নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সীমাহীন সমুদ্রে আমি পালবিহীন এক ছোট্র ভেলা

-----

princejohn

**প্রথম পরিচয় হিউম্যান** **দ্বিতীয় টি অবশ্যই বাঙালী**

princejohn › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিল টিম সিক্স, আমার সবচাইতে পছন্দের টিম in the world

২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৫৩

খুব বেশি জানি না, আমার এই প্রিয় টিমটার ব্যাপারে। তবে যতটুকু জানি তাতেই আমি মুগ্ধ। আর জানবোই বা কিভাবে, কারণ এরা হল সারা পৃথিবীর মধ্যে সবচাইতে সিক্রেট টিম। প্রতি বছর এক বার সদস্য নেওয়া হয়। তবে প্রচার করে না গোপনে বিশেষ বিশেষ টিমের আগ্রহী সদস্যদের বাছাই করা হয় । যেমন ধরুন একজন পুলিশ অথবা একজন এফবিআই বা একজন মেরিন। তবে মজার ব্যাপার যারা সিলটিম সিক্স এ সদস্য হতে আসে তাদের মধ্যে ৭০ শতাংশই, প্রথম থেকে দ্বিতীয়তম বাছাই পর্বে বাদ পড়ে যায়। সর্ব প্রথম শারীরিক কার্যক্ষমতা বাছাই বা যাচাই। একে একে বিভিন্ন কঠিন পরীক্ষা যা করলে সাধারণ লোক আধা মরা হয়ে যাবে। দু পা বেঁধে পানির নিচে সাঁতরানো এবং মাস্ক পড়া। ঘন্টার পর ঘন্টা ঠান্ডা পানিতে ডুব দেওয়া, শুয়ে থাকা, এবং সাঁতরানো । আর কত কি যে আছে তার শেষ নাই। শুধুমাত্র ৬ মাস শারিরীক পরিক্ষা এবং ট্রেনিং যদি প্রথম,দ্বিতীয় কেউ টিকে যায়। এরপর আছে মানসিক পরীক্ষা এবং বিভিন্ন ভাবে মানসিক চাপের মধ্যে ফেলে ট্রেনিং দেওয়া। এরপর আছে অস্ত্র চালানোর ট্রেনিং এই পৃথিবীতে এমন কোন অস্ত্র নাই যা একজন সিল চালাতে জানে না। পৃথিবীর যে কোন দেশের যে কোন ধরনের যে কোন অস্ত্র চালাতে এক্সপার্ট। এ তো মাত্র ১% বললাম। সকল ট্রেনিং এর পরে আবার সর্বশেষ বাছাই পর্ব ভোট দেওয়া হয়ত আপনার বন্ধুই আপনাকে ভোটে পরাজিত করবে যদি আপনি তার মন মত না হন। বা যদি সে আপনার উপর ভরসা করতে না পারে। তাহলেই আপনি সকল ট্রেনিং করার পর বাদ পড়বেন। এই ব্যাপারটা ট্রেনিং এর আগে কোন ভাবেই বোঝা যায় না। সিল এর টাকার কোন অভাব নাই। যা মন চায় তাই তারা বানাবে, তাদের যা দরকার নিজেদের অস্ত্র নিজেরা তৈরী করবে। এবং যদি তাদের জন্য কোন অস্ত্র বানানো হয় তবে যদি তাদের পরীক্ষায় পাশ না করে তাহলে তা বাদ। সারা পৃথিবীর মধ্যে মাত্র তিন জন ব্যক্তির আদেশ তারা মানে। তাদের উপরের দুই জন বস এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। কোন মিশনে গেলে প্যান্টের বাম পাশের পকেটে অগনিত ডলার, ডান পাশে একটা পিস্তল অবশ্যই থাকবে। এছাড়া যে মিশনে তারা যাচ্ছে সেই মিশনের জন্য যথোপযুক্ত অস্ত্র । তারাই একমাত্র যারা আকাশ পানিতে বা মাটিতে সমান ভাবে আক্রমণ করতে পারে। ২০০০ ফুট এরও বেশি পানির গভীরে যেতে পারে কোন প্রকার সমস্যা ছাড়াই। যা একজন প্রফেশনাল ডাইভারও পারবে না। তাদের গুলির নিয়ম হল ডাবল ট্যাব। একটা গুলি মাথায় আর একটা বুকে। অথবা দুইটা গুলি ১০ সেন্টি মিটার পর পর মাথায়। এতে এমন ক্ষতি হয় যে, কয়েক সেকেন্ড এ মৃত্যু অনিবার্য। এদের ব্যাপারে বলে শেষ করা যাবে না। তবে যতটুকু জানি তা অতি সামান্য। একজন সিল হলে প্রথমে আপনাকে যা বলবে তা হল তুমি হয়ত তোমার ৩০তম জন্ম দিন পালন করতে পারবে না। এবং তুমি Harvard University এর দুজন ছাত্রের চেয়েও বেশি মেধাবী। একজন সিল বছরের প্রায় ৩০০ দিনই কাজে ব্যস্ত থাকে। তাই তাদের প্রায় প্রত্যেকেরই দুইবার বিয়ে হয়। একজন সিল একটা বই দুই-তিন ঘন্টার মধ্যে মুখস্থ করে ফেলতে পারে। তারা প্রায় পৃথিবীর সকল ভাষা বোঝার ক্ষমতা রাখে এবং পৃথিবীর যেকোন জায়গায় যেকোন সময় পৌছে যেতে পারে। তাদের উল্লখযোগ্য একটা বিফল মিশনের নাম হল ব্লাক হক ডাউন। এ নিয়ে একটা মুভিও আছে। দ্যা ব্লাক হক ডাউন এটা হয়েছিল সোমালিয়াতে। অনেক কিছু লেখার ছিল। সব মনে আসছে না।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০২

হ্যারিয়ার টু বলেছেন: বাঙ্গালী কেউ আছে সিল টিমে?

২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০৫

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: কাগজ-কলমে নেভি সিলের নাম নেভাল স্পেশাল ওয়্যারফেয়ার ডেভেলপমেন্ট গ্রুপ। তবে ডেভগ্রু নামেই এটি বেশি পরিচিত।এ বাহিনীর সবাই সেরা কমান্ডো।অত্যন্ত গোপন কোনো অভিযান পরিচালনার জন্য পাঠানো হয় এ বাহিনীকে।তাদের হাতে রয়েছে বিশ্বের সর্বাধুনিক সামরিক প্রযুক্তি।তাদের সরঞ্জাম সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য জানা গেছে।এগুলোর মধ্যে রয়েছে অত্যাধুনিক ব্লাকহক হেলিকপ্টার, মনুষ্যবিহীন বিমান, দূর নিয়ন্ত্রিত রোবট, দ্রুত রং পরিবর্তনশীল নিরাপত্তা চশমা, উড়াল গাড়ি প্রভৃতি।

অত্যাধুনিক ব্লাকহক হেলিকপ্টার : অ্যাবোটাবাদের অভিযানে নেভি সিলের যে কটি হেলিকপ্টার অংশ নিয়েছিল, সেগুলোর একটি কারিগরি ত্রুটির কারণে বিন লাদেনের বাড়ির চত্বরে বিধ্বস্ত হয়। এটি তৈরির প্রযুক্তি যাতে অন্যদের হাতে না যায়, সে জন্য বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি ধ্বংস করে ফেলা হয়। কিন্তু এর পেছনের কিছু অংশ সীমানাপ্রাচীরের ওপর পড়ে ছিল। সেটি দেখেই বোঝা যায় এটি আসলে সাধারণ কোনো ব্লাকহক হেলিকপ্টার ছিল না। পেছনের পাখাগুলো ছিল সাধারণ পাখার চেয়ে অতিমাত্রায় পাতলা। প্রচণ্ড জোরে ঘুরলেও এর শব্দ অনেকটাই ক্ষীণ। একইভাবে তৈরি মূল পাখাগুলোও। এ কারণে অনেকটাই নিঃশব্দে উড়ে বেড়াতে পারে এ হেলিকপ্টার। এসব হেলিকপ্টার ইনফ্রারেড সেন্সর দিয়েও চিহ্নিত করা সম্ভব হয় না। বিন লাদেনের কাছে বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র থাকলেও এ হেলিকপ্টার লক্ষ্য করে ছোড়া সম্ভব হতো না।

মনুষ্যবিহীন বিমান : লকহিড আরকিউ-১৭০ সেন্টিনেল নামের মনুষ্যবিহীন এ বিমানে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র থাকে না। লাদেনের বাড়িতে চালানো অভিযানে নজরদারি করা হয়েছে এ বিমানের সাহায্যে। কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে এ বিমান থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত ভিডিওচিত্র দেখে কমান্ডোরা ওই বাড়ির চত্বরের কোথায় কে আছে, তা দেখে অভিযান চালিয়েছে। অভিযানের কয়েক মাস আগে থেকেই পাকিস্তানের রাডারকে ফাঁকি দিয়ে এ বিমানের সাহায্যে লাদেনের বাড়ির ওপর নজরদারি করা সম্ভব ছিল।

দূরনিয়ন্ত্রিত রোবট : নেভি সিল ২০০৯ সালে মার্কিন কম্পানি রেকন রোবটিকসের তৈরি করা এ রোবট কেনে। এর আকার বিয়ারের ক্যানের মতো। ইনফ্রারেড ক্যামেরার সাহায্যে এ রোবট অন্ধকারেও ঘটনাস্থলের ভিডিওচিত্র ধারণ করে তারবিহীন ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে অপারেটরের কাছে পাঠাতে সক্ষম। রেকন রোবটিকস পুলিশ বাহিনীর কথা মাথায় রেখে এ রোবট তৈরি করেছে। সম্প্রতি মার্কিন নৌবাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে তারা এ রোবটের উন্নত সংস্করণ তৈরি করতে সক্ষম হয়। চুম্বকের সাহায্যে এ রোবট জাহাজের গা বেয়ে ডেকেও উঠে যেতে পারে।

দ্রুত রং পরিবর্তনশীল নিরাপত্তা চশমা : মার্কিন নেভির গবেষণা দপ্তর জানিয়েছে, গত জানুয়ারিতে তারা সিল সদস্যদের জন্য প্রথম ৩০ জোড়া এ ধরনের নিরাপত্তা চশমা সরবরাহ করেছে। এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক স্টিফেন এভারেট বলেন, কমান্ডোরা সাধারণত একে অপরের মধ্যে বিনিময়যোগ্য লেন্সের চশমা ব্যবহার করে। নির্দিষ্ট আলোতে তারা হাতের সাহায্যেও এর লেন্স ঠিক করতে পারে। তবে এটা করতেও তারা কোনো সময় পায় না। তাই দ্রুত রং পরিবর্তনশীল নিরাপত্তা চশমার ব্যবহার শুরু করা হয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন বৈদ্যুতিক চার্জের মাধ্যমে এ চশমা হলুদাভ, নীল বা ধূসর রং ধারণ করতে পারে। পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এ চশমা রং বদলাতে পারে। আবার কমান্ডোরা চাইলে হাতের সাহায্যেও বাটন টিপে চশমার রং বদলাতে পারে। আর এই রং বদলাতে আধা সেকেন্ডেরও কম সময় লাগে।

উড়াল গাড়ি ট্রান্সফরমার টিএঙ্গ : দুর্গম এলাকায় নেভি সিলের মতো বিশেষ বাহিনীর কমান্ডোদের বহনের জন্য উড়াল গাড়ি তৈরি প্রক্রিয়াধীন। এক ট্যাংক জ্বালানি দিয়ে এ যান ২৫০ নটিক্যাল মাইল যেতে পারবে। জিপ গাড়ির পাশাপাশি এর ওপরের অংশে থাকবে হেলিকপ্টারের প্রপেলার। গাড়ি হিসেবে চলার সময় ওপরের পাখা ভাঁজ করে রাখা যাবে। আবার ওড়ার দরকার হলে পাখা খুলে হেলিকপ্টারের মতো উড়ে যাবে এ গাড়ি।

Click This Link

২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০৯

princejohn বলেছেন: ভাল

৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০৮

দিশার বলেছেন: ভাই বাংলাদেশ এর নাগরিক হয়ে, আমেরিকার ঘাতক টিম নিয়ে গর্ব করা টা লজ্জা জনক . দুই তিন ঘন্টায় বই মুখস্থ করতে পারা তা একটা গুজব। সীল দের প্রচন্ড শারীরিক ক্ষমতা থাকে, কড়া ট্রেনিং এর মাধ্যমে এটা করা হয়।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:২০

princejohn বলেছেন: এটা গুজব না, এরা এই প্রক্রিয়া ব্যবহার করে যদি কোন সময় একা একা বিপদে বা বন্ধি অবস্থায় থাকে তাহলে, তখন কোন বই বা কিছু তথ্যাদি পড়েই কাজ চালিয়ে নেয়। আবার মেশিন বা কোন কিছু ছাড়া যখন বোমা নিষ্ক্রিয় করার দরকার হয় তখন এই পদ্বতিতে কোন ইন্সট্রাকশন পড়ে নিষ্ক্রিয় করার কাজ করে। বা কোন মিশনে যাবার সময় সেই মিশনের বিবরণ পড়ার সময় বা কোন ভাষা শেখার সময়। ভাই বাঙালী হইছি কিন্তু বাংলা নিয়া গর্ভ করতে পারি না। তার কারণ সারাদিন বিটিভিতে দেখায় যুদ্বাপোরাধীদের বিচার চাই বিচার চাই, বাংলার দামাল ছেলেদের নিয়া গর্ভ করতাম যদি অন্তত্যপক্ষে জানতে পারতাম যে, কয়টা যুদ্ববিমান আছে আমাদের।

৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:১৪

এনাম হক বলেছেন: +++ nice

৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:১৬

ক্ষত্রিয় বলেছেন: পোষ্টের মধ্যে একটু বেশি গাজাখুরি অতিপ্রাকৃত জিনিস ঢুকাইছেন।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:২১

princejohn বলেছেন: দেখাই দেন, থাকলে থাকতেও পারে।

৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৪৭

দিশার বলেছেন: আমি আমি কয়েকজন মার্কিন সোলজার কে চিনি বেক্তিগত ভাবে। তাদের এমন কোন "বিশেষ" ক্ষমতা নাই, "বই" মুখস্ত করে ফেলার মত . ম্যানুয়াল মুখসত করা আর বই মুখস্ত করা এক না রে ভাই। আর হার্ভার্ড ছাত্র সবাই যেমন জিনিয়াস কিসু না তেমন, সেল সদস্যরা দুই জন ছাত্রের চেয়ে মেধাবী এই বক্তব্য বালখিল্যতা .

সীল সদস্য দের কঠিন নির্বাচনী পরীক্ষায় পাশ করতে হয়। সে ক্ষেত্রে বলা যায় তারা অ্যাভারেজ সোলজার এর তুলনায় মেধাবী।

সাধারণ আর্মি "গ্রান্ট" রা একটু বোকা টাইপ এর হয়।

৭| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:২৮

কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: দিশার এর সাথে সহমত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.