নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাধারণ একজন মানুষ। বলার মতো বিশেষ কিছু নেই। মনের ভাবনাগুলো তুলে ধরতে চাই। ভালো লাগে কবিতা, লিখা-লিখি আর ছবি তোলা, এইতো! https://prokashoni.net

ইফতেখার ভূইয়া

গণতন্ত্র মুক্তি পাক, পরিবারতন্ত্র নিপাত যাক

ইফতেখার ভূইয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইন উইন সিই৬৮৫ মাইক্রো এটিএক্স কেইস

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:১০



দীর্ঘদিন ধরে মিড টাওয়ার কম্পিউটার কেইস ব্যবহার করে বারবারই মনে হচ্ছিলো আমার কাজের টেবিলটাতে কেইসটা অনেক বেশী জায়গা নিয়ে ফেলছে। সমস্যা কিছুটা বেড়ে গিয়েছিলো, ডেল মনিটর কেনার পর থেকেই। তাই অনেক দিন ধরেই আরো ছোট সাইজের কেসিং খুঁজছিলাম। অনেকগুলো মাইক্রো এটিএক্স কেইস দেখেছি তবে বেশীরভাগ কেসিংটাতেই ফুল সাইজের ডিভিডি বা ব্ল-রে রম বসানোর বে নেই।

প্রথম মাইক্রো এটিএক্স কেইস ব্যবহার করেছি ১৯৯৬ সালে, এর পর আর ঐ সাইজের কেইস ব্যবহার করা হয়নি। আর যেহেতু আমি গত বছর নতুন কম্পিউটার বিল্ড, করেছি এবং সেটাতে এমএটিএক্স মাদারবোর্ড ব্যবহার করেছি তাই মাইক্রো এটিএক্স কেইস-ই ছিলো আমার ভরসা। যাইহোক, অনেক খুঁজে অবশেষে ইন উইন সিই৬৮৫ মাইক্রো এটিএক্স কেইসটা পেয়েছি যেটাকে আমার জন্য সবচেয়ে উপযোগী কেসিং মনে হয়েছে।

ভালো দিকঃ এই কেসিংটার সবচেয়ে ভালো দিক হলো, এটার ৫.২৫ বা ৩.৫ ইঞ্চ বে গুলোতে ডিভাইস বসানোর জন্য কোন স্ক্রু প্রয়োজন পড়ে না। এমনকি ইন্টারনাল কেসিং ফ্যান এর জন্যেও নয়। এটা আমার আগের কেসিং এর তুলনায় বেশ ছোট, কম গভীর এবং অনেক কম চওড়া। সোজা কথায় আগের কেসিং এর অর্ধেক এরও কম জায়গা নিচ্ছে। বিল্ড কোয়ালিটি খুবই ভালো এবং বেশ শক্তিশালী মেটাল দিয়ে কেসিংটা বানানো। ফ্রন্ট প্যানেলটা খুবই সিম্পল এবং টু দি পয়েন্ট টাইপ। ভেতরে আধুনিক এমএটিএক্স মাদারবোর্ড বসানোর জন্য যথেষ্ট জায়গা থাকলেও কোথাও অব্যবহৃত খালি জায়গা পাবেন না। বলতে পারেন বেশ ভেবে চিন্তেই কেসিংটা বানানো হয়েছে যাতে স্পেসের সর্বোচ্চ ব্যবহার সম্ভব হয়।

মন্দ দিকঃ পুরোনো আমলের তুলনামূলকভাবে একটু লম্বাটে ধরনের ডিভিডি/সিডি ড্রাইভ ব্যবহার হয়তো করা যাবে না। তবে মিনি আইটিএক্স মাদারবোর্ড হলে ব্যপারটা অতটা কঠিন নাও হতে পারে। মাইক্রো এটিএক্স-এ হবে না এটা মোটামুটি নিশ্চিত। আধুনিক বা সাম্প্রতিক সময়ের ড্রাইভ হলে বিষয়টা সহজ হবে। ৫.২৫ ইঞ্চি বে এর নিচেই আছে অতিরিক্ত ৩.৫ বা ২.৫ ইঞ্চি ড্রাইভের জন্য আলাদা স্পেস। তবে যেসব মাইক্রো এটিএক্স মাদারবোর্ডের স্যাটা কেবল পোর্টগুলো নিচের দিকে এবং উর্ধ্বমুখী নয়, তাদের ক্ষেত্রে স্যাটা কেবল নিয়ে সমস্যায় পড়তে হবে। কেবলগুলো ৩.৫ ইঞ্চি ড্রাইভের কেসিংকে বাধাগ্রস্থ করবে নয়তো ভীষন চাপের মাঝে থাকতে হবে। ৩.৫ ইঞ্চি ফ্রন্ট প্যানেলে শুধু ছোট কার্ড রিডার ব্যবহার করা যাবে। অন্যান্য ডিভাইস যেমন পুরোনো ফ্লপি ড্রাইভ, জিপ ডাইভ বা সোয়াপেবল ড্রাইভ বে হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে না। কারণ হলো, ৩.৫ ইঞ্চ বে -এর পেছনেই আছে ৯০মিমি এর ফ্যান। ভালো হয় লো প্রোফাইল মেমরি ব্যবহার করতে পারলেও।

এয়ার সার্কুলেশন এর জন্য তেমন ভালো ব্যবস্থা এতে নেই। বিশেষ করে ভেতরের গরম বাতাস বের করে দেয়ার জন্য কোন ব্লো আউট ফ্যান নেই। ৯০ মি.মি. এর ইনটেক ফ্যান টেনে ভেতরে ঠান্ডা বাতাস নিলেও ৮/১০ ঘন্টা একটানা ব্যবহার করার পর কেসিং এর পাওয়ার সেকশনটা বেশ গরম হয়ে যায়। কারণ পাওয়ার সেকশনেরও কোন এক্সটার্নাল ব্লো আউট ফ্যান নেই। মানে হলো, পাওয়ার সেকশনের ফ্যানটাও বাইরে থেকে বাতাস টেনে ভেতের ছেড়ে দিচ্ছে। তাতে পাওয়ার ইউনিট মোটামুটি ঠান্ডা হলেও কেসিং এর ভেতর বেশ গরম থাকছে। সমাধান একটাই, ভেতরের ইনটেক কেইস ফ্যানটাকে ঘুরিয়ে রিভার্স করে দেয়া যাতে ফ্যানটা বাতাস টেনে ভেতরে না নিয়ে সামনে দিয়ে বের করে দেয়। ব্যাপারটা অন্যরকম শোনালেও এই আইডিয়াটা আসলে ভীষণ কাজে দিয়েছে আমার ক্ষেত্রে এবং ভেতেরর তাপমাত্রাও এখন স্বাভাবিক মাত্রায় চলে এসেছে।

মতামতঃ এই কেসিংটা সুর্নিদিষ্ট কিছু ব্যবহারকারী জন্য উপযোগী বলে আমার মনে হয়েছে। যারা মূলত গেমিং করেন তাদের জন্য এই কেসিং নয়। সিপিউ কুলার নির্ধারণ করার ক্ষেত্রেও আপনাকে সতর্ক হতে হবে। ইন্টেল বা এএমডির স্টক ফ্যান হলে সমস্যা নেই, তবে অন্য ব্রান্ড ব্যবহার করলে, লো প্রোফাইল ফ্যান ব্যবহার করা উচিত। আমি ক্রায়োরিগ সি-৭ কুলার ব্যবহার করছি।

সব মিলিয়ে বলবো, কেইসটা কেনার আগে একটু স্টাডি করুন। এটা আপনার টিপিক্যাল ওয়াইড কেইস নয়, তাই হিসেব নিকেশ করেই এগুনো উচিত হবে। লো নয়েজ এর জন্য ভিন্ন ব্র্যান্ডের ৯০ মি.মি. ফ্যান ব্যবহার করতে পারেন।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৪

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: সত্যি উপকারী একটা পোষ্ট।
আপনাকে ধন্যবাদ।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:২৮

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ সময় করে মন্তব্য করার জন্য।

২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৫

কনফুসিয়াস বলেছেন: এই বিষয়ে আমার খুব জোঁক। ধন্যবাদ।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:২৯

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।

৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৪১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অসাধারণ একটি পোস্ট।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:০১

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আমার ব্যক্তিগত ব্লগে প্রায়ই এসব বিষয়ে প্রায়ই লিখা লিখি করি কিন্তু সেটা ইংরেজীতে। সামুতে এসব বিষয়ে খুব একটা লিখা হয়ে ওঠেনা সময় স্বল্পতার কারণে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৮

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর পোস্ট +
অনেকের উপকারে লাগবে

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:০১

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো। আগামী আরো লিখার আশা রাখছি। ধন্যবাদ।

৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১০

রাজীব নুর বলেছেন: এইসব ইলেকট্রনিক্স জিনিসপত্র সম্পর্কে আমি কম জানি।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:০২

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: সবাই সব ধরনের বিষয় পছন্দ করবেন না এটাই স্বাভাবিক। তবে দিন শেষে কম্পিউটার বাদ দিয়ে কোন কিছুই এখন আর অতটা সম্ভব নয়, তাই যতটা জানা যায় ততই ভালো। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:০০

এস সুলতানা বলেছেন: উপকারী একটা পোষ্ট

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৩১

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৩৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: এসব বিষয়ে আপনি খুব আগ্রহী, তা আগেই জেনেছি।
আমি পুরনো যুগের মানুষ, কোনরকমে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলছি। কারিগরি এসব বিষয়ে আমার ততটা আগ্রহ না থাকলেও, আপনি যে খুব আগ্রহ এবং কৌতুহল নিয়ে এসব বিষয়ে লেখেন, যা আপনার মত অন্যান্য কারিগরিমনা পাঠকদেরকেও যথেষ্ট আকৃষ্ট করে এবং বিনোদন দেয়, তা দেখে ভাল লাগে। যেমন, ২,৩,ও ৪ নং মন্তব্যকারী এ পোস্ট পড়ে ভীষণ মজা পেয়েছেন বলে মনে হচ্ছে।
ব্লগে সবাইকে কবিতা, সাহিত্য ও রাজনীতি নিয়ে লিখতে হবে, তা নয়। আপনি আপনার ভাল লাগা বিষয়ে লিখে যান, নিশ্চয়ই কারো না কারো ভাল লাগবে।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৫১

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: প্রযুক্তির প্রতি ব্যক্তিগত ভালোলাগা শুরু হয়েছিলো ১৯৯৬ সালে প্রথম কম্পিউটার হাতে পাবার পর থেকেই। এর পেছনে অনেকটাই অবদান আমার শ্রদ্ধেয় ছোট চাচার। তিনিই তখন জার্মানী থেকে আমার জন্য কম্পিউটার উপহার হিসেবে নিয়ে এসেছিলেন। যদিও পেশাগত জীবনে তিনি একজন অর্থনীতিবিদ এবং সাবেক ইইউ ডিপ্লোম্যাট, তথাপি তার প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে এবং শেখানোর পেছনে বিশেষভাবে উৎসাহ যুগিয়েছে। ব্যাপারটা আমাকে এত বেশী প্রভাবিত করেছিলো যে, আজ আমি নিজেও শিক্ষাগত, ব্যক্তিগত এবং পেশাগত ভাবে প্রযুক্তি সম্পর্কিত ইন্ডাস্ট্রির সাথে ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে পড়েছি। জীবনের প্রতিটি পর্যায়েই আমি চাচার প্রতি একটা অপরিসীম দায়বদ্ধতা অনুভব করার পেছনে এটাও একটা বিশেষ কারণ।

৯৯-এ এস.এস.সি পাশ করে ঢাকা কমার্স কলেজে ভর্তি হবার পর থেকে প্রযুক্তির প্রতি ভালোলাগাটা এতটাই নেশায় পরিণত হলো যে, টিফিনের টাকা জমিয়ে জমিয়ে কম্পিউটার বিচিত্রা, কম্পিউটার জগৎ এর মতো আরো অনেক ম্যাগাজিন কিনতে শুরু করালাম। যখন কেনার টাকা থাকতো না, তখন সংবাদপত্র বা ম্যাগাজিনের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে থেকে ম্যাগাজিনের কাভারে কি কি বিষয়ে হাইলাইট করছে তা দেখতাম। কারণ ম্যাগাজিন খুলে পড়ার কোন উপায় ছিলোনা। তবে এটা না বললেই নয় যে, আমার বাবাও ব্যাপারটা বুঝতে পেরে আমাকে প্রায়ই টাকা দিতেন ম্যাগাজিন কেনার জন্য। কম্পিউটার বিষয় নিয়ে বাবার অতটা উৎসাহ না থাকলেও তিনি ব্যপারটা ভালোভাবেই দেখতেন। তার এই নিরব সাপোর্ট আমাকে জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে অনেক বড় অবদান রেখেছে বৈ কি!

কলেজে প্রতিদিন সকালে প্রথম ক্লাসে পত্রিকার কোন হাইলাইটেড নিউজ পড়ে ক্লাসে শোনানোর একটা নিয়ম ছিলো। পাশাপাশি খবরটা ব্যাখ্যা করে বলতে হতো। আমাকে দাঁড় করানো হলেই কম্পিউটার রিলেটেড নিউজ পড়ে সবাইকে শোনাতাম। একদিন স্যার আমাকে দাঁড় করানোর আগেই বললো, বলেন "কম্পিউটার ভাই" আজ কি খবর নিয়ে আসছেন? সেই থেকে আমাদের ব্যাচে আমার নাম হয়ে গেলো "কম্পিউটার ভাই"। আমার চেহারা দেখে আমার নাম বলতে না পারলেও অন্যান্যা সেকশনের ছেলে-মেয়েরা আমাকে ঐ নামেই ডাকতে শুরু করে। তখন ততটা ভালো না লাগলেও পরে অবশ্য ব্যাপারটায় বেশ মজা পেতাম।

তবে সত্যি কথা বলতে কি স্যার, আমি আসলে কারো মনোরঞ্জন করার জন্য কখনোই লিখিনি। শুধুমাত্র নিজের অভিজ্ঞতা আর কথাগুলো তুলে ধরার প্রয়াস থেকেই লিখি। সেটা এখানেই হোক আর আমার ব্যক্তিগত ব্লগেই হোক। অনেকেই যে তাতে উপকৃত হন, সেটা ভাবার মধ্যেই নিজের প্রয়াসের সার্থকতা খুঁজে পাই, ভালো লাগে। জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা শেয়ার করার মাঝেও একটা ভালো কিছু আছে বলেই মনে করি।

আপনি সময় করে, আমার লিখায় মন্তব্য করছেন, পড়ছেন এটাও একটা পাওয়া বলে মনে হয়। আরতো কিছু চাওয়ার নেই।

অনেক ধন্যবাদ।

৮| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেকেই যে তাতে উপকৃত হন, সেটা ভাবার মধ্যেই নিজের প্রয়াসের সার্থকতা খুঁজে পাই, ভালো লাগে। জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা শেয়ার করার মাঝেও একটা ভালো কিছু আছে বলেই মনে করি। - আপনার এ কথাগুলো পড়ে খুব ভাল লাগলো। মানুষকে সবচেয়ে অমূল্য যে উপহারটি আপনি দিতে পারেন, তার মধ্যে প্রথমটি হলো তার প্রয়োজনের সময় আপনার নিজ শরীর থেকে দেয়া রক্ত, আর ঠিক তার পরেরটি হলো উপকারী জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা শেয়ার করা, যা আপনি প্রায়ই মাঝে মাঝে করে থাকেন।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:০৯

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে অনেক ভালো লাগলো স্যার।

বেঁচে থাকতে আমার বাবা জানতেন যে আমি আমেরিকাতে প্রযুক্তি নিয়ে পড়াশোনা করছি। কিন্তু ঠিক কি বিষয়ে নিয়ে পড়াশোনা করছি তা নিয়ে হয়তো তার শতভাগ পরিষ্কার ধারনা ছিলোনা। শুধু বলতেন, যেটাই করো, মনোযোগ দিয়ে করবা, মানুষের উপকার আর ভালো করার চেষ্টা করবা। শুধু জ্ঞান অর্জন করে নিজে জ্ঞানী হয়ে বসে থাকলে হবে না, সেটা ভালো কাজে ব্যবহার করতে হবে। বাবার দেয়া এমন অনেক ছোট ছোট উপদেশ আজ অনেক বেশী মূল্যবান মনে হয়।

অনেক প্রতীক্ষা আর চড়াই-উতরাই পার করে যখন ডিগ্রী হাতে পেলাম তখন বাবা যে কতটা খুশি হয়েছিলেন সেটা হয়তো বলে বোঝানো সম্ভব নয়। বাবা আমার গ্র্যাজুয়েশন গাউন পরা একটা ছবি ফ্রেমে বাধিয়ে বাসায় রেখে দিলেন। নিতান্তই মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান হিসেবে বাবা এটাকে তার সফলতা এবং পরিবারের তথা আমার একটা বিরাট অজর্ন হিসেবে দেখতেন। তার বন্ধু-বান্ধবদের সাথে দেখা হলে বা আমাদের বাসায় বেড়াতে আসলে সন্তানের অর্জনের কথা বলে বেশ গর্ব বোধ করতেন। নিজে ডিগ্রী পেয়ে যতটানা খুশি হয়েছিলাম, তার চেয়ে মা-বাবার এই গর্ববোধটাকে অনেক বেশী মূল্যবান মনে হয়েছে। তার মতো বাবার সন্তান হওয়া আমার জন্য বেশ গর্বের এবং ভাগ্যের ব্যাপার। তার যোগ্য সন্তান হয়তো এখনো হতে পারিনি তবে বাবা-মা'র এই গর্ববোধটা আমাকে সন্তান হিসেবে কিছুটা হলেও সার্থকতা দিয়েছে। বলতে পারেন, বাবার করে যাওয়া অনেক কাজ, উপদেশ অনেক কিছুই আমাকে উৎসাহিত করে।

তার উপদেশ সামনে রেখেই জীবনের আগামী দিনগুলোতে এগিয়ে যেতে চাই। সেই সাথে চাই আপনাদের সবার স্নেহ, ভালোবাসা আর আর্শাীবাদ। অনেক অনেক ভালো থাকুন স্যার।



৯| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:১৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার জন্য রইলো অনেক, অনেক দোয়া এবং শুভকামনা---

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:২২

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ স্যার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.