![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কবিতা দেখলে আমার প্রথম থেকেই জ্বর আসে । ছন্দের পর ছন্দ মিলিয়ে মানুষ যে কি আনন্দ পায় এটা বোঝার অনেক আগে থেকেই চেষ্টা চালাতাম । সকল চেষ্টা বরাবরই মুখ থুবড়ে পরে যেত এবং এখনও যায় । তবে কবিতার আনুষ্ঠানিক কয়টা ভাগ আছে , কি মাত্রা আছে , কি অমিত্রাক্ষর অথবা শত্রুক্ষর শব্দ আছে এসব বিষয়ে আমার ধারণা শুন্যের চেয়েও নিচে । স্কুল , কলেজ জীবনে কবিতা পড়তে হত । ক্লাস সেভেন পর্যন্ত মনে হয় মুখস্থ করতে সমর্থ হয়েছি , এর পর আর কবিতা মুখস্থ করতে ভাল লাগত না । পরীক্ষা আসলে দুই চার লাইন মুখস্থ করতাম আর পুরো ভাবটা বুঝে বানায়ে বানায়ে উত্তর লিখতাম । এমন অনেক পরীক্ষা গেছে কবিতা সংক্রান্ত প্রশ্ন আসছে আর আমি সেই কবিতার লাইনের ধারে পাশ দিয়েও যাই নাই , অথচ বিশাল উত্তর ফেঁদে বসে আছি। কারণ কবিতার লাইন মনে নাই , কিভাবে লিখব । তবে রচনা লেখার টাইমে একটা মজার ব্যাপার ঘটতো । রচনায় নানা নাম দিয়ে ইংরেজ কবি অথবা লেখক অথবা দার্শনিক অমুক বলেছেন বলে একটা মনগড়া লাইন দিয়ে আসতাম । অমুক বলেছেন , তমুক বলেছেন লিখতাম ঠিকই । তবে আসলে উনারা কিছু বলেন নাই । আমি উনাদের দিয়ে পরীক্ষার খাতায় বলাতাম । তাঁদের কাছে আজ আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি ।
আচ্ছা যাই হোক , কবিতা নিয়ে বলছিলাম । কবিতা আসলে মুখস্থ করার বিষয় না । এটা হচ্ছে অনুভবের বিষয় । অনেকটা মুভি দেখার মত । দেখলাম , ভাল লাগল ব্যাস শেষ । যারা পাঠক তাঁরা এসব ছন্দ , নিয়ম কানুন এর থোড়াই কেয়ার করেন । তাঁরা নিজের মত পড়েন , আমার মত ইচ্ছা না হইলে এড়ায়ে যান । কবিতার টাইপ বিষয়ে আমার নিজের কিছু থিওরি আছে ।
এক টাইপের কবিতা হচ্ছে দুর্বোধ্য । উচ্চমার্গীও পাঠক (?) সমাজ হয়তো এসব কবিতার মেসেজ বা ভাষা ধরতে পারেন । আমি এসব ধরতে পারি না । তবে এই টাইপ কবিতা আপনি লিখে ফেলতে পারবেন । কিছু লাইন লিখলেন কিছুটা দুর্বোধ্য শব্দ দিয়ে । পরের লাইন লিখবেন আরও দুর্বোধ্য শব্দ দিয়ে । প্রথম লাইনের সাথে মিল রাখতেও পারেন , নাও পারেন । আসলে মেইন কথা হচ্ছে ত্যানা পেঁচানো । আপনার হাতে থাকবে কিছু শব্দ ভাণ্ডার । তারপর সেই শব্দগুলোকে নানা জায়গায় বসিয়ে ত্যানা পেঁচাইতেও থাকবেন , পেঁচাইতেই থাকবেন যতক্ষণ না গিঁটটু লেগে যায় । এমন গিঁট লাগিয়ে ফেলবেন যেই গিঁট আপনিও খুলতে পারবেন না , পাঠকও খুলতে পারবেন না । গিঁট আর প্যাঁচ খুলতে না পারার কারণে অনেকেই বলবে আহা কি লিখিল , উহু কি লিখিল । দেখা যাবে সে নিজের মত কবিতার একটা ব্যাখ্যা দাঁড় করায়ে আহা উহু করছে । আরেকজনের কাছে গিয়ে জরিপ করলে দেখা যাবে তাঁর ব্যাখ্যা আবার আরেক রকম ।
আরেক টাইপ কবিতা আছে , লুল কবিতা । লুল কবিতা হচ্ছে মেয়ে পটানো কবিতা । এই কবিতায় আবেগ উপচে উপচে পড়বে । শব্দের চেয়ে আবেগ হচ্ছে প্রধান । লুল কবি না হলে এইসব কবিতা লেখা যায় না । এইসব কবিতা লেখাই হয় মেয়ে সমাজকে আকৃষ্ট করবার জন্য ।
আবার এক ধরণের কবিতা হচ্ছে বিষয় ছাড়া কবিতা । একটা লাইন মাথায় আসল , তারপর সেটা টানতে টানতে টানতে যা হবে সেটা হচ্ছে এই টাইপ কবিতা । আমার মনে হয় পৃথিবীর অধিকাংশ কবিতাই এভাবে লেখা হয়েছে ।
আরেক ধরণের কবিতা হচ্ছে সত্যিকারের কবিতা । সত্যিকারের কবিরা শব্দ নিয়ে যেমন ইচ্ছা তেমন খেলতে পারেন । এই ধরণের কবিতা আসলেই মানুষকে ভাবতে বাধ্য করে । কবি যেটা বুঝাতে চেয়েছেন , অনেক গুছিয়ে পাঠককে এসব কবিতায় বুঝিয়ে ছাড়েন । এ ধরণের কবি যুগে যুগে একবারই জন্মান । তবে সত্যিকারের কবিরা অনেকে লুল কবিতা লেখেন আবার ত্যানা পেচানি কবিতাও লেখেন বলে আমার ধারণা ।
এটা ছিল কবিতা নিয়ে একটি আজাইরা পোস্ট । আমার পোষ্টে যেসব কবি সমাজ অথবা কবিতা পাঠক পাঠিকা সমাজ কষ্ট পেয়েছেন তাঁদের জন্য আমি অনেক দুঃখ প্রকাশ করছি । এ বিষয়ে চৈনিক দার্শনিক " লি চুনিয়া যাই এন " এর একটি অনুবাদকৃত বানী ।
"অভিমান , রাগ এবং কষ্ট মানুষের সামগ্রিক অনুভূতিকে দুর্বল করে দেয় । সেই তো শ্রেষ্ঠ যে নিজেকে টুকরো টুকরো অনুভূতির ঊর্ধ্বে নিয়ে যেতে পেরেছেন । "
০৩ রা জুন, ২০১৩ দুপুর ২:০১
প্রিতম মুজতাহিদ বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ০৩ রা জুন, ২০১৩ দুপুর ১:২৬
তরুন তুর্কী বলেছেন: আনন্দ পেলাম ।
৩| ০৩ রা জুন, ২০১৩ দুপুর ২:০১
প্রিতম মুজতাহিদ বলেছেন: ধন্যবাদ
৪| ১৯ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭
~স্বপ্নবিলাসী~ বলেছেন: নিজেকে টুকরো টুকরো অনুভূতির ঊর্ধ্বে নিয়ে যেতে পারি নাই
৫| ০৭ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: আজ একটা কবিতা লিখব।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৮
তুষার আহাসান বলেছেন: বেশ মজা পেলাম।