![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিদের প্রতি যারা আগ্রহী কিংবা যারা গুণী ব্যক্তিদের সম্মান প্রদর্শন পূর্বক তাদেরকে দেশ ও জাতির স্বার্থে কাজে লাগাতে আগ্রহী তাদেরকে বলা হয় গুণগ্রাহী। ইতিহাস স্বাক্ষ্য দেয়, বাদশাহ আকবর নিরক্ষর ছিলেন। ১৩ বৎসর বয়সে তিনি সিংহাসনে আরোহণ করেন। তার সকল বৈশিষ্ট্যের (গুণের) মধ্যে সবচেয়ে মূল্যবান যে বৈশিষ্ট্য ছিল তা হচ্ছে, তিনি ছিলেন একজন সত্যিকারের গুণগ্রাহী বাদশাহ। শুধুমাত্র এই কারণেই তিনি দিল্লির মসনদে ছিলেন দীর্ঘ ৫০ বৎসর।
এই গুণটি বর্তমান যামানার অধিকাংশ মুসলমান নেতৃবৃন্দ হারিয়ে ফেলেছে। তারা সকলে এখন হয়েছে হিপোগ্রাহী অর্থাৎ হিপোক্রেটদের প্রতি আগ্রহী। শুধুমাত্র এই মানসিকতার কারণে পৃথিবীর সকল মুসলমান দেশ আজ গরীব, তৃতীয় বিশ্ব, চরম রাজনৈতিক হানাহানি, স্বৈরাতন্ত্র কিংবা ভুয়া গণতন্ত্রের নামে চলছে একনায়কতন্ত্র। এরা ইসলাম বিদ্বেষীদের শক্তিতে বলীয়ান হয়ে, চরম নির্যাতন চালায় দেশের নিরীহ মুসলমানদের উপর। মহান আল্লাহ পাক তিনি মুসলমান দেশসমূহের মাটির নিচে পৃথিবীর প্রায় ৭০ ভাগ খনিজ সম্পদ দেয়া সত্ত্বেও নৈতিক অবক্ষয়ের কারণে তারা আজ পথের ভিখারি। হাত পেতে করুণভাবে চেয়ে থাকে ইহুদী/নাসারা কিংবা চরম ইসলাম বিদ্বেষী মুশরিকদের কাছ থেকে করুণা পেতে। এই হীনম্মন্যতার কোনো পরিমাপ কিংবা পরিমাণ নেই। এরা শুধু জানে ইহুদী/নাছারা আর মুশরিকদের কাছে মাথা নত করতে আর নিজ দেশের মুসলমানদের উপর স্টিম রোলার চালাতে।
মুশরিক ভারত যতই সহযোগিতা করুক না কেন, বর্তমান আওয়ামী সরকারের পতন অবধারিত। মুসলমান নামের কলঙ্ক ইসলাম বিদ্বেষীদের উপর যদি খোদাই গযব নাযিল না হয়, তবে মহান আল্লাহ পাক তিনি গযব কাদের উপর নাযিল করবেন? বিষয়টি উপলব্ধি করতে পেরে ক্ষমতার বাইরে বিরোধী দলীয়, হিপোক্রেটরা পূর্ণোদ্যোমে মাঠে নেমেছে পরবর্তী সম্ভাব্য সরকার প্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য। অনলাইন পত্রিকায় নিজ ছবিসহ লেখা ছাপাতে শুরু করেছে। অথচ, গতবার ক্ষমতায় থাকার সময় এই সব চাটুকারদের দ্বারা ঘেরাও থাকার কারণেই ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়েছিল বর্তমান বিরোধীদলকে।
জেনেটিক্যালি স্মার্ট একজন নেতা সবসময় উপদেষ্টা নির্বাচন করেন সূক্ষ্ম অন্তর্দৃষ্টি, দূরদৃষ্টি এবং প্রজ্ঞাসম্পন্ন দক্ষ ব্যক্তিদের। হাজার বছর পূর্বে দার্শনিক মেকিয়াভ্যালি উপদেষ্টা নির্বাচনের ক্ষেত্রে যা বলে গেছেন, পৃথিবীর সকল সফল নেতারা তাই মেনে চলেছেন। শুধু বাদশাহ আকবর (৫০ বৎসর) নয়, মালয়েশিয়ার মাহাতির (২২ বৎসর) পশ্চিমবঙ্গের জ্যোতি বসু (২৫ বৎসর) এরা সবাই ক্ষমতায় ছিল শুধুমাত্র আদর্শ উপদেষ্টা নির্বাচনের কারণে। চাটুকার উপদেষ্টারা রাতের আঁধারে নেতাকে নিয়ে যায় অন্ধকার জগতে। সেখানে শুধু আছে ভোগ আর উপভোগ।
হালাকু খান যখন ১৩ ফেব্রুয়ারি ১২৫৮ ইং সালে বাগদাদ ধ্বংস করতে শহরের প্রাচীর অতিক্রম করছিল তখনকার খলীফা আল মুনতাসিম ব্যস্ত ছিল মিশর থেকে সদ্য আগত নতুন নর্তকীদের যোগ্যতা যাচাই করার কাজে। যুদ্ধপরবর্তী দিনগুলোতে হালাকু খান প্রায় ১৬ লক্ষ মুসলমান হত্যা করেছিল। অটোম্যান খিলাফতের শেষ দিনগুলোও ছিল তেমনি। ১৬৮৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সেনাপতি কারা মুস্তফার সে¦চ্ছাচারিতার কারণে ভিয়েনাতে মুসলমান বাহিনী যখন ধ্বংস প্রাপ্ত হচ্ছিল, সেই সময় খলীফা ৪র্থ মোহাম্মদ রাজধানী ইস্তাম্বুলে নিয়োজিত ছিলেন হিপোক্রেট আবৃত রাজকীয় আরাম-আয়েস ও ভোগবিলাসে।
এসবই ছিল মুসলমানদের স্বর্ণযুগের করুণ পরিণতির ইতিহাস; যা বর্তমান যামানার মুসলমান দেশসমূহে এখন এক করুণ বাস্তবতায় পরিণত হয়েছে। তখনকার যুগের মুসলমান নেতারা না বুঝে ইসলামের ক্ষতি করতো আর বর্তমান যামানার তথাকথিত মুসলমান নেতারা ঠান্ডা মাথায়, পরিকল্পিতভাবে ইসলামের ক্ষতি করে শুধুমাত্র ক্ষমতার মোহে পড়ে।
জনাব তারেক রহমান যদি জেনেটিক্যাল স্মার্ট হন তবে কেন ৫ বৎসর পর ক্ষমতাচ্যুত হলেন? ওই হিসাবে যদি ধরে নেই তিনি স্মার্ট, তবে তার ব্যর্থতার মূল কারণ হচ্ছে- তিনি ঘেরাও ছিলেন একদল আরো বেশি জেনেট্যিক্যাল স্মার্ট কিংবা আরো বেশী ডিজিটালি স্মার্ট হিপোক্রেট দ্বারা। যার ফলে জেনেটিক্যালি স্মার্ট হওয়া সত্ত্বেও তিনি নেতৃত্বে ব্যর্থ হয়েছেন। ওই হিপো উপদেষ্টারাই আবার পত্রিকায় ইমোশনাল চাটুকারিতার মাধ্যমে নেতার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে যাচ্ছে।
তারেক রহমান জনেটেক্যিালি র্স্মাট
যেখানে নেত্রী খালেদা জিয়া প্রতিনিয়ত আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে আহ্বান জানানোর পরেও রাস্তায়/মাঠে কোন নেতাদের দেখা যাচ্ছে না। সেখানে এক নেতা বলছে (খালেদা জিয়া ডাক দিলেই মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়বে)
আমাদের বুঝতে হবে ক্ষমতায় যেতে কিংবা থাকতে হলে গুণগ্রাহী হতে হবে হিপোগ্রাহী নয়। প্রিয় মাতৃভূমিকে বর্তমান আওয়ামী সরকার পরাধীনতার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে পৌঁছালেও আশার আলো এই যে, জনাব তারেক রহমান সম্ভবত অতীত ভুলের পুনরাবৃত্তি করতে চাচ্ছেন না, তাই তিনি যোগ্য এবং শিক্ষিত ব্যক্তিবর্গদেরকেই এবার কাছে টেনে নিচ্ছেন।
মহান আল্লাহ পাক তিনি দেশ ও জাতির স্বার্থে জনাব তারেক রহমানকে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা দান করুন। (আমীন)
©somewhere in net ltd.