নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সীমাহীন সমুদ্রে আমি পালবিহীন এক ছোট্র ভেলা

-----

princejohn

**প্রথম পরিচয় হিউম্যান** **দ্বিতীয় টি অবশ্যই বাঙালী**

princejohn › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বাস করুন বা নাই করুন, আপনার বাসায় ও একটা টাইম মেশিন আছে

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:২৫

বর্তমানে বিজ্ঞানের অনেকগুলি আলোচিত বিষয়ের মধ্যে অন্যতম কিছু বিষয় হল

১। টাইম মেশিন

২। ডার্ক মেটার ও

৩। ব্লাকহোল



টাইম মেশিন সম্পর্কে আমাদের একটা সাধারণ ধারনা হল, এটা আমাদের ভবিষতে ও অতীতে নিয়ে যেতে পারে। এবং আমরা ভবিষৎও অতীতে বর্তমানের মতই সবকিছু করতে পারব। একবার চোখ বন্ধ করে ভাবুন আপনি ভবিষতে পৌছে গেছেন। ভবিষতে গিয়ে কি দেখবেন, হয়তো দেখবেন বংলাদেশ ১০০ বছর এগিয়ে গেছে। হয়তো দেখবেন গাড়ি মাটিতে না চলে আকাশে চলছে, হয়তো দেখবেন সম্পূর্ন একটা নতুন পৃথিবী। এবার একবার নিজের শরীরের দিকে তাকান, কি দেখলেন, দেখবেন আপনি প্রায় আগের মতই আছেন। আপনার বয়স তেমন বাড়েনি আপনার চুলও পাকেনি। কিন্তু বাকি পৃথিবীই পাল্টে গেছে। পৃথিবী এগিয়ে গেছে একশ বছর। এখন প্রশ্ন হল আপনি কেন পাল্টান নি, যেহেতু বাকী পৃথিবী পাল্টে গেছে। আপনি ভবিষতে গিয়ে আরেকটা জিনিস লক্ষ্য করবেন যে, আপনি অতীতে যেখান থেকে টাইম মেশিনে উঠেছিলেন সেখানেই নেমেছেন অর্থ্যৎ স্থানের কোন পরিবর্তন হয়নি তবে পারিপার্শিক বিষয় বস্তু সকলই পরিবর্তন হয়ে গেছে। এখন আপনার মনে কিছু প্রশ্ন জাগবে হয়তো

১। আপনার বয়স কেন বাড়েনি?

২। আপনি একই স্থানে আছেন কেন?

৩। আপনি কি পুনরায় অতীতে ফিরে যেতে পারবেন মানে যেখান থেকে এসেছিলেন সেখানে?



অনেকেই ভাবে যদি ভবিষৎ দেখে আসতে পারতাম তাহলে আগে থেকেই ভবিষৎ অনুযায়ী কাজ করতাম। আপনি ভবিষৎকে কোন ভাবেই পাল্টাতে পারবেন না। এমনকি অতীতকেও না। সত্য হল আপনি পৃথিবীর কোন টাইম মেশিন দিয়েও ভবিষতে যেতে পারবেন না। আপনি বর্তমানে টাইম মেশিনে উঠবেন আর বর্তমানেই নামবেন। এই বর্তমান শুধু আপনার জন্য ও আপনার টাইম মেশিনের ভিতরের সময়ের জন্য। তবে যদি টাইম মেশিনের বাইরে থেকে দেখি তাহলে দেখব আপনি বর্তমানে উঠেছিলেন এবং ভবিষতে গিয়ে নেমেছেন। টাইম মেশিন হল এমন একটা যন্ত্র যার ভিতর আপনি ঢুকলে আপনার জীবনের নির্দিষ্ট কিছু বছর অতিবাহিত হয়ে যাবে। ব্যাপারটা আরও সহজ করা যাক এই ভাবে ধরুন আপনি আপনার ছোট ভাইটাকে একটা মেশিনের ভিতরে ঢুকালেন এবং সেইটা ১০০ বছর পরে খুললেন। তাতে কি হবে আপনার ভাই ইতিমধ্যেই টাইম ট্রাভেল করে ফেলেছে। এবং সে যখন বের হবে তখন বাইরের পৃথিবী ১০০ বছর উন্নতি লাভ করেছে কিন্তু আপনার ভাই সেই ১০০ বছর আগের মতই আছে। ওর কাছে এই ১০০ বছর হয়তো ছিল মাত্র ১ দিন। ও বের হয়ে দেখবে পৃথিবী এক দিনে ১০০ বছরের ব্যবধানে বদলে গেছে। তবে সে যেই স্থানে ছিল সেই স্থানেই আছে অর্থ্যাৎ জায়গার পরিবর্তন হয়নি।





তার মানে হচ্ছে ধরুন আপনি আজকে ২০১৩ তে টাইম মেশিনে ঢুকলেন এবং আপনি চান ১০ বছর পরের ভবিষতে ২০২৩ যাবেন। তাহলে আজ ২০১৩ থেকে ভবিষতের ১০ বছর ২০২৩ পর্যন্ত যে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতেন তা হারাবেন বা তা থেকে বঞ্চিত হবেন। টাইম মেশিন আপনাকে ১০ বছর এগিয়ে নিয়ে যাবে। আবার ধরুন আপনি ২০১৩ তে টাইম মেশিনে ঢুকলেন এবং ২০০৩ এ যাবেন। এটাকে এক কথায় বলব Impossible। আপনি ২০১৩ থেকে ২০০৩ এ যেতে পারতেন, যদি আপনি ২০০০ সালে বা তারও আগে টাইম মেশিনে করে ২০১৩ তে আসতেন। তার মানে হচ্ছে আপনি ভবিষৎ থেকে অতীতে যেতে পারবেন কিন্তু বর্তমান থেকে কোন ভাবেই অতীতে যাওয়া সম্ভব না। আমার কথায় আপনার অনেক প্রশ্ন আসবে অবশ্যই তবে শুধু এতটুকু বলতে পারি লেখাটা টাইম মেশিনের সকল বৈজ্ঞানিক নিয়ম মেনে লেখা। টাইম মেশিন আসলে কিছুটা কাজ করে আপনার ঘরের ফ্রিজ এর মত। প্রকৃত পক্ষে আপনি প্রতিদিনই আপনার খাবার গুলোকে তাপ নিয়ন্ত্রিত ট্রাভেল করান। তবে ফ্রিজের তাপ নিয়ন্ত্রিত ট্রাভেল হয় তাপ মাত্রা নিয়ন্ত্রন করে আর টাইম মেশিনের টাইম ট্রাভেল হয় সময়কে নিয়ন্ত্রয় করে। টাইম মেশিন অনেক উপায়ে বানানো যায় তবে এর মূল মন্ত্র হল এমন একটা ভর সৃষ্টি করা। যার ফলে সময়ের নিয়ম গুলোই পাল্টে যাবে। আর সময়ের মধ্যে দিয়ে সুরঙ্গ করে চলে যাবেন ভবিষতে। তবে সুরঙ্গ করা মানে এই নয় যে, আপনার টাইম মেশিনের চাকা থাকবে আর সেটা গাড়ির মত চলতে শুরু করবে। বাস্তবিক আমরা বিভিন্ন মুভিতে অদ্ভুত সব টাইম মেশিন দেখে এতটাই অভ্যস্ত হয়ে গেছি যে, প্রকৃত টাইম ট্রাভেল আমাদের ভালই লাগবে না। আসলে টাইম মেশিন যেভাবে কাজ করে এই ভাবে, ধরুন আপনি টাইম মেশিনে বসেছেন মেশিন চালু করেছেন এবং মেশিন আলোর গতিবেগে ঘুরতে শুরু করেছে। আর এই ঘূর্ননের ফলে মেশিনের ভিতরের স্থানীয় সময় বা কাল এত ধীর হয়ে যাবে যে, আপনি যদি মেশিনের ভিতরে কাটান এক মিনিট বা এক দিন তাহলে মেশিনের বাইরে হয়ে যাবে হয়ত এক বছর। আর এটাই হল টাইম ট্রাভেল। সময় কে ধীর করার মত অনেক উপায় আছে আর যে কোন একটা উপায় ব্যবহার করে যে কেউই তৈরী করতে পারে টাইম মেশিন আর এর মধ্যে সবচেয়ে সহজ উপায় হল মেশিনকে সেকেন্ডে ৩০০০ কিলোমিটার দ্রুত গতিতে ঘুরানো। আর এই সহজ কাজটাই সবচেয়ে কঠিন। আপনি যদি আলোর গতিবেগে কোন কিছুকে নিযে যেতে পারেন তাহলে আপনই হবেন টাইম মেশিনের জনক। কিছুদিন আগে দেখলাম এক ইরানী বিজ্ঞানী টাইম মেশিন বানিয়েছে হাত দিলে নাকি ৫-৮ বছরের ভবিষৎ বলে দিতে পারে। প্রকৃত টাইম মেশিনে এ ধরনের কোন কিছু নাই। ওইটা হল ভাগ্যকে গননকারী যন্ত্র।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৩৭

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন:

৩০০০ কিলোমিটার দ্রুত গতিতে ঘুরলে মানুষ বাঁচবে কি করে!!!???

আমি চরমু না।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০৮

princejohn বলেছেন: পুরো মেশিন তো ঘুরবে না। ঘুরবে শুধু মেশিনের বাইরের যন্ত্রগুলো। আর এমনি ৩০০০ কিলোমিটার গতিতে মানুষের দেহ পুটি মাছের খাবার হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.