![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যুদ্ধ চলাকালীন সময় কোন একটি দেশের সেনাবাহিনী অন্য দেশের সেনাবাহিনীর সদস্যদেরকে হত্যা করাটা সামরিক নীতির অন্তর্ভুক্ত। দেশের জন্য সেনাবাহিনী স্বাধীনতা ও সীমান্ত রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও আজকাল দেখা যায়, হীন রাজনৈতিক সার্থে কিংবা হিংস্র ব্যক্তি প্রতিহিংসার কারণে অনেক সময় নিজ দেশের সেনাবাহিনীকে বলির পাঁঠা করা হয়। দেশের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত এহেন সেনাবাহিনীকে হত্যা করার সময় তা কতটুকু বেদনাদায়ক হবে ওটা নির্ভর করে হত্যার আদেশদাতার মানসিকতা এবং তার উদ্দেশ্যের উপর।
পাকিস্তানে লাদেন হত্যার নাটকের সাথে জড়িত আমেরিকান সিলটিম-৬ এর সদস্যরা ওই সাজানো নাটকের ঘটনা প্রকাশ করে দিতে পারে বলে, এক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা ঘটিয়ে সকলকে এক সাথে হত্যা করা হয়। ঘটনা পরবর্তী তদন্তে তেমন কোন অন্যায় খুঁজে পাওয়া যায়নি। কারণ, তদন্তের আদেশদাতারাই তো ওই হত্যাকাণ্ডের আদেশদাতা। তবে এ ক্ষেত্রে ভালো দিকটা হচ্ছে অফিসার ও সৈনিকের ওই দলটি অকস্মাৎ মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছিল তেমন কষ্ট হয়নি তাদের। দেশের জন্য জীবনবাজী রেখে কঠিনতম প্রশিক্ষণ নিয়েছিল ওই মানুষগুলো। অথচ দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব কোন অপরাধ ছাড়াই ওই নির্মম হত্যার সাজানো নাটকের নির্দেশ দেয়, কি নিষ্ঠুর এই পৃথিবী আর কত অসহায় এই সৈনিক জীবন।
কি হয়েছিল আমাদের ৫৭ জন সেনাকর্মকর্তার ভাগ্যে? তাদের মৃত্যু ছিল আরো অনেক বেশি অমানবিক ও মর্মান্তিক। দীর্ঘ তিনদিন ধরে ঠাণ্ডা মাথায় তাদেরকে হত্যা করা হয় বিস্তীর্ণ এক সাজানো নাটকের মাধ্যমে। নর্দমার পচা পানিতে শুধু নাক ভাসিয়ে ২ দিন বেঁচে থেকে অনেকে নিকটাত্মীয়দেরকে এসএমএস করে আকুল আবেদন করেছিল ওদের জীবন রক্ষা করার জন্য সাহায্য পাঠাতে। সরকারি দলের নেতাদেরকে ওদের আকুতি জানালে, পিলখানার ভেতরে আদেশ যায়, “এখনও কিভাবে এসএমএস করে? কতদিন প্রয়োজন ওদেরকে শেষ করে ফেলতে?” কি মর্মান্তিক ও দুঃখজনক। এ সময় পাঠকদের অনুরোধ করবো লেখাটি পাঠ শেষে হায়দার হোসেনের বক্তব্যটি শুনতে।
তারপর প্রতিবাদী সেনাকর্মকর্তাদের চিহ্নিত করতে সেনাকুঞ্জে সকল সেনা অফিসারদেরকে জড়ো করা হয়। যারা ভাই হারা বেদনায় কাতর হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে তাদের দুঃখের কথা জানায়, ওদেরকে চিহ্নিত করে দলবেধে বের করে দেয়া হয় সেনাবাহিনী থেকে। এদিকে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের একজন সক্রিয় পরিকল্পনাকারী তাপসের গাড়িতে বোমা ফাটানোর বাহানা করে বের করে দেয়া হয় আরো এক দল সেনাকর্মকর্তাদের। সবশেষে আসে সেনা অভ্যুত্থানের বাহানা, ওই গোয়েন্দা স্টিংক অপারেশনের মাধ্যমেও বের করে দেয়া হয় আরো বড় এক দল সেনাকর্মকর্তাদেরকে। এ যেন দেশের মেরুদ- গুঁড়িয়ে দেয়ার এক ধারাবাহিক কর্মকাণ্ড।
আমরা যদি ৪২ বছর পূর্বের হত্যাকাণ্ডের বিচার আজ করতে পারি, আমরা কি পারি না, যারা দেশের সূর্যসন্তানদেরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে তাদেরকে ফাঁসি দিতে? কাদের মোল্লার বিচার সমাপ্ত হওয়ার পরও যদি “ফাঁসি চাই” “ফাঁসি চাই” আন্দোলনের কারণে তার ফাঁসি হতে পারে তাহলে আসুন আমরা সবাই দীপ্তকণ্ঠে দাবি করি।
নিরপরাধ সেনাকর্মকর্তাদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার জন্য-
ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই, হাসিনার ফাঁসি চাই ॥
নানকের ফাঁসি চাই, তাপসের ফাঁসি চাই ॥
নাস্তিকদের ফাঁসি চাই, ইসলাম বিদ্বেষীদের ফাঁসি চাই ॥
ভারতীয় রাজাকারদের ফাঁসি চাই।
ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই, হাসিনার ফাঁসি চাই ॥
মহান আল্লাহ পাক নিশ্চয়ই আপামর জনতার করুণ এই আর্তনাদ শুনতে পাচ্ছেন এবং নিশ্চয়ই তিনি তা কবুল করবেন। (আমীন)
২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৪২
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
57 জন সামরিক অফিসার হত্যাকান্ডের বিচার চলছে, যারা গুলি করেছিল তারা প্রায় সবাই ধরা পরেছে, বিডিআর বিদ্রোহের বিচার শেষ হয়েছে। হত্যাকান্ডের বিচার চলছে। সত্য বেরিয়ে আসবেই। কারন ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে কেউ মিথ্যা বলে না।
এই লেখাগুলো পড়ুন - কি ঘটেছিল সেদিন দরবার হলে?
তিন পর্বে।
Part 1
Click This Link
part2
Click This Link
Part 3
Click This Link
৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাই আপনার এই পোষ্ট আবার ষ্টিং পোষ্ট নাতো
এমতের পক্ষেদের চিহ্নিত করে তাদেরও নিঃশেষ করে দেবার!!!!!
আদেশদাতারা যে শুধূই স্বার্থপর হয়!!!
আতংক কোন স্থরে আমার উপরের ক'লাইনেই বোধকরি বুঝতে পেরেছেন।
দেশে ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হোক। অন্যায়ের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।
৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:০০
আফজালনবীনগর বলেছেন: ধিক্কার জানাই আ'লীগকে।
৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:১০
আহলান বলেছেন: আমাদের জানা দরকার নেপথ্যের নায়ক নায়িকা কারা। কে গুলি করেছে ও ধরা পড়েছে সেটা মূখ্য বিষয় না। হুকুমের আসামী কে বা কারা সেটাই জানা প্রয়োজন ......................
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:০৫
মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: এই ৫৭ জন সূর্য সন্তানকে যারা হত্যা করেছে বা করিয়েছে তাদের বিচার এই দুনিয়াতেই দেখতে চাই।
এ প্রসন্গে সেদিনের ঘটনায় শহীদ হওয়া সাবেক বিডিআর প্রধান শহীদ মেজর শাকিলের ছেলে রাকিন আহমেদের কিছু বক্তব্য শুনুন....।
Click This Link