নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার প্রিয় দেশ বাংলাদেশ

আমার প্রিয় দেশ বাংলাদেশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতীয় সহযোগীতা বনাম শিয়ালের প্রশংসা

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩০

বিষয় বস্তুতে যাওয়ার পূর্বে একটি বাস্তবতা স্বীকার করে নেয়া প্রয়োজন যে, বর্তমান জামানায় মুসলমানরা ধর্মীয় শিক্ষায় এত বেশী অজ্ঞ যে, তারা পবিত্র কুরআন শরীফ বিশ্বাস করে তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ঐ পবিত্র কুরআন শরীফের আয়াত শরীফ বিশ্বাস করে না। প্রশ্ন হতে পারে তা কেমন করে সম্ভব?



لَتَجِدَنَّ أَشَدَّ النَّاسِ عَدَاوَةً لِّلَّذِينَ آمَنُواْ الْيَهُودَ وَالَّذِينَ أَشْرَكُواْ وَلَتَجِدَنَّ أَقْرَبَهُمْ مَّوَدَّةً لِّلَّذِينَ آمَنُواْ الَّذِينَ قَالُوَاْ إِنَّا نَصَارَى ذَلِكَ بِأَنَّ مِنْهُمْ قِسِّيسِينَ وَرُهْبَانًا وَأَنَّهُمْ لاَ يَسْتَكْبِرُونَ

অর্থঃ আপনি সব মানুষের চাইতে মুসলমানদের অধিক শত্রু ইহুদী ও মুশরেকদেরকে পাবেন এবং আপনি সবার চাইতে মুসলমানদের সাথে বন্ধুত্বে অধিক নিকটবর্তী তাদেরকে পাবেন, যারা নিজেদেরকে খ্রীষ্টান বলে। এর কারণ এই যে, খ্রীষ্টানদের মধ্যে আলেম রয়েছে, দরবেশ রয়েছে এবং তারা অহঙ্কার করে না। [সুরা মায়েদা: ৮২]



সুরা মায়েদা শরীফে পরিষ্কার উল্লেখ আছে যে, তোমরা শত্রু হিসাবে প্রথমে পাবে ইহুদীদের এবং তারপরই পাবে মুশরিকদের। মুশরিক হচ্ছে মুর্তি পুজারী হিন্দুরা। আমরা মুর্খ মুসলমানরা পবিত্র কোরআন ভূলেছি, উপমহাদেশে হিন্দুদের দ্বারা মুসলমানদের ব্যাপক নির্যাতনের ইতিহাস ভূলেছি এমনকি বর্তমান সময়ে সমস্ত ভারত জুড়ে মুসলমানদের উপর যে কি অত্যাচার চলছে তার খবরও আমরা রাখিনা। এত বেশি মূর্খতা নিয়ে স্বাধীন দেশ হিসাবে টিকে থাকা বাস্তব ক্ষেত্রে প্রায় অসম্ভব।



কাকের মুখে গোস্তের টুকরা দেখে শিয়াল কাকের গলার প্রসংশা করেছিল। নির্বোধ কাক গোস্তের নিরাপত্তার কথা চিন্তা না করে প্রশংসায় আপ্লুত হয়ে গান গেয়ে উঠে। শিয়াল নিচে পরা গোস্তের টুকরাটি নিয়ে বোকা কাককে মনেমনে গালি দিয়ে নিশ্চিন্তে ভূক্তিভোজন করতে বসে। ঠিক এমনি কাকের আচরন করেছিল সিকিমের লেন্দুপ দর্জি। ব্যাপক ভারতীয় সহযোগীতা এবং প্রসংশায় আপ্লুত হয়ে রাজতন্ত্রকে বিদায় দিয়ে দেশে গণতন্ত্র চালুকরে। তারপরই স্বাধীন সিকিমবাসী চিরতরে তাদের স্বাধীনতা হারায় শিয়ালরূপি ভারত এর কাছে, এখন থেকে ঐ ভারত নামের শিয়াল অনাদীকাল পর্যন্ত সিকিমের সকল সম্পদ শোষণ করে খাবে, নিশ্চিন্তে / নির্বিগ্নে। তারপরও এক দিক থেকে লেন্দুপের দোষ কম করে দেখা যায়, কারণ তার ধর্ম গ্রন্থ তাকে ভারতীয়দের সম্বন্ধে হুশিয়ার করেনি, তাছাড়া সে নিজে ছিল বৌদ্ধ, সে ক্ষেত্রে তার ভুল সিদ্ধান্তকে কিছুটা হলেও ক্ষমার চোখে দেখা যায়।



কি করছে আমাদের রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ? মুশরিকের দেশ ভারতের প্রোরচনায় ৫% মানুষের অংশ গ্রহণে নির্বাচনের যে মকারী করা হলো, তাই নিয়েই ভারতে প্রসংশায় উদ্ভাসিত হয়ে কাকের মতই আনন্দে বাগবাগ। কিছু তথাকথিত মুসলমান গন্ডমূর্খ মন্ত্রীতো ইতোমধ্যে আগামী পাচ বৎসর ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে, যে ভাবে সিকিমের মূর্খ মন্ত্রীরাও দেখতে শুরু করেছিল। এদেরকে ছাগল বললে ও প্রশংসা করা হয় এবং ছাগলের অবমাননা করা হয়। কারণ ছাগল কখনও নেকরের সাথে বন্ধুত্ব করেনা, যদিও তাদের উপর মহান আল্লাহপাক কিতাব নাজিল করেননি তারপর ও তারা শত্রু / মিত্র চিনে। লেন্দুপ ও চিনেনি আর আমাদের মূর্খ আওয়ামীলীগ ও চিনলোনা সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক প্রেরিত নির্দেশনা থাকা সত্বেও। এ দু:খ রাখি কোথায়?



ভারতে শতকরা ৪৫ ভাগ মুসলমান। সরকারী, বেসরকারী চাকুরীতে তাদের উপস্থিতি শতকরা দুইভাগের ও কম। আমাদের দেশে হিন্দু শতকরা দুইভাগ, এই আওয়ামীলীগ এর আমলে গুরুত্বপূর্ণ সরকারী চাকুরিতে এদের সংখ্যক ক্ষেত্র বিশেষে ৭০ পার্সেন্টে গিয়ে পৌচেছে। যারা শিবলিংগের পুজা করে তারা হচ্ছে মুশরিক। যারা শিব লিঙ্গের পুজারীদের পুজা করে তাদের ধর্ম কি? আওয়ামীলীগ? (আম্লীক)। এ বিষয়টা প্রতিটি আওয়ামী সদস্যদের চিন্তা করা উচিৎ।



যে দেশ এ দেশের যুবসমাজ ধ্বংস করতে ফেনসিডিলের বন্যা বইয়ে দেয়, যারা প্রতিনিয়ত সীমান্তে নীরিহ বাংলাদেশীদের হত্যা করে। যারা আন্তর্জাতিক নদীর পানি প্রবাহ গায়ের জোড়ে বন্ধ করে দেয়। যারা মুসলমানদেরকে মাইকে আযান দিতে দেয় না। গরু কুরবানী দিতে বাধা দেয়। বিনাবিচারে কাশমীর, মাদ্রাজ, আসাম ও উরিষ্যাতে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মুসলমান যুবকদের শহীদ করছে, মেয়েদের করছে তাদের আনন্দের খোরাক । ঐ চরম ইসলামবিদ্বেষী মুশরিক দেশ হচ্ছে আওয়ামীলীগ এর পরম বন্ধুপ্রতিম।



যখন কোন ব্যাক্তি বা দল মুসলমান হওয়ার পরেও ইহুদী, নাছারা কিংবা মুশরিকদের ঘনিষ্ট হয়, তখন সেই ব্যক্তি বা দলের উপর দুই ধরনের গজব অবধারিত হয়ে পড়ে। পবিত্র হাদীছ শরীফ অনুযায়ী, “ যে যার সাথে সম্পর্ক রাখে, সে তার অন্তর্ভূক্ত।” সেই হিসাবে আওয়ামীলীগ মুশরিকদের অন্তর্ভূক্ত এবং হাশর, নশর তাদের সাথেই। দ্বীতিয় বিষয়টা হচ্ছে ইতিহাস দ্বারা প্রমাণিত। মুশরিকরা যার সাথে বন্ধত্ব করে কিংবা সহযোগীতার হাত বাড়ায়, দিনের শেষে ওরাই (মুশরিকরা) গজব হিসাবে তাদের উপর পতিত হয়। সিকিমের দিকে তারা প্রথমে বন্ধুপ্রতিমের হাত বাড়ায় পরবর্তীতে নিজেদের দালালদেরকে ক্ষমতায় বসিয়ে দেশটিকেই নিজেদের সীমানার মধ্যে নিয়ে নেয়। পরাধীন সিকিমবাসী আজ লেন্দুপদর্জি ও তার দল সিকিম ন্যাশনাল কংগ্রেসকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ঘৃণা করে তবে ক্ষতি যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। যদি আমাদের দেশে বর্তমান অবস্থার দ্রত পরিবর্তন না আসে, শেখ হাসিনা ও তার দল ঐ দিকেই দেশকে নিয়ে যাবে । ভারত এ কাজটি চেষ্টা করেছিল শৃলংকার সাথেও, এমনকি বাংলাদেশ থেকেও তারা ১৯৭১ সালে সেনাবাহিনী ফিরিয়ে নিতে টালবাহানা করছিল।



শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৃঢ় চেতা সিদ্ধান্তের কারণে সেদিন ভারতীয় সেনাবাহিনীকে ইন্দিরা গান্ধি তার দেশে ফিরিয়ে নেয়। বঙ্গবন্ধুর সেই সময়চিত সঠিক সিদ্ধান্তের কারণেই আমরা গত ৪৩টি বৎসর স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসাবে মাথা উচু করে চলতে পারছি। তবে আফসুস উনারই কন্যা সেই কষ্টার্জিত স্বাধীনতাকে লেন্দুপ দর্জিও মত ভারতের কাছে হস্তান্তর করতে দিনরাত খেটে যাচ্ছেন। নিশ্চিত হতে চাইলে ক্লিক করুন এখানে এবং এখানেও

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:০৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করি!

দুই লাইন কোরান পড়েই সব বুইঝা ফালাইছেন?

"তোমরা শত্রু হিসাবে প্রথমে পাবে ইহুদীদের এবং তারপরই পাবে মুশরিকদের। মুশরিক হচ্ছে মুর্তি পুজারী হিন্দুরা"

২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫১

মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী@ অনেক ভাই কুরআন বুঝেন । মুশরিকদের পরিচয় সঠিকভাবে দিলে খুশি হতাম ।

৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫১

মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী@ অনেক ভাই কুরআন বুঝেন । মুশরিকদের পরিচয় সঠিকভাবে দিলে খুশি হতাম ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.