![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীর দরিদ্রতম দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম...প্রধান কারন সীমিত সম্পদের বিপরীতে জনসংখ্যার আধিক্য...আর এই সমস্যা সমাধানের সবচেয়ে কার্যকরী সমাধান অভিবাসনের মাধ্যেমে জনসংখ্যা বিকেন্দ্রিকেরন (উল্লেখ্য আমাদের পার্শবর্তী ভারত এই সমাধানে শতভাগ সফল...বোধ করি পৃথিবীর এমন কোন দেশ খুঁজে পাওয়া যাবেনা যেখানে ভারতীয় নাগরিক নাই)...এতে দুইদিক দিয়ে ফায়দা...এক.জনসংখ্যার চাপ কমানো...দুই.বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যেমে দারিদ্র দূরীকরন...বাংলাদেশও সফলভাবে এক কার্যক্রমটিতে এগিয়ে যাচ্ছিল...সেই সুত্র ধরে মধ্যেপ্রাচ্যে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশী শ্রমিক কাজ করে এবং মধ্যেপ্রাচ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শ্রমিক কাজ করে সৌদি আরবে...বর্তমানে সৌদি আরবে প্রায় ২৫ লক্ষ বাংলাদেশী শ্রমিক কাজ করছে...
গতবছর সারা পৃথিবীজুড়ে অর্থনীতির মেরুদন্ড ভেঙ্গে বিশ্বের উপর দিয়ে যে অর্থনৈতিক মন্দার ঝড় বয়ে গেছে তাতে পৃথিবীর বাঘা বাঘা অর্থনীতির শক্ত বেড়াজালে মোড়া দেশগুলো লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল...ঝড়ের তান্ডব লীলায় বেহুশ হয়ে পড়েছিল সেসব দেশের অর্থনীতিবিদ ও সরকার প্রধানগন...সেখানে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি...আমাদের সকলের দু:খীনি মায়ের "বাংলাদেশ" ছিল অর্থনীতিতে সচল......অবাক হচ্ছেন?...ভাবছেন এটা কি করে সম্ভ্যব হলো?...হ্যা ভাই তাই আপনার ভাবনাটা অমূলক নয়...যেখানে পৃথিবীর অর্থনীতির মোড়লদের দিশেহারা সেখানে...হতদরিদ্র একটি দেশের অর্থনীতির চাকা কে ঘুরিয়েছে জানেন?...যাদের নাম শুনলে আপনাদের কপালের ভ্রু কুচকে যায়...যারা বরাবরের মতোই থাকে আপনাদের কাছে অবহেলিত...যাদেরকে আপনারা দেশের নাগরিকই মনে করেন না (প্রবাসীরা ভোটার হতে পারেনা)...যাদের কাছে নিজের কন্যা হস্তান্তর করতে দিধা বোধ করেন...যাদেরকে নূন্যতম সম্মানটুকু দেন না...তারাই তাদের মায়ের "বাংলাদেশ" জন্য ভালবেসে শরীর থেকে রক্ত পরিশোধিত হয়ে নূনে ভেজা ঘাম মরুর দেশে ফেলে উপার্জিত অর্থে শক্ত করে ধরে রেখেছে সেই অর্থনীতির চাকা...
মা (বাংলাদেশ) জানি তুমি দারিদ্রতার কষাঘাতে জর্জরিত... তোমার মুখের মলিনতা ঘুচানোর জন্যই তোমার সন্তানেরা প্রবাসে বিরামহীন কাজ করে যাচ্ছে...জানি শুনলে তুমি কষ্ট পাবে তবু বলছি...মা (বাংলাদেশ) তোমার সন্তারেরা মরুর দেশে ভাল নেই...হাজারো সমস্যায় জর্জরিত...গত কয়েক বছর যাবত সৌদি আরবে জনসংখ্যা রপ্তানি অঘোষিতভাবে সম্পূর্ন বন্ধ আছে... এবং যারা কর্মরত আছেন তারাও সহ নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত...উল্লেখ যোগ্য সমস্যাগুলোর মধ্যে...নতুন ভিসা প্রাপ্তিতে সমস্যা, ইকামা (ওয়ার্ক পারমিট/কাজের অনুমতি পত্র) নবায়ন সমস্যা, কফিল (স্পন্সর/মালিক)পরিবর্তন সমস্যা, পাসপোর্ট নবায়ন সমস্যা, দূতাবাসের সহযোগীতার সমস্যা, বিভিন্ন জেলা/সংগঠনের সমস্যা (এক জেলা অন্য জেলা উপর আধিক্য নিয়ে মারামারি), বেতন বৈষম্য, অতিরিক্ত কাজ করানো, বেতন না দেওয়ার সমস্যা, নিরাপদ আবাসন সমস্যা, ইত্যাদি...
বর্তমানে চলমান সবচেয়ে বেশি যে সমস্যাটি প্রকট আকার ধারন করেছে...যেটিকে বর্তমানে নাম্বার ওয়ান সমস্যা হিসাবে চিহ্নিত করা যেতে পারে...যে সমস্যার কারনে প্রতিদিন অনিচ্ছাকৃত ভাবে হাজার হাজার বাংলাদেশী শ্রমিক অবৈধ হয়ে যাচ্ছে...যে সমস্যার সমাধান না হলে হাজার হাজার শ্রমিকের হাজার হাজার পরিবারের এবং ঐ পরিবারেরলাখ লাখ সদস্যর (স্ত্রী-সন্তান-মা-বাবা-বৃদ্ধ) ভবিষ্যত খাদ্য নিরাপত্তা সহ প্রাত্যহিক জীবন বিপন্ন হয়ে পরবে সেই সমস্যাটি হলো...
সৌদিতে ইকামা (ওয়ার্ক পারমিট) নবায়ন সমস্যা
আসুন প্রথমেই দেখি কিভাবে এই সমস্যাটি সৃষ্টি হলো এবং কেনই বা এই সমস্যাটিকে নাম্বার ওয়ান সমস্যা বলে বিবেনা করার হচ্ছে...কারন গত ৩১ মে ২০১১ এর সৌদি সরকারের ঘোষনা অনুযায়ী...সৌদির প্রতিষ্ঠানগুলোকে সৌদি শ্রমিকদের পার্সেন্টিজ হিসাব করে কোম্পানিগুলোকে তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করেছে...লাল ক্যাটাগরি, হলুদ ক্যাটাগরি ও সবুজ ক্যাটাগরি...
আসুন সংক্ষেপে জেনে নেই তিনটি ক্যাটাগরি সম্পর্কে...
সবুজ ক্যাটাগরির প্রতিষ্ঠান: যেই প্রতিষ্ঠানগুলো শ্রম মন্ত্রালয়ের নির্দেশ মোতাবেক তাদের প্রতিষ্ঠানে সৌদি নাগরিকদের কর্মসংস্থান বেশি করবে তারা সবুজ ক্যাটাগরিতে পরবে...সবুজ ক্যাটাগরির প্রতিষ্ঠানগুলো সরকার থেকে বিভিন্ন সুবিধা পেয়ে থাকে...যেমন: তাদের প্রতিষ্ঠানের বিদেশী কর্মীদের ইকামা নবায়ন করতে কোন অসুবিধা হবে না...
হলুদ ক্যাটাগরির প্রতিষ্ঠান:যেই প্রতিষ্ঠানগুলো শ্রম মন্ত্রনালয়ের নির্দেম মোতাবেক পর্যাপ্ত সৌদি নাগরিকদের কর্মসংস্থান করে না তারা হলুদ ক্যাটাগরির আওতায় পড়বে...এবং তাদের প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিদেশী শ্রমিকদের যারা ছয় বছরের বেশি কর্মরত আছে তাদের ইকামা নবায়ন করা হবে না...
লাল ক্যাটাগরির প্রতিষ্ঠান:যে সমস্ত প্রতিষ্ঠানে শ্রম মন্ত্রনালয়ের নির্দেশ মোতাবেক সৌদি নাগরিকদের কর্মক্ষেত্রে সুযোগ কম দেয় অথবা দেয় না তারা লাল ক্যাটাগরির প্রতিষ্ঠান...এই প্রতিষ্ঠানগুলোর কোন বিদেশি নাগরিকের ইকামা কোন প্রকার বিবেচনা ছাড়াই আর নবায়ন করা হবে না...
এখন আসুন দেখি কি কি কারনে বর্তমানে সৌদি সরকার ইকামা বা ওয়ার্ক পারমিট নবায়ন করে না...
এক. ভালো করে খেয়াল করুন বাংলাদেশী শ্রমিক তুলনামূলক সস্তা বলে হলুদ ক্যাটাগরির কোম্পনিগুলোতে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশী শ্রমিক কাজ করে...সুতরাং ছয় বছর বা চুক্তির মেয়াদ শেষ হবার পর ঐ কোম্পানির কোন শ্রমিকের ইকামা বা ওয়ার্ক পারমিট নবায়ন করা হচ্ছে না ফলে প্রতিদিন অনিচ্ছাকৃত ভাবে হাজার হাজার বাংলাদেশী শ্রমিক ইকামা নবায়ন করতে না পারায় অবৈধ হয়ে যাচ্ছে...
দুই. শুধু তাই নয় কফিল বা মালিকের যদি কাগজ পত্র ঠিক না থাকে অথবা কাজের অনুমতির সাথে বাস্তবে কাজের মিল না থাকে তবে ঐ সৌদি মালিকের লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হয়...ফলে ঐ মালিকে আওতায় কর্মরত শ্রমিকের মালিক পরিবর্তন ও ইকামা নবায়নের সমস্যা দেখা দেয়...
তিন.যদিও হলুদ ক্যাটাগরির শ্রমিকদের একটি সুযোগ আছে যে তারা ইকামার মেয়াদ থাকতে থাকতে সবুজ ক্যাটাগরির কোম্পানি/মালিকের নিকট চলে যাবে...বিধি বাম এখানেও বাংলাদেশী শ্রমিকরা অবহেলিত...এখানে শুধুমাত্র বাংলাদেশী শ্রমিকদের মালিকানা পরিবর্তন বন্ধ আছে...সুতরাং হলুদ ক্যাটাগরির একজন দক্ষ মেধামী কর্মী হলেও সে অন্য প্রতিষ্ঠানে/মালিকের কাছে যেতে পারে না...যেহেতু মালিক পরিবর্তন ও ইকামা নবায়ন বন্ধ সেহেতু তার সামনে দুইটি রাস্তা খোলা থাকে..এক. ইকামা মেয়াদ শেষে অবৈধ ভাবে করা নয়তো ফাইনাল এক্সিট দিয়ে দেশে চলে আসা...
উপরোক্ত সমস্যা সমাধানে আড্ডার আলোচনার জন্য কয়েকটি পয়েন্ট...
১) এই সমস্যা সমাধানে সরকারের কি করা উচিত?
২) এই সমস্যা সমাধানে সৌদিতে বাংলাদেশ দূতাবাস কি ভূমিকা নিতে পারেন?
৩) এই সমস্যা সমাধানে কিভাবে সৌদি সরকারের কাছে আমাদের দাবি-দাওয়া উপস্থাপন করা যেতে পারে?
৪) এই সমস্যা সমাধানে আমাদের মিডিয়ার কি ভূমিকা রাখা উচিত?
৫) এই সমস্যা সমাধানে আমরা ব্লগাররা কি করতে পারি?
উত্তর:
কথায় আছে চোর গেলে বুদ্ধি আসে...এখনো সময় আছে এই সমস্যাগুলো নিয়ে চিন্তা করার...সমাধানের জন্য এগিয়ে আসার...সময়মত এগিয়ে না আসলে হয়তো অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে প্রবাসীদের তথা দেশের...যা হয়তো বর্তমান সরকার এখন উপলব্ধি করতে পারছেনা...মিশুক মনি মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত হয়তো রাস্তাঘাটের বেহাল দশা সম্পর্কে কোন হুশ ছিলনা...যেই মাকে আগলে রাখার মতো কৃতি সন্তান বিদায় নিল অমনি সকলের টনক নড়লো...বিভিন্ন মিডিয়া/সুশীল সমাজ/বিশিষ্ট চিন্তাবিদ/টকশো/মানববন্ধন...কি হয়নি?...এমনি করে বলা যেতে পারে ঢাকা শহরের ভূমিকম্পের সম্ভ্যাবনা...এখনো কারো এর ভয়াবহতা সম্পর্কে টনক নড়ছে না...যখন হবে কখন কান্না ছাড়া কিছুই করার থাকবে না...ঠিক তেমনি সৌদি সরকার তাদের করা আইনটি (অবৈধ শ্রমিক তাড়ানো) এখনো কড়াকড়ি ভাবে প্রয়োগ করছে না কারন তাদের প্রয়োজনের তুলনায় শ্রমিক কম...কিন্তু যে কোন মূহুর্তে এটা কার্যকর করতে পারে...কারন যে হারে ভরতী/নেপালী আসতেছে অতিশিগ্রই তারা এই বিশাল বাজারটি দখল করে নেবে মনে হচ্ছে আর যখন তাদের কাম্য বৈধ শ্রমিক হয়ে যাবে তখনই বাংলাদেশী অবৈধ শ্রমিকদের উপর নজর দিতে পারে এখনই উপযোক্ত সময় এই বিষয়টি নিয়ে ভাববার...
আসুন এবার দেখি এই সমস্যা সমাধানের জন্য কি করা যেতে পারে...
সরকারের করনীয়: এই সমস্যা সমাধানে সরকারের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি...সৌদি সরকারের সাথে আলোচনার মাধ্যেমে এখানে অবস্থানরত অবৈধ শ্রমিকদের দ্রুত বৈধ করানো ব্যবস্থা করা...তাদের নতুন আইনের কারনে যে বৈধ শ্রমিকেরা অবৈধ না হয়ে যায় সেজন্য আলোচনা করে প্রবাসীদের ইকামা নবায়ন হয়রানি বন্ধ করার ব্যবস্থা করতে পারে...
বাংলাদেশ দূতাবাসের করনীয়: ইকামা নবায়ন সমস্যায় পড়ে অনেক প্রবাসী তার মালিক ছেড়ে পালিয়ে যায়...অবৈধ হয়ে পালিয়ে কাজ করে বেড়ায়...উপায় না দেখে অনেকে বাধ্য হয়ে অপরাধ কাজে জড়িয়ে পরে...এখানে দূতাবাসের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন...বর্তমান চলমান ইকামা নবায়ন সমস্যায় আমাদের সবচেয়ে কাছের অভিভাবক হচ্ছে আমাদের দূতাবাস...জন্মভূমিকে মা বললে...দূতাবাসকে মায়ের বোন খালা বলা হয়ে থাকে....বিপদে তাকেই আমরা সবার আগে চাই...দূতাবাস যদি এখন বুক চিতিয়ে প্রবাসীদে পাশে দাঁড়ায় এবং ইকামা মেয়াদ শেষ হবার পর যদি নবায়ন না করে তাহলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে তড়িৎ বৈঠক করে এর সমাধান করতে পারেন বলে আশা করছি...
আমরা কিভাবে সৌদি সরকারের কাছে আমাদের দাবি-দাওয়া উপস্থাপন করতে পারি: এখানে সৌদির আইন অনুযায়ী কোন দল বা সংগঠন করার কোন অনুমতি নাই...হরতাল/মানববন্ধন এগুলো কল্পনা মাত্র...সেক্ষেত্রে আমরা ব্যাক্তি পর্যায়ে সৌদি সরকারের কাছে দাবি-দাওয়া উপস্থাপর করা সম্ভ্যব নয়...তবে বিকল্প পদ্ধতিতে আমরা আমাদের চাওয়াটা সৌদি সরকারের কাছে উপস্থাপন করতে পারি বলে আমার মনে হয়...আমরা যে যেই অবস্থানে আছি এখন থেকেই কাজের মাধ্যেমে সৌদি সরকারের কাছে বার্তা পৌছে দেই যে আমরা এখানে অবস্থানরত যে কোন দেশের শ্রমিকদের চাইতে উত্তম...আর বোধ করি উত্তম শ্রমকে কেউই হাতছাড়া করতে চাইবেনা...ইতিমধ্যেই শুনতেছি হলুদ ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলো তাদের প্রতিষ্ঠানে অবস্থানরত বাংলাদেশী শ্রমিকদের ইকামা নবায়ন সমস্যা সমাধান করে রাখার পক্ষে কাজ করছেন সেটা সম্ভ্যব হয়েছে উত্তম শ্রমের কারনে...
মিডিয়ার ভুমিকা: মিডিয়ার ভুমিকা বলে শেষ করা যাবে না...মিডিয়া এমন একটি শক্তিশালী মাধ্যম যাকে বোধ করি বারাক ওবামা পর্যন্ত সমীহ করে...ইকামা নবায়ন সমস্যাটি যে অদূর ভবিষ্যতে প্রকট আকার ধারন করবে এই তথ্যটি যথযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করার দায়িত্ব মিডিয়ার...ব্লগ মিডিয়াও এতে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখতে পারে...
ব্লগারদের করনীয়: হাঁটি হাঁটি পা পা করে সোনারবাংলাদেশ ব্লগ এক বছরের মধ্যেই বাংলাদেশের ব্লগ জগতে বিপ্লব ঘটিয়ে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে...এতেই বুঝা যাচ্ছে ব্লগ কতটা জনপ্রিয়...সুতরাং ব্লগারাই পারেন যথোপযুক্ত গঠনমূলক লেখনির মাধ্যেমে সবাইকে সচেতন করে তুলতে...যে কোন বার্তা সবার মাঝে পৌছে দিতে...ইকামা নবায়ন সমস্যাটি যে দিন কে দিন প্রকট আকার ধারন করছে এই বার্তাটি এক কান দুই কান করে সবার মধ্যে ছাড়িয়ে যাবে আশা করছি...এতে হয়তো যথাযথ কর্তৃপক্ষের টনক নড়বে বলে আশা করছি...
এই পর্যায়ে আসুন একটি কবিতার মাধ্যেমে হতভাগা এক প্রবাসীর জীবন চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করি...
হতভাগা এক প্রবাসীর গল্প
সম্মানিত সুধী আজ আর কোন পদ্য নয়
হতভাগা এক প্রবাসীর গদ্য শোধাবো
দারিদ্রতার দুষ্টচক্রের চাকায় পিষ্ট জীবন
প্রবাসী হয়ে দু:খ ঘোচাবে ভাবে "খোকন"।
ভিটে-মাটি বেঁচে, ধার-দেনা করে
প্রবাসী হয়েছে অনেক কষ্টের পরে
প্রবাসে এসেই থ বনে গিয়ে মাথায় হাত
দালালের ধোকায় বলদিয়ায় কাজ দিনরাত।
হাজার রিয়াল বেতন স্বপ্ন এখন পায় ছয়শত
খুশি হতো মন তাও যদি ঠিকমতো পাওয়া যেতো
একদিকে সুদে-ধারের টাকা পরিশোধের তাড়া
অন্যদিকে পরিবারের মাখে ভাত-সাথে ঘরভাড়া।
মরু-প্রখর রোদ্রে সারাদিন কাজ করে ক্লান্ত খোকন
তবু বাড়তি আয়ের নেশায় গাড়ি মুছে রাত্রি যখন
এতো হাড়ভাঙা খাটুনির পর দেহ চায় বিছানা
রক্তখেকো ছাড়পোকার কামড়ে ঘুম তার হয়না।
এতো কষ্টের পরেও খোকন ছিল বেজায় খুশি
ধারশোধ হবে, মায়ের মুখে ফুটবে তৃপ্তির হাসি
একদিন সকালে শোনে সে এক কষ্টের বানী
কি যেন এক সবুজ, হলুদ, লালের কাহিনী।
সামনের মাসেই তার ইকামার মেয়াদ শেষ
হলুদের দোষে নবায়ন হবে না ফিরতে হবে দেশ
কি করে দিবে দেনা, কি করে দিবে মায়ে মুখে ভাত?
ভাবতেই চিন্তার রেখা ভালে, মাথায় পরে হাত।
চারদিক ঘুদঘুটে অন্ধকার ভবিষ্যতের হাতছানি
বৈধ থাকার নাই উপায়, অবৈধ হলে পুলিশের হয়রানি
দিক-বিধিক চিন্তা করে মালিক ছেড়ে হয় পলাতক
বিভিষিকাময় ছন্নছাড়া জীবন তবু রক্ষা হয়নি শেষতক।
বিষম পুলিশি নির্যাতন অত:পর বন্দী কারাগার
কেঁদে কেঁদে যায় তার দিন, কাঁদে পুরো পরিবার
বুকের ব্যাথা বুকে চেপে চিৎকারে বুক চাপড়ে ধিক্কারে শোধায়
কোথায় সরকার-দূতাবাস, দেখে যাও আমারা কেমন আছি হেথায়।
বি:দ্র: দেশের অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে রেমিটেন্স...সেটির প্রবাহ এখন ঋনাত্বক...যেভাবে ইকামা নবায়নের অভাবে লাখ লাখ শ্রমিক অবৈধ হয়ে যাচ্ছে যদি সৌদি সরকার অবৈধ শ্রমিকদের পাঠিয়ে দিতে শুরু করে তাহলে অবস্থা কি দাড়াবে একটু কি আঁচ করতে পারছেন প্রিয় ব্লগারবৃন্দ...প্লিজ...প্লিজ...প্লিজ আজ এই প্লাটফর্ম থেকে সকলের কন্ঠগুলো এক করুন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এই বার্তাটি পৌছি দিতে সহায়তা করুন...ইকামা নবায়ন সমস্যায় সৌদি প্রবাসে আমরা প্রবাসীরা সত্যিই ভালো নেই...
©somewhere in net ltd.