নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অরণ্য প্রলয়

অরণ্য প্রলয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

হ্যারল্ড পিন্টার-এর কবিতা: “দর্পণ”

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:৪৩



আমার জীবনের প্রতিটি পরতে নিষ্প্রাণ তারুণ্যের আর্তনাদ,
পুষ্পশোভিত বিস্ময় জাগানো পথ দিয়ে হেঁটে গিয়েছি আমি,
হেঁটে গিয়েছি উচ্ছল সহচরীদের সাথী করে,
ত্রয়ী সুরের উদ্দাম বাদ্য বাজিয়ে।

আলিঙ্গন করেছি রুক্ষ জীবনের রুদ্র প্রকৃতিকে,
চুমুক দিয়েছি ঘাড় ভাঙা পাখির রক্ত প্লাবনে,
ঘুমিয়ে পড়েছি ধ্বংসকে সাথী করে বিষাক্ত কাঁটা গায়ে জড়িয়ে।

প্রচণ্ড উল্লাসে পৈশাচিক হাসি বরণ করে নিয়েছি,
গুণকীর্তন করেছি, বাহ্ খুব ফিটফাট লাগছে আপনাদের!
সয়েছি আঁকড়ে ধরা যন্ত্রণার দুঃসহ বন্ধন।

সাজানো হয়েছিল শেষ বিদায়ের শত পানপাত্র,
ক্রোধোন্মত্ত ফাঁসিকাষ্ঠে জমেছে দেহস্তূপ,
পৈশাচিক উল্লাসে পৃথিবী ক্ষতবিক্ষত হয়েছে বারবার।
আমার নির্যাতিত সন্তানদের পায়ের হাড় দিয়ে
আমি খেলেছি ব্যঙ্গ বিদ্রূপের খেলা।

আমার বুকের ভেতর থেকে জন্ম নেয় শুভ্র পায়রার ঝাঁক,
ওদের টুকরো টুকরো অঙ্গ আমোদিত করুক পুরনোদের
উচ্চে তুলে ধরুক উন্মাদ নব্যদের।

আমার শরীর আঁকড়ে ধরেছিল যারা অভিজ্ঞ শতবর্ষী আঙ্গুলে,
বেঁচে থাকুক ওরা পরম প্রশান্তিতে, নিঃশ্বাস নিক মুক্ত বাতাসে,
ওরা সমাপ্তি ঘটিয়েছিল কঙ্কালে পূর্ণ বহু শোকাহত বর্ষের।

(মূল কবিতা: হ্যারল্ড পিন্টার-এর Book of Mirrors // বাংলা ভাষ্য: অরণ্য প্রলয়)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: শক্তিশালী অনুবাদ। শব্দগুলোর মাঝে একটা ঝংকার আছে। ভারী ভারী হলেও ভারাক্রান্ত নয়।

২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৬

অরণ্য প্রলয় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ হাসান মাহবুব ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.