![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঈসা ইবনে মারিয়াম তিনি নিউ টেস্টামেন্টে যিশু নামে পরিচিত তাছাড়াও তিনি ইসলাম ধর্মেরও একজন নবী এবং আল্লাহুর পেরিত রাসূল এবং মসীহ হিসেবে স্বীকৃত।যিশু বা ঈসার কুমারীগর্ভে জন্ম খ্রিস্ট এবং ইসলাম ধর্মে প্রচলিত একটি বিশ্বাস। সর্ব মতা অনুসারে মেরি কুমারী অবস্থাতেই অলৌকিক উপায়ে যিশু বা ঈসাকে গর্ভে ধারণ করেছিলেন। খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীর মধ্যে খ্রিস্টমণ্ডলীতে এই মতবাদ সর্বজনীনভাবে প্রতিষ্ঠালাভ করেছিল। অ্যাংলিক্যানিজম, চার্চ অফ দি ইস্ট ও ইস্টার্ন অর্থোডক্সি, ওরিয়েন্টাল অর্থোডক্সি, প্রটেস্ট্যান্টবাদ এবং রোমান ক্যাথলিকবাদে এই মত স্বীকৃত।খ্রিস্টধর্মের মত ইসলাম ধর্মেও তিনি সম্মানিত একজন নবী তবে ইসলাম ধর্মে তার ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাকে স্বীকার করা হয় না । বলা হয় যে ক্রুশবিদ্ধ করার জন্য যখন বাহক তাকে নিতে ঘরে প্রবেশ করে তখনই আল্লাহ তাকে উপরে তুলে নেন এবং বাহকের চেহারাকে ঈসা এর চেহারার অনুরুপ করে দেন ফলে ঈসা মনে করে ওই বাহককে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়।
ইসলাম বলে যে ঈসা বর্তমানে জীবিত অবস্থায় জান্নাতে অবস্থান করছেন এবং কেয়ামতের পূর্বে মসীহ দাজ্জালের আবির্ভাবের পর ঈসা নবী মুহাম্মদ এর একজন উম্মত বা অনুসারী হিসেবে তাকে পুনরায় পৃথিবীতে অবতরণ করবেন । আর তিনিই দাজ্জালকে হত্যা করবেন। তারপর সমস্ত পৃথিবীর শাসনভার গ্রহণ করবেন এবং পৃথিবীতে শান্তি এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা করবেন। সবশেষে তিনি একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে মৃত্যূবরণ করবেন এবং মুহাম্মদ এর কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হবে । যে কারণে মদীনায় নবী মুহাম্মদ এর কবরের পাশে তাকে কবর দেয়ার জায়গা প্রস্তুত করে রাখা হয়েছিল যা এখনও বহাল আছে ।খ্রিস্টানদের দুটি সর্বাধিক প্রচলিত বিশ্বাস হল এই যে যিশু হলেন পবিত্র আত্মা এবং কুমারী মেরির অবতার এবং যিশু কুমারী মেরির গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন।অষ্টাদশ শতাব্দীর এনলাইটেনমেন্ট ধর্মতত্ত্বের পূর্বে কয়েকটি অপ্রধান সম্প্রদায়ের ব্যতিক্রমী উদাহরণ ছাড়া কেউই এই মতবাদটিকে সম্পর্কে গুরুতর প্রশ্নচিহ্নের মুখে ফেলেনি।
পবিত্র দরজা, সেন্ট ক্যাথরিন মঠ, মাউন্ট সিনাই, দ্বাদশ শতাব্দী
মথি ও লুক লিখিত প্রামাণ্য সুসমাচার দুটির বর্ণনা অনুসারে কুমারী অবস্থাতেই মেরি পবিত্র আত্মার প্রভাবে গর্ভধারণ করেছিলেন। সেই দুই সুসমাচার পরবর্তীকালের প্রচলিত বিশ্বাস এবং সাম্প্রতিক মতবাদ অনুযায়ী মেরির গর্ভধারণের জন্য কোনো জৈব পিতা যৌনসংগম বা বীর্যপাতের প্রয়োজন হয়নি পবিত্র আত্মার প্রভাবেই যিশু বা ঈসানবী মা মেরির গর্ভে এসেছিলেন।
পিয়েত্রো ক্যাভালিনি কৃত মোজাইক, সান্টা মারিয়া ইন ট্রাস্তেভার, রোম, ১২৯১
অলৌকিকভাবে কুমারী মেরীর গর্ভে যিশুর আবির্ভাব কুরআন শরীফেও সুম্পষ্ট ভাষায় বর্ণিত হয়েছে। কুরআন শরীফে যিশুকে ঈসা (আঃ) এবং মেরীকে মরিয়ম হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। মুসলমানরা বিশ্বাস করেন যে ঈসা (আঃ) অর্থাৎ খ্রিস্টানদের যিশু আল্লাহ্র প্রেরতি পুরুষ বা রাসুল। কুরআনে তাঁকে মাতৃপরিচয়ে মরিয়ম পুত্র ঈসা অর্থাৎ ঈসা ইবনে মারিয়াম হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। ঈসা বিন মারিয়াম এই নামটি কুরআনে বারবার ব্যবহৃত হয়েছে।
ওহরিদের আইকন, চতুর্দশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ
ছবি ও তথ্যসূত্র ইন্টারনেট থেকে নেয়া
১৫ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৩২
পোড়া কপাইল্লা মিন্টু বলেছেন:
২| ১৫ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:২৫
গেম চেঞ্জার বলেছেন: গুড পোস্ট!
১৫ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৩২
পোড়া কপাইল্লা মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ গেম চেজ্ঞ্জার ভাই ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ২:১৭
মহা সমন্বয় বলেছেন: কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এগুলা সব মিথ্যা আর গুজবের সমষ্টি ছাড়া আর কিছুই নয়। অথচ এই মিথ্যা এবং আজগুবি বিষয়গুলোই কোটি কোটি মানুষের পবিত্র বিশ্বাস এবং শ্রদ্ধার বিষয়।

পবিত্র আত্মার প্রভাবে গর্ভধারণ করেছিলেন।