![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিষয়টি হালকা করে দেখার সময় শেষ। আগামী নির্বাচন যে তার বৈধতা হারিয়েছে তা আওয়ামীলীগ ব্যতীত, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সকলের কাছে দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। শুধুমাত্র ভারতকে খুশি করতে গিয়ে বিশ্বকে হারাতে বসেছে বাংলাদেশ। অতিশীঘ্রই এই চরম আত্মঘাতী নির্বুদ্ধিতার খেসারত বহন করবে এদেশের আপামর জনসাধারণ। পৃথিবীর প্রতিটি দেশ আজ একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। বর্তমান ক্ষমতাসীনরা যদি মনে করে যে, তারা কেবল ভারতের ওপরই নির্ভরশীল, তবে ধরে নিতে হবে যে আমরা বাকি ২৩টি ভারতীয় রাজ্য সরকারের মত নিজেদেরকেও তা ভাবতে শুরু করেছি। এ এক ভয়ংকর উপলব্ধিজনিত বিভ্রান্তি, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে এ বিভ্রান্তি আওয়ামী চেতনার রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে। এহেন বিভ্রান্তি থেকে আওয়ামীলীগ এর বের হয়ে আসার কোন সুযোগ নেই। যদি তা থাকতো, তবে হাতেনাতে ধরা খাওয়া চোর সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের পক্ষে আজপর্যন্ত মন্ত্রীর পদমর্যাদা ধরে রাখতে পারার কথা নয়।
গণতন্ত্রের নামে পুলিশ, বিজিবি এবং র্যাব দিয়ে বর্তমান সরকার ভারতের পরামর্শে সাধারণ মানুষদের সাথে যে ফাজলামি করছে তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বুঝতে পেরেছে। তাই আমেরিকা এবং ইউরোপের দেশ সমুহের পর এবার একান্ত বন্ধু রাশিয়াও নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছে। এখন আওয়ামী লীগের জন্য চয়েস থাকছে মাত্র দুইটি; হয় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে থাকা, অথবা শুধুমাত্র ভারতের সাথে থাকা। এহেন সংকটময় পরিস্থিতিতে সিকিমের রাজনৈতিক দল এসএনসি ও তার নেতা লেন্দুপ দর্জি ভারতকেই বেছে নিয়েছিল। তাই আজ সিকিম নামের দেশটি তার ভৌগলিক অস্তিত্ব হারিয়ে ইতিহাসের পাতায় স্থান নিয়েছে ভারতের সাথে সর্বশেষে যুক্ত অংগ রাজ্য হিসেবে।
বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যে সবচেয়ে বড় খাত হচ্ছে গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি। ইউরোপ, আমেরিকা হচ্ছে তার ক্রেতা দেশ, তারা এই নির্বাচনকে অবৈধ বলে পর্যবেক্ষক প্রেরণ করা থেকে বিরত থাকছে, এবং এদেশে মূর্খ কিছু মন্ত্রী/এমপি বলে বেড়াচ্ছে যে, ওদের দরকার নেই পর্যবেক্ষক পাঠানোর। আমরাই যথেষ্ট সুষ্ঠ নির্বাচন করা এবং তা পর্যবেক্ষণ করার জন্য। এদের সাথে যোগ দিয়েছে ‘জয়’ নামক নতুন এক মাস্তান।
আওয়ামীলীগ এর বুঝতে হবে যে, প্রাথমিকভাবে আন্তর্জাতিক চাপটা হবে ২টি সেক্টরে। হাজার হাজার পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে জাতিসংঘ ফেরত পাঠাবে এবং আমাদের গার্মেন্টস পণ্য ইউরোপ আমেরিকার বাজারে অবৈধ বলে ঘোষণা দেয়া হবে। সেনা ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা বৈধ আয়ের পথ হারিয়ে ভেতরে ভেতরে গজরাতে থাকবে ও সুযোগের অপেক্ষায় থাকবে। আর লক্ষকোটি গার্মেন্টস শ্রমিক রাস্তায় নামবে তাদের রুটিরুজির অধিকার আদায়ের জন্য। তখন থাকবেনা কোন জবাব বর্তমান সরকারের কাছে। যেমনি ছিলনা ১৯৭৪ সালে, যখন এদেশের ৫০ লক্ষেরও বেশি মানুষ দুর্ভিক্ষের কারণে মৃত্যুবরণ করেছিল। এই মুহূর্তে বর্তমান সরকারের জন্য প্রয়োজন, ফিলিস্তিনের গাজাস্ট্রীপে গিয়ে মাটির নিচ দিয়ে টানেল তৈরীর পদ্ধতি শিখে আসা এবং সময়মতো পালানোর জন্য সীমান্ত এলাকায় দ্রুত এধরণের অনেক টানেল তৈরী করা। কারণ জল, স্থল ও আকাশপথে পালানোর রাস্তা আওয়ামীলীগ এর জন্য ক্রমেই সংকীর্ণ হয়ে আসছে। ১৯৭৫ এ অনাহারে মৃতপ্রায় মানুষ গুলোর হাহাকারে খোদাই গজব পতিত হয়েছিল পরিবারকেন্দ্রিক এবার তা হয়তো পতিত হবে সমস্ত দলের উপর। নিপীড়িত মজলুমের করুন আর্তনাদ মহান আল্লাহপাকের দরবারে অতিদ্রুতই পৌঁছায়। আওয়ামীলীগ এর প্রতিটি সদস্যকে ভারতীয় মনস্তাত্বিক বিশারদরা কতখানি কঠিনভাবে মগজধোলাই করেছে জানতে হলে ক্লিক করুন ...
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:২১
পার্থরূপ বলেছেন: যে মিথ্যা লেখে ও তা প্রচার করে, সে কি জান্নাতি না জাহান্নামি ?কোরান হাদিসের দলিল সহকারে জানতে চাই