নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গণতন্ত্র মুক্তি পাক, পরিবারতন্ত্র নিপাত যাক
প্রায় এক যুগ ধরে ইবে-তে কেনাকাটা করছি। আর এমাজনে করছি তার চেয়েও অনেক আগে থেকে। কিন্তু কেনাকাটার অভিজ্ঞতা ইবে-তে এমাজনের চেয়ে অনেক বেশী উথাল-পাথাল, অনেকটা টক, ঝাল, মিষ্টির মতো। ইবে-র অভিজ্ঞতা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে এখানে ওখানে লিখেছি কিন্তু এমাজন নিয়ে কখনোই লিখার মতো অবস্থা হয়ে ওঠেনি। কারণ, এমাজনের অভিজ্ঞতা বরাবরই একই রকম মনে হয়েছে আমার।
কপিরাইটঃ ইবে ইনক্
এইতো ক'বছর আগেও আমার মিউজিক সিস্টেম কেনা নিয়ে ইবে-তে রীতিমত একটা নাটক হয়ে গেছে, অভিজ্ঞতা এতটাই তিক্ত ছিলো যে, না লিখে পারিনি। অন্যদিকে হার্ড-ড্রাইভ কেনা নিয়েও একটা বেশ ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছিলো দু'বছর আগেই। বিষয়টা এখানেও সবার সাথে শেয়ার করেছিলাম। সম্প্রতি তেমনি একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে, যেটাকে স্বাভাবিক বলা যাবে কি না জানি না, তবে বেশ ভালো অভিজ্ঞতা বলা যায়।
এই এপ্রিলেই আমি ইন্টেল ৯৫৬০ ওয়াই ফাই ব্লুটুথ মডিউল নিয়ে একটা লিখা পোস্ট করেছিলাম। লিখার আগেই মডিউলটা আমি ইবে-তে অর্ডার করেছিলা আমার পিসিতে সেটা সংযোজন করবো বলে। করোনাজনিত কারনে ডিভাইসটি যখন দীর্ঘ এক মাসেও আমার হাতে পৌছায়নি তখন অর্ডারটি বাতিল করার অনুরোধ জানিয়ে বিক্রেতাকে মেসেজ পাঠালে তিনি সাথে সাথে আমাকে টাকাটা ফেরত পাঠিয়ে দেন। ইতোমধ্যে অনেকটা হতাশ হয়েই আমি ইন্টেলের এএক্স২০০ ওয়াই-ফাই ৬ এর অন্য একটা মডিউল অর্ডার করি এমাজনে যা আমি প্রায় সাথে সাথেই পেয়ে যাই। সবকিছুই যখন ঠিকমতো চলছিলো, তখন হঠাৎ বলা নেই কওয়া নেই মে মাসের ৭ তারিখে পূর্ববর্তী মডিউলটি আমার বাসায় ডেলিভারড হয়। একটা বিড়ম্বনার মধ্যে পড়ে যাই মানবিক কারনে।
পূর্ববর্তী বিক্রেতার সাথে আবার যোগাযোগ করে তাকে পুরো বিষয়টা জানিয়ে আমাকে একটা রিটার্ন লেবেল পাঠানোর অনুরোধ করি, যাতে পণ্যটা আমি তার কাছে ফেরত পাঠিয়ে দিতে পারি। যেহেতু তিনি আমাকে টাকা ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছেন ইতোমধ্যেই, তাই পণ্যটির মালিকানা আমি দাবী করতে পারিনা যৌক্তিক কারনেই। বিক্রেতা জবাব পাঠালেন যে, ওটা আর ফেরত পাঠানোর দরকার নেই, ওটা যেন আমি গিফট্ হিসেবে রেখে দিই নয়তো প্রয়োজন না থাকলে কোথাও ফেলে দেই। বুঝতে পারলাম ফেরত পাঠানোর খরচের কথা হিসেব করে তিনি আর আগ্রহ দেখান নি। আমি আবারও মেসেজ দিয়ে আশ্বস্ত করলাম যে, ঠিক আছে আমি নিজ খরচে ফেরত পাঠাবো আপনি পাঠানোর ঠিকানাটা অন্তত দিন। প্রায় একমাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও তিনি আর উত্তর পাঠান নি। স্বাভাবিক হিসেবে বলতে পারে ফ্রীতে জিনিসটা পাওয়া হলো, তবে আমি ব্যাপারটাকে ওভাবে দেখিনি বা এখনও দেখছিনা। পণ্যটা তাকে ফেরত দেয়া নৈতিক দায়িত্ব কিন্তু ঠিকানা না পেলেতো আর কিছু করার নেই। এখনো অপেক্ষায় আছি অবশ্য, দেখা যাক তার শুভ বুদ্ধির উদয় হয় কি না। পুরো ব্যাপারটাকে কে কিভাবে দেখছেন জানিনা, কিন্তু এটাকেতো আর যাইহোক নেগেটিভ অভিজ্ঞতা বলা যাচ্ছে না।
আরেকবার, একজনের কাছ থেকে ৩ প্যাকেট (৩০ পিস) মিনি (৮মি.মি.) সিডি ক্রয় করেছিলাম (ছোট সিডিগুলো দেখতে বেশ ভালো লাগে আমার, তাই অর্ডার করা, কোন বিশেষ কারন নেই। ওগুলোতে কিছু ভালো মিউজিক ট্র্যাক তুলে রেখেছি ইচ্ছেমত সময়ে আমার মিউজিক সিস্টেমে শোনার জন্য), ভদ্র মহিলা ৩ প্যাকেটের স্থানে ৫ প্যাকেট (৫০ পিস) সিডি পাঠিয়ে দিলেন। পাওয়ার পর বেশ অবাক হলাম, ভাবলাম তিন প্যাকেটের স্থানে পাঁচ প্যাকেট কেন পাঠানো হলো?! বিক্রেতাকে মেইলে জানালাম পুরো বিষয়টা, বললাম আপনার মনে হয় ভুল হয়েছে, নয়তো ভুল প্যাকেট আমাকে পাঠিয়েছেন। রিটার্ন লেবেল পাঠিয়ে দিন, আমি বাকি দু'প্যাকেট ফেরত পাঠাচ্ছি। ফিরতি জবাবে শুধু বললেন, আমি জেনে শুনেই পাঁচ প্যাকেট পাঠিয়েছি, তোমার সততার জন্য তোমাকে অনেক ধন্যবাদ।
এরকম বেশ কিছু মিষ্টি ঘটনা ইবে-তে আমার সাথে ঘটেছে। আর কারো বিষয়ে বলতে পারছি না, তবে ইবে-তে আমার আমার অভিজ্ঞতা বেশ মজার। টক ধরনের ঘটনাগুলো অন্য কোন একদিনের জন্য তুলে রাখছি। ধন্যবাদ।
১২ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:১০
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: হা হা হা মন্দ বলেন নি। যেভাবে ভালো লাগে সেভাবেই কেনাকাটা করা উচিত।
২| ১২ ই জুন, ২০২০ ভোর ৬:১২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অনলাইন মার্কেটিং এ সততা একটা বিরাট ব্যাপার । সততা না রাখতে পারলে গ্রাহকের আস্থা ধরে রাখা কঠিন ।
বাংলাদেশে এটা নেই।
১২ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:১৫
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: সত্য বলেছেন। একটা সময় অনলাইন ছাড়া কেনাকাটা সম্ভব হবে না, সেটা আমাদের জীবদ্দশায় না হলেও আগামী প্রজন্ম তেমন বাংলাদেশই দেখবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। সততার ব্যাপারে বলবো, যেখানে অভাব এবং দারিদ্রতা থাকে সেখানে পূর্ণ সততা সম্ভব নয়। অসৎ লোক এবং উদ্দেশ্য চিরকালই ছিলো এবং থাকবে, তবে বেশীরভাগ মানুষ সৎ হলে সেখানে অসততা খুব বেশীদিন টিকে থাকতে পারে না। বাংলাদেশেও ধীরে ধীরে এটা আসবে তবে সময়ের ব্যাপার। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৩| ১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১:৪০
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: বাংলাদেশে অনলাইন শুধু ঠকাতে চায়।
এই লক ডাউনে আমি একটা মাউস ওর্ডার করেছিলাম, ১০ দিন পার হবার পর ফোন দিলাম, বলে মাল নিয়ে বের হয়েছে! এদিকে আরো কয়েকদিন গেলো, আমি বাজার থেকে একটা কিনে নিলাম। পরে ক্যান্সেল করার জন্য ফোন দেই, বলে আমার ওর্ডার নাকি হারিয়ে গেছে।
যাই হোক, ক্যাশ অন ডেলিভারি ছিল বলে তেমন আর ব্যাথ্যা দেখাই নাই!
আপনার অভিজ্ঞতা ভাল! বিদেশের বাজার বলে হয়ত!
১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ৩:০৯
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: হুমায়ুন আজাদ স্যারের একটা কথা মনে পড়ে গেল,"বাঙালী একশো ভাগ সৎ হবে এমন আশা করা অন্যায়। পঞ্চাশ ভাগ সৎ হলেই বাঙালীকে পুরস্কার দেয়া উচিত"। আশা করছি আগামী দিনগুলোতে আমাদের শুভ চিন্তা-চেতনার উদয় হবে। ধন্যবাদ।
৪| ২৫ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:২৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ওখানে যারা চাকরী করে তাদের বেশী দেয়ার এখতিয়ার থাকার কথা না। বিনা মূল্যেও তারা দিতে পারে না লিখিত অনুমতি ছাড়া। আমার মনে হয় ওখানে internal control এর সমস্যা আছে। ফলে ভিতরে দুর্নীতি হয়। গ্রাহকের জন্য লাভজনক হলেও প্রতিষ্ঠানের জন্য ক্ষতিকর ও দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা তৈরি করে। কিছু সুপার শপে দেখেছি বিক্রয় কর্মীরা ক্রেতার সহায়তায় ফ্রী গিফট আইটেম গুলি বের করে নিয়ে আসে নিজেদের জন্য। এর ফলে দুর্নীতি প্রশ্রয় পায়। প্রতিষ্ঠানের নিরীক্ষা আরও জোরদার করা উচিত।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই জুন, ২০২০ রাত ২:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: অনলাইনে কেনাকাটা করে আরাম পাই না।
প্যাক কাদা মাড়িয়ে বাজার থেকেই জিনিসপত্র কিনে আরাম পাই।