![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
**প্রথম পরিচয় হিউম্যান** **দ্বিতীয় টি অবশ্যই বাঙালী**
আত্না বলতে আমরা সাধারণত এমন কিছুকে বুঝি যা বায়বীয়। এবং যার একটা আকার আকৃতি আছে তবে অদৃশ্য। এবং অবশ্যই যেটা আমাদের দেহের মধ্যে কোন এক জায়গায় থাকে। এবং আমরা মনে করি যদি এটা আমাদের শরীর থেকে বের হয়ে যায় তাহলে আমরা মারা যাব। আবার অনেকে মনে করে ঘুমের ঘরে আত্না ও শরীর আলাদা হয়ে যায় এবং আমরা তখন এক প্রকার মৃত হয়ে যাই। তবে প্রকৃত সত্য হল আত্নার কোন অস্তিত্বই নেই। মানুষ কিংবা কোন প্রানীরই কোন আত্না নেই। আমাদের যে, আত্না নেই তার কিছু প্রমান নিচে দিলাম।
১। যদি আত্না আমাদের শরীরে থাকত বা থাকে এবং যদি আত্না বায়বীয় হয়। তাহলে অবশ্যই আত্নার আকার- আকৃতি ও ওজন বা ভর থাকবে এবং যে বস্তুর ভর বা ওজন ও আকার আকৃতি আছে । তার থাকার জন্য অবশ্যই জায়গা থাকবে বা লাগবে। তবে আমাদের শরীরে এমন কোন জায়গা নেই যেখানে আত্নার জন্য নির্দিষ্ট জাগয়া আছে।
২। মানুষ যখন জন্মায় তখন সর্ব প্রথম আমাদের শরীরের যে অঙ্গটা তৈরী হয় তা হল আমাদের হার্ট বা হৃদয়। মায়ের গর্ভে কোন শিশুর বয়স যখন মাত্র আট দিন তখনই কয়েকটা মাত্র সেল বা কোষের সমষ্টিতে হার্টের সৃষ্টি হয় এবং বিট মারতে থাকে এবং তা সারা জীবন ধরে চলে। এটাই হল আমাদের প্রকৃত প্রান তবে আমরা আত্না বলতে যা বুঝি একেবারেই তা না। যদি আমাদের আত্না থাকত তাহলে আমাদের দেহে সবার আগে আত্নাই আসত।
৩। যদি জিজ্ঞাসা করি আত্নার কাজ কি? যদি আপনি বিশ্বাস করেন যে আত্না আছে তাহলে কি উত্তর দিবেন।
২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০৫
নানাভাই বলেছেন: মাঠ এখন বলের বাহিরে!
৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:১৪
আশিকুজ্জামান পিয়াশ বলেছেন: প্রিয় পোস্টের তালিকায় থাকা একটিমাত্র পোস্ট- খুবই দরকারি।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৪৬
princejohn বলেছেন: কিন্তু প্রিয়তে তো রাখলেন না।
৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:২৬
জিয়ান আহমেদ বলেছেন: মানুষের আত্মাকে Computer software/program এর সাথে তুলনা করলে পাই, software বায়বীয় নয়, ভর নেই, থাকার জন্য জায়গা দরকার নেই(কারণ এটা কোন পদার্থ না)। কিন্তু এর অস্তিত্ত অনুভব করা যায়। আগে Hardware তৈরি হয় তারপর software প্রবেশ করান হয়। মানুষের কোন আত্মা নেই বললে বুঝাবে Computer এ কোন software নেই।
যদি জিজ্ঞাসা করি software এর কাজ কি? যদি আপনি বিশ্বাস করেন যে software নাই তাহলে কি উত্তর দিবেন।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৪৪
princejohn বলেছেন: প্রথম কথা হল যদি সফটওয়্যার থাকার জন্য জায়গার দরকার না থাকত, তাহলে হার্ডডিক্স কিসের জন্য।সফটওয়্যার হল এক প্রকার কোডিং তবে অতি ক্ষুদ্র মানুষের সফটওয়্যার এর কাছে। মানুষের ও সফটওয়্যার আছে তার নাম ডিএনএ। আপনার অনুমান এক প্রকার ঠিকই আছে তবে এটা আপনাকে স্বীকার করতেই হবে যে, মানুষের আত্না নেই। তবে এমন একটা অতি উন্নত সফটওয়্যার আছে।
৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৯
সিবাক বলেছেন: আধুনিক বিজ্ঞান দিয়ে ব্যপারটা আলোচনা করা যায়,
মানুষ জৈবিক জীব, আর এই দেহের সমস্ত কাজ পরিচালনা করে মানুষের মস্তিষ্ক,
মস্তিষ্ক পরিচালনাকৃত কাজের বেশিরভাগই পরিচালিত হয় আমাদের অজান্তেই, অর্থাৎ কাজের এইসব তথ্যগুলো আমাদের কাছে আসেই না, কিন্তু মস্তিষ্ক তার কাজ করেই চলেছে।
এই মস্তিষ্কই কিন্তু আমরা বা কোন ব্যক্তি না,
আমরা বা কোন ব্যক্তি হলো আমাদের দেহে অবস্থানকৃত 'চেতনা', মন, চিন্তা ভাবনা
চেতনার আকার আকৃতি বা অবস্থান, এটাকে এভাবে ব্যক্ষা করা যাবে না,
এই চেতনাই হলো আমরা, জৈবিক দেহ নিয়ে সতন্ত্র এক একজন মানুষ।
এই 'চেতনা' কে একভাবে বলা যেতে পারে সমষ্টিগত তথ্য,
যে কোন প্রানি কিভাবে বিকাশিত ও পরিচালিত হবে তা দেয়া থাকে DNA-এর তথ্যে, আর সেভাবেই সমস্ত প্রানিজগৎ ক্রিয়াশীল ও নিয়ত্রিত,
DNA-এর তথ্য আছে বলেই আমারা বিকাশিত হয়েছি, আমারা আছি।
'চেতনা'কে সম্পর্নরূপে জানা এখন পর্যন্ত সম্ভব হয়নি,
কেননা চেতনা, চিন্তা ভাবনার আপাতভাবে কোন সীমা-পরিসীমা নেই
মানুষ জৈবিক ভাবে জীবিত থাকে এই চেতনার জন্য,
চেতনার সাথে জৈবিক দেহের সম্পর্ক লোপ পাওয়া মানে মানুষের জৈবিক দেহ অচল হয়ে পরা, অর্থাৎ মৃত্যু ঘটা।
এই চেতনাই মানব মস্তিষ্ক ও দেহের মূল চালিকাশক্তি
Stephen Hawking-এর মতে, চেতনার এই উপস্থিতির পেছনে অবস্যই কোন কারন আছে, কোন সুনির্দিষ্ট কারন ছাড়া চেতনার উপস্থিতি সম্পুর্ন অসামঞ্জস্যপূর্ন। [Stephen Hawking's Grand Design]
এই চেতনা, মন, চিন্তাশক্তিই হল আত্না, সংক্ষিপ্তভাবে এভাবেই বলা চলে।
৬| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫৮
মোঃ আল-আমিন হোসেন সিয়াম বলেছেন: পৃথিবীতে অনেক কিছুরই আকার, আকৃতি, ওজন, ভর কিছুই নেই । তারপরেও তার অস্তিত্ব আছে ।
যেমনঃ চিন্তা, চেতনা, অনুভূতি কিংবা স্রষ্টা ।
অতি প্রাকৃতিক এই পৃথিবীর সকল রহস্য কেউ জানতে পারবে না এটাই সত্য।। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব কিন্তু প্রকৃতির রহস্য বোঝার মতো ক্ষমতা মানুষের এক বিন্দুর লক্ষ্য-কোটি ভাগের এক ভাগও নাই।।
আপনার কথা বিশ্বাস করতে হলে -- স্রষ্টার অস্তিত্বও খুঁজে পেয়ে তারপর তাঁর উপর বিশ্বাস করতে হবে । যেটা কারো পক্ষেই সম্ভব না ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০২
নানাভাই বলেছেন: বড় চিন্তার কতা কইলেন!