নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার প্রিয় দেশ বাংলাদেশ

আমার প্রিয় দেশ বাংলাদেশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মন্ত্রী নির্বাচন: মোদী বনাম হাসিনা

১৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:৩৫

একজন দক্ষ এবং সার্থক রাজনীতিবিদ হতে যে, প্রেসিডেন্ট কিংবা মন্ত্রী পুত্র/কন্যা হওয়ার প্রয়োজন নেই তা মোদী উপমহাদেশের সকলকে বুঝিয়ে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রী নির্বাচনে সে যে প্রজ্ঞা দেখিয়েছে তা বিশ্বের নেতাদের, বিশেষ করে তথাকথিত মুসলমান নেতাদের কাছে শিক্ষণীয়। বাকি সব মন্ত্রীর কথা বাদ দিয়ে শুধু মাত্র একজন মন্ত্রীর কথাই আলোচনা করা যাক। সে হচ্ছে মোদীর শিক্ষামন্ত্রী। একজন অর্ধশিক্ষিত নারী নাম স্মৃতি ইরানী। প্রশ্ন হচ্ছে মোদীর মতো প্রজ্ঞা সম্পন্ন ব্যক্তি কেন ভারতের মত একটি দেশের জন্য অর্ধশিক্ষিত এক নারীকে শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব দিল? মোদীর প্রজ্ঞার বিচার এখানেই।



একটি পরিবারকে সম্মানিত রাখা এবং এগিয়ে নেয়ার জন্য যে ব্যক্তিটি নেতৃত্ব দেয়, সে হচ্ছে ঐ বাড়ির ‘বউ’ কখনো সে স্ত্রী, কখনও বা মা, কখনও আবার ভাবী এবং এমন আরো অনেক দায়িত্ব।

একজন স্বার্থক ‘বউ’ যখন একটি পরিবারের সকলের সাথে সুসম্পর্ক রেখে গুছিয়ে সংসার চালাতে পারে। বুঝতে হবে, সে যে কোন অর্পিত দায়িত্বই সুষ্ঠুভাবে পালনে সক্ষম।

তাই নেপোলিয়ন বলেছিল, ‘আমাকে একটি ভাল মা দাও, আমি তোমাদেরকে একটি ভাল জাতি দেব।’ মোদী নির্বাচন করেছে ঐ মহিলাকে শিক্ষা মন্ত্রী হিসেবে যার রয়েছে ভাল ‘বউ’ এর রোল প্লে করার ব্যাপক অভিজ্ঞতা। তার জন্য মোদীর আদেশ, ‘ভারতের প্রতিটি মেয়ে যাতে তাদের পরিবারকে সঠিক নেতৃত্ব দিতে পারে সেভাবেই গড়ে তুলতে হবে। স্কুল-কলেজের পাঠ্যসূচি সেভাবেই ঢেলে সাজানো হোক।’ ব্যাস, এক ঝাক ভালো বউ মানেই হচ্ছে, অবধারিতভাবে একটি উন্নত জাতি।



এবার আসুন আমাদের দেশে কি হচ্ছে? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, তিনি একটি পরিকল্পনার মাধ্যমে দেশকে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেননি উনার লক্ষ্যটা কি? তবে উনার নির্বাচিত মন্ত্রীদের কার্যকলাপ থেকে আমরা তার কিছুটা ধারণা করতে পারি। তিনি একজন সঘোষিত নাস্তিক (নুরুল ইসলাম নাহিদ) কে দায়িত্ব দিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর। যেখানে দেশের ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী, ঐ নাস্তিক শিক্ষামন্ত্রী আমাদের ভবিষ্যৎ বংশধরদের (শিশু-কিশোরদের) জন্য চালু করেছেন চকলেটে মোড়ানো যৌন শিক্ষা। উদ্দেশ্য? উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের মধ্যে যখন প্রকৃতিগতভাবেই প্রজনন অনুভূতির আগমন হয়, তখনই বিষয়টি সম্বন্ধে ব্যাপক জ্ঞান দানের মাধ্যমে অবৈধ যৌন কর্মকান্ডে প্ররোচিত করা। আজ পাশ্চাত্য সমাজে অবৈধ যৌনাচারের যে প্রচলন হয়েছে তার শুরুটাও ছিল স্কুল-কলেজে যৌন শিক্ষা দেয়ার মাধ্যমে।



ধরাপৃষ্ঠে জীবনচক্র চলমান রাখতে মহান আল্লাহ পাক যে পদ্ধতি চালু রেখেছেন তাতে যৌন শিক্ষার আদৌ প্রয়োজন নেই। বনের পশু, পানির মাছ কিংবা আকাশের পাখি সকলে যৌন শিক্ষা ছাড়াই তাদের জীবনচক্র চলমান রেখেছে। শিক্ষামন্ত্রীর পিতা-মাতা ও যৌন শিক্ষা গ্রহণ করেননি, উনাদের সন্তান আজ একজন মন্ত্রী হয়েছে, অথচ তিনি আমাদের সন্তানদের যৌন শিক্ষা দিচ্ছেন। জাতির সাথে এ এক চরম প্রতারনা, গভীর চক্রান্ত। মোদী চায় তার দেশের সন্তানদের সুসন্তান বানাতে আর আমাদের প্রধানমন্ত্রী চান ওদেরকে ভবিষ্যতে যৌন দানব বানাতে। তিনি আসাদুজ্জামান নুরকে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বানিয়েছেন, সে এখন গভীর চিন্তায় নিমগ্ন কি করে এদেশে ব্যাপক হারে সমকামিতা ছড়ানো যায়।

তিনি এদেশের গুটিকতক নরকের কীট সমকামীদের দিয়ে। ১লা বৈশাখে পুলিশি নিরাপত্তায় পথশোভার আয়োজন করেছেন। উনার মন্ত্রীদের কর্মকা- দেখে, আমাদের আজ সত্যি জানা প্রয়োজন যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই জাতির জন্য কি লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন?

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:৩৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: আগরতলা আর চকির তলা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.