে বিক্রি করছে সাম্রাজ্যবাদীরা। উপনিবেশিক আমলেও আমরা ব্রিটিশদের দেখেছি এদেশের ধর্মীয় বিভেদকে ব্যবহার করতে। আগে হিন্দু ব্রাহ্মণদের দেখেছি, ধর্মকে ব্যবহার করতে।
সম্প্রদায় যতদিন থাকবে ততদিনই সাম্প্রদায়িক স্বার্থ থাকবে। আর সাম্প্রদায়িক তথা জাতীয়তবাদী চেতনাকে বিক্রি করে ফুলে ফেঁপে উঠতে থাকবে শক্তিশালী সম্প্রদায়গুলো। চলতে থাকবে নানাভাবে এবং নানা উদ্দেশ্যে এর ব্যবহার।
মানুষের মানবিক পরিচয়ই আসল পরিচয়। আর কোনো পরিচয় ‘মানুষের’ দরকার নেই। কিন্তু মানুষ কখনোই ‘মানুষ’ হয়ে উঠে নি। তাঁর পরিচয় ধর্ম, বর্ণ, গোত্র তথা জাতীয়তাবাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ। এ পৃথিবীর রুপ-রস, সম্পদ গণমানুষের জন্য নয়। যে সম্প্রদায়ের শক্তি আছে শুধু তাদের।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫০

princejohn বলেছেন: হুম, আপনিও ভাল লিখেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.