নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাধারণ একজন মানুষ। বলার মতো বিশেষ কিছু নেই। মনের ভাবনাগুলো তুলে ধরতে চাই। ভালো লাগে কবিতা, লিখা-লিখি আর ছবি তোলা, এইতো! https://prokashoni.net

ইফতেখার ভূইয়া

গণতন্ত্র মুক্তি পাক, পরিবারতন্ত্র নিপাত যাক

ইফতেখার ভূইয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্যামসাং এন.ভি.এম.ই ৯৮০ এম.২ এস.এস.ডি - ১ টেরা বাইট

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৭:৪০


দীর্ঘদিন ধরেই আমার কম্পিউটারের উইন্ডোজ পার্টিশনে ২৫৬ গি.বাইটের একটি এস.এস.ডি ড্রাইভ ব্যবহার করছিলাম। বেশ কিছু এ্যাপলিকেশন ইন্সটল করে প্রায় তিন বছর ব্যবহার করার পর মনে হলো ড্রাইভটি পরিবর্তন করা দরকার। পরিবর্তন করার প্রয়োজনীয়তা বোধ করছি মূলত দুটো কারণে।

প্রথমতঃ ড্রাইভটির প্রায় অর্ধেকটা ফুল হয়ে গিয়েছিলো বিভিন্ন ফাইল আর এ্যাপলিকেশন আর উইন্ডোজ আপডেট দিয়ে। আর দ্বিতীয়তঃ সম্প্রতি আমি মোবাইল এ্যাপ ডেভেলপমেন্ট নিয়ে টুকটাক কাজ করার চেষ্টা করছি বা বলতে পারেন শিখছি। যদিও আমি মূলত ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করছি তবুও মনে হলো এ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শেখাটাও জরুরী। সবকিছু মিলিয়ে সম্প্রতি স্যামসাং এর ৯৮০ এম.২ ড্রাইভটি ক্রয় করেছি। সত্যি বলতে কি ঘটনাক্রমে ড্রাইভটি আসলেই ফ্রিতে পেয়ে গেছি আমাজন থেকে। সেটারও বিরাট গল্প আছে, হয়তো সেটা নিয়ে অন্য কোন একদিন লিখবো।

অনেকের মনেই প্রশ্ন আসতে পারে উইন্ডোজ ড্রাইভের জন্য কি আদৌ ১ টেরা বাইটের ড্রাইভ প্রয়োজন আছে? স্বাভাবিকভাবে বলতে গেলে বলা যায় "না" দরকার নেই। ২৫৬ বা ৫১২ গি.বাইটের ড্রাইভ-ই বেশীরভাগ মানুষের জন্য উপযুক্ত। তবে আপনি যদি এস.এস.ডি ড্রাইভ ব্যবহার করতে চান তবে মূলত বড় হলেই ভালো। স্যামসাং বলছে আমার এই নতুন ড্রাইভটিতে সর মিলিয়ে নূন্যতম ৬০০ টেরাবাইট ডেটা লিখা যাবে। যদিও এই মডেলের ২৫০ গি.বা. ড্রাইভে সর্বমোট ৩০০ টেরাবাইট এবং ৫১২ গি.বা. মডেলটিতে ৫০০ গি.বা. ডাটা লিখা যাবে বা সেই ওয়ারেন্টি দেয়া হয়েছে। আর প্রোডাক্টির স্বাভাবিক ওয়ারেন্টি ৫ বছর, যা আমার কাছে বেশ দীর্ঘ সময় মনে হয়েছে। ফ্ল্যাশ মেমরি নির্ভর এই ড্রাইভগুলোর একটি সুর্নিদিষ্ট লাইফ স্প্যান রয়েছে যা মূলত এম.টি.বি.এফ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়ে থেকে। এই ড্রাইভটির ক্ষেত্রে সেটা ১৫ লাখ ঘন্টা। মানে দিনে ২৪ ঘন্টা করে এই ড্রাইভটি ব্যবহার করা হলেও এটি ৬২ হাজার ৫০০ দিন (১৭১.২৩ বছর) ব্যবহার করা যাবে। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।

নিয়মিত ভিডিও এডিটিং জাতীয় কাজ করলেও ড্রাইভটি নির্দ্বিধায় বহুদিন ব্যবহার করা যাবে।

ড্রাইভটি মূলত পিসিআই এক্সপ্রেস এর তৃতীয় পজন্মের এক্স ৪ ইন্টারফেসের উপযোগী করে বানানো হয়ছে। ড্রাইভটিতে প্রতি সেকেন্ডে সর্বোচ্চ ৩ গি.বাইট ডাটা লিখা এবং ৩.৫ গি.বাইট ডাটা পড়া সম্ভব হবে। বিভিন্ন ধরনের এনক্রিপশন প্রযুক্তি ছাড়াও রয়েছে অটো গার্বেজ কালেকশান এলগরিদম, স্লিপ মোড সাপোর্ট, স্মার্ট ও ট্রিম প্রযুক্তি ইত্যাদি। অব্যবহৃত অবস্থায় ড্রাইভটি ৪৫ মিলিওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহার করবে যা স্বাভাবকি হার্ড ড্রাইভের তুলনায় অনেক অনেক কম।

সবকিছু মিলিয়ে কেউ যদি নতুন এম.২ এন.ভি.এম.ই এস.এস.ডি. ড্রাইভ কিনতে ইচ্ছুক তাহলে তাকে আমি নির্দ্বিধায় এই ড্রাইভটি কিনতে বলবো। বিগত প্রায় ৫/৭ বছর ধরে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এস.এস.ডি. ড্রাইভ ব্যবহার করে আমার কাছে স্যামসাং-কেই সবচেয়ে ভালো মানের বলে মনে হয়েছে।

স্যামস্যাং এর নিন্মোক্ত ড্রাইভাগুলো আমি ইতোমধ্যেই ব্যবহার করেছি এবং প্রথমটি হারিয়ে যাওয়ার পর থেকে বাকিগুলো এখনো ব্যবহার করছি।
Samsung SSD 850 EVO mSATA 1TB
Samsung SSD 860 EVO mSATA 1TB
Samsung 870 EVO SATA 2.5" SSD 2TB
Samsung 970 EVO Plus NVMe® M.2 SSD 250GB
Samsung 980 PCIe®3.0 NVMe®SSD 1TB
সম্প্রতি ৪ টেরা বাইটের আরেকটি স্যাটা এস.এস.ডি ড্রাইভ অর্ডার করেছি, খুব শীঘ্রই হাতে পাবো বলে আশা করছি। ধন্যবাদ।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৮:০৮

নাহল তরকারি বলেছেন: আমার কাছে সব চেয়ে প্রযুক্তিগুলো বা এর রিলেটেট খবরগুলা ভালো লাগে। ২০২১ সালে আমার লেপটপে হার্ডডিস্ক নষ্ট হবার পর আমি ২৫৬ জিবি একটি এসএসডি লাগাই। আর ৪ জিবি রেম লাগাই। এখন লেপটপ সুপার ফাস্ট কাজ করে।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:২১

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: হার্ড-ডিস্ক নষ্ট হবার পর কি ধরনের এস.এস.ডি. ড্রাইভ লাগিয়েছিলেন তা জানা গেল না। স্বাভাবকিভাবে চিন্তা করতে করতে গেলে সেটা স্যাটা ড্রাইভ হওয়ার কথা। স্যাটা এবং এম.২ এস.এস.ডি এর পার্থক্য রীতিমত আকাশ আর পাতাল বলতে পারেন। মূল ধারনা (এস.এস.ডি.) ঠিক থাকলেও ইন্টারফেস, ডাটা ট্রান্সফার রেট, তাপমাত্রা ইত্যাদিতে অনেক ব্যবধান থাকবে। তবুও বলবো এস.এস.ডি. যে কোন প্রথাগত হার্ড ড্রাইভের তুলনায় ভালো পারফরমেন্স দিবে।

বর্তমান সময়ে উইন্ডোজ ১০ বা ১১ এর ৪ গি.বা. মেমরি আসলে খুবই কম। আমার ল্যাপটপেও ১৬ গি.বা. আর ডেস্কটপে ৩২ গি.বা. মেমরি ব্যবহার করছি মোটামুটি ২০১৯ থেকে। ধন্যবাদ।

২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:৪৯

অধীতি বলেছেন: এইটা আমার কাজে লাগবে। ধন্যবাদ

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:২১

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:১৩

শাহ আজিজ বলেছেন: আপনি অনেকদিন অনুপস্থিত ব্লগ থেকে । আপনার কাছ থেকে কম্পিউটার প্রযুক্তি নির্ভর বিবিধ পোস্ট চাই । ভাল লাগা এই পোস্টে ।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:২২

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: কাজ-কর্ম নিয়ে একটু ব্যস্ততা যাচ্ছে। পরিবার, শারীরিক অসুস্থতা, বুঝতেই পারছেন। আশা করছি টুকটাক আরো কিছু লিখবো শীঘ্রই। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:৩১

অপু তানভীর বলেছেন: এতো এতো জায়গা ! আমার পিসিতে দুইটা উইন্ডোস দেওয়া । একটার জন্য ১২০ অন্যটার জন্য ২৫৬ সেট করা । ১২০ গিগারটা এন.ভি.এম.ই আর অন্যটা সাটা। এছাড়া ৫০০ গিগার একটা হার্ডড্রাইভ রয়েছে । তবে এসবের প্রায় সবই ফাঁকা । হার্ডড্রাইভটা খুলে ফেলবো ভাবছি। ৫০০ গিগারটা আগে পিসির । অনেক পূরানো ।
অবশ্য ভিডিও এডিটিং করতে গেলে প্রচুর স্পেশ দরকার হয় ।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:২৯

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: উইন্ডোজের ড্রাইভে যত জায়গা থাকে তত ভালো বিশেষ করে সেটা যদি এস.এস.ডি ড্রাইভ হয়ে থাকে। আমার মিউজিক এবং মুভি কালেকশান বেশ বড়, জায়গার সঙ্কুলান হচ্ছে না। যদিও আমার কাছে আরো বেশ কিছু এস.এস.ডি রয়েছে যেগুলো ২২৪২ মি.মি. সাইজের যার মধ্যে ২টা টোশিবা, ১টা স্যামসাং। পাশাপাশি ৩টি প্রথাগত হার্ড ড্রাইভ রয়েছে, যা মধ্যো একটি ১ টেরা বাইটের ৩.৫ ইঞ্চি, ১ টি ৫০০ গি.বাইটের ২.৫ ইঞ্চি ও একটি ২৫০ গি.বাইটের ২.৫ ইঞ্চি ড্রাইভ। অনেক জমে যাচ্ছে। ধন্যবাদ।

৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: এই বিষয় গুলো আমি একেবারেই কম বুঝি। আমার ছোট ভাই এসব বিষয়ে ওস্তাদ। সমস্যা হলে ছোট ভা কে বলি। ও সমাধান করে দেয়।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:২৯

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: হুমম.. আমিও বুঝে নিলাম। ধন্যবাদ।

৬| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:০১

নিমো বলেছেন: ভিডিও এডিটিং এর জন্য আমি ম্যাককেই এগিয়ে রাখব। আমি এটার ৫০০ জিবি কিনেছি, এখন পর্যন্ত সন্তুষ্ট। গেম খেলে মহা শান্তি। তবে বাজারে স্যামসাংয়ের হাইপ আছে তার পারফরম্যান্সের তুলনায়। আমি এসকে হাইনক্সকে এসএসডির জন্য সবচেয়ে সেরা বলব।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৩৬

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আপনি এ্যাপলের সাথে কমলার তুলনা করছেন। এ্যাপল এ.আর.এম বেইজড কম্পিউটার, আমি ব্যবহার করছি এক্স৮৬-৬৪ বিট কম্পিউটার। ম্যক ভালো তবে সেটা সবার জন্য নয়। ম্যাকে চাইলেই আপগ্রেড করা সম্ভব নয়। আপনি কি গেম খেলছেন জানি না তবে সব হাই লেলেভ গেম সম্ভবত এ.আর.এম প্ল্যাটফর্মের জন্য তৈরী হয় না। হাইনিক্স ভালো হলেও স্যামসাং এর সমকক্ষ নয়। ওদের বেশীরভাগ এস.এস.ডি. এর রিড রাইট গতি এবং বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিবমান স্যামসাং এর তুলনায় বেশী হয়ে থাকে। ধন্যবাদ।

৭| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:০১

নিমো বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি এ্যাপলের সাথে কমলার তুলনা করছেন।
আপনি অযথাই আমায় ভুল বুঝঝেন। ম্যাক একটা নিশ কাজ (ভিডিও এডিটিং) এর জন্য ভালো সেটাই বলেছি মাত্র।

লেখক বলেছেন:আমি ব্যবহার করছি এক্স৮৬-৬৪ বিট কম্পিউটার।
আমি আমার এক্স৮৬-৬৪ বিট কম্পিউটারে আপনার উল্ল্যেখকৃত স্যামসাং এন.ভি.এম.ই ৯৮০ এম.২ এস.এস.ডি- ৫০০ জিবি কিনে গেম খেলছি, সেটাই বলেছি। ম্যাক কেবল ভিডিও এডিটিং এর জন্যই চালাই। আমি মূলত লিনাক্স চালাই, তবে গেম আর ভিডিও এডিটিং লিনাক্সে করে আরাম পাই না।

লেখক বলেছেন:ম্যক ভালো তবে সেটা সবার জন্য নয়। ম্যাকে চাইলেই আপগ্রেড করা সম্ভব নয়। ধন্যবাদ।
আপনার এই কথার সাথে দ্বিমত করার সুযোগ নাই। আপনাকে স্বাগতম!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.