নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

"অতি অপরিচিত "

প্রিতম মুজতাহিদ

প্রিতম মুজতাহিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিলেট মেডিকেল , ২০ বছর আগের ঘটনা

১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:৩৯

কার্ড পরীক্ষা শুরু হচ্ছে । এনাটমি পরীক্ষার আগের দিনের ঘটনা । পরীক্ষার আগের দিনে স্বাভাবিকভাবে সবাই ভিসেরা ( দেহের অঙ্গ বিশেষ ) দেখতে যায় । এক ছেলে দেখতে পারে নাই । এদিকে সে যখন হলে আসে , ততক্ষণে সন্ধ্যা । তার ভিসেরা দেখা বিশেষ দরকার । তাই সে তার এক বন্ধুকে ম্যানেজ করে ফেলল । সে তাকে এনাটমি ডিসেকশন রুমে নিয়ে গিয়ে ডেমো দেবে । কিন্তু সন্ধ্যায় এনাটমি ডিপার্টমেন্ট খোলা থাকে না । কিন্তু তার ভিসেরা দেখা বিশেষ দরকার । এনাটমি ডিপার্টমেন্টে যেতে হয় মর্গের পাশ দিয়ে । মন খারাপ করে সে আর তার বন্ধু ফিরে আসছিল । সে সময় তারা দেখতে পায় মর্গের সামনে এক মামা দাঁড়িয়ে আছে । উনাকে অনেক ম্যানেজ করে এবং বেশ মোটা অঙ্কের বিনিময়ে তারা মামাকে রাজি করায় , মর্গে রাখা লাশ থেকে যে নতুন ভিসেরা বের করা হয়েছে , তা থেকে তারা পড়াশুনা করবে । মামা বলে ঠিক আছে আপনারা ভেতরে যান , আমি তালা লাগিয়ে দিচ্ছি । পড়ানো শেষ হলে আমাকে ফোন দিবেন , তালা খুলে দেব ,অতঃপর তারা ভেতরে যায় ।



অর্ধেক পড়ানো শেষে , যে বন্ধু ডেমো দিচ্ছিল , সে অপর বন্ধুকে জানায় , দোস্ত আমি এশার নামাজ পড়ে আসি , বাকিটুকু নামাজ শেষে পড়াব , তুই থাক । প্রথম বন্ধু কিছুটা আপত্তি করলেও পরে অল্প সময় থাকতে হবে বলে সে রাজি হয়ে যায় ।



নামাজে যাবার জন্য সেই মামাকে ফোন দিয়ে ডেকে আনা হয় । প্রথমে তিনি রিসিভ করছিলেন না , পরে উনি এসে খুলে দিয়ে যান । বন্ধু কিছু সময় পরে , নামাজ থেকে ফিরে আসে । এসে দেখে মামাকে মর্গের সামনে । উনি মামাকে বলেন , আমি ভেতরে যাব । মামা বলে কেন ? সেই ছেলে বলে , আমার বন্ধু ভেতরে আছে , পড়ানো শেষ হয়নি । মামা বলে , আপনার বন্ধু তো চলে গেছে , আর আপনাকেও চলে যেতে বলেছে ।



সেই ছেলে রুমে ফিরে আসে । পরীক্ষার টেনশন ছিল বলে আর এটা নিয়ে মাথাও ঘামায় নাই । আর যাকে ডেমো দেবার কথা ছিল সেই বন্ধুর রুমও ছিল আলাদা ।



পরদিন , পরীক্ষা দিতে যাবে , সে সময় শোনে সিলেট মেডিকেলের এক ছেলে , আইসিইউতে ভর্তি হয়েছে , তার শরীরের নানা জায়গায় আঁচরের দাগ । পরে গিয়ে দেখা যায় সেই বন্ধু যে মর্গে গিয়েছিল । তবে তাকে এ ব্যপারে প্রশ্ন করা হলে সে এড়িয়ে যায় , আর কিছু বলতে চায় না । এরপর সে আর মেডিকেলে পড়ে নাই । আর সে মামাকেও আর খুঁজে পাওয়া যায়নি । আর জানা যায় , সেরকম দেখতে কোন মামা মর্গে থাকে না ।



এই ঘটনা ভূত এফএম থেকে কপি পেস্ট মারা । এখন curious mind wants to know , ২০ বছর আগে ফোন কই থেকে আসল । আর যদি সেটা মোবাইল ফোন নাও হয় , সেই ফোন ধরল কে ? আরও কাহিনী আছে , মর্গের চাবি মামার কাছে আসল কেমনে ?



এইটা হইতে পারে সেই ছেলে মেডিকেলে এসে আর পড়তে মন চায় নাই , তাই মর্গের মামার সাথে গোপন আঁতাত করে চাবি ম্যানেজ করে , অন্য কাউকে দিয়ে এই ঘটনা ঘটায়ে , মেডিকেল থেকে ভাগসে । সেই ছেলের জন্য # রেসপেক্ট । ২০ বছর আগে এই দুর্ধর্ষ ঘটনা ঘটায়ে ফেলসে ।

তবে সোজা কথা , এই ঘটনা বিশ্বাস করার কোনই দরকার নাই । সবাই ভূত এফএম এ গাঁজাখুরি গল্প করতে আসে , পাবলিক আনন্দ নিয়ে এসব শুনে আর ভাবে আসলে হইতেও পারে ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:২৪

খাটাস বলেছেন: আপনি জেলা স্কুলের স্টুডেন্ট?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.