নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সীমাহীন সমুদ্রে আমি পালবিহীন এক ছোট্র ভেলা

-----

princejohn

**প্রথম পরিচয় হিউম্যান** **দ্বিতীয় টি অবশ্যই বাঙালী**

princejohn › বিস্তারিত পোস্টঃ

BIID ও GIID (হিজরা) লক্ষ্য করে দেখুন এই দুইটা রোগ আপনার এলাকায় কারও আছে কিনা

০৩ রা জুন, ২০১৩ রাত ৮:৪৭

Body Integrity Identity Disorder



এটা এমন একটা রোগ বা অসুস্থতা যা হলে রোগী মনে করে যে তার শরীরের নির্দিষ্ট একটা অংশ যথাস্থানে থাকার কথা না। ভিন্ন ভিন্ন রোগীর ভিন্ন ভিন্ন অংশ। যেমন ধরুন কারও হাত বা পা। এই রোগ জন্মের সময় কাল থেকেই হয়ে থাকে। এবং রোগীকে প্রচন্ড মানসিক অসুস্থায় ফেলে যখন সে বড় হয় এবং বুজতে পারে যে তার হাত বা পা বা হাত বা পায়ের নির্দিষ্ট একটা অংশ সেখানে থাকার কথা নয়। এটা হল একটা মস্তিষ্ক জনীত রোগ। এই রোগে রোগীর দেহের মানচিত্রের কোন একটা অংশ মস্তিষ্কে থাকে না। তখন মস্তিষ্ক বা ব্রেন প্রতিনিয়ত রোগীকে একটা সংকেত পাঠাতে থাকে যে তোমার ডান হাতের বা পায়ের নিচের দিকটা নেই। এতে রোগীর অসম্ভভ বিরক্তি ও এমন একটা অস্বস্তিকর অনুভুতি হয় যে, রোগী বাধ্য হয়ে। তার সম্পূর্ন সুস্থ সবল অঙ্গ কেটে ফেলার সিন্ধান্ত নেয়। তবে বেশির ভাগ ডাক্তারই এই সুস্থ সবল অঙ্গ কাটার জন্য রাজী হন না। তখন রোগী নিজে নিজে তার সেই অঙ্গ কেটে ফেলার সিন্ধান্ত নেন। অনেকে হাত বা পায়ে গুলি করেন আবার অনেকে করাত দিয়ে তা কেটে ফেলেন। এর কোন চিকিৎসা নেই। আমাদের যাদের এই রোগ নেই তাদের একটা বাড়তি হাত বা পা অথবা একটা হাত বা পা না থাকায় যে রকম অনুভুতি হয়। তাদের এর চাইতেও বেশি অস্বস্তিকর অনুভুতি হয়।



GIID



এই রোগটা যাদের আছে তাদেরকে আমরা সবাই চিনি। তারা হল হিজরা বা তৃতীয় লিঙ্গ। আমরা আসলে সবাই এদেরকে চিনি কিন্তু জানি না যে, তারা কেন এরকম আচরণ করে। হিজরা রা যখন জন্ম গ্রহণ করে তখন তারা একজন সুস্থ স্বাভাবিক শিশু হয়েই জন্ম নেয়। তবে একটা জিনিস আসলে ঠিক থাকে না। তা হল ব্রেনের কার্যপ্রনালী। একজন হিজরা যদি জন্ম নেয় ছেলে হিসেবে তাহলে তার ব্রেনের ভিতেরর কার্যপ্রনালী থাকে একজন মেয়ের। তার মানে হচ্ছে সে সর্বদা অনুভব করবে যে সে একজন মেয়ে বা নারী। তার দেহ সম্পূর্ন পুরুষের কিন্তু মস্তিষ্ক একজন নারীর। তাই সে পুরুষ হয়ে নারীর বা নারী হয়ে পুরুষের ন্যায় আচরণ করে। এটাই হল হিজরা দের আসল সমস্যা। তবে উন্নত বিশ্বে যাদের এই সমস্যাটা আছে তারা প্রায় সবাই লিঙ্গ পরিবর্তন করে নেই সেই সঙ্গে অন্যান্য বিষয়ও পরিবর্তন করে নেয়। এবং তারা দেহে বিপরীত লিঙ্গের হরমোন ইনজেক্ট করে নেয়। যাতে সে একজন স্বাভাবিক মানুষ হয়ে জীবন যাপন করতে পারে। আমদের দেশের হিজরাদের এত টাকা নেই যে, তারা বিপরীত লিঙ্গে পরিবততি হয়ে যাবে। তাই তারাও পরিবর্তন করে, শুধু মাত্র দেহের পোষাক খানা।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:০১

এরিস বলেছেন: GIID এর ব্যাপারটা আগে জানতাম না। ধন্যবাদ এই বিষয়গুলো শেয়ার করার জন্যে। সাধারণ জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হলে ওদের মানসিক সমস্যাগুলো দুর করা অনেকাংশে সম্ভব। প্লাস।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.