![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
**প্রথম পরিচয় হিউম্যান** **দ্বিতীয় টি অবশ্যই বাঙালী**
আমি একবার মানব জাতির বয়স জানতে ইন্টারনেট ঘেঁটে এই সিধান্তে এসেছিলাম যে, মানব জাতির সর্বচ্চো বয়স ২.৫-৩ মিলিয়ন বছর তার মানে ২৫-৩০ লক্ষ বছর এই পর্যন্ত পাওয়া সর্বচ্চো পুরাতন মানুষের কঙ্কাল এর বয়স এক লক্ষ আশি হাজার বছর এবং এটা পাওয়া গিয়েছিল আফ্রিকাতে একটি মৃত আগ্নেয়গিরির জলাশয়ে তবে আধুনিক মানব জাতির বয়স মাত্র ৭০ হাজার বছর ২৫-৩০ লক্ষ বছর ধরে মানুষ শুধুমাত্র বিবর্তিত হয়েছে। আমরা কম বেশি সকলেই জানি মানব জাতির বিবর্তন, বানর থেকে মানব। এ এক বিশাল ইতিহাস ও বিবর্তন। লেজ বিহীন বানর থেকে মানব। এই লেজ বিহীন বানর গুলোকে এখনও আফ্রিকাতে দেখতে পাওয়া যায়। ধারনা করা হয়, বন থেকে খাদ্যের সন্ধানে সমতল ভূমিতে নেমে এসেছিল এবং সমতল মরুভূমিতে দ্রুত চলার জন্য নিজেকে চার হাত পায়ে হাটা থেকে দুই পায়ে হাটাতে বিবর্তিত করেছিল। এবং সমুদ্রের অত্যধিক প্রোটিন যুক্ত খাবার খেয়ে মষ্তিষ্কের বিকাশ ঘটিয়েছিল। যাকে এখন আমরা বলি শী-ফুড। এভাবেই আস্তে আস্তে মানুষে রুপান্তরিত হয়েছে। সর্বোপরি ৭০ হাজার বছর পূর্বে আমাদের পূর্ব পুরুষেরা আফ্রিকা থেকে বের হয়ে অন্যান্য মহাদেশগুলোতে যাত্রা শুরু করে তবে একটা মজার তথ্য হল আজ থেকে ১৫০ হাজার বছর পূর্ব থেকে ইউরোপে আরেক ধরনের মানুষ ছিল যাদের কে বলা হয় নিয়ানডারথাল তারা ৭০ হাজার বছর পূর্বের আফ্রিকানদের চেয়ে আকার আকৃতিতে ছিল বেশ বড় সড় তবে তাদের কোন সুসংগঠিত ভাষা ছিল না তারা কথোপকথনে ছিল ব্যর্থ এবং এই ব্যর্থতার জন্য দায়ী ছিল তাদের মষ্তিষ্কের গঠন তাদের ব্রেন সঠিক ভাবে বিকশিত হতে পারে নি, কারণ তাদের মাথার খুলির সাইজ ছিল আমাদের চেয়ে একটু ছো্ট আকারের আফ্রিকানরা ৭০ হাজার বছর পূর্বে সর্বপ্রথম সমুদ্রের উপকূলীয় অঞ্চল ধরে বসতি স্থাপন করতে করতে আফ্রিকা থেকে দক্ষিন এশিয়া তথা ভারত ও এর আশে পাশে অঞ্চলে এসে পৌছায় এরপর ক্রমান্বয়ে অস্ট্রেলিয়া,চীন ও এশিয়ার বিভিন্ন স্থানে পৌছে যায় এবং তাদের বসতি স্থাপন করে এবং অন্যান্য আফ্রিকানরা ক্রমান্বয়ে আমেরিকা ও ইউরোপে পৌছে যায় আফ্রিকানদের সর্বশেষ যাত্রাটা হয় ইউরোপের উদ্দেশ্যে আজ থেকে প্রায় ৪৫ হাজার বছর পূর্বে এবং ইউরোপে আফ্রিকানরা নিয়ানডারথালদের সাথে প্রায় ৫ হাজার বছর বসবাস করে এবং ধারনা করা হয় আমরাই তাদের শিকার করে খেয়ে ফেলেছি অর্থাৎ আফ্রিকানরা আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে তাহলে কেন এই বৈচিত্র মানে সাদা কালো আর লম্বা খাঁটো আমরা অর্থাৎ দক্ষিন এশিয়ার লোক কালোই থেকে যাই তার কারণ আমরা উষ্ণ অঞ্চলে সেই প্রথম থেকেই বাস করছি এবং আমদেরকে রোদে পুড়তে হয় তাই আজ আমরা কালো এবং আমাদের প্রধান খাদ্য শস্য ধান তাই আমরা বেঁটে চীন,কোরিয়া,জাপান আমাদের চেয়েও বেঁটে তার কারন তাদের প্রধান খাবার ছিল ভাত এবং সবজি মাছ অথবা মাংশ না থাকায় খাবারের তালিকায় না থাকায় শরীর খুব বেশি বাড়েনি এছাড়া ভৌগোলিক কারণ যুক্ত থাকতে পারে আমেরিকান, ইউরোপিয়ান ও অষ্টেলিয়ানদের প্রধান খাবার ছিল গমের রুটি ও মাংস এবং প্রায় ২০ হাজার বছর ধরে তারা শীতল তাপমাত্রার সঙ্গেঁ মানিয়ে নিয়ে দেহের রং পরিবর্তন করেছে আজ সমগ্র পৃথিবীর মানুষের ধমনীতে বইছে আফ্রিকান রক্ত আমাদের প্রত্যেকের ডিএনএতে রয়েছে আফ্রিকা থেকে বিবর্তিত হওয়ার চিহ্ন আমরা প্রত্যেকে আফ্রিকান এবং এই পৃথিবীর একমাত্র উন্নত জীব বা জাতি আমরা হিউম্যান, আজ পৃথিবীর সর্বএ থেকে সত্য বেরিয়ে আসছে হাজার হাজার সত্য যা বলা বারণ
আশা করি একটা কমেন্ট করবেন।
২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১৭
দিশার বলেছেন: সুন্দর পোস্ট ভাইয়া। একটা ছোট কারেকশন, মানুষ বানর থেকে আসে নি, মানুষ আর বানরের বিবর্তন একই ধরনের কমন পূর্বপুরুষ থেকে হয়েছে। মানুষ কে বানরের দুরসম্পর্কের "কাজিন" বলা যেতে পারে কমন ভাষায়।
এটা একটু কারেক্ট করে দেন প্লিজ পোস্ট য়ে .
২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:২৬
princejohn বলেছেন: মানুষের বিবর্তন এর ব্যাখা দিলে এই রমক আরো দশটা পোষ্ট করা যাবে। তবে আমি বিস্তারিত লিখি নাই। শুধু সাধারণ ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। মানুষ বা বানর দুটোই এসেছে ইদুর প্রজাতির এক প্রকার প্রানী থেকে। আপনাকে ধন্যবাদ মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৫৬
অলস ঘোড়া বলেছেন: সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ ।
২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০৬
princejohn বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। বিস্তারিত অনেক কিছুই লেখার ছিল।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১০
মরমি বলেছেন: তথ্যসূত্র দিলে ব্যাপারটা আরো পরিস্কার হতো।