নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গণতন্ত্র মুক্তি পাক, পরিবারতন্ত্র নিপাত যাক
দু'বছর আগে বেশ টাকা খরচ করে একটা কম্পিউটার বিল্ড করেছিলাম। কোন সমস্যা ছাড়াই কম্পিউটারটি বেশ ভালো পারফরম্যান্স দিয়ে যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে বেশ খুশী হলেও সাম্প্রতিক সময়ে কিছু ইস্যু আমাকে বেশ ডিস্টার্ব করছে। মাদারবোর্ডে ওয়াই-ফাই (এসি) আর ব্লুটুথ (৪.২) মডিউল বিল্ট-ইন ছিলো এম.২ স্লটে। মডিউলটির চিপেসট হলো রিয়েলটেক এর ৮৮২২বি.ই. যেটা আমার পছন্দের ব্র্যান্ড থেকে নেয়া নয়। মাদারবোর্ডে লাগানোই ছিলো তাই খুব বেশী মাথা ঘামাই নি। কাজও করছে বেশ ভালো কিন্তু সমস্যা হলো এই মডিউল দিয়ে আর ব্লুটুথ ৫ মডেলের হেডফোন বা অন্যকোন ডিভাইস ব্যবহার করতে পারলেও কানেকশানটা স্ট্যাবল মনে হচ্ছে না। ল্যাগিং একটা বিরাট সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে।
সিদ্ধান্ত নিয়েছি ইন্টেল ৯৫৬০ মডিউল দিয়ে ওটাকে রিপ্লেস করবো। এই মডিউলটির সবচেয়ে বড় দিক হলো ডাটা ট্রান্সফার রেট ১.৭৩ গি.বা. প্রতি সেকেন্ডে যা প্রথাগত ১ গি.বা. এর ওয়্যারড ইথারনেট কানেকশান থেকেও দ্রুত। ওয়াইফাই এসি প্রযুক্তি ছাড়াও পুরোনো এ/বি/জি/এন প্রযুক্তি সমর্থন করে এই মডিউলটি, তবে মনে রাখতে হবে যে, দ্রুত ইন্টারনেট কানেকশান নির্ভর করছে অনেকগুলো বিষয়ের উপর যেমন, আপনার ইন্টারনেট কানেকশানের প্রকৃত গতি, রাউটারের গতি ইত্যাদি। তথ্যের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ডব্লিওপিএ৩ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
তবে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখা জরুরী যে, এই মডিউলটি মূলত সেসব প্রসেসর বেইজড সিস্টেমকে সমর্থন করে যেটাতে ভিপ্রো প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। অন্যকথায় বলা যায় ইন্টেল এর ভিপ্রো সার্পোটেড প্রসেসর ছাড়া অন্যকোন কম্পিউটারে খুব সম্ভবত এই চিপসেট কাজ করবে না। ইন্টারনেট ঘাটাঘাটি করেও বিভিন্ন ফোরামে তার সত্যতা পেয়েছি। যারা আমার মতো ৮ম /৯ম জেনারেশনের ইন্টেল প্রসেসর ব্যবহার করছে তাদের চিন্তার কিছু নেই।
এসব বিষয় নিয়ে যারা ঘাটাঘাটি করেন, তারা হয়তো জেনে থাকবেন যে ইন্টেল নতুন প্রযু্ক্তির ওয়্যারলেস কানেটিভিটি এবং সম্ভাব্য ওয়াই-ফাই ৬ নিয়ে অনেক আগে থেকেই কাজ করছে। ইন্টেলের এই মডিউলটি প্রায় দু'বছর আগে বাজারে এসেছে মূলত এম.২ সিএনভিও ইন্টারফেস নিয়ে। ক'বছর আগেও মূলত পিসিআইই ইন্টারফেসের ওয়াই-ফাই এবং ব্লুটুথ মডেল জনপ্রিয় থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে এম.২ ইন্টারফেস অনেক বেশী জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। আকারে তুলনামুলক ভাবে ছোট এবং কম বিদ্যুৎ খরচের কথা মাথায় রেখে ম্যানুফ্যাকচারারও তাদের নতুন ল্যাপটপগুলোতে এই নতুন ইন্টাফেস যোগ করছে। এর অনেক সুবিধার মধ্যে অন্যতম হলো, দ্রুতগতি এবং এম.২ এর ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা।
যদিও এম.২ ইন্টারফেস তার জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে মূলত এস.এস.ডি ড্রাইভ ব্যবহারের সুবিধার কারনে, তারপরেও এই ইন্টারফেসকে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। মনে রাখা জরুরী যে এই মডিউলটি ব্যবহারের জন্য আপনার কম্পিউটারে অবশ্যই এম.২ ই কি ইন্টারফেস থাকতেই হবে।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৫৩
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: সমস্যা নেই, কারণ আমি গতকাল আপনার লিখা দেখলাম নিই ইয়র্কের উপর। মন্তব্য করতে চেয়েও করিনি। ভালো থাকুন।
২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম।
০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:০৪
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৭:৩৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
ঘরে থাকেন।
০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০০
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: জ্বী, ঘরেই আছি বেশ ক'দিন ধরে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৫৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার গতকালের পোষ্ট পড়েছি, মন্তব্য করতে চাইনি