নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার প্রিয় দেশ বাংলাদেশ

আমার প্রিয় দেশ বাংলাদেশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নির্বাচন আমাদের = মাথা ব্যাথা ভারতের

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৫

একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিরোধী দল লাগাতার অবরোধ আন্দোলন করে যাচ্ছে। কট্টর আওয়ামীলীগ সমর্থনকারী ছাড়া সাধারণ জনগণের কষ্ট হলেও নীরবে তা সহ্য করছে। কারণ সাধারণ জনগণ দেখেছে যে গত ৫টি বৎসর এদেশের প্রশাসনকে কিভাবে হিন্দুআয়ন করা হয়েছে। কিভাবে শত শত নিরীহ স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলমান মেয়েদের সম্ভ্রমহানী করেছে হিন্দু শিক্ষকরা। বিচার পায়নি কেউ। এদেশের মুসলমানরা মনে করে ১০০টি ফ্লাইওভার তৈরি করার চেয়ে বেশী জরুরী আমাদের একটি বোনের ইজ্জত রক্ষা করা, যেখানে বর্তমান সরকার ব্যর্থ হয়েছে শতকরা ১০০ ভাগ।



ভারত সমস্ত আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করে প্রতিনিয়ত আমাদের দেশের ৪/৫ জন সীমান্ত নাগরিকদের হত্যা করে। ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসে ভিসার জন্য আবেদন করলে সকল কুটনৈতিক শিষ্টাচার বাদ দিয়ে এ দেশীয় নাগরিকদের সাথে জঘন্য রকমের খারাপ আচরণ করা হয়। ভাবখানা এ রকম যে, বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে আমরা পাপ করেছি, আমাদের ভারতীয় হয়ে যাওয়া প্রয়োজন।

এহেন খারাপ যাদের আচরণ এদেশের জনগণের সাথে, তাদের সাথেই আমাদের সরকারের রয়েছে গভীর আত্মিক সম্পর্ক। বর্তমান নির্বাচনে আওয়ামীলীগকে জয়ী করাতে ভারতীয় আপ্রান চেস্টার অন্তর্নিহিত কারন ও তার নিষ্ঠুর বাস্তবতা আমাদের সকলের জানা প্রয়োজন।

ভাগ্যক্রমে এতদ বিষয়ে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট ভারতীয় প্রেসিডেন্টের লিখিত একটি চিঠি (যদি) আমাদের হস্তগত হয়, যা একবার পাঠ করলে বিষয়টি সামগ্রীক ভাবে উপলোব্ধি করা সম্ভব:

====================================================

প্রাণ প্রিয় ছোটবোন হাসু



নমষ্কার। জানি তোমার রাজনৈতিক জীবনের এক কঠিন সময় বর্তমানে অতিবাহিত করছো, আর কটা দিন কস্ট করে ধৈর্য্য ধর, সময়ই আমাদেরকে তোমার কাছে টেনে নিয়ে যাবে। এখন আমি তোমাকে যে পরামর্শ সমুহ লিখবো তা যদি ভাল ভাবে মনে রেখে কাজ করে যাও, সে দিন বেশী দুরে নয়, যখন থেকে তোমার নাম মহান অখন্ড ভারতের ইতিহাসে স¦র্নাক্ষরে লিখিত থাকবে। পরামর্শ সমুহ হচ্ছে:

১। যেহেতু সংগত কারণে নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে নির্বাচনে যাওয়া অসম্ভব তাই সংবিধান পরিবর্তন করে, পরিবর্তি সংবিধানের ধুয়া তুলে ক্ষমতায় থেকে যে নির্বাচনের আয়োজন করেছ. কোন অবস্থাতেই ঐ সিদ্ধান্ত থেকে সড়ে আসা যাবেনা।

২। প্রশাসনে বেশী করে আওয়ামী ও হিন্দু অফিসারদের নিয়োগ দিয়ে নির্বাচনে জয়ের ব্যাবস্থা কর।

৩। বিরোধী দল অবরোধ দিয়ে কিছু করতে পারবে না বরং আমরা তাদের অবরোধের সময় ব্ল্যাক কেট কমান্ডো দিয়ে সাধারণ মানুষ হত্যা করে ওদের বিরূদ্ধে মিডিয়া কার্যক্রম চালাবো জনপ্রিয়তা নষ্ট করার জন্য।

৪। শুধু জনপ্রিয়তা নষ্টই না, আমরা যখন এক একটা অমানবিক ধ্বংসযজ্ঞের আয়োজন করবো, তখন তার দায় ভার বিরোধী দলীয়দের ঘাড়ে চাপিয়ে সকল নেতাকর্মীদের জেলে ঢুকিয়ে দাও। বিরোধী দল নেতৃত্বহীন হয়ে পরলে এদেশ তোমাদের। তাছাড়া এদেশের জনগণকে বিশ্বাস করতে হবে যে, গণতন্ত্রের মূল শক্তি জনগণ নয় তা হচ্ছে পুলিশ আর বিজিবির বন্দুকের নল।

৫। পুলিশ আর বিজিবির নেতৃত্বে থাকতে হবে কট্টর এবং নিষ্ঠুর আওয়ামী সমর্থনকারী, তবে নির্বাচনে জয় সহজ হবে।

৬। সেনাবাহিনী নিয়ে চিন্তা করার কোন প্রয়োজন নেই। আমেরিকার সাথে আমাদের সমঝোতা হয়ে গিয়েছে। ওরা নিবে শুধু বাণিজ্যিক সুবিধা যা তোমরা টিকফা চুক্তির মাধ্যমে তাদেরকে দিয়েছো। আর আমরা নেবো ভৌগলিক সুবিধা যা নির্বাচনে জয়ের পরে তোমাদেরকে প্রস্তাব দেয়া হবে।

৭। টিকফা চুক্তি করে বুদ্ধিমানের কাজ করা হয়েছে। ঐ চুক্তি না করলে ৮৬২ বিলিয়ন ডলারের অবৈধ সম্পদের হিসাব দেয়া ”জয়” তথা আওয়ামীলীগ এর জন্য সমস্যাই হতো।

৮। তোমাদের প্রতিটি মিছিলে আমাদের ব্ল্যাক ক্যাট কমান্ডো থাকে, ওরাই ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড এমনভাবে বাস্তবায়ন করে যাতে বিরোধীদলকে দায়ী করা যায়।

৯। সেনাবাহিনীর নিচের দিকের অফিসাররা আওয়ামীলীগ এর উপর প্রচন্ড ক্ষেপা, ওদেরকে নির্বাচন পরিচালনার কোন দায়িত্ব দেয়া যাবে না। এ বিষয়ে হুঁশিয়ার থাকতে হবে। এত সাজানো তদন্তের নাটক করার পর ও ওরা জেনে ফেলেছে যে বিডিআর হত্যাকান্ডের কাজটা আমরাই করেছি তোমাদেরকে সাথে নিয়ে।

১০। বিডিআরের নামটি মুছে ফেলে দিয়ে বিজিবি রেখে আমাদের বিএসএফের মনে প্রশান্তি দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। তোমার একান্ত অনুগত বিজিবি মহাপরিচালক সম্পূর্ণ সীমান্ত আমাদের বিএসএফ নিকট ছেড়ে দিয়ে সকল অফিসার সৈনিকসহ ঝাপিয়ে পরেছে বিরোধী দলীয়দের উপর। শীর্ষ সন্ত্রাশীদের পরিবার থেকে আগত এবং অত্যান্ত অনুগত ঐ জেনারেলের আরো পদোন্নতি হওয়া প্রয়োজন। তাকে লে. জেনারেল পদ দিয়ে মহাপরিচালক হিসেবে রেখে দাও, কাজে লাগবে।

১১। সার্বক্ষণিক যোগাযোগ এবং পরামর্শ গ্রহণের জন্য ঢাকাস্ত আমাদের রাষ্ট্রদূত পংকজ স্বরনের সাথে তোমার সন্তান ‘জয়’ ও বোন শেখ রেহানাকে প্রতিনিয়ত মিটিং করতে বলবে। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ এর কাউকেও বিশ্বাস করা যাবে না। মনে রাখতে হবে যে, তোমার মাতুল গোষ্ঠীর সবাই এখনও হিন্দু এবং ভারতেই অবস্থান করছে। ওরা এখনো মা স্বরসতী, মা দূর্গা, মা কালী এবং উত্থিত শিব লিঙ্গ পুজারী। সে হিসেবে তোমার কাছে বাংলাদেশ অপেক্ষা ভারত আরো বেশী প্রিয় মাতৃভূমি।

আমি সর্বান্তকরনে তোমাকে আশির্বাদ করি। ভগবানের কৃপায় আমাদের সনাতন ধর্ম এবং অখন্ড ভারত মাতা তোমার মাধ্যমে উপকৃত হোক। জয় হিন্দ, জয় বন্দেমাতরম।



তোমারই দাদাভাই

প্রনবদা

শ্রী শ্রী শ্রী প্রনব মুখার্জী

প্রেসিডেন্ট গণপ্রজাতন্ত্রী অখন্ড ভারত

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.