নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাধারণ একজন মানুষ। বলার মতো বিশেষ কিছু নেই। মনের ভাবনাগুলো তুলে ধরতে চাই। ভালো লাগে কবিতা, লিখা-লিখি আর ছবি তোলা, এইতো! https://prokashoni.net

ইফতেখার ভূইয়া

গণতন্ত্র মুক্তি পাক, পরিবারতন্ত্র নিপাত যাক

ইফতেখার ভূইয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

দশটি এয়ারবাস - এ৩৫০ বিমান ক্রয়ের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৫৬


ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশের সফরকালে দেশটির এয়ারবাস কোম্পানী থেকে বাংলাদেশ দশটি এ৩৫০ বাণিজ্যিক বিমান ক্রয় করার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে এবং ভুল জেনে না থাকলে এ ব্যাপারে সমঝোতার চুক্তিও করা হয়েছে। সরকারের এ সিদ্ধান্তকে আমি ব্যক্তিগতভাবে স্বাগত জানাই। প্রশাসনের কোন ব্যক্তি না হয়েও আমি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে বুঝতে পারি এ সিদ্ধান্ত কেন নেয়া হয়েছে। এটি দেশের জন্য খুবই একটা ইতিবাচক সিদ্ধান্ত। বিশেষ করে, বাংলাদেশ বিমানের আধুনিকায়ন, সক্ষমতা ও সেবার পরিধি বাড়াতে এ সিদ্ধান্ত অত্যন্ত যুগোপযোগী বলে আমি মনে করি।

বিমানটির ব্যাপারে আমি জেনেছি আরো অনেক আগেই। যদিও ভাবিনি বাংলাদেশ বোয়িং বিমানের বহরে এয়ারবাস যোগ করবে। বিমানটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ও জ্বালানী ব্যবহারে বেশ মিতব্যয়ী। বিভিন্ন ক্যারিয়ারে তাদের ট্র্যাক রেকর্ডও বেশ ভালো।

খুব শীঘ্রই হজরত শাহ জালাল বিমান বন্দরে তৃতীয় টার্মিনালের কাজ শেষ হবে। সে উপলক্ষ্য সামনে রেখে বাংলাদেশ বিমানের এই নতুন সংযোজন অবশ্যই বাংলাদেশের ফ্ল্যাগ ক্যারিয়ারকে আরো বেশী দেশে যাত্রীসেবা দেয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সেই সাথে খুব সম্ভবত এর মাধ্যমেই বাংলাদেশ উত্তর আমেরিকায়ও তাদের ফ্লাইট পরিচালনা করার সক্ষমতা অর্জন করবে। অতীতে আমেরিকার এফ.এ.এ. বাংলাদেশ বিমানকে আরো আধুনিকায়ন (নতুন উড়োজাহাজ কেনা) ও সেবার মান বাড়াতে বলেছিলো। মাঝে বাংলাদেশ বোয়িং কোম্পানী থেকে বেশ ক'টি বিমান ক্রয় করলেও নানা কারণে বাংলাদেশকে ঢাকা থেকে ফ্লাইট পরিচালনা করার অনুমতি দেয় নি। নতুন টার্মিনাল চালু হলে আর নতুন উড়োজাহাজ সংযোজিত হলে সে সম্ভাবনা দ্বারও উন্মোচিত হবে বলে আমার ধারনা।

এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, এ৩৫০ মূলত দীর্ঘ দূরত্বে পরিচালনা করার মতো উড়োজাহাজ যা দিয়ে খুব সহজেই ঢাকা থেকে সরাসরি ইউরোপের বিভিন্ন গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করা সম্ভব হবে। সেই সাথে ইউরোপে বিরতি দিয়ে (ট্রানজিট) ঢাকা থেকে উত্তর আমেরিকায়ও ফ্লাইট পরিচালনা করা সম্ভব হবে। সরকারের কাছে বিশেষ অনুরোধ থাকবে এই নতুন বিমানগুলো যাতে হজ্বের জন্য বিশেষ ফ্লাইট ছাড়া স্বাভাবিকভাবে মধ্য-প্রাচ্যের রুটে পরিচালনা না করা হয়। প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো, বর্তমানে সিঙ্গাপুর এয়ার লাইনস এ৩৫০-৯০০ মডেলের ৬৩ টি বিমান ব্যবহার করছে এবং সংখ্যার দিক থেকে তারাই এর সবচেয়ে বড় অপারেটর।

বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ মূলত বোয়িং কোম্পানীর বেশ কিছু উড়োজাহাজ ব্যবহার করছে। দীর্ঘদিন বোয়িং ব্যবহারের কারনে বাংলাদেশের পাইলটগণ বোয়িং-এ যথেষ্ট দক্ষ হলেও এয়ারবাস বিমান চালনার অভিজ্ঞতার কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। আশা করছি এ ব্যাপারে পাইলটদের বিশেষ ট্রেনিং এর ব্যবস্থাও ফ্রান্স করবে। হ্যাঙ্গারে দুটো বিমান সংঘর্ষের ঘটনা বাংলাদেশ ছাড়া আর কোথাও ঘটে বা সম্প্রতিক সময়ে ঘটেছে বলে আমার জানা নেই। দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগের পাশাপাশি গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং এর সময় আবাঙ্গালরা যেন আরো সাবধানতা অবলম্বন করে সে ব্যাপারটিও নিশ্চিত করতে হবে। অবহেলায় দেশের সম্পদ নষ্ট করলে সাজার ব্যবস্থা করা উচিত।

বাংলাদেশ আরো একটি স্যাটেলাইট কিনতে যাচ্ছে। এটা পজিটিভ হলেও এ ব্যাপারে আমি পরিষ্কার ধারনা পাই নি। আশা করছি সরকার পুরো বিষয়টি জনগণের কাছে আরো খোলাসা করে বিষয়টি উপস্থাপন করবে। প্রথম স্যাটেলাইটি দিয়ে সরকার তার কার্যক্ষমতার কতটুকু ব্যবহার করছে এ ব্যাপারে কারো পরিষ্কার ধারনা আছে বলে আমার মনে হয় না। সেটা জনগণের কাছে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করলে দ্বিতীয় স্যাটেলাইটি ক্রয় কতটুকু যুক্তি সঙ্গত তা বোঝা যেত। যতদিন এ বিষয়টি পরিষ্কার না হচ্ছে ততদিন এ নিয়ে আগ বাড়িয়ে কিছু বলাটা আপাতত সমীচীন বলে মনে হচ্ছে না। গুডলাক বাংলাদেশ।

ছবি কপিরাইটঃ এয়ারবাস।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৩১

শাহ আজিজ বলেছেন: এব্যাপারে আমিও অকুণ্ঠ সমর্থন দেই ।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৫৩

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আসলে অসমর্থন করার মতো বিষয়ও এখানে আছে তবে সার্বিক অর্থে দেশের ভালো হবে এমন সব বিষয়ে আমি পূর্ণ সমর্থন দেবো, সেটা যে-ই করুক না কেন। বাংলাদেশ এয়ারবাস না কিনে বোয়িং বিমান ক্রয় করলে কিছুটা বেশী ভালো হতো। যেহেতু ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ আরো বোয়িং বিমান ব্যবহার করছে, সেদিক থেকে প্রশিক্ষণ ও মেইনটেন্যান্স এর বিষয়গুলো চিন্তা করলে এয়ারবাস কেনা কিছুটা অতিরিক্ত খরচের কারণ হতে পারে। তবে এটাও সত্যি বেশীরভাগ এয়ারলাইনস-ই এই দু' কোম্পানীর উড়োজাহাজ একসাথেই ব্যবহার করে। তবে দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশ যদি কেবল এয়ারবাস উড়োজাহাজ ব্যবহার করতে চায়, সেদিক থেকে সিদ্ধান্ত মোটামুটি ঠিক আছে।

২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:২৬

মীর আলী বলেছেন: ইহা শেখ হাসিনা (!বাংলাদেশ) ও ম্যাঁখোর মধ্যকার রাজনৈতিক বাণিজ্য।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৫৩

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ধ্রুব সত্য।

৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:২৭

সোনাগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশ বিমান কি লাভজনক, নাকি লস ব্যবসা?

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৫৫

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আপাতত কিছুটা লাভজনক আছে, তবে আমার ধারনা সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা থাকলে প্রফিট আরো ম্যাক্সিমাইজ করা সম্ভব হবে। চুরি আর দুর্নীতি রোধে কিছু ব্যবস্থা নেয়ার প্রয়োজন পড়বে সামনে।

৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৪৩

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: দুটি স্যাটেলাইট বাংলাদেশে সংযোজিত হবে এবং প্রযুক্তিও হস্তান্তর হবে এটা একটা ভালো দিক।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৫৭

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: স্যাটেলাইটের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে না পারলে লোকসানে পড়বে। সরকার প্রথম স্যাটেলাইট ইস্যুতে খোলাখুলি তেমন কিছু বলেনি বা পত্রিকায়ও কিছু দেখি নি, তাই কিছু চিন্তা থেকেই যাচ্ছে। ধন্যবাদ।

৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৫৮

রাসেল বলেছেন: প্রথম মন্তব্যের প্রতিউত্তর, ভাল এবং বাস্তব বিশ্লেষণ।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:০০

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্যেও ধন্যবাদ জানাই।

৬| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:০৩

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


ম্যাক্রো তুরাগে নৌকায় উঠে আমাদের এয়ারবাস দিয়ে গেলো।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:০৮

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: জ্বী না স্যার, দিয়ে যায় নি। এটা নিয়ে খুব বেশী আবেগী হওয়ার দরকার নেই, কিনে নিতে হবে।

৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এসেছেন। অনেক রাস্তায় ব্যানার পোষ্টারে লেখা দেখলাম স্বাগতম প্রেসিডেন্ট। ইত্যাদি অনেক কথা।

তৃতীয় টার্মিনাল দেখতে গিয়েছিলাম। অনেক বিশাল। দ্রুত কাজ চলছে। আগামী মাসেই হয়তো টার্মিনালের এক অংশ উদ্ববোধন করা হবে। পুরোপুরি কাজ শেষ হবে আগামী বছরের মাঝামাঝি।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫২

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: এ ধরনের পোস্টার অথবা ব্যানার টাঙানো এক ধরনের নোংরামি ও হীন মন-মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। রাস্তায় এসব না করে সরকার প্রয়োজনীয় সংখ্যক বড় নিয়ন বিজ্ঞাপনের স্ক্রীণগুলো কয়েক দিনের জন্য ভাড়া নিয়েও কাজটা করতে পারে। কোনটা রাষ্ট্রীয় প্রথায় সম্মান প্রদর্শন আর কোনটা চাটুকারিতা তা বোঝার জ্ঞান খুব বেশী বাংলাদেশীদের নেই। উন্নত দেশে এই ধরনের পোস্টার বা ব্যানার টাঙানো বে-আইনি।

তৃতীয় টার্মিনাল আমার বাড়ির খুব কাছে। ২০২১ সালে যখন বাংলাদেশে গিয়েছিলাম তখন দেখেছি বেশ কাজ চলছে। ইনশা-আল্লাহ আগামী বছরের যে কোন সময়ে আমি দেশে আসার ইচ্ছে রাখি। দেখা যাক। ধন্যবাদ।

৮| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৪৯

সামছুল কবির মিলাদ বলেছেন: ২০২২ সালে বাংলাদেশ বিমানের যাত্রীবাহী ফ্লাইটে এভারেজ ২৪ শতাংশ সিট ফাঁকা ছিলো, আর বাংলাদেশের কোন কার্গো বিমান নেই তাই যাত্রীবাহী ফ্লাইটের কার্গো হোল্ডে যেসব বাণিজ্যিক পন্য পরিবহন করে হয়। গত বছর ২৮ হাজার টনের কিছু বেশি মালামাল পরিবহন করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। যদিও এর পরিবহন সক্ষমতা ছিল ৪ দশমিক ৯৮ লাখ টনের বেশি।
যা সক্ষমতার মাত্র ৬ শতাংশ ব্যবহার করা গেছে।
বর্তমানে বাংলাদেশ বিমানের বহরে যাত্রীবাহী বিমান রয়েছে ২১ টি (১৬ টি বোয়িং, ৫ টি বম্বার্ডিয়ার ড্যাশ ৮)।
এর মধ্যে বাংলাদেশ বিমানের নিজস্ব বিমান রয়েছে ১০ টি বোয়িং, আর ৫ টি বম্বার্ডিয়ার ড্যাশ ৮।
চারটি (বোয়িং ৭৩৭-৮০০) বিমান ভাড়ায় চালিত। আর দুইটি (বোয়িং ৭৩৭-৮০০) ইজারা নেয়া।
তাহলে কোন যুক্তিতে দেশের এই দুর্বল রিজার্ভে নতুন করে ১০ টি এয়ারবাস কেনাকে আপনি সাপোর্ট করেন?
(প্রতিটি এয়ারক্রাফটের দাম ২০ কোটি মার্কিন ডলার)
ধন্যবাদ

১০ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:৪৪

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আপনি বেশ কিছু তথ্য দিয়েছেন কিন্তু কোন সূত্র উল্লেখ করেন নি। সূত্র ছাড়া আপনার দেয়া তথ্যগুলোর সত্যতা নিশ্চিত করা তথা যুক্তিসসঙ্গত আলোচনা করা বেশ কঠিন।

করোনা মহামারি সময়ে (২০১৯-২০২০) বিশ্বব্যাপাী আকাশ পরিবহণ ব্যবস্থায় ধ্বস এসেছে এবং বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম ছিলো না। আপনি ২০২২ সালে সিট ফাঁকা থাকার যে তথ্য উল্লেখ করেছেন, সেটা আর্ন্তজাতিক না অভ্যন্তরীণ রুটে সেটা উল্লেখ করেন নি। পুরো বিষয়টিই বেশ গোলমেলে। তবে এ অবস্থা শুধু বাংলাদেশ এয়ারলাইনের জন্যই প্রযোজ্য নয়।

ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট এসোসিয়েশনের (আই.এ.টি.এ) প্রদত্ত তথ্যানুযায়ী, করোনা পরবর্তী ২০২২ সালে বিশ্বের বিভিন্ন মহাদেশের এয়ারলাইনসগুলো ধীরে ধীরে অর্থনৈতিকভাবে (প্রতি কিলোমিটারে প্রত্যেক যাত্রী থেকে আয়) রিকভার করতে শুরু করেছে এবং করোনার আগের সময়ের কাছাকাছি ফিরে যেতে শুরু করেছে। সার্বিকভাবে সমগ্র বিশ্বের এয়ালাইনসগুলো করোনার সময়ের থেকে ২০২১ সালে ৪১.৭% ও ২০২২ সালে ৬৮.৫% বৃদ্ধি পেয়েছে। পুরো বিষয়টি যথেষ্ট ইতিবাচক হলেও মনে রাখা প্রয়োজন যে ২০২২ সালেও করোনার আগরে সময়ের তুলনায় ৩০% এর অধিক কম আয় হয়েছে। তবে এই হিসাব প্রত্যেক মহাদেশ ভেদে ভিন্নতা আছে। যেমন, উত্তর আমেরিকার (কানাডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো) এয়ালাইনসগুলো সবচেয়ে বেশী এবং দ্রুত রিকভার করছে। আর সবচেয়ে বেশী খারাপ অবস্থায় আছে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর এয়ারলাইনসগুলো। আরো গভীরে যেতে চাইলে ক্রেতার ক্রয় ক্ষমতা, দেশের আইন-কানুন, এয়ারলাইনস সংখ্যা ও তাদের বিমানের সংখ্যা এবং পাশাপাশি সার্বিক অর্থনৈতিক বিষয়গুলো জড়িত (সূত্র)। সব মিলিয়ে মোটা দাগে এয়ারলাইনস ব্যবসা এখনো কম-বেশী রিকভার করছে তবে ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ বেশীরভাগ এয়ারলাইনস রিকভার ছাড়িয়ে আগের মত ব্যবসা বা তার চেয়েও ভালো ব্যবসা করার সম্ভবনা রয়েছে, অন্তত আই.এ.টি.এ -র বর্তমান ডিরেক্টর জেনারেল উইলি ওয়ালশ তেমনটাই বলেছেন (সূত্র)।

কার্গো বিমানের আদৌ প্রয়োজন আছে কি না বা থাকলে কতটুকু সে ব্যাপারে পরিষ্কার কোন তথ্য আমি খুঁজে পাইনি তাই এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে পারছি না।

ভুল জেনে না থাকলে, বর্তমানে বাংলাদেশ বিমানের মালিকানাধীন নিজস্ব যাত্রীবাহী বিমানের সংখ্যা ১৮ টি ১০ টি নয় ( ২ টি ৭৮৭-৯, ৪ টি ৭৮৭-৮, ৪ টি ৭৭৭-৩০০, ৩ টি ৭৩৭-৮০০, ৫ টি বম্বার্ডিয়ার ড্যাশ ৮ )। উল্লেখ্য যে, বিমান মোট ৬ টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমান পরিচালনা করলেও ৩ টি লিজে নেয়া বাকি ৩টি সংস্থাটির নিজস্ব। খুব সম্ভবত আরো একটি ড্যাশ ৮ ক্রয় করা হবে যা মূল উদ্দেশ্য হবে দেশের অভ্যন্তরীন এবং কাছাকাছি দূরত্বের গন্তব্যে ড্যাশ ৮ বিমানগুলো ব্যবহার করা। বোয়িং ৭৩৭-৮০০ লিজে নেয়ার কারণ ছিলো ওগুলো দিয়ে অভ্যন্তরীন ও আর্ন্তজাতি ফ্লাইট পরিচালনা করা। নতুন ড্যাশ ৮ যোগ হওয়ার পর ধীরে ধীরে লিজে নিয়ে জাহাজগুলো ছেড়ে দেয়া হয়েছে, হচ্ছে এবং হবে। সমস্যা হলো বাংলাদেশ দীর্ঘদিন লিজ নিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করে লোকসান গুনেছে, নতুন বিমান আসাতে বেশ কিছু পুরোনো বিমান রিটায়ার করা হয়েছে। এর মাঝে "স্টপ-গ্যাপ" হিসেবে কিছু বিমান লিজে নেয়া হয়েছিলো যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি গন্তব্যগুলোর এয়াপোর্টের স্লট ধরে রাখার উদ্দেশ্যে।

নতুন এয়ারবাস কেনার বেশ কয়েকটি কারন রয়েছে। প্রথমত বাংলাদেশ এয়ারলাইনস তার আর্ন্তজাতিক রুটের সংখ্যা বাড়াতে ইচ্ছুক। দ্বিতয়ত, লিজে নেয়া বিমানের সংখ্যা কমিয়ে নিজস্ব বিমানের সংখ্যা বাড়ানো যাতে প্রফিট বাড়ানো যায়। উল্লেখ্য যে, বিমান কোম্পানী হিসেব আত্ম-প্রকাশ করার পর ২০১৮-২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো ২৭২ কোটি টাকার মুনাফা করেছে (সূত্র)। মাঝে করোনায় ক্ষতির মুখে পড়লেও ২০২২ সালে সংস্থাটি ৪৩৬ কোটি টাকা মুনাফা করেছে (সূত্র)।

ব্যক্তিগত অভিমত থেকেই বলছি, সার্বিক যাত্রী সেবার মান উন্নয়ন করতে পারলে বাংলাদেশ বিমান আরো অনেক বেশী মুনাফা করতে পারবে। আমি ব্যক্তিগতভাবেও বাংলাদেশে যাতায়াতের জন্য বিমান-কে-ই ব্যবহার করতে ইচ্ছুক যদি তারা সেবার মান ভালো করে। আমার বিশ্বাস, আমার মতো কোটি কোটি প্রবাসীরাও তাই-ই করবেন। সেই সাথে প্রতি বছরের বিশেষ হজ্জ্ব ফ্লাইটতো রয়েছেই। ঐ ব্যবসাটা সৌদি এয়ারলাইনস-কে না দিয়ে বিমানকে দিলেতো দেশের বিমান খাত-ই এগিয়ে যাবে। এখন আপনিই বলুন, নতুন বিমান কেন ক্রয় করা হবে না?

৯| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এর ঢাকা সফরের সময় থেকেই ভাবছিলাম, আপনি এ বিষয়টি নিয়ে লিখবেন। কারণ আপনার লেখা কয়েকটি পোস্ট থেকে আমি বুঝতে পেরেছি, এসব বিষয়ে আপনার প্রচুর আগ্রহ রয়েছে। যাক, আমার সে ভাবনাটা সত্যে পরিণত হলো।

পোস্টে এবং প্রতিমন্তব্যে এ বিষয়ে আপনার জ্ঞান এবং যৌক্তিক বিশ্লেষণে সক্ষমতার স্বাক্ষর মেলে, তবে ৮ নং মন্তব্যের উত্তরে আপনার বক্তব্য জানার অপেক্ষায় থাকলাম।

১০ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:৫৬

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানবেন স্যার। দেরীতে আপনার মন্তব্যের উত্তর দেয়ায় আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। মাঝে কিছুটা ব্যস্ত ছিলাম, ব্লগে সময় দিতে পারিনি। বিষয় হলো, প্রকৃত পক্ষে, সূত্র ছাড়া তথ্য দিয়ে মন্তব্য করলে আমি তার প্রতি উত্তর দেয়ার প্রয়োজন মনে করি না। আপনি লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন, এ ধরনের আলোচনায় আমার মন্তব্য বেশ বড় হয়। এর অন্যতম কারণ হলো, মনগড়া এবং গুগলে দুটো সার্চ দিয়ে যাচাই-বাছাই ছাড়া রেজাল্ট বের করে তা দিয়ে মন্তব্য করা আমার নীতি বিরুদ্ধ কাজ। চেষ্টা করি যে কোন বিষয় নিয়ে আগে বোঝার তারপর মন্তব্য করার। আপনার অনুরোধের প্রেক্ষিতে প্রায় ঘন্টা খানেকের উপর ঘাঁটাঘাঁটি করে বিভিন্ন তথ্য জোগাড় করে তবেই আমি উপরের উত্তরটি দিয়েছি। আশা করছি আপনি আপনার উত্তর খুঁজে পাবেন।

১০| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:১৯

ইমরান আশফাক বলেছেন: প্রতিটা A350-900 এয়ারক্রাফটের দাম কমপক্ষে ৩১ কোটি ডলার, ২০ কোটি নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.