নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাধারণ একজন মানুষ। বলার মতো বিশেষ কিছু নেই। মনের ভাবনাগুলো তুলে ধরতে চাই। ভালো লাগে কবিতা, লিখা-লিখি আর ছবি তোলা, এইতো! https://prokashoni.net

ইফতেখার ভূইয়া

গণতন্ত্র মুক্তি পাক, পরিবারতন্ত্র নিপাত যাক

ইফতেখার ভূইয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের জন্য মাল্টিরোল কমব্যাট এ্যারক্রাফ্ট

০৭ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ২:২৩


বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে বর্তমানে এম.আর.সি.এ (মাল্টিরোল কমব্যাট এ্যারক্রাফট) বলতে শুধু আটটি মিগ ২৯ যুদ্ধ বিমান রয়েছে (ফ্লাইটগ্লোবাল)। মনে রাখা প্রয়োজন যে মাল্টিরোল বলতে একাধিক ধরনের মিশন পরিচালনায় সক্ষম যুদ্ধ বিমানকে বোঝানো হয়ে থাকে যা আকাশে শত্রু বিমানের সাথে যুদ্ধ করতে পারবে, আকাশ থেকে ভূমিতে সুর্নিদিষ্ট লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের বোমা নিক্ষেপ, শত্রুর বিমানকে নিজস্ব আকাশে প্রবেশ করতে না দেয়া, ইলেকট্রনিক যুদ্ধ কিংবা অন্য কোন যুদ্ধ বিমানকে আকাশে নিরাপত্তা সহায়তা দেয়ার মতো মিশন পরিচালনায় সক্ষম। বাংলাদেশের মিগ-২৯ বিমানগুলো বেশ পুরোনো। দীর্ঘদিন ফ্লাই করার পর বিমানগুলো ওভারহলিং করতে হয়, অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন বাহিনী সে সময়ে কিছু যন্ত্রপাতি যোগ করে বিমানকে কিছুটা আপগ্রেড করে থাকে ব্যবহারের সুবিধার্থে। ভুল না জেনে থাকলে বাংলাদেশ বেশ ক'বছর আগে ইউক্রেন থেকে কয়েকটি বিমান ওরকমভাবেই আপগ্রেড করিয়ে নিয়ে এসেছে (কীমিলিটারী)। বর্তমানে ইউক্রেনে যুদ্ধ চলমান থাকায় বাকি কয়েকটি বিমান সম্ভবত বেলারুশ থেকে ওভারহলিং করানো হবে (টপওয়ার)।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী এম.আর.সি.এ যুদ্ধ বিমানগুলো কিছুটা আপগ্রেড করাচ্ছে তার কারণ সহসাই বাংলাদেশে নতুন এ ধরনের কোন যুদ্ধ বিমান আসছে না যদিও এ ব্যাপারে অনেক আগেই (২০১৫-১৬) টেন্ডার ছাড়া হয়েছিলো (কুওয়া)। প্রাথমিকভাবে রাশিয়া থেকে মিগ-২৯ এর উন্নত ভার্সন (মিগ-৩৫) কেনার ইচ্ছে থাকলেও শেষ পর্যন্ত সেটা দামের কারনে হয়ে ওঠেনি। বিভিন্ন রাজনৈতিক টানপোড়ন কাজ করেছে এখানে। এরপর বিভিন্ন সময়ে চাইনিজ কিছু বিমান নিয়ে কথা শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত সেটাও হয়ে ওঠেনি। শেষ-মেষ ইউরোপ-আমেরিকার দিকে তাকানো ছাড়া আর কোন উপায় নেই। খুব সম্ভব ইউরোপিয়ান কয়েকটি কোম্পানী আগ্রহ দেখিয়েছিলো। বাংলাদেশ হয়তো এখনো যাচাই বাছাই করছে কিংবা বিষয়টি নিয়ে ঠিক সিদ্ধান্তে আসতে পারে নি।

আমার মতামত: যুদ্ধ বিমান ক্রয়ের জন্য আমি বরাবরই আমেরিকান যুদ্ধ বিমান ক্রয়ের পক্ষপাতি। এর পেছনে অনেকগুলো কারণ দেখাতে পারলেও সবচেয়ে বড় কারণ হলো ওদের যুদ্ধ বিমানগুলো ইতোমধ্যেই বিভিন্ন যুদ্ধে পরীক্ষিত যা অন্যকোন দেশের যুদ্ধ বিমানের নেই। এ কথা সত্য ইউরোপের কিছু বিমানও কম-বেশী পরীক্ষিত কিন্তু আমেরিকার বিমানগুলোর মতো অতটা নয়। বিভিন্ন যুদ্ধ বিমান নিয়ে কথা বলতে গেলে লিখা অনকে বড় হয়ে যাবে। সংক্ষেপে বলবো বাংলাদেশে বিমান বাহিনীর জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে দুই স্কোয়াড্রন জেনারেল ডায়নামিকসের এফ-১৬ (ব্লক-৭০/৭২) যুদ্ধ বিমান ক্রয়ের পক্ষপাতি।

যতদূর জানা যায় তাতে আমেরিকাও চায় বাংলাদেশ তাদের যুদ্ধ বিমান কিনুক যদিও অতীতে বাংলাদেশ এফ-১৬ কিনতে চাইলেও আমেরিকার কংগ্রেসে সেটার অনুমোদন হয় নি। সে সময়ে তারা ভেবেছিলো বাংলাদেশকে এফ-১৬ দেয়া হলে এই বিমান সংক্রান্ত প্রযুক্তি চাইনিজদের হাতে পড়ে যাবে। তবে বর্তমানে সে ধারনার পরিবর্তন এসেছে। পাশাপাশি আমেরিকাও চাচ্ছে বাংলাদেশ তাদের বলয়ে থাকুক। অবশ্য বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতিও এর পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে বলে আমার ধারনা। খুব সম্ভবত বাংলাদেশের বিমান বাহিনী প্রধান এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানার জন্য আমেরিকা সফরও করেছেন (ঢাকা ট্রিবিউন)। তার সফরে যুদ্ধ বিমানের পাশাপাশি এ্যাপাচি এ্যাটাক হেলিকপ্টার ক্রয়ের বিষয়টিও জড়িত বলে আমার ধারনা।

আমেরিকা স্ট্র্যাটেজিক কারনে বাংলাদেশকে অন্যান্য ক্রেতা দেশের তুলনামূলকভাবে কমদামে এই বিমান সরবরাহ করবে। একই প্যাকেজে পাইলট ট্রেনিং, খুচরা যন্ত্রাংশ সরবরাহ ও বেশ কিছু আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপ যোগ্য মিসাইলও পাবে। রাশিয়া তাদের বেশীরভাগ যুদ্ধ বিমানে দুটো ইঞ্জিন ব্যবহার করে তার অন্যতম কারণ হলো যাতে একটি ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গেলেও অন্যটি দিয়ে বিমান পরিচালনা করা যায়, কিন্তু তাতে জেট ফুয়েল ব্যবহার হয় অনেক বেশী। এফ-১৬ এর ইঞ্জিন একটি হলেও সেটি অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য এবং দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন বাহিনীতে সুনামের সাথে ব্যবহার হয়ে আসছে। তবে একটি নেতিবাচক দিক হতে পারে সেটা হলো আমেরিকার যুদ্ধ বিমান বরাবরই বেশ উন্নত প্রযুক্তির হওয়াতে এর পর্যবেক্ষন এবং মেইটেননেন্সে বেশ খেয়াল রাখতে হয়। এখনো পর্যন্ত জেনারেল ডাইনামিকস প্রায় ৪ হাজারেরও বেশী এফ-১৬ যুদ্ধ বিমান তৈরী করেছে যা বর্তমানে ২৫টির মতো দেশের বিমান বাহিনীতে ব্যবহৃত হচ্ছে। অন্যদিকে মিগ-২৯ তৈরী হয়েছে ১৬০০ ইউনিট এরও কম আর এর ব্যবহারকারী দেশগুলো মূলত অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগতভাবে বেশ দুর্বল মানের।

বর্তমানে মিগ-৩৫ (মিগ-২৯ এর আপগ্রেডেড ভার্সন) এর আনুমানিক বাজার মূল্য ৫০ মিলিয়ন ডলার অন্যদিকে একটি এফ-১৬ (ব্লক সি/ডি) এর আনুমানিক বাজার মূল্য ৩০ মিলিয়ন ডলার (মিলিটারী মেশিন)। যদিও আলোচনায় উল্লেখিত মডেলগুলো আর দামের ক্ষেত্রে উল্লেখিত মডেল শতভাগ এক নয় তবুও কিছুটা ধারনা দেয়ার জন্য উল্লেখ করা। প্রকৃত দাম জানা প্রায় অসম্ভব তাই উল্লেখিত দামে ১৯/২০ হওয়া অসম্ভব নয়। এখানে মনে রাখা প্রয়োজন যে রিটেইল দাম যেমনই হোক না কেন ক্রয়ের ক্ষেত্রে দর কষাকষি করা গেলে বা বিক্রেতা দেশের সাথে সুসম্পর্ক থাকলে অনেক সময় বেশ ভালো প্যাকেজে পন্য ক্রয় করা সম্ভব। যেমনটা বাংলাদেশ করেছে বোয়িং কোম্পানির সাথে বিমানের ৭৮৭-৯ মডেলের বেসামরিক বিমান ক্রয়ের ক্ষেত্রে (সিম্পল ফ্লাইং )।

এই যুদ্ধ বিমানগুলোতে ব্যবহার যোগ্য মিসাইল এবং এদের দাম নিয়েও যথেষ্ট ভাবনার অবকাশ রয়েছে। বিষয়গুলো অনেকটাই জটিল এবং বেশ আলোচনার অবকাশ রয়েছে তবুও একটা উদাহরণ দিচ্ছি। এফ-১৬ বিমানে আকাশ থেকে আকাশে ব্যবহার যোগ্য স্বল্প দূরত্বের বিমান বিধ্বংসী একটি এইম-৯ (সাইডওয়াইন্ডার) মিসাইলের দাম তুলনামূলকভাবে মিগ-২৯ এ ব্যবহৃত একই ধরনের রাশিয়ার নির্মিত আর-৭৩ (আর্চার) মিসাইলের চেয়ে বেশী হওয়ার কথা (সঠিক দাম জানা সম্ভব হয় নি)। যদিও আর-৭৩ মিসাইল তুলনামূলকভাবে বেশী ভয়ংকর বা কিল রেশিও ভালো বলেই সবাই জানে। এখানে মনে রাখা প্রয়োজন বাংলাদেশের আকাশসীমা অপেক্ষাকৃতভাবে ছোট হওয়ার দীর্ঘ দূরত্ব কিংবা দৃষ্টিসীমার বাইরের (বিভিআর) যুদ্ধ বিমান আক্রমণের জন্য মিসাইল কেনা ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয় যতটা প্রয়োজন স্বল্প দূরত্বের মিসাইল। খুব সম্ভবত সে কারনেই আমাদের বিমান বাহিনীতে বর্তমানে শুধু আর-২৭ (বিভিআর) মিসাইল ব্যবহার করা হচ্ছে।

ইউ.এস এয়ার ফোর্স বর্তমানে আর কোন এফ-১৬ ক্রয় না করলেও যুদ্ধ বিমানটির উন্নত সংস্করণ এখনো উৎপাদিত হচ্ছে বিভিন্ন দেশে রপ্তানির উদ্দেশ্যে। অন্যদিকে রাশিয়াও তার বিমান বাহিনীর জন্য আর মিগ-২৯ নতুন করে ক্রয় করছে না তবে খুব সম্ভবত বিমানটির উৎপাদন অব্যাহত থাকবে মূলত অনুন্নত দেশগুলোর বিমান বাহিনীর জন্য।

ইউরোপিয়ান জেট যেমন দাসাল্ট রাফায়েল (দুটো ইঞ্জিন, ১১৫ মিলিয়ন ডলার), সুইডিশ সাব গ্রাইপেন (একটি ইঞ্জিন, ৮৫ মিলিয়ন ডলার) ও ইউরোফাইটার টাইফুন (দুটো ইঞ্জিন, ১২৪ মিলিয়ন ডলার) নিয়েও বেশ আলোচনা হয়েছে তবে এগুলোর দাম অনেক বেশী বলে আমার মতে এগুলো বাংলাদেশের জন্য ততটা উপযুক্ত নয়।

এখানে মনে রাখা প্রয়োজন বাংলাদেশের তিন দিকে ভারত থাকায় বাংলাদেশের আকাশ সীমা নিয়ে খুব বেশী ভীত হওয়ার তেমন কোন কারণ আছে বলে আমার মনে হয় না। অন্যদিকে মায়ানমার থাকার কিছুটা চিন্তা সবসময়ই আমাদের মাথায় রাখতে হবে বা রাখা উচিত বলে আমার মনে হয়। আমেরিকার স্যাংশনের কারনে ওরা সুদূর ভবিষ্যতেও আমেরিকান বা ইউরোপিয়ান জেট ক্রয় করতে পারবে না। অন্যদিকে কিছুদিন আগেই আর্ন্তজাতিক আদালতের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের জলসীমা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে, সেটার নিরাপত্তার বিষয়টিও আমাদের ভেবে দেখা প্রয়োজন। মায়ানমার আগে থেকেই মিগ-২৯ ব্যবহার করছে। সম্প্রতি রাশিয়ার তৈরী সুখোই এসইউ-৩০ অর্ডার করেছে যা মিগের তুলনায় বেশ আধুনিক। মূলত রাশিয়ান এবং চায়নিজ প্রযুক্তি নির্ভর মায়ানমার বিমান বাহিনীর তুলনায় প্রযুক্তিগতভাবে এগিয়ে থাকার জন্য এবং সম্ভাব্য কনফ্লিক্ট এড়িয়ে চলার জন্য ইউরোপ-আমেরিকার বিমান ওদের জন্য বরারবই সারপ্রাইজিং ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবে।

সরকার প্রতিবেশীদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাইলেও আপনার খারাপ প্রতিবেশী আপনার সাথে উসকানি দিয়ে বা গায়ে পড়ে যে লড়তে আসবে না সেটা সম্পূর্ণ উড়িয়ে দেয়াটা বোকামি। কিছুদিন আগেও ওদের হেলিকপ্টার বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়ও সে খবর এসেছে। সবার সাথে ভালো সম্পর্ক বজার রাখার পাশাপাশি শক্তিশালী বিমান বাহিনী বাংলাদেশের জন্য বিলাসিতা নয় বরং অত্যাবশ্যক। বাণিজ্যিক কারনেই চট্টগ্রাম অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ তাই দক্ষিণের আকাশ সীমার পূর্ণ নিরাপত্তার জন্যে হলেও অন্তত ২৪টা আধুনিক (৪++ প্রজন্মের) মাল্টিরোল যুদ্ধ বিমান প্রয়োজন। বাংলাদেশের আকাশসীমাকে মূলত সাউথ এবং নর্থ এই দুটো জোনে (এয়ার ডিফেন্স) ভাগ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে এফ-১৬ হতে পারে অন্যতম অস্ত্র। প্রয়োজনে এফ-১৮ এর কথাও ভেবে দেখা যেতে পারে। সেটা অবশ্য অন্য এক আলোচনার বিষয়।

দ্রষ্টব্য: আমি কোন সামরিক বিশেষজ্ঞ নই, নিতান্তই ব্যক্তিগত গবেষণার আলোকে নিজের মতামত তুলে হয়েছে। অনেকেই মনে করতে পারেন আমি কেন এই বিমান কেনার কথা বলছি। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর আধুনিকায়নের জন্য সরকার "ফোর্সেস গোল ২০৩০" ঘোষণা করেছে আরো অনেক আগেই। সেই মোতাবেক নতুন যুদ্ধ বিমান কেনার কথা। তারই আলোকে আমার এই আলোচনা।
ছবি কপিরাইট: লকহিড মার্টিন

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:৩০

নিমো বলেছেন: কিছু মনে করবেন না, আপনার লেখাটা পড়ে হাসি পেয়ে গেল। ইউক্রেনের মত দেশকেও সাহায্য-সহযোগিতা নিতে হচ্ছে। সত্যিকারের যুদ্ধাবস্থা হলে এসব কোন কাজেই আসবে না। দেশ এমনিতেই মাথাভারি প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা-সামরিক বাহিনীর চাপে পিষ্ট, নূতন করে দেশের টাকা অপচয়ের কোনই দরকার নাই।

০৭ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:০৯

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: হাসুন, হাসা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো বলে জেনেছি। বাংলাদেশে গরীব দেশ, কম-বেশী হাত পাতা ছাড়া আমার মনে হয় না অন্য কোন উপায় আছে। প্রায় প্রতিবছরই নিয়ম করে জাপান, চায়না, রাশিয়া, ভারত, ইউরোপ, আমেরিকা প্রায় সব জায়গাতেই আমরা সাহায্য চাচ্ছি। আমি দেশে থাকিনা তাই প্রশাসন নিয়ে খুব একটা ধারানা নেই। ওটা আপাতত আপনাদের হাতেই থাকছে। দেশে যত চোর-বাটপার, ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ আর অর্থ পাচারকারী আছে তাদের শায়েস্তা করুন সব ঠিক হয়ে যাবে, দেখবেন এই সামান্য টাকাকে আর অপচয় মনে হবে না। ধন্যবাদ।

২| ০৭ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: এসব বিষয়ে আমার জ্ঞান নেই। তাই মন্তব্য করলাম না।

০৭ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:১০

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: তবুওতো করলেন! ধন্যবাদ।

৩| ০৭ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৪

নতুন বলেছেন: আমাদের দেশের সমর শক্তি বাড়ানোর দরকার নাই। বরং সেটা শিক্ষা, চিকিতসা এবং স্কিল্ড মানুষ তৌরিতে বিনিয়গ করা উচিত।

ভারতের সাথে অস্র প্রতিযোগিতায় আমাদের যাবারকোন অর্থই হয় না। আর ভবিষ্যতে দেশ দখলের যুদ্ধ কেউই করবেনা। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু করে বুঝতে পারছে।

০৭ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:১৫

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: সমর শক্তির বাড়ানো বা কমানোর ক্ষমতা খুব সম্ভবত সাধারণ জনগণের হাতে নেই যদিও গণতন্ত্রে জনগনই সকল ক্ষমতার উৎস B-)) B-))। ভারতের সাথে প্রতিযোগীতার কথা কে বললো? ভারতের সামরিক বাহিনী সম্পর্কে মনে হয় না আপনার বিন্দুমাত্রও ধারনা আছে B:-) । আবার পড়ুন।

৪| ০৭ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:৪৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

দেশ দখলের যুদ্ধ এখন আর পৃথিবীতে নেই। খোদ আফ্রিকাতেও নেই। আছে গৃহযুদ্ধ। বা সন্ত্রাসী গ্রুপদের বিরুদ্ধে খন্ড যুদ্ধ।


আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে সশস্ত্র বাহিনী জন্য খরচ কমিয়ে এনে বিজিবিকে উন্নত অস্ত্রশস্ত্র গোয়েন্দা নজরদারির অস্ত্র দিয়ে শক্তিশালী করা। আর সেনাবাহিনীকে ছোট করে ফেলা।

সবচেয়ে ভালো হয় জাপান ও জার্মানির মতো সেলফ ডিফেন্স ফোর্স নামে ছোট একটি বাহিনী তৈরি করে সেনাবাহিনী বিলুপ্ত করা।

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর জন্য ইকুইপমেন্ট কিনতে পাকিস্তানের মতোই প্রচুর দুর্নীতি হয়। বিশেষ করে চীন থেকে কেনা হলে। সাধারণ কেনাকাটাও প্রচুর দুর্নীতি হয়। আর্মিতে কাজ করে যে কোন ঠিকাদার সাপ্লায়ার কে জিজ্ঞেস করলেই জানতে পারবেন। পাকিস্তান আমল থেকেই সশস্ত্র বাহিনীর কেনাকাটা সরকারের তরফ থেকে অডিট করতে পারে না, মিলিটারি সিক্রেট।

এছাড়া অকারণ খরচ অপচয় করেই যাচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় গ্রাম গঞ্জ দখল করে ক্যান্টনমেন্ট হচ্ছে, আসলে হচ্ছে ডিওএইচএস। ঢাকা শহরের ভিতরে দুইটি বিশাল জায়গা ক্যান্টনমেন্ট বানিয়ে বসে আছে। পরে আছে বিশাল পিলখানা।
পৃথিবীর কোন শহরের ভিতরে ক্যান্টনমেন্ট থাকে না। অথচ ঢাকা শহরের ভিতরে তিনটা ক্যান্টনমেন্ট।

আমার মতে সেনাবাহিনী কে শহর থেকে সরিয়ে দূরে কোথাও রাখা উচিত। ক্যান্টনমেন্ট ও পিলখানায় ঢাকার যত বেসরকারি ভাড়া করা জায়গায় স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় আছে, সবগুলোকে ক্যান্টনমেন্টে পিলখানায় স্থানান্তর করা উচিত। বাজার মূল্যে ভাড়া দিয়ে। এতে ঢাকার যানজট প্রায় ৮০% কমে যাবে।

সেলফ ডিফেন্স ফোর্স এর জন্য যদি কিনতেই হয়
চাইনিজ বিমান না কিনে আমেরিকান বিমান কেনা উচিত। যদি ক্রেডিটে বিক্রি করে।
মাত্র এক স্কোয়াড্রন ফুললি ইকুইপ্ট এফ18 কিনতে এক বিলিয়নের উপরে খরচ আছে।

০৭ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:২৮

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: সত্যি বলতে কি ১৮ কোটি মানুষের দেশে ২ লাখ সেনা সদস্য খুব বেশী নয়। তবে সেটা ছোট করে আরো দক্ষ ও আধুনিক অস্ত্র ও সরঞ্জাম কেনার পক্ষপাতি আমিও। বিজিবি-র আধুনিকায়নও প্রয়োজন। সেটাও হচ্ছে তবে অনেক ধীর গতিতে। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী মূলত ডিফেন্সিভ, তারা কখনোই অফেন্সিভ বাহিনী ছিলো না।

মন্তব্যের মাঝে যা বলেছেন তা নিয়ে আমার কোন মন্তব্য নেই। শেষের প্যারার সাথে কিছুটা দ্বিমত পোষণ করছি। এফ-১৮ মূলত নৌ বাহিনীর ক্যারিয়ার নির্ভর যুদ্ধ বিমান। যে দেশ এটা বানিয়েছে আর ব্যবহার করছে মানে আমেরিকার নৌ বাহিনী সম্পর্কে জানলেই আপনি এটা বুঝতে পারবেন। বাংলাদেশের নৌ বাহিনীতে কোন এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার নেই, এটা আপনার জানার কথা। আর বাংলাদেশের সেটার প্রয়োজনও আছে বলে আমার মনে হয় না। তবে এটা সত্য যে এই যুদ্ধ বিমানটিকে কিছুটা মডিউফাই করে তা বিমান বাহিনীতে ব্যবহার করা সম্ভব। সমস্যা হলো এটার দাম এফ-১৬ এর চেয়েও বেশী। টাকা থাকলে আপনি হয়তো এফ-৩৫ ও কিনতে পারেন, প্রশ্ন হলো সেটার প্রয়োজন আছে কি না সেটা বোঝার চেষ্টা করা। ধন্যবাদ।

৫| ০৭ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৪৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



সবই প্রয়োজন আছে। তবে এখন প্রয়োজন মালবাহী ট্রেন, আর আর্ন্তজাতিক ভাবে মালবাহী শীপ। আর পাশের দেশের সাথে ব্যবসায়ীক সুসম্পর্ক। যে কোনো দেশের সাথে ব্যবসা না থাকলে ধিরে ধিরে খারাপ সম্পর্ক তৈরি হয়।

০৭ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:৩২

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: পাশের দেশ বলতে দুটো দেশই আাছে আমাদের। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে মায়ানমারের সাথে সুসম্পর্ক কখনো ছিলো বলে আমার জানা নেই। বাঙালীর প্রতি ঘৃণাবোধ থেকেই ওরা রোহিঙ্গা তাড়িয়ে এ দেশে পাঠিয়েছে সেটা আপনার অন্তত জানার কথা। আপনাদের ট্রেনের বগি ক'দিন পরপরই লাইনচ্যুত হয় আর শীপ ভারতে গিয়ে ডুবে যায়। আগে এগুলোর সমাধান জরুরী ঠাকুর দা। ধন্যবাদ।

৬| ০৭ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:৪৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আমাদের মিগ জেট দরকার আছে। দরকার আছে যাত্রীবাহী বিমানও। দরকার ট্রেন ও জাহাজ। তবে সমস্যা কি জানেন, আমাদের দেশে যেই পরিমাণ পেঁয়াজ প্রয়োজন আর ভারত থেকে যেই পরিমাণ আমদানি হয়! তার পাঁচ ভাগের এক ভাগ র্বা্মা থেকে আমদানি হলে বার্মার সাথে দিন দিন সম্পর্ক ভালোর দিকে যেতো।

সমস্যা হচ্ছে ভারত। ভারত কখনো চাহে না আমাদের ভারত ব্যতীত আর কারো সাথে সম্পর্ক থাকুক। বাংলাদেশীর সাথে বার্মার কোনো সমস্যা নেই। সমস্যা আছে রোহিঙ্গার সাথে।

০৮ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:১৭

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আমি ভারতকে কখনোই প্রকৃত বন্ধু রাষ্ট্র বলে মনে করি না। তাদের সাথে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি অনেক তবুও তাদের বাজারে আমাদের পণ্য ঢোকানো কঠিন। এক তিস্তার পানি, ফারাক্কার বাঁধ নিয়ে অনেক জল ঘোলা করা হয়েছে। বছর বছর পানিতে ডুবিয়ে রেখেছে। তাদের ভারত মহাসাগর থাকার পরেও বঙ্গোপসাগরে তাদের হিস্যা নিয়ে আমাদের আর্ন্তজাতি আদালত পর্যন্ত টেনে নিয়ে গেছে। ভারত চাইলেই মায়ানমারকে দিয়ে রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানে ভূমিকা রাখতে পারতো, চাপ সৃষ্টি করতে পারতো, তারা সেটা করেনি বরং ওদের ফ্রীতে সাবমেরিন দিয়েছে বাংলাদেশের সাথে ব্যালেন্স করানোর জন্য। মুগুরের কাজ কখনো মুখ দিয়ে হয় না মাহমুদ ভাই। এই দুনিয়াই শক্তের ভক্ত আর নরমের যম। ধন্যবাদ।

৭| ০৮ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:২৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



দেশ ভাগের সময় আমাদের দেশে শিক্ষিত লোক ছিলো না। ইংরেজদের সাথে সুসম্পর্ক আছে এমন লোকও ছিলো না। যদি থাকতো তাহলে বাংলাদেশ পাকিস্তান শুরুতে পূর্ব আর পশ্চিম মিলে এক দেশ হতো না। আর ভারতও এতো বড় দেশ হয় না।

শিক্ষা সুশিক্ষার অভাবে বাংলাদেশ যে এই ধরা খেয়েছে আর মুক্তি নেই।

০৮ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১:৫৪

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: সহমত পোষণ করছি। তবে আমি আপনি যেহেতু আর বেশীদিন নেই তাই আমি চাই বাংলাদেশ নিজ পায়ে আরো শাক্তিশালী হয়ে দাঁড়াক। বাংলাদেশ স্বাধীনতা অল্পতে পেয়ে গেছে বলে আমার ধারনা, তাদের আরো মূল্য আর সময় দেয়া প্রয়োজন ছিলো। যেভাবেই হোক, স্বাধীনতা অর্জনতো হলো এখন এই মাটির প্রতি ইঞ্চি রক্ষা করার দায়িত্ব পরবর্তী প্রজন্মের হাতে থাকছে। দেখা যাক তারা কিভাবে সেটা রক্ষা করে। ধন্যবাদ।

৮| ১০ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:২৬

ইমরান আশফাক বলেছেন: সংক্ষেপে বলছি, বিভিন্ন কারনে বাংলাদেশ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে অস্ত্রের মূল উৎস হিসাবে চীন ও রাশিয়া থেকে ক্রমান্বয়ে সরে এসে পাশ্চাত্যের কাছ থেকে অত্যাধুনিক অস্ত্র সংগ্রহ করার। পাশ্চত্যের ও আগ্রহ আছে এ ব্যাপারে। যেমন খুব সম্ভবত বাংলাদেশ ফ্রান্স থেকে ১৬টি রাফায়েল জংগী বিমান ২.৯ বিলিয়ন ডলারে (উইপন প্যাকেজসহ) কেনার জন্য চূক্তি করেছে বা করার পর্যায়ে আছে। নিজেদের দেশেই পাশ্চাত্যের অত্যাধূনিক প্রযুক্তির সহায়তায় অত্যাধুনিক মডেলের (এখনও চূড়ান্ত হয়নি) ৬টি ফ্রিগেট নির্মানের উদ্যোগ নিয়েছে। আরও অনেক কিছুই আছে এ সংক্রান্ত ব্যাপারে যদিও অন্যান্য অনেক দেশের মতই সাম্প্রতিক অর্থনীতি বিপর্যয়ের কারনে বাংলাদেশের অর্থনীতি ও একটা ঝাকুনি খেয়েছে। এইগুলি এই ওপেন ব্লগে আলোচনা না করে কোন মিলিটারি ব্লগ বা পেজে গেলে আরও নিখুতভাবে জানতে পারবেন।

তবে আপনার উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। আসলেই সবকিছু উম্মূক্ত প্লাগফর্মে আলোচনায় আসা উচিৎ।

১৫ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১:২৮

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: রাফায়েল কেনার কথা আমিও শুনেছি তবে আমার ব্যক্তিগত ধারনায় সে সম্ভাবনা খুবই কম বলে আমার মনে হয়েছে। বিশেষ করে পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে রাফায়েল থাকায় তা বাংলাদেশের জন্য কেনা বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক হবে না। তার চেয়েও বড় সমস্যা হলো ফ্রান্স ওদের রাফায়েলে আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য মিসাইল নিজের দেশেরই তৈরী আর এগুলোর কমব্যাট হিস্টোরি তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু নয়। মনে রাখা প্রয়োজন যে, বাংলাদেশের আকাশসীমা ও সমুদ্রসীমা খুব বড় নয়, রাফায়েলের কমব্যাট রেঞ্জ খুব সম্ভবত এক হাজার নটিক্যাল মাইল। এগুলোর ভারতের মতো বিশাল দেশ তথা তাদের সমুদ্রসীমার আয়তনের জন্য প্রযোজ্য হলেও বাংলাদেশের জন্য অপ্রয়োজনীয়। সেদিক থেকে এক ইঞ্জিন বিশিষ্ট এফ-১৬ বা দুটো ইঞ্জিন বিশিষ্ট এ-১৮ হরনেট বা সম্ভব হলে সুপার হরনেট কেনা বুদ্ধিমানের কাজ হবে বলে আমার ধারনা। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো রাফায়েলের দাম তুলনামূলকভাবে এফ-১৬/১৮ এর চেয়ে অনেক বেশী। দেশে ফ্রিগেট বানানোর বিষয়টি আমার নজরে এসেছে বেশ আগেই। কোন দেশ সহায়তা করছে সেটা জানা এবং কাজ শেষ না হওয়ার আগ পর্যন্ত আমি এ ব্যাপারে খুব বেশী আশাবাদী নই।

দেশের নাগরিকদের বিষয়গুলো জানা বা বোঝা জরুরী, সরকার কি করছে বা কোনটা দেশের জন্য ভালো বা মন্দ সেটা নির্ণয় করার পূর্ণ অধিকার জনগণের রয়েছে। ধন্যবাদ।

৯| ১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আম-জনতার অজানা এসব বিষয়ে আপনার আগ্রহ এবং ব্যক্তিগত গবেষণাকে স্বাগত জানাচ্ছি।
সবচেয়ে আসল শক্তি হচ্ছে দেশের জনগণ, এটা ৭১ এ প্রমাণিত হয়েছে। আর জনগণের ঐক্যবদ্ধ শক্তি বলীয়ান হয় সুশাসন এবং গণতান্ত্রিক ভিত্তির উপর দৃঢ়্ভাবে দাঁড়ানো সরকার নির্বাচনের পদ্ধতির উপর। কোন রকমের জবাবদিহিতার ব্যবস্থা না থাকলে সরকারী কোষাগার খালি হয়ে যাবে, ব্যাঙ্ক লোপাট হয়ে যাবে, মুদ্রাস্ফীতি জনগণের টুঁটি চিপে ধরবে।

১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:২০

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আধুনিক পৃথিবীতে স্বাধীনতা অর্জনের চেয়েও রক্ষা করাটা আরো বেশী জরুরী হয়ে গেছে, সেটা অভ্যন্তরীণভাবে হোক কিংবা আর্ন্তজাতিকভাবে। অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার সাথে সাথে আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়েও আমাদের ভাবতে হবে। ১৭+ কোটি মানুষের জীবন যেখানে জড়িত, সেই ভূমিকে বহিঃশত্রু থেকে রক্ষা করার দায়িত্ব জনগণের ও সরকারের। ভারত নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন না হলেও বার্মার সাথে বাংলাদেশের একটা সংঘর্ষ অনিবার্য, সেটা আজ হোক কিংবা কাল। আমি আক্রমনাত্মক নয় বরং আত্মরক্ষামূলক নীতির দৃষ্টিকোণ থেকেই বাংলাদেশের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির পক্ষপাতি।

আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ জানবেন স্যার।

১০| ১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:৪৭

রানার ব্লগ বলেছেন: যারা বলে সামরিক শক্তির দরকার নাই তারা আসলে কি বুঝে বলে কে জানে? আজ যদি বাংলাদেশ পারমানবিক শক্তিধর দেশ হয়ে যায় বিশ্বের কতো বড় বড় দেশ যে বাংলাদেশ নিয়ে চিন্তাধারা পরিবর্তন করবে এটা তারা জানে? সামরিক শক্তি শক্ত না হলে যতই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আসুক লাভ হবে না । দেশ সব সময় হুমকির মুখে থাকবে। বার্মা যদি দেশের পার্বত্য অঞ্চলে এক থাপ্পর মারে ওই দিক থেকে পার্বত্য অঞ্চল আলাদা হয়ে যাবে তখন কি এরা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বিস্কুট গলায় ঝুলিয়ে পার্বত্য অঞ্চল ফেরত আনবে? না কি সামরিক শক্তি প্রয়গ করবে?

১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:২১

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আপনার মন্তব্যের সাথে সহমত পোষণ করছি। আঞ্চলিক অখণ্ডতা ধরে রাখতে বাংলাদেশের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.