নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার প্রিয় দেশ বাংলাদেশ

আমার প্রিয় দেশ বাংলাদেশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আগত পরাধিনতা ও আওয়ামী মানসিকতা

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৬

যারা রাজনীতির সাথে জড়িত নয়, বিশেষ করে আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত নয় তারার কম বেশী উপলোদ্ধি করতে পারছে যে, দেশ ক্রমান্নয়ে ভালভাবেই রাজনৈতিক সহিংসতায় জরিয়ে পড়ছে। আজ দেশের এই চরম রাজনৈতিক হানাহানির মূল কারণ গুলো কিকি?

আওয়ামীলীগ প্রধান শেখ হাসিনা সংবিধান থেকে তত্তাবধায়ক সরকারের আইন তুলে দিয়েছেন। বিরোধী দল তত্তাবধায়ক আইন চায়। জাতীর অধিকাংশ জনগণ তত্তাবধায়ক আইন চায়। কারা চায়না-

১। শেখ হাছিনা।

২। দল আওয়ামীলীগ।

৩। দেশ ভারত।

অর্থাৎ আমাদের দেশের বর্তমান রাজনৈতিক জিল্লতির জন্য ব্যক্তিগতভাবে দায়ী শেখ হাছিনা, দলীয়ভাবে দায়ী আওয়ামীলীগ এবং দেশ হিসেবে দায়ী ভারত। ঠিক একইভাবে সিকিম নামক দেশটিতে সর্ব শেষ জাতীয় নির্বাচন পূর্ব সহিংসতায় ব্যাক্তি হিসাবে দায়ী ছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী লেন্দুপ দর্জী, দল হিসেবে দায়ী ছিল সিকিম ন্যাশনাল কংগ্রেস (এস.এন.সি.) এবং দেশ হিসেবে দায়ী ছিল ভারত।



ভারত যেমন বর্তমান আওয়ামীলীগকে প্রত্যক্ষ সহযোগীতা করে যাচ্ছে তখনো তারা এস.এন.সি.কে প্রত্যক্ষ সহযোগীতা করেছিল, ফলশ্রুতিতে সিকিম তার স্বাধীনতা হারায় নির্বাচনের এক বছর পর ১৯৭৪ সালে। দুটি দেশেই নির্বাচন পূর্ব রাজনৈতিক সহিংসতার জন্য দায়ী কমন দেশটি হচ্ছে ভারত। প্রশ্ন হচ্ছে দেশ যে, নিশ্চিত পরাধীনতার দিকে ধাবমান হচ্ছে এস.এন.সি.’র সদস্যরা কি বুঝতে পারেনি? তারা কেন সহায়তা করলো ভারতকে নিজ দেশ পরাধীন করতে ? বিষয়টা ছিল পুরোপুরি ভারতীয় মগজধোলাই এবং ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনীর সুক্ষ পরিকল্পনার বাস্তবায়ন। এস.এন.সি.’র সদস্যদেরকে এমনই মগজধোলাই করা হয়েছিল যে, তারা মনে করত ভারত হচ্ছে তাদের একমাত্র বন্ধু প্রতিম দেশ, যেভাবে আওয়ামী সদস্যরা বর্তমানে মনে করে। এস.এন.সি.’র সদস্যদেরকে ধারণা দেয়া হয়েছিল, ভারত এত বড় একটি দেশ যে সিকিমের মত ছোট একটি দেশের প্রতি লোভ থাকাটা অবাস্তব। আসলে ছোটদের প্রতি লোভী বড়দের লোভ থাকাটাই কঠিন বাস্তব সত্য। মূলতঃ শিকার হোক সে কোন প্রাণী কিংবা দেশ যখন রক্ষক এবং ভক্ষককে চিনতে ভুল করে, বুঝে নিতে হবে ধরাপৃষ্ঠে তার অবস্থান সংকীর্ণ হয়ে গিয়েছে। সে একটি ঘোরের মধ্যে থেকে ভূগোল থেকে ইতিহাসের পাতার দিকে ধাবমান।



এদেশের আওয়ামীলীগ সদস্যরাও একটি ঘোরের মধ্যে আছে। প্রতিনিয়ত নির্বিচারে সীমান্ত হত্যা, বাধ দিয়ে নদীর পানি বন্ধ, এদেশের যুব সমাজকে ধ্বংস করতে ফেনসিডিলের বন্যা, তার পরও ওরা ধারণা করে ভারত বন্ধু প্রতিম। একেই বলে পেশাগতভাবে দক্ষ ভারতীয় মগজধোলাই।



এবার আসুন ভারতীয় ধ্বংসাত্মক ক্রিয়ার আওয়ামী মানষিকতায় প্রতিক্রিয়া কি? বাংলাদেশীরা পরিষ্কার বুঝতে পারছে যে, ভারত ফেনসিডিলের বন্যায় এদেশের যুব সমাজকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে দিচ্ছে। আওয়ামী মানষিকতা হচ্ছে, ফেনসিডিল খেয়ে যুব সমাজ একটু আনন্দ ফুর্তি করে এতে সমস্যা কোথায়? প্রকৃত দেশ প্রেমীক নাগরিকের অন্তর এফোর ওফোর হয়ে যায় যখন তারা সীমান্তে নিরিহ বাংলাদেশী নাগরিকদের হত্যা হতে দেখে, ফেলানীর মত মেয়েকে হত্যা করে তারকাটায় ঝুলিয়ে রাখে। সেক্ষেত্রে আওয়ামী মানষিকতা হচ্ছে, বন্ধু প্রতীম রাষ্ট্র এদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা জনসংখ্যা কমিয়ে আমাদের উপকারই করছে। ফেলানীকে তারকাটায় ঝুলিয়ে রাখলেও তার গায়ে তো কাপড় ছিল, ওরা কত ভদ্র এবং মানবিক গুণ সম্পন্ন, হয়তো বা ধর্ষণ করেছে তবে নিশ্চয় বেয়াদব আমেরিকানদের মত ষ্ট্রীপ সার্চ করেনি। প্রতিটি আন্তর্জাতিক নদীর পানি বন্ধ করেছে, আওয়ামী মানষিকতা হচ্ছে, বন্ধু প্রতীম বলে তাও তো কিছু পানি দেয়। অপর কেউ হলে তো তাও দিত না।



আমাদের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আমাদের দলের উপর চাপ প্রয়োগ করছে। শুধুমাত্র ভারতই আছে আমাদের পক্ষে। প্রতিবেশী, বন্ধু প্রতীম, মহা শক্তির অধিকারী (!) এই ভারতকে খুশি রাখতে বেশী কিছুর প্রয়োজন নেই। শুধু দেশের ২% হিন্দুদেরকে সরকারীভাবে ৬০% থেকে ৭০% ক্ষমতা প্রদান করতে হবে। এবারের নির্বাচনের পর পবিত্র কুরআন শরীফের বিরুদ্ধে ২/৩ টি আইন প্রণোয়ন করতে হবে। ইসলাম বিদ্বেষীদেরকে সার্বিক সহযোগীতা করতে হবে। দেশের বৈদেশিক এবং প্রতিরক্ষার মত জটিল বিষয় সমূহ ভারতের দায়িত্বে হস্তান্তর এবং ফাইনালি ভারতের সাথে কনফেডারেশনে স্বাক্ষর করা। তবেই হবে আওয়ামী ক্ষমতায়ন চীরস্থায়ী। এহেন আওয়ামী আত্মধ্বংসকারী মানষিকতাকে আপনি কিভাবে পরিবর্তন করবেন? এ এক অপরিবর্তনীয় মানষিকতা, প্রমাণ চান ক্লিক করুন ....

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৫

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: তত্বাবধায়ক সরকার আমিও চাই না: হাসিনা না চাওয়া মানে ২৭০ জন এমপি চায়নি, মানে ৯০% মানুষ চায়নি; মাথায় অংক ঢুকে ডামী?

২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৩

ভালোরনি বলেছেন: পাঠক ভাই, অংক এত সহজ হইলে ত হইতই। একটা গণভোট দিলে কি আরও ভালো হইত না?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.