নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার প্রিয় দেশ বাংলাদেশ

আমার প্রিয় দেশ বাংলাদেশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রকৃত স্বৈরাচার বনাম গণতান্ত্রিক স্বৈরাচার

১১ ই জুন, ২০১৪ রাত ১:৩৪

একজন প্রকৃত স্বৈরাচারকে (প্রস্ব) চিহ্নিত করা যতো সহজ, ততই কঠিন একজন গণতান্ত্রিক স্বৈরাচারকে (গস্ব) চিহ্নিত করা। গণতন্ত্রের কঠিন আবরণের মাঝে যে স্বৈরাচার লুকায়িত থাকে, তাকে বলা হয় গণতান্ত্রিক স্বৈইরাচার। কোন ধরনের স্বৈরাতন্ত্রই জনগণের জন্য কল্যাণকর নয়, তবে উল্লেখিত দুইটির মধ্যে যদি একটিকে বেছে নিতে বলা হয়, সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের কোনটি বেছে নেয়া উচিত? তফাৎ সূক্ষ্ম এবং তা বিশ্লেষণের দাবি রাখে। সৌদী আরবের রাজতন্ত্র হচ্ছে ঘোষিত স্বৈরাচার, জনগণ তা জানে এবং স্বরবে/নীরবে তা মেনে নিয়েছে। রাজা নিজেও তা জানে এবং স্বীকার করে। সে নিজের দেশকে গণতান্ত্রিক দেশ বলে না, নির্বাচনের নামে প্রহসনের আয়োজন করে না। সে স্বৈরাচার ঠিক, তবে জনগণকে ধোকা দেয় না। কি হয় ‘গস্ব’ পরিবেশে? জনসম্মুখে নেতা গণতন্ত্রের ব্যাপক প্রশংসা করবে, গণতান্ত্রিক বক্তৃতা দিয়ে মুখে ফেনা তুলবে তবে পর্দার আড়ালে কঠিন স্বৈরাতন্ত্র। জনসম্মুখে, জনগণ হচ্ছে সকল শক্তির উৎস, পর্দার আড়ালে কিংবা নেতাদের অন্তরে জনগণ হচ্ছে যবন, মেøচ্ছ ও অস্পৃশ্য, মেধাহীন একদল ভেড়া/ছাগল। অন্তরে বিশ্বাস করে, বন্দুকের নলই হচ্ছে সকল ক্ষমতার উৎস। জনগনের মধ্যে থেকে যদি কেউ গণতান্ত্রিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জনসম্মুখে কিছু বলে বা লিখে সেই হবে খুন, গুম, ক্রসফায়ার কিংবা লাগাতার রিমান্ডের লক্ষ্যবস্তু।



একজন গণতান্ত্রিক নেতা যত বেশি স্বৈরাতন্ত্রের দিকে ধাবমান হয় তত বেশি সে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং গোয়েন্দা বাহিনীর উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। বর্তমান সরকার পুলিশ বিভাগে গোপালগঞ্জের ঠিকানায় ব্যাপক হারে পশ্চিমবঙ্গের নাগরিক ভর্তি করা ছাড়াও হঠাৎ করেই পুলিশ বাহিনীতে ৫০,০০০ হাজার নতুন জনবলের নিয়োগ দিচ্ছে। পুলিশের বেতন বৃদ্ধি অভাবনীয়। থানার ওসিদের প্রথম শ্রেণীতে উন্নয়ন, প্রত্যেককে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পিকাপ প্রদান, বিরোধীদলীয় মিছিলে নির্বিচারে গুলি করার ক্ষমতা প্রদান, এমন আরো অনেক সুবিধাদি। জাতীয় নিরাপত্তায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ ডিজিএফআই’র সদস্যদের ৩০% বেতন বৃদ্ধি। এসব সুবিধাদি প্রদানের মূল কারণ হচ্ছে, গণবিচ্ছিন্ন সরকারকে ধীরে ধীরে গণমানুষ নয় বিভিন্ন ধরনের বাহিনীর উপর নির্ভরশীল হতে হয়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বেতন/ভাতা আর সুবিধাদি বৃদ্ধি করতে গিয়ে ব্যাপকভাবে কর বৃদ্ধি করা হয়, গণমানুষের হয় নাভিশ্বাস অবস্থা। যেহেতু ‘গস্ব’ গণমানুষকে ধোকা দিয়ে ক্ষমতায় চিরস্থায়ী হতে চায়, তাই গস্ব, প্রস্ব থেকে অনেক বেশি নিষ্ঠুর ও অনেক বেশি ভয়ঙ্কর। এখানে নির্বাচনের নামে জনগণের সাথে প্রহসন করা হয়, যা রাজতন্ত্র বা প্রস্ব পরিবেশে প্রয়োজন হয় না। প্রচলিত পদ্ধতি এবং পরিবেশগত কারণেই তৃতীয় বিশ্বের রাজনীতিবিদরা চরমভাবেই মেধাহীনতার রোগে আক্রান্ত । যে রাজনৈতিক দলটি যত বেশি দক্ষ বৈদেশিক বিশেষজ্ঞদের শলাপরামর্শ অনুযায়ী চলে, সেই দলটিরই তত বেশি ক্ষমতায় থাকার সম্ভাবনা। দেশ ও জাতির সাথে চরম বেঈমানী করেও একটি দল ক্ষমতায় থেকে যেতে পারে যদি তার বৈদেশিক বিশেষজ্ঞরা সঠিক পরামর্শ দেয় এবং বিরোধীদল ক্ষমতাসীনদের রাজনৈতিক দুর্বলতাকে সঠিক সময়ে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়।



অন্তর্দৃষ্টি, দূরদৃষ্টি ও প্রজ্ঞাহীন তৃতীয় বিশ্বের রাজনৈতিক নেতারা দেশ পরিচারনায় দেশীয় চাকটুকার আর বিদেশী বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের উপর নির্ভরশীল। দেশপ্রেমিক প্রজ্ঞাবানরা নেতাদের কাছে অপাংতেয়, অর্বাচীন। এক্ষেত্রে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ভাগ্যবান, তারা অত্যন্ত দক্ষ ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর পরামর্শে দেশ পরিচালনা করে। দেশীয় গোয়েন্দা এবং পাকিস্তানী আইএসআই, নিজ দেশের পয়েন্টে থেকে পয়েন্ট বি তে ১০ ট্রাক মাল পাচার করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়, ধরা পরে যায়। অথচ ভারতীয় গোয়েন্দাসংস্থা ‘র’ স্থানীয় এজেন্ট (আওয়ামী লীগ) সমন্বয়ে আমাদের প্রিয় সেনাবাহিনীর ৫৭ জন কর্মকর্তাকে শহীদ করে নির্বিঘ্নে সরে পরে। ঘটনার পরবর্তী তদন্তকেও তারা ন্যাক্কারজনকভাবে প্রভাবিত করতে সমর্থ হয়। পরিস্থিতি পর্যালোচনায় প্রতীয়মান যে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের গোয়েন্দা বাহিনীর চেয়ে ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনী, দক্ষতার দিক দিয়ে অনেক বেশি এগিয়ে আছে। এহেন দক্ষ একটি গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতা থাকলে যে কোনো গণতান্ত্রিক সরকার অতি সহজেই স্বৈরাচারে পরিণত হতে পারে।



অবস্থাদৃষ্টে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার সেই দিকেই ধাবমান। এই সরকারের অধীনে গণতান্ত্রিক পরিবেশে ফিরে আসার আর কোনো সুযোগ নেই। সে ধরনের প্রচেষ্টা তাদের জন্য হবে আত্মহত্যার সামিল। গণতান্ত্রিক ছদ্মাবরণে স্বৈরাতন্ত্র একটি ক্ষণস্থায়ী ব্যবস্থা। হয় তাকে দ্রুত প্রকৃত স্বৈরাচারে (রাজতন্ত্র) রূপান্তরিত হতে হবে কিংবা অবধারিতভাবে শুরু হবে ব্যাপক ধ্বংসাত্মক সিভিল ওয়ার। সময় এসেছে সিদ্ধান্ত নেয়ার যে, আপনি কোন পক্ষ শক্তি হবেন? স্বৈরাচারের পক্ষ শক্তি না গণতন্ত্রের পক্ষ শক্তি?

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুন, ২০১৪ রাত ১:৫২

পংবাড়ী বলেছেন: আপনার মতো লোকেরা কিছু না বুঝে আবোল তাবোল বকার ফলে খালেদা হাসিনার মতো ইডিয়টেরাও বুঝতে পারে যে, দেশ ভরে গেছে ভেঁড়ায়; তাই তারা ভেঁড়ার কাবাব খেয়ে নিজ সিংহাসন ঠিক রেখেছে।

২| ১১ ই জুন, ২০১৪ রাত ১:৫৪

পংবাড়ী বলেছেন:

"আমার প্রিয় দেশ বাংলাদেশ "।

মাফ করে দেন, অস্ট্রেলিয়া চলে যান, ওখানে অনেক ঘাস।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.