![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উন্মাতাল এই বিশ্ব আমাদের সামনে হাজির করছে কিছু প্রশ্ন। প্রাচীনকাল থেকে চলে আসা যুদ্ধের ঐতিহ্য কি রক্ষা করতেই হবে? এই বিশ্বে কি যুদ্ধ অপরিহার্য? তাহলে অতীত থেকে আমরা কী শিক্ষা গ্রহণ করলাম? আমরা কী এটাই শিখলাম যে যুদ্ধ বন্ধ করা উচিত নয়, বরং নতুন প্রযুক্তির আশ্রয়ে যুদ্ধকে আরো বেগবান করাই শ্রেয়? যুদ্ধকে তাহলে দেখা উচিত অর্থনৈতিক লাভ-লোকসানের আলোকে? সাম্প্রদায়িকতার আলোকে? তাইতো হচ্ছে এখন। দিকে দিকে ছড়িয়ে দাও সেটা। এমনকি সামাজিক যোগাযোযোগ মাধ্যমগুলোতেও ছড়িয়ে দাও অসহিষ্ণুতা, ক্রোধ, ঈর্ষা। নিজের মোবাইল ফোনটাই যেন এখন হাতবোমা। হিংসা-বিদ্বেষ থেকে মুক্ত হওয়া যেন সম্ভবই নয়। রাষ্ট্রনায়কেরা ব্যস্ত যুদ্ধের কৌশল নির্ধারণে। সৈনিকেরা ব্যস্ত যুদ্ধের কৌশল বাস্তবায়নে। সাধারণ মানুষ ব্যস্ত নিজের আশ্রয় সন্ধানে। শকুন ব্যস্ত দেহ ভক্ষণে। প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে এটা। প্রাচীনকাল থেকে চলে আসছে আরো একটা ব্যাপার, যুদ্ধ কখনোই মানুষের কল্যাণ সাধন করতে পারে না। তাহলে কোনটা করা উচিত? যুদ্ধ নাকি কল্যাণ সাধন? দিন দিন আমরা হয়ে উঠছি অসহিষ্ণু। রাস্তায়, ফুটপাতে, বাজারে, দোকানে, বাসে, লঞ্চে, ফেরিঘাটে, অফিসে, পার্কে, টেলিভিশনে শুধু তর্ক আর তর্ক। শুধু কথা আর কথা। শুধু আক্রমণ আর প্রতিআক্রমণ। ছেলে, বুড়ো কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলে না। একটু কী সহিষ্ণুতা, একটু কী বিনয় থাকতে নেই? একটু কী ভাবার অবকাশ নেই যে এই অসহিষ্ণুতা আমাদেরকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে?
আসলে সহিষ্ণুতা হারিয়ে গেছে। বিনয় হারিয়ে গেছে। শান্তি হারিয়ে গেছে। কিন্তু যুদ্ধ হারায়নি। কূটকৌশল হারায়নি। রক্তের দাগ হারায়নি। এসব দেখে মনে হয় আমাদের ভেতর থেকে যা হারিয়ে যায় তা আর ফিরে আসে না। এরপরও আশাহত হই না। ফিরে আসুক সহিষ্ণুতা, ফিরে আসুক বিনয়, ফিরে আসুক শান্তি।
©somewhere in net ltd.