নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার প্রিয় দেশ বাংলাদেশ

আমার প্রিয় দেশ বাংলাদেশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নূর হোসেনের অবধারীত অপমৃত্যু

২৬ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:৪২

সাত খুনের আসামী নূর হোসেন দেশে এসে জবানবন্ধি দিলে বর্তমান সরকার কঠিন ভাবে মাইনকা চিপায় পরতে বাধ্য। সরকারী খুনের আদেশ দাতারা জনসম্মুখে প্রকাশিত হয়ে পরবে। প্রত্যেকেই নিজের কুকির্তীর দায় কমাবার জন্য আদেশ দাতার নাম জানিয়ে দেবে। আর এভাবেই সর্বোচ্য আদেশ দাতার নাম বেড়িয়ে পড়বে।



রানা, আরিফ যেমনি বলেছে তারা আদেশ পেয়েছে তাদের অধিনায়ক তারিক সাঈদের কাছ থেকে, ঠিক তেমনি তারিক সাইদ ও বলেছে সে আদেশ পেয়েছে র‌্যাব সদর দপ্তরের এডিজি জিয়ার কাছ থেকে। এখন শুধু জানা বাকী কার কাছ থেকে এডিজি জিয়া ক্লিয়ারেন্স নিয়েছে। এ সত্য প্রকাশ হওয়া বর্তমান সরকারের জন্য আত্মহত্যার সামিল।



আজ যদি ভারতের ক্ষমতায় কংগ্রেস থাকতো তবে তাদের দায়িত্ব হতো জয় এর নির্বাচন পূর্ব প্রদত্ব ২৭ মিলিয়ন ডলারের ঋণ শোধ দেয়ার।

নূর হোসেন হয়তো অস্ত্রউদ্ধারে গিয়ে ক্রস ফায়াওে ভারতেই মারা যেত। মোদির আমলে তা আর হওয়ার সুযোগ নেই। সম্পূর্ণ আনুষ্ঠিকতার মাধ্যমেই নূর হোসেনকে ফেরত দেয়া হবে। এটাই এখন বর্তমান সরকারের প্রচন্ড মাথা ব্যাথার কারণ। ক্ষমতা কুক্ষিগত, তবে রাতে ঘুম নেই, এ এক অসহনীয় অবস্থা।



আল্লাহর মাইর যে, দুনিয়ার বাইর তৃতীয় বিশ্বেও প্রজ্ঞাহীন ক্ষমতাধররা কখনই মনে রাখেনা। বারবার ধরাশায়ী হওয়ার পরও ক্ষমতায় বসে আবার একই ভুল। একই ভাবে জনসেবার কথা চিন্তা না করে রাতদিন চিন্তা ক্ষমতাকে কি ভাবে চিরন্তন করা যায়। নূর হোসেন যদি অগত্যা বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর হয়েই যায় তার জবান বন্ধ করার জন্য পৃথিবীর যে কোন প্রান্ত থেকে প্রয়োজনীয় ঔষধ কিংবা ডাক্তারের আয়োজন করা হোক। ওলিআউলিয়া পর্যায়ের প্রধানমন্ত্রীর জন্য টাকা/পয়সা কোন সমস্যা নয়।



দুর্দান্ত নূর হোসেনের নিশ্চয়ই একটি ভয়ংকর সন্ত্রাসী দল আছে যারা তাকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করবে। ব্যাপক গোলাগুলি হবে, ফলাফল হঠাৎ ২/৩টি গুলির আঘাতে নূর হোসেনের মৃত্যু আর ঘটনাতে বাস্তবতা আনার জন্য ২/৪টি পুলিশ ও মারা যেতে পারে।



সরকারের বর্তমান অবস্থার একটি উদাহরণ হচ্ছে, একটি কুকুর রাস্তায় প্রচন্ড জোড়ে ঘেউ ঘেউ করছে, অপর একটি কুকুর জিজ্ঞেস করলো, চিৎকার করছিস কেন?

উত্তর: “মানুষকে ভয় দেখাচ্ছি।”

আবার প্রশ্ন, তবে লেজটাকে শরীরের নিচে গুটিয়ে রেখেছিস কেন?

উত্তর: “ব্যাটা আমি ও তো ভয় পাচ্ছি”।



শিক্ষা হচ্ছে জনতাকে সবাই ভয় পায়, কুকুর কেন পৃথিবীর তাবৎ জন্তু জানোয়ার মানুষকে ভয় পায়, ঠিক তেমনি স্বৈরাচারী ও মানুষকে ভয় পায়, জনতাকে ভয় পায়। তাই, শুধু খুন/গুম/ক্রস ফায়ারই যথেষ্ট নয় প্রয়োজন ভয়ংকর সব আত্মাপানি করা হুংকার, বর্তমানে আমাদের দেশে তারই চর্চা চলছে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:০৩

গাধা গরু বলেছেন: যথার্থই বলেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.