নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গণতন্ত্র মুক্তি পাক, পরিবারতন্ত্র নিপাত যাক
পারতপক্ষে আমি কোন গেমার নই। টুকটাক কোডিং করার পর অনেক সময় বিরক্তি চলে আসলে বা মন কিছুটা ফ্রেশ করার জন্য "ব্রলহাল্লা" গেমটা খেলি। মূলত অনলাইন ভিত্তিক এ্যাকশন গেম। বেশ ভালো লাগে, যদিও মার খাই বেশী দিতে পারি কম। কিছুদিন আগে দেখলাম, কেউ একজন জেতার পর তার দেশের পতাকা ওড়ানোর ছবি দেখা যাচ্ছে। ওমনি ঘাটাঘাটি শুরু করে দিলাম, অনেক ঘাটাঘাটির পর বোঝা গেল যে, পতাকা ওড়ানোর জন্য টাকা খরচ করে পতাকা কিনতে হবে। আমেরিকা এবং বাংলাদেশ দু'টোরই পতাকা কেনা হলো। পতাকাতো হলো কিন্তু জিততে-তো আর পারছি না। ওদিকে মা'র খেতে খেতে আমার নাস্তানাবুদ অবস্থা। যাইহোক অনেক চেষ্টা আর ধোলাই খাওয়ার পর, অবশেষে জিততে পেরেছি। ভার্চুয়ালি হলেও দেশের পতাকা ওড়াতে পেরে ভালো লাগছে। অন্তত ক'জন মানুষতো বাংলাদেশের পতাকা আবারও দেখলো, এটাই শান্তি। খুশিতে তা থৈ তা থৈ অবস্থা , শেয়ার না করে পারা গেল না।
১৩ ই জুন, ২০২৩ ভোর ৫:০০
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন:
২| ১৩ ই জুন, ২০২৩ ভোর ৫:১২
কাছের-মানুষ বলেছেন:
অভিনন্দন আপনাকে।
ছোট বেলায় টাকা দিয়ে মোস্তফা গেম খেলতাম, একবার ঈদের সালামীর সব টাকা মোস্তফা গেম খেলে উড়িয়েছিলাম, তার জন্য ডাবল ধোলাই খেয়েছিলাম বাসায়, ধোলাই বলতে বাসায় বেধে রাখছিল শাস্তি সরূপ! (আমাকে জীবনে কখনই একটি চড়ও মারেন আব্বা বা মা!) তারপর থেকে গেইম খেলা বাদ দিছি এক রকম!
১৩ ই জুন, ২০২৩ ভোর ৫:৫১
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: অনেক পুরোনো স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন। বাবা-র পকেট থেকে টাকা চুরি করে মোস্তফা খেলেছি, মা ধোলাইও দিয়েছে। না, আমার বাবা-মা লুতুপুতু ছিলেন না। বাবা খুব একটা কিছু না করলেও মা পিটিয়ে তক্তা বানিয়ে ফেলতো। ঘরে নিত্য ব্যবহার্য যে কোন একটা কিছু মনে করুন, ধরেন ওটা দিয়েও মা ধোলাই দিয়েছেন। মাঝে গেম খেলা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিলাম। এখন অবশ্য মোস্তফা খেলা হয় না অনেক দিন তবে ব্যাকআপ ড্রাইভে এখনো গেমটা আছে। স্ট্রিট ফাইটারও মাঝে মাঝে খেলি, খেলে রেকর্ড করে ইউটিউবে দিয়ে দিই
৩| ১৩ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:১৬
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ইফতেখার ভাই, দেশের পতাকা উড়াইছেন, ভাল্লালাগছে!
একটা কথা কই, নেগেটিভলী নিবেন না প্লিজ। আমি ব্যবসায়ী মাইন্ডের মানুষ, সব খানে ব্যবসার গন্ধ খুঁজি। দেখুন, আমাদের 'দেশপ্রেম' চেতনা দিয়েও গেম কম্পানি ব্যবসা করে নিচ্ছে!
একবার কোথায় যেন শুনেছিলাম, পুজিবাদের বিপক্ষে থাকা চে-এর ছবি নিয়েও পুজিবাদীরা টিশার্ট তৈরী করে; আর চে-প্রেমিকেরা সেটা কিনে পুজিবাদকেই প্রমোট করে!
১৩ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:৩৬
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: না, আমি নেগেটিভলি নেই নি। গেমিং ইন্ডাস্ট্রি বেশ বড়, যতদূর জানি প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলারের মতো আর আপনার বক্তব্যও সত্য। তবে আমার দৃষ্টিভঙ্গি হলো আমি অকারণে গেম খেলছি না, বলতে পারেন এটা স্ট্রেস রিলিসের একটা মাধ্যম। তবে পাশাপাশি গেমিং এর সময় আমি খেলাটাকে রেকর্ড করে রাখি। পরবর্তীতে তা কিছুটা এডিট করে ইউটিউবে পাবলিশ করি। কিছুটা পুঁজিবাদী ভাবনা থেকেই এটা করা যদিও আবেগটা মিথ্যে নয়। আমি পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে আমেরিকা এবং বাংলাদেশ দুটোকেই প্রমোট করবো, বিনা দ্বিধায়।
বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি, পূর্ব পুরুষের ঠিকানা। যদিও কাগজে-কলমে এখন আর আমার বাংলাদেশী নাগরিকত্ব নেই তবুও সেটা ফিরে পেতে কাজ করছি, অন্তত দ্বৈত-নাগরিকত্ব ধরে রাখার জন্য চেষ্টা করছি। আমেরিকায় আমার বেড়ে ওঠা, তরুণ থেকে যুবক আর যুবক থেকে পরিণত হওয়া এই দেশের আলো বাতাসে, অজস্র স্মৃতি আর জীবন-জীবিকায় ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকা দেশ। জীবনের যতটা সময় আমি বাংলাদেশে কাটিয়েছি প্রায় ততটা সময়ই আমেরিকায়। কিছুটা আবেগতো কাজ করবেই। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন, ধন্যবাদ।
৪| ১৩ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: গুড জব।
দেশের পতাকি উড়িয়ে আপনি আনন্দ পেয়েছেন এবং আমরাও আনন্দ পেয়েছি।
আমার ভাগ্নী আমেরিকা বেড়াতে গিয়েছে, শে সাথে করে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে গেছে।
আমি একটা গেমসই খেলি- কেন্ডি ক্রাশ। গত ৬/৭ বছর ধরে খেলেই যাচ্ছি। শেষ আর হয় না। এখন আমি ৫২৪১ লেভেলে আছি। এই খেলার শেষ স্টেজ কোথায় আমি জানি না।
১৩ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৯
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: "ক্যান্ডি ক্রাশ" আমি কয়েকবার খেলেছিলাম, বেশীদিন খেলা হয় নি। এগুলোর উদ্দেশ্যই হচ্ছে আপনাকে যতটা সম্ভব ধরে রাখা। ব্যবসা সেখানেই। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই জুন, ২০২৩ ভোর ৪:৪৫
কামাল১৮ বলেছেন: আপনার দেশপ্রেম প্রশংসার দাবিরাখে।