নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাধারণ একজন মানুষ। বলার মতো বিশেষ কিছু নেই। মনের ভাবনাগুলো তুলে ধরতে চাই। ভালো লাগে কবিতা, লিখা-লিখি আর ছবি তোলা, এইতো! https://prokashoni.net

ইফতেখার ভূইয়া

গণতন্ত্র মুক্তি পাক, পরিবারতন্ত্র নিপাত যাক

ইফতেখার ভূইয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডিভিডি-র‌্যাম - অপটিক্যাল ডিস্কে তথ্য সংরক্ষণ

২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৪৬


তথ্য সংরক্ষণের মাধ্যম হিসেবে অপটিক্যাল ডিস্ক এখন আর তেমন একটা ব্যবহার হয়না। হালের ইউএসবি ড্রাইভগুলোর সহজলভ্যতা এবং জনপ্রিয়তার তোড়ে অনেকেই অপটিক্যাল মিডিয়া থেকে সরে আসছেন। এটা স্বাভাবিক এবং আমিও ব্যক্তিগতভাবে কিছু ফ্ল্যাশ মিডিয়া ব্যবহার করি জরুরী কিছু ধরনের ফাইল (মূলত অডিও বা ভিডিও) আদান-প্রদানের জন্য। তবে প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়মিত সংরক্ষণের জন্য নয়। সে ক্ষেত্রে আমার পছন্দ ডিডিডি-র‌্যাম ডিস্ক।

এই ডিস্কগুলো প্রথাগত অপটিক্যাল ডিস্কের মতো দেখতে হলেও এর বৈশিষ্ট্য কিছুটা ভিন্ন। অপটিক্যাল র‌্যাম ডিস্কগুলোতে সাধারণ ফ্ল্যাশ ড্রাইভের মতোই ড্র্যাগ এন্ড ড্রপের মাধ্যমে তথ্য সংরক্ষণ করা সম্ভব, তবে সে জন্য অবশ্যই আপনাকে অপটিক্যাল রাইটার ড্রাইভ ব্যবহার করতে হবে। সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো, এতে বহুবার রিড-রাইট করা সম্ভব। সাধারণ অপটিক্যাল ডিস্কে (সিডি-+আর, ডিভিডি-+আর ইত্যাদি) এটা সম্ভব নয়। প্রতিটি ফ্ল্যাশ ড্রাইভে একটা সুর্নিদিষ্ট সংখ্যক বার তথ্য রিড এবং রাইট করা সম্ভব। সে সংখ্যা অতিক্রম করার পরে ঐ ড্রাইভে তথ্য সংরক্ষন করা সম্ভব নয়, সে ক্ষেত্রে তথ্য করাপ্ট হয়ে যাওয়টাও অস্বাভাবিক নয়। সেদিক থেকে আমি মূলত অপটিক্যাল ডিস্কেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। তবে র‌্যাম ডিস্কে তথ্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই অনেক বেশী যত্নবান হতে হবে। ধুলোবালি, মাত্রাতিরিক্ত তাপ এসব থেকে দূরে রাখতে হবে যতটা সম্ভব।

এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে ফ্ল্যাশ ড্রাইভ আগামীতে আরো অনেক জনপ্রিয় হবে। অন্যদিকে অপটিক্যাল ডিস্ক পুরোপুরি হারিয়ে না গেলেও এর ব্যবহার আারো অনেক কমে আসবে। ফলে তথ্য চুরির ক্ষেত্রে অপটিক্যাল ডিস্ক খুব একটা প্রাধান্য পাবে না। কারণ সবার কম্পিউটারে এখন আর অপটিক্যাল ড্রাইভ খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়। আমি এদিক থেকে কিছুটা পুরোনো ধারনায় বিশ্বাসীও বলতে পারেন।

অতিগুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমি কয়েকটি মাধমে সংরক্ষণ করি। ক্লাউড ড্রাইভ আমার প্রথম পছন্দ হলেও, দ্বিতীয় সারিতেই রয়েছে অপটিক্যাল ডিস্ক এবং সব শেষে ফ্ল্যাশ ড্রাইভ। তবে মনে রাখবেন, ক্লাউডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রাখার আগে সেটাকে অবশ্যই জিপ (কম্প্রেস করা) এবং তা পাসওয়ার্ড প্রটেক্টেড করে তবেই রাখবেন। ক্লাউড বা সার্ভারে রাখা তথ্য আপনি ছাড়াও যারা সার্ভার নিয়ন্ত্রন করে তারাও এক্সেস করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে তথ্য যে চুরি হচ্ছে না বা হবে না সে নিশ্চয়তা শতভাগ দেয়া অসম্ভব।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৫৬

ঢুকিচেপা বলেছেন: আমি হার্ড ড্রাইভেই রাখি। আর এ কারণে কদিন আগে চেঞ্জ করতে গিয়ে অনেক ফাইল মিসিং হয়েছে।
ক্লাউড কতখানি স্পেস দেয়।

২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১:০২

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: নির্ভর করছে কোন প্রোভাইডার এর কাছ থেকে সার্ভিস কিনতে চাচ্ছেন। গুগল আপনাকে ১৫ গি.বাই ফ্রী দিচ্ছে প্রতিটি একাউন্টের সাথে। এ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করলে হয়তো আরো বেশী স্পেস পাওয়া সম্ভব, তবে আমি নিশ্চিত নই। ব্যক্তিগতভাবে আমি গুগলের ১০০ গি.বা. এর সার্ভিস ক্রয় করে ব্যবহার করছি বেশ ক'বছর ধরে।

২| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:


প্রশ্ন: এখন JAVA ওয়েভ-এপ্লিকেশগুলোতে কি কি টেকনোলী ব্যবহৃত হচ্ছে? ক্লায়েন্ট-সাইড, সারভার-সাইড প্রোগ্রামিং, ওয়েভ-সার্ভার, ডেটাবেইজ ই্ত্যাদি!

২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১:৩৩

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: "জাভা" ওয়েব এ্যাপ্লিকেশন বর্তমান সময়ে ততটা জনপ্রিয় নয়, তবে "জাভাস্ক্রিপ্ট" মারাত্মক রকম জনপ্রিয়। এ দু'টো প্রযুক্তির মাঝে ব্যবধান অনেক। স্বাভাবিকভাবে জাভা ওয়েব এ্যাপলিকেশন সরাসরি কোন সার্ভারে রান করতে পারে না, সে জন্য সার্ভারে জাভার "রানটাইম এনভায়রমেন্ট" প্রয়োজন। জাভা নির্ভর ওয়েব এ্যাপলিকেশনে মূলত সার্ভলেট (জাভা ক্লাস), জার (জাভা আর্কাইভ) এবং জাভা সার্ভার পেইজ (জেএসপি) প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়ে থেকে। পাশাপাশি কিছু স্ট্যাটিক রিসোর্স যেমন এইচটিএমএল, সিএসএস, জাভা স্ক্রিপ্টও প্রয়োজন হয়। ব্যবহারের উপযোগীতার উপর নির্ভর করলেও, বেশীরভাগ ডাইনামিক ওয়েব এ্যাপলিকেশনেই ডাটাবেজ ব্যবহার হয়ে থাকে।

৩| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৩:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


.NET WebApplication'এ কি কি টেকনোলোজী ব্যবহৃত হচ্ছে? ওদের ক্লায়েন্ট-সাইড ও সার্ভার সাইডে কি ব্যবহার হচ্ছে?

২৭ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:০৮

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ডট নেট বা এএসপি ডট নেট মূলত মাইক্রোসফটের উদ্ভাবিত সার্ভার সাইড এ্যাপলিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক। মূলত ডাইনামিক ওয়েব এ্যাপলিকেশন ডেভেলপ করার জন্য ডট নেট ব্যবহার করা হয়, যদিও সেটা অনেক ক্ষেত্রে নির্ভর করে ক্লায়েন্ট এবং ডেভেলপারের চাহিদা বা পছন্দের উপর। প্রথম দিকে এই ফ্রেমওয়ার্কটি মূলত উইন্ডোজ ওপারেটিং সিস্টেমের জন্য তৈরী করা হয়েছিলো। তবে ধীরে ধীরে সেটা ম্যাক এবং লিনাক্স ওপারেটিং সিস্টেমেরে জন্যেও তৈরী করা হয়। মূল কারণ ছিলো, ওয়েব সার্ভারের ওপারেটিং সিস্টেমে-এর ক্ষেত্রে উইন্ডোজের তুলনায় ম্যাক বা লিনাক্স বেশ জনপ্রিয় ছিলো শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে। আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে এখনো লিনাক্স সার্ভার ব্যবহার করছি বিভিন্ন সাইটা ডেভেলপ করার জন্য। এই ফ্রেম ওয়ার্কে মূলত এএসপি ( এ্যাকটিভ সার্ভার পেইজ) স্ক্রিপ্টিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করা হয়ে থাকে, এটি পাইথন, পিএইচপি, জাভার মতোই একটি স্ক্রিপ্টিং ল্যাঙ্গুয়েজ। সিনট্যাক্সে ভিন্নতা থাকলেও মোটামুটি বেশীর ভাগ প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ-ই প্রায় একই ধরনের হয়ে থাকে। সার্ভার সাইডে অন্যান্য কমন ওয়েব স্ক্রিপ্টিং ল্যাঙ্গুয়েজ যেমন এইচটিএমএল, সিএসএস, জাভা স্ক্রিপ্ট ইত্যাদিও ব্যবহার হয়ে থাকে এই ফ্রেমওয়ার্কে। তথ্য সংরক্ষণের জন্য এই ফ্রেমওয়ার্ক বিভিন্ন ডাটাবেজ নিয়ে কাজ করতে পারে, যেমন মাইএসকিউএল, ফায়ারবার্ড, ওরাকেল, মঙ্গো ইত্যাদি। ডাটাবেইজের বিষয়টি মোটামুটিভাবে নির্ভর করে এ্যাপলিকেশনের প্রয়োজনীয়তার উপর। তবে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই রিলেশনাল ডেটাবেইজের ব্যাপার লক্ষ্যনীয়।

ক্লায়েন্ট সাইডে কোন সুর্নিদিষ্ট প্রযুক্তির প্রয়োজন পড়ে না শুধুমাত্র আধুনিক ওয়েজ ব্রাউজার ছাড়া। মনে রাখা জরুরী যে বেশীরভাগ ফ্রেমওয়ার্কই মূলত সার্ভারে রান করে (ব্যতিক্রমও আছে)। আমরা ব্যবহারকারীরা (ক্লায়েন্ট) মূলত ব্রাউজার দিয়ে সেটা এক্সেস করি, এর বেশী কিছু নয়।

বিগত দশকে যদিও বেশকিছু ক্লায়েন্ট নির্ভর জাভাস্ক্রিপ্ট বেইসড ফ্রেইমওয়ার্ক (এ্যাঙ্গুলার, নোড ইত্যাদি) বাজারে এসেছে বা জনপ্রিয়তা পেয়েছে, তদুপরি সার্ভার নির্ভর এ্যাপলিকেশন ফ্রেমওয়ার্কগুলোই এখনো ওয়েব এ্যাপলিকেশন মার্কেট নিয়ন্ত্রন করছে। ফেইসবুক, জিমেইল, টুইটার এই সব এ্যাপলিকেশনই মূলত সার্ভার নির্ভর, যদিও ক্ষেত্রে বিশেষে সেটা কিছু অংশ ক্লায়েন্ট নির্ভরও থাকতে পারে। পুরো ব্যাপারটিই বেশ জটিল ব্যাখ্যা করে বোঝাতে আরো দীর্ঘ মন্তব্যের বা আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।

৪| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:৩৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রযুক্তি দৌড়ে মানুষ দ্রুতই পিছিয়ে পড়ছে
আজ এটা হিট তো কাল অন্যটা রিপ্লেস হয়ে যাচ্ছে।

এখনকার পিসিগুলোতো ডিভিডি অপশনই রাখেনা প্রায়ই।
রিমুভেবল হার্ডডিস্কও অনেকের বেশ পছন্দের, ব্যাকআপ অপশন হিসেবে।

২৭ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:২১

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: জ্বী সঠিক বলেছেন এবং আপনার অবজারভেশন পুরোপুরি সঠিক।

প্রথাগত রিমুভেবল হার্ডডিস্ক দিন দিন জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে। মূলত ধীরগতি, তাপ আর অতিরিক্ত এনার্জি (বিদ্যুৎ) ব্যবহারের কারনে অনেকেই দিন দিন এসএসডি ড্রাইভের দিকে ঝুঁকছেন। আমার কম্পিউটারে কোন প্রথাগত হার্ডডিস্ক নেই। দু'টো সলিড স্টেট ড্রাইভ ব্যবহার করছি। কম্পিউটারের ওপারেটিং সিস্টেম এর জন্য এম ডট টু প্রযুক্তির এসএসডি আর ডকুমেন্ট বা কাজের ফাইল সংরক্ষণের জন্য স্যাটা এসএসডি ড্রাইভ ব্যবহার করছি। এ সংক্রান্ত একটা লিখা লিখেছিলাম অনেক আগেই।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৫| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:২৬

একাল-সেকাল বলেছেন:
@বিদ্রোহী ভৃগু, একমত।
একান্তই পারসনাল ফাইলের ক্ষেত্রে আমি এক্সটারনাল হার্ডডিস্ক পছন্দ করি।আভাইলাবিলিটির দিক থেকে প্রফেসিওনাল কাজে মাইক্রোসফটের ওয়ান ড্রাইভ, গুগল দ্রাইভে কিংবা ড্রপ বক্স বেশি পছন্দের।
ফ্লপি ডিস্ক এর মত ডিভিডি অপশনও এখন বিলুপ্তির পথে। তাই ভার্চুয়াল ড্রাইভেই আস্থা বাড়ছে।

ড্রপবক্স
বিনা মূল্যে একটি অ্যাকাউন্ট খুললেই ২ গিগাবাইট জায়গা পাওয়া যাবে। তবে বন্ধুদের ‘রেফার’ করলে তাদের প্রতিটি নতুন নিবন্ধনের জন্য ৫০০ মেগাবাইট করে সর্বোচ্চ ১৬ গিগাবাইট জায়গা হবে আপনার জন্য।
ঠিকানা: http://www.dropbox.com।

ওয়ানড্রাইভ
মাইক্রোসফট করপোরেশনের এই সেবা আগে স্কাইড্রাইভ নামে পরিচিত ছিল। মাইক্রোসফটের যেকোনো সেবার অ্যাকাউন্ট দিয়ে ওয়ান ড্রাইভ ব্যবহার করা যাবে। বর্তমানে বিনা মূল্যে ১৫ গিগাবাইট জায়গা পাওয়া যাচ্ছে।
ঠিকানা: onedrive.live.com।

গুগল ড্রাইভ
গুগলের অন্যান্য সেবার মতো একটি একই অ্যাকাউন্টেই গুগল ড্রাইভ ব্যবহার করা যাবে। প্রাথমিক নিবন্ধন অবশ্য দরকার পড়বে। বিনা মূল্যে পাওয়া যাবে ১৫ গিগাবাইট জায়গা।
ঠিকানা: drive.google.com

বক্স
বক্স ডটকেম নিবন্ধনের সঙ্গেই পাবেন বিনা মূল্যে ১০ গিগাবাইট জায়গা। তবে কোনো ফাইল ২৫০ মেগাবাইটের বেশি হতে পারবে না, সেটাই বা কম কিসে!
ঠিকানা: http://www.box.com।

এ ছাড়া অ্যামাজন ক্লাউড ড্রাইভ, সুগারসিঙ্ক, আইড্রাইভ এবং শুধু অ্যাপলের পণ্য ব্যবহারকারীদের জন্য আইক্লাউড সেবা আছে। এগুলোতে পাবেন ৫ গিগাবাইট জায়গা।

২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫৪

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আশা করছি এই তথ্যগুলো কারো কাজে আসবে। ধন্যবাদ।

৬| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: শুধু জানিয়ে গেলাম আপনার পোষ্ট টি পড়লাম।

২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫৩

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: হা হা হা অনেক ধন্যবাদ।

৭| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০০

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: চাঁদগাজীর মন্তব্যের আপনার রিপ্লাই থেকে অনেক কিছুই জানলাম। আপনার কাছে একটি বিষয় জানার আছে। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের আন্ডারে রান করা কোন একটি প্রোগ্রাম (যেমন মাইক্রোসফট ভিজুয়াল স্টুডিওর সাহায্য নিয়ে) আমরা পছন্দমতন ল্যাঙ্গুয়েজ (ধরলাম, সি শার্প) দিয়ে লিখে কম্পাইল করে অ্যাপ্লিকেশন ক্রিয়েট করতে পারি। কিন্তু উইন্ডোজের অপারেটিং সিস্টেম নিজেওতো একটি সফটওয়্যার বা প্রোগ্রাম। তাহলে অপারেটিং সিস্টেমটি কিভাবে তৈরি করা হয়, এটি কি মূল বাইনারি ল্যাঙ্গুয়েজেই তৈরি করা হয়?.

২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৫৭

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আপনার ধারনা সঠিক তবে কিছুটা ব্যাখার প্রয়োজনীয়তা বোধ করছি। বিস্তারিত লিখে বোঝানো প্রায় অসম্ভব কারন সেজন্যে দীর্ঘ আলোচনার প্রয়োজন। নিচের চিত্রটি দেখুন।

যে কোন কম্পিউটারেই বেশ কিছু হার্ডওয়্যার থাকে (সিপিইউ, মেমরি, গ্রাফিক্স, ইনপুট/আউটপুট ডিভাইস ইত্যাদি), যা সরাসরি কোন কাজ করতে পারে না কারণ এগুলো ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস যা মূলত বাইনারি ল্যাঙ্গুয়েজেরে ইন্সট্রাকশন ফলো করে। অপারেটিং সিস্টেম মূলত কার্ণেল এবং সিস্টেম এ্যাপলিকেশন সমন্বয়ে গঠিত। যে কোন ইউজার ইনপুট মূলত থার্ড পার্টি সফটওয়্যার থেকে সিস্টেম এ্যাপলিকেশনে সংকেত পাঠায়, পরবর্তীতে সিস্টেম এ্যাপলিকেশন সেই ইনপুট ইন্সট্রাকশন কার্ণেলকে হস্তান্তর করে। কার্ণেল সেই ইন্সট্রাকশনকে হার্ডওয়্যারের উপযোগী করে বাইনারি বা লো-লেভেল ল্যাঙ্গুয়েজ এর মাধ্যমে হার্ডওয়্যারকে সম্পন্ন করতে বলে। মূল ধারনা এটাই।

যে কোন অপারেটিং সিস্টেম বানাতে আপনাকে প্রথমে কার্ণেল লিখতে হবে। এটি মূলত একটি লো-লেভেল প্রোগ্রাম যা হার্ডওয়ারের সাথে সিস্টেম এ্যাপলিকেশনের সংযোগ তৈরী করে। মনে রাখা জরুরী অতীতে কার্ণেল লিখার জন্য যে ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করা হতো (সি, সি++ ইত্যাদি) সেগুলোকে হাই-লেভেল ল্যাঙ্গুয়েজ বলা হলেও বর্তমানে এগুলোকে লো-লেভেল ল্যাঙ্গুয়েজ হিসেবে ধরা হয়। এটা নিয়েও কিছুটা বিতর্ক থাকতে পারে তবে সেটা নির্ভর করছে আপনি কাকে জিজ্ঞেস করছেন এবং সে কোন প্রজন্মের প্রোগ্রামার।

আরেকটি কথা, কম্পিউটার পাওয়ার অন করার সাথে সাথেই কার্ণেল চালু হয় না, সে জন্য প্রয়োজন বুটলোডার। এটা নিয়ে বিস্তারিত লিখা সম্ভব হচ্ছে না তবে আপনি গুগল করলেই আরো বিস্তারিত জানতে পারবেন। এ ব্যাপারে উৎসাহী হলে, আপনি কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করতে পারেন। আমি অবশ্য কম্পিউটার ইনফরমেশন সিস্টেম এর ছাত্র। ধন্যবাদ।

৮| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ২:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


ধন্যবাদ আপনাকে।
ঊইনডোজে, ASP.NET script কিভাবে এক্সেকিউট করা যায়?

২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৩:৫৭

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: এই বিষয়ে লিখতে গেলে এটা একটা আস্ত পোস্ট হয়ে যাবে। তাই আমার ব্যক্তিগত সাজেশান হলো, ইউটিউবে এ সংক্রান্ত বেশ কিছু ভিডিও টিউটোরিয়াল আছে সেগুলো দেখুন, যেটা দেখে হয়তো আপনি লিখে বোঝানোর চেয়ে আরো বেশী উপকৃত হবেন। এ ধরনের বিষয় লিখে বোঝানো বেশ কঠিন, বিশেষ করে টেকস্যাভী না হলে ভিডিও টিউটোরিয়াল-ই সর্বোত্তম পন্থা। যেহেতু আমার আগের একটা লিখায় বলেছিলেন যে আপনি উইন্ডোজ ৭ ব্যবহার করছেন তাই এই ভিডিওটা দেখুন আশা করি আপনি আপনার উত্তর পেয়ে যাবেন। ধন্যবাদ।

৯| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৩:২৫

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রিপ্লাইয়ে ডিটেইলস লিখার জন্য। আমার আপাতত যা জানার দরকার ছিলো সবটুকুই আপনার কমেন্টে পেয়েছি, বাকিটুকু আমি নিজে গুগল করে নিবো। আর কোথাও আঁটকে গেলে আপনার ব্লগে চলে আসবো।

২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৩:৫৮

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.