নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গণতন্ত্র মুক্তি পাক, পরিবারতন্ত্র নিপাত যাক
ছোটবেলা থেকে অনেকের মুখেই একটা প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসা শুনছি, "বাবা তুমি বড় হয়ে কি হতে চাও?" এর উত্তর অন্যান্যদের মতোই আমার জীবনেও সময়ের সাথে সাথে বদলেছে। তবে এখন আর কেউ এই প্রশ্নটি আমাকে করেন না, কিছুটা দুঃখবোধ হয় বৈ কি! হয়তো তারা ভেবেই নিয়েছেন, এই বুড়ো কে দিয়ে আর কিছু হওয়া সম্ভবও নয়। হয়তো তাদের অযাচিত ভাবনাটাও নিতান্তই অমূলক নয়।
খুব ছোটবেলায় বাবার মুখে মুক্তিযুদ্ধের অনেক গল্প শুনে শুনে বরাবরই আর্মি অফিসার হতে চেয়েছি। বিজয় দিবসে দেশের পতাকা দেখে, ফেব্রুুয়ারিতে ভাই হারা গান শুনে শুনে অনেকের মতোই আমারও চোখে জল গড়িয়েছে। দেশের জন্য কিছু একটা করতে ইচ্ছে হয়েছে। আমূল বদলে ফেলার মতো অদম্য একটা ইচ্ছে কাজ করেছে। এখন আর তেমন কিছু একটা ইচ্ছে হয় না। ইচ্ছেগুলো অনেকটাই ফ্যাকাসে হয়ে গেছে।
স্কুল জীবনে এসে মনে হয়েছে দেশের রাষ্ট্রপতি হয়ে সব গরীবের দুঃখ দূর করে দেব। আরো পরে বুঝতে পারি আসলে রাষ্ট্রপতি হয়ে খুব একটা কাজ হবে না, হতে হবে প্রধানমন্ত্রী। এস.এস.সি. পরীক্ষার আগেই বুঝতে পারি এই হাসিনা-খালেদার ঠ্যালাঠেলিতে আমার এই জীবনে আর প্রধানমন্ত্রী হতে হবে না। কথাটা এখনো বোধহয় প্রযোজ্য। কলেজের মাঠে পা' রাখতে রাখতে মনে হয়েছে কম্পিউটার বিজ্ঞানী হবো। সে স্বপ্নটাও এখনো ঠিক বাস্তব হয়ে ধরা দেয় নি, তবে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
জীবনের এই প্রান্তে এসে যখন আমি কারো সন্তান, কারো বাবা, কারো স্বামী, তখন মনে হচ্ছে আসলে এই দায়িত্বগুলো সঠিকভাবে পালন করাও একটা বিরাট ব্যাপার। তারচেয়েও বেশী মনে হয়, এই ঘুণে ধরা সমাজের, পচে-গেল যাওয়া মানবিকতাবোধের মাঝে একজন আলোকিত ভালো মানুষ হওয়াটাই সবচেয়ে বড় বেশী প্রয়োজন আর গুরুত্বপূর্ণ।
বাবা আজ নেই, কিন্তু তিনিই ছিলেন আমার কাছে সবচেয়ে বড় আদর্শ। তার চলে যাওয়া আমার জন্য ঠিক কতটা কষ্টদায়ক ছিলো তা বোধ করি এই জীবনে কাউকে আর বলে বোঝানো সম্ভব নয়, আর বোঝাতেও চাই না। শুধু জায়নামাজে বসে মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে দু'হাত তুলে চোখের জলে প্রার্থনা করি, তিনি যেন আমার বাবাকে তার সকল জানা-অজানা ভুল ক্ষমা করে দিয়ে জান্নাতবাসী করেন। তিনি যেন আমাকে আমার বাবার মতোই একজন সাধারণ মানুষ হয়েও অসাধারণ সেই সব গুণাবলী অর্জন করার তৈফিক দেন। তিনি যেন আমাকে তার মতোই আগুনের মতো সৎ, সত্যবাদী, দায়িত্ববোধসম্পন্ন একজন দেশপ্রেমিক মানুষ হিসেবে এই পৃথিবী ছাড়ার ভাগ্য দান করেন।
এই অবলোয় যদি আবারও কেউ প্রশ্ন করেন, "বাবা তুমি জীবনে কি হতে চেয়েছিলে?" আমি যেন বলতে পারি, আমি শুধু একজন প্রকৃত মানুষ হতে চেয়েছি, এখন আমি এটাই হতে চাই।
০৯ ই মে, ২০২২ সকাল ১০:০২
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: সকল ভালো কাজের জন্যে আপনার প্রতি শুভকামনা থাকছে। ধন্যবাদ।
২| ০৯ ই মে, ২০২২ সকাল ১১:০৭
শায়মা বলেছেন: ভেরী গুড
এটাই আসল চাওয়া একজন মানুষের।
কিন্তু আমি যে বড় হয়ে কত কিছুই হতে চেয়েছিলাম!!!!!!
হয়েছি কয়েকটা.......
০৯ ই মে, ২০২২ রাত ৯:৪২
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: কয়েকটা? বাপরে! আপনি সৌভাগ্যবান তাই হয়তো পেরেছেন, আমি এখনো চেষ্টা করে যাচ্ছি। শুভ কামনা থাকছে। ভালো থাকুন।
৩| ০৯ ই মে, ২০২২ সকাল ১১:২৩
কালো যাদুকর বলেছেন: আপনার চাওয়াটি সার্থক হোক।
এটিই জীবন। মানুষ অনেক কিছুই হতে চায়। তবে সবচে্য়ে দরকারি হওয়াটি হল -প্রকৃত মানুষ হওয়া। আমাদের সবারই প্রকৃত মানুষ হওয়া দরকার।
ধন্যবাদ।
০৯ ই মে, ২০২২ রাত ৯:৪২
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকেও।
৪| ০৯ ই মে, ২০২২ বিকাল ৪:২২
ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: আমাদের মা-বাবারা সন্তানদের ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার বানাতে চান । অথচ আগে মানুষ বানানো।
০৯ ই মে, ২০২২ রাত ৯:৪৩
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: সঠিক বলেছেন, সহমত পোষণ করছি। অনেক ধন্যবাদ।
৫| ১০ ই মে, ২০২২ রাত ১২:৩৮
ঢুকিচেপা বলেছেন: “ একজন আলোকিত ভালো মানুষ হওয়াটাই সবচেয়ে বড় বেশী প্রয়োজন আর গুরুত্বপূর্ণ।”
এটা একদম সঠিক কথা বলেছেন।
আলোকিত মানুষের বড়ই অভাব।
১১ ই মে, ২০২২ রাত ১২:০০
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৬| ১০ ই মে, ২০২২ রাত ১২:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: সব ছেলে মেয়েকে দেখেছি ডাক্তার ইঞ্জিয়ার পাইলট হতে চায়। আপনি ব্যতিক্রম- রাষ্ট্রপতি/ প্রধানমন্ত্রী। জাস্ট গ্রেট।
১১ ই মে, ২০২২ রাত ১২:০৩
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ছোটবেলা থেকেই আর্মি অফিসার হওয়ার ইচ্ছে ছিলো, বাবাই বুঝিয়েছেন আর্মি অফিসারের চেয়ে বড় পদবী হলো প্রেসিডেন্ট যারা আর্মির অফিসারদের নিয়ন্ত্রন করতে পারেন। তাই স্কুল লাইফ থেকেই বুঝতে (কম আর বেশী) পেরেছিলাম প্রেসিডেন্ট মানে কি! তাই হয়তো। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই মে, ২০২২ সকাল ৯:১৬
বিজন রয় বলেছেন: শুভ সকাল।
বড় হয়ে আমি ব্লগার হতে চাই।