![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বেদনাদায়ক সত্য হচ্ছে, সাধারণভাবে নেতিবাচক আলোচনাকেই সমালোচনা ধারণা করা হয়। নেতি ও ইতি এই দুই ধরনের আলোচনা নিয়েই যে সমালোচনা তা আমরা অনেকেই জানি না। জনাব রনির একটি লেখা এ মাসের (জুন ২০১৪) ১০ তারিখে নয়া দিগন্তে ছাপানো হয়েছে। পড়ে মনে হলো উনাকে সমালোচনা করা প্রয়োজন। লেখাটি অপূর্ব মনে হলেও প্রথমেই আমি উনার নেতিবাচক দিকটাই তুলে ধরতে চাই। যেই দলে ৯৯.৯৯% নেতা/নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ওলি আউলিয়া সমতুল্য মনে করে (নাঊযুবিল্লাহ) সেখানে জনাব রনি উনাকে সাধারণ মানুষের পর্যায় রাখতে চান। প্রমান দেখুন ।
জনাব রনি উনার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে উনাকে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন হতে উপদেশ দিতে চান। কত্ত বড় সাহস! তাই, প্রজ্ঞাহীন চাটুকারদের ভিড়ে প্রজ্ঞাপসম্পন্ন কোন ব্যক্তির ভাগ্যে যা হওয়ার কথা তাই জুটেছে রনি সাহেবের কপালে। এমপি হওয়া সত্বেও হাজতবাস আর রিমান্ডে পুলিশের জামাই আদর।
এ ধরনের মানুষেরা কোন দলের তা বিবেচ্য বিষয় নয়, তিনি হতে পারেন আওয়ামী লীগের রনি কিংবা বিএনপি’র মাহমুদুর রহমান কিংবা ইলিয়াস আলী। তৃতীয় বিশ্বে ভয়ঙ্কর চাটুকার সমৃদ্ধ পরিবেশে প্রজ্ঞাসম্পন্নদের পরিণতি যে এই হবে তা জেনে বুঝে তবেই রাজনীতি করতে হবে। বর্তমান সরকারের চাটুকার সমৃদ্ধ ভয়ঙ্কর রাজনৈতিক নেতারা হয়তো এক পর্যায়ে লেখালিখির জন্য মাহমুদুর রহমানের ভাগ্যের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারেন এই রনি সাহেবের উপর।
এলাকা ভিত্তিতে নোয়াখালীর মানুষরা অন্যান্য জেলা থেকে যেমনি ধর্মীয় দিক থেকে এগিয়ে, ঠিক তেমনি বৃহত্তর বরিশালবাসীকেও ধরে নেয়া হয় সাধারণভাবে একটু একগুয়ে, সৎ, সাহসী এবং স্পষ্টভাসী। বরিশালে অতীতে এমনি আরো নেতা ছিলেন, যেমন শেরে বাংলা, বিডি হাবিবুল্লাহ প্রমুখ। এদের সততা, বাগ্মিতা ও স্পষ্টবাদিতা ছিল প্রাতস্মরণীয়। রনি সাহেব হয়তোবা নিজের অজান্তে তাদেরকেই অনুসরণের চেষ্টা করছেন। তবে তিনি যাচাই করতে ব্যর্থ হয়েছেন যে, উনার প্রজ্ঞাসম্পন্ন লিখনী উপলব্ধি করার জন্য বর্তমান রাজনীতিবিদদের অন্তরদৃষ্টি, দূরদৃষ্টি এবং প্রজ্ঞার মান কোন পর্যায়ে অবস্থান করছে। রনি সাহেবের লেখা পড়ে ক্ষমতার কাছাকাছি অবস্থানরত চাটুকারদের বিভিন্ন রকম প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা। অত্র অঞ্চলের প্রখ্যাত দার্শনিক, কবি এবং স্পষ্টভাষী ক্ষনার জিহবা কেটে ফেলেছিলেন তৎকালীন রাজা চাটুকারদের পরামর্শ অনুযায়ী। তবে বর্তমান সময়ের চাটুকাররা জিহবা কর্তনের মত অমানবিক কাজে বিশ্বাসী নয় তারা বিশ্বাস করে সহজ সমাধানে - খুন, গুম ও ক্রসফায়ার। আর যদি মহারাজাও একই মানসিকতার হন তবে রনি সাহেব আপনি সাবধান। এদেশে হয় সেই নন্দনাল হয়ে বেঁচে থাকতে হবে কিংবা হতে হবে টপ টেরর, শামিম ওসমান, জয়নাল হাজারী প্রমুখ, মধ্যপন্থী ভদ্র মানুষদের জন্য এদেশ নয়।
©somewhere in net ltd.