নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গণতন্ত্র মুক্তি পাক, পরিবারতন্ত্র নিপাত যাক
প্রতিবারই দেশে বেড়াতে আসার সময় আমার বেশ উৎসাহ কাজ করে। কিন্তু বিমানবন্দরে ল্যান্ড করার পর থেকে দেশ থেকে রিটার্ন করার আগ পর্যন্ত অভিজ্ঞতা আমার কখনোই সুখকর হয় না। বলতে পারেন যতটা উৎসাহ নিয়ে আসা হয় তার চেয়ে বেশী তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরতে হয়। পুরো বিষয়টাই এতটা তিক্তকর অবস্থায় পৌঁছেছে যে আমি মোটামুটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে এবারের পর আগামী এক দশকেও আর দেশে আসবো না যদি না সিরিয়াসলি কোন জরুরী অবস্থার সৃষ্টি হয়।
এবার দেশে আসা হয়েছে বেশ কিছু কাজ হাতে নিয়ে, কাজগুলো গোছানোর চেষ্টা করছি। কিছু কাজ হচ্ছে আর কিছু হতে বেশ সময় লাগবে। ঠিক কবে নিউ ইয়র্ক ফেরত যাবো তার সঠিক তারিখ এখনো জানি না। যেহেতু সময় নিয়ে এসেছি তাই অফিসের কাজ নিয়েই আসতে হয়েছে। প্রতিদিন রাতে কাজে বসি আর ভোরে ফজরের নামাজ পড়ার পরেই বিছানায় যাচ্ছি। বিয়টা অস্বস্তিকর হলেও তেমন কোন অল্টারনেটিভও হাতে নেই। কাজের সুবাদেই ইন্টারনেট না হলে আমার কোনভাবেই চলে না। বাসায় প্রথমে স্থানীয় ব্রডব্যান্ড কোম্পানীর ইন্টারনেট কানেকশান নিয়েছি সেই সাথে গ্রামীনের ৪জি মোডেমটাও রেখেছি ব্যাকআপ হিসেবে। বিদ্যুৎ চলে গেলেও ব্যাকআপ হিসেবে ল্যাপটপ ও বেশ বড়সড় রিচার্জেবল ব্যাটারীও্ আনতে হয়েছে ল্যাপটপ চার্জ করার জন্য। ভয়ঙ্কর প্রিপারেশন আর মোটা অংকের অর্থ ব্যয় না করলে এখানে সে অর্থে কাজ করা কঠিন।
সপ্তাহ খানেক যেতে না যেতেই একদিন হঠাৎ করেই ইন্টারনেট নেই। ৪৮ ঘন্টার পরে ইন্টারনেট আসার পর বুঝলাম, একটা কানেকশানের উপর ভরসা করা কঠিন। আরো একটি ইন্টারনেট কানেকশান নেয়া হলো। দুটো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশান থাকার পরেও ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। দু্'দিন পরপরই, তার কাটা পড়েছে জাতীয় সমস্যা ফেইস করতে হয়েছে। মাঝে মাঝে খারাপ কানেকশানের কারনে রাউটারে কানেক্ট করা গেলেও ইন্টারনেটে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। অবস্থা এতটাই বেগতিক মনে হয়েছে যে আমি দুটো রাউটার বাসায় রেখেছি। মনে পড়ে করোনার সময় থেকে নিউ ইয়র্কে ভেরাইজনের একটা কানেকশান নিয়েছিলাম, প্রায় বছর তিনেক হতে চলেছে। কোনদিনও এক দু ঘন্টার বেশী সার্ভিস ডাউন হতে দেখিনি হলেও তা রাত ৩/৪টার পর হতো।
আমি বসুন্ধরার যে এরিয়াতে আছি সেখানকার প্রায় সবগুলো ব্লকেই বৈদ্যুতিক পিলারে কয়েক শ' ইন্টারনেট তার ঝুলে থাকে। রিকশা দিয়ে যাওয়ার সময় প্রায়ই রাস্তার উপর তার ছেঁড়া চোখে পড়ে। ভাবি বসুন্ধরাতেও যদি এই অবস্থা হয় তবে দেশ কিভাবে চলছে। এইভাবে জোড়া তালি দিয়ে আর কত যুগ চলবে? বিষয়গুলো নিয়ে কোন প্ল্যানিং চোখেও পড়ছে না।
এই দেশের মানুষগুলোর গায়ের চামড়া সম্ভবত পৃথিবীর বেশীরভাগ দেশের মানুষের তুলনায় অনেক মোটা। এখানে পানি নোংরা, পানের অযোগ্য। দেশে আসার পর থেকেই আমি ৫ লিটারের পানির বোতল কিনে খাচ্ছি পুরো পরিবারসহ। রাস্তা-ঘাটে অজস্র খাদা-খন্দ দিয়ে ভরা। এখানে সেখানে ময়লা-আর্বজনার স্তুপ। অব্যবহৃত প্লটগুলোতে এত ময়লা জমেছে যে প্রায় প্রতিদিনই এখানে মশক নিধনের ধোঁয়া দিতে হচ্ছে। তবুও মশার নিয়ন্ত্রন সম্ভব হয় না। আমি সৌভাগ্যবান যে আমার এ্যাপার্টমেন্টের সব জানালা এমনকি বারান্দাও নেট দিয়ে ঢাঁকা। আমার এ্যাপার্টমেন্টে মশা নেই বললেই চলে। তবে সন্ধ্যার পর, বিল্ডিং এর নিচতলায় দশ সেকেন্ড দাঁড়ানোর জোঁ নেই। মশা কর্তৃক নিহত হওয়ার সম্ভাবনা ৫০% বাকি ৫০% ভাগ্য বলতে হবে।
সরকারি কিছু কাজ করাতে হবে, অফিস থেকে বললো আবেদন করতে হবে অনলাইনে। কিন্তু সাইটই-তো ঠিকমতো কাজ করছে না। কিসের ডিজিটাল হলো দেশ? গত বছরের ট্যাক্স ফাইলিং এর কাগজ প্রিন্ট করানোর জন্য "লেটার" সাইজ কাগজ পেলাম না আশেপাশে কোথাও। যেতে হলো নীলক্ষেত। সেখানেও ঐ সাইজের কাগজ নেই, বড় সাইজের কাগজ কেটেকুটে লেটার সাইজ করে প্রিন্ট করাতে হলো। আর প্রিন্টারও মাশাল্লাহ। প্রফেশনালি কাগজ প্রিন্ট করে পেট চালানো লোকজনও যদি এই কাজ করে, তবে এদের ভালো বা উন্নত জীবন যাপন করারও কোন অধিকার থাকা উচিত বলে আমার মনে হয় না।
এই দেশটায় সঠিকভাবে কি হয় আমার জানা নেই। চারিদিকে অসংখ্য মাথা, তবুও এদের নিয়ে কারো কোন মাথা ব্যাথা আছে বলে মনে হয় না। আর হ্যাঁ, এবার দেশে এসে বাটপার শ্রেনীর মানুষের দেখা পেয়েছি বেশ। পাসপোর্ট অফিসে গিয়েছিলাম আমার ছেলের পাসপোর্টে "এন.ভি.আর" ভিসা নেয়ার জন্য। সি.এন.জি. থামতে না থাকতেই বাবার বয়সী দালাল টাইপের লোক এসে কথা বলা শুরু করে দিলো। ভাঁড়া চুঁকিয়ে একচোট তিরস্কার করতে হলো বিরক্ত করার জন্য। অবশেষে একজন পুলিশের কর্মকর্তা এসে আমাকে রক্ষা করলেন। পুলিশের ভদ্রলোকের সাথে কথা বলছি আরেক মহিলা এসে হাজির, "স্যার, কি কাজ করবেন?" আমি বললাম "আপনার কি কাজ করে দিতে হবে বলেন. করে দিচ্ছি"।
মোবাইল দিয়ে ফেইসবুক আর ইউটিউব দেখলেই সেটাকে ডিজিটাল বাংলাদেশ দাবী করা অনুচিত। সেটাই যদি বাস্তবতা হয় তবে গোল্লায় যাক সব। বাই দ্যা ওয়ে ডেসকোর এ্যাপ দিয়ে মোবাইলে বিল পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি কারন এ্যাপ কাজ করছে না। সকালে কোথাও গিয়ে দিয়ে আসতে হবে আবারও! যত্তসব ফাইজলামি আর কি!
ছবি কপিরাইট: আমার তোলা
১০ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:৫৯
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: যিনি ডিজিটাল ডিজিটাল বলে দুনিয়া কাঁপাচ্ছেন দায়িত্বটা কি তার নয়? মাথায় কিছু থাকলে এতদিনে এই সমস্যার সমাধান করতে পারার কথা, না পারলে ধরে নিতে হবে সে এই কাজের অযোগ্য। দেশের কোন কিছু্ই যে ভালো লাগে না, সেটা কিন্তু কোথাও লিখা নেই।
দেশের থেকে কোন সুবিধা না নিয়েও প্রায় দুই যুগ ধরে রেমিটেন্স পাঠাচ্ছি। যে পরিমাণ অর্থ রেমিটেন্স হিসেবে পাঠিয়েছি তা আপনাদের প্রশাসনের কোন সৎ ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় আয় করে দেশকে কর হিসেবে এক জীবনেও দিতে পারার কথা নয় কারন আপনাদের প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতির সরকারি বেতন কত তাও আমি জানি।
ভূমিকা রাখার কথা বলছেন, নিজের খেয়ে-পড়ে বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সচিব পর্যায়ের একজনকে ফোন করে তাদের প্রযুক্তিগত সমস্যার সমাধান করে দিতে চেয়েছি বিনা পারিশ্রমিকে। তিনি যোগাযোগ করার আশ্বাস দিয়েও সেটা করেন নি। ফ্রি-তে এর চেয়ে খুব বেশী ভূমিকা রাখা বা কাজ করা সম্ভব নয়। এই দেশে মেধার মূল্যায়ন কখনোই হয় নি। ধন্যবাদ।
২| ১০ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:৫১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আমার এক বাল্য বন্ধু থাকে টেক্সাসে।
তার সাথে কথা বললে সেও আপনার মত এরকম নানান তথ্য-উপাত্ত হাজির করে।
আমি তাকেও বলিঃ আমি এসব জানি কারন আমি তো এ দেশেই থাকি। কিন্তু এর থেকে উত্তরণের উপায় কী ? সেটা যারা বিদেশে ভালো দেশে থাকে তারা একটা উপায় বের করুক ।
এই গল্প কাহিনী আমাদের শুনি এত লাভ নেই।
আমরা তো এর ভুক্তভোগী । আমরা তো প্রতিদিনই ভুগছি, ভুগবো কেয়ামত পর্যন্ত। ভুগবো ই তো।
আমাদের তো পরিত্রাণ নাই ।
আপনারা তো বিদেশে ভালো আশ্রয় পেয়ে বেঁচে গেছেন ।
আমাদের বাঁচার ব্যবস্থা করুন না। দয়া করে আপনারা যারা বিদেশে আছেন তারা একটা কিছু করুন।
১১ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:০৯
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আপনার বাল্য বন্ধুও সম্ভবত আমার মতোই দেশের সমস্যা নিয়ে বিরক্ত। আমরা অত্যন্ত ছোট মানুষ, প্রবাসে আমাদের চেয়েও অনে জ্ঞাণী বাংলাদেশী লোকজন রয়েছে যারা দেশের জন্য কম-বেশী করতে চান। কিন্তু প্রশাসন কখনোই তাদেরকে দেশের উন্নয়নে সেভাবে যুক্ত করার কোন উদ্যোগ নিয়েছে বলে আমার জানা নেই। প্রশাসনের উচিত এই ধরনের বিজ্ঞ ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ করে তাদেরকে দেশের উন্নয়নে সম্পৃক্ত করা। তা না হলে এ দেশ বরাবরই বিশ্বের তুলনায় অর্ধ শতাব্দী পেছনেই পড়ে থাকবে। ধন্যবাদ।
৩| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৪০
বিষাদ সময় বলেছেন: জনাব ইফতখার ভুইয়া আপনি যে তিক্ত অভজ্ঞিতার কথা বললনে সেগুলো মিথ্যে নয়, তবে অতিরঞ্জিত এবং মুদ্রার একপিঠ মাত্র। তৃতীয় একটা দেশের সাথে যদি বিশ্বের প্রথম সারিরর একটি দেশের তুলনা করেন তবে এ রকম মনে হবেই।
আমি এ দেশেই বাস করি। নিয়মিত নেট ব্যাবহার করি অন্ততঃ বার বছর ধরে, বিদুৎ গ্যাসের প্রিপেইড কার্ড রিচির্জ করি দু বছর ধরে। দশ বছরে নেটহীন ছিলাম মনে হয় ১০--১২ দিন আর কার্ড রিচার্জ করতে সমস্যা হয়েছে ২/৩ বার।
দেশে অনেক ত্রুটি, বিচ্যুতি, সমস্যা, দূর্নীতি, অরাজকতা আছে এটা ঠিক। তারপরও ব্যাংকের লাইনে না দাড়িয়ে গ্যাসের, বিদুৎতের বিল দিতে পারছেন, বহু সেবা পাচ্ছেন অনলাইনে সেটাও তো একটা ইতিবাচক দিক।
সবচেয়ে দুঃথজনক হলো আপনার মতো একজন হাইলি কোয়ালিফাইড ব্যক্তির কাছে থেকে দেশের গঠনমূলক সমালোচনা না পেয়ে শুধু মাত্র তিক্ত অভিজ্ঞতার নির্জাসটুকুর স্বাদ আস্বাদন করা। ধন্যবাদ।
১১ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১:১৮
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ঠিক কোন বিষয়টি "অতিরঞ্জিত এবং মুদ্রার একপিঠ" বলে মনে হলো সেটা খুলে বললে ভালো হতো। তুলনার বিষয় তখনই আসে যখন কোন কিছু দাবী করা হয় এটাই কি পৃথিবীর নিয়ম নয়? তুলনা কি সাব-স্ট্যান্ডার্ডে করা হয়? তুলনা যদি করতেই হয় তবে আপনি সর্বোচ্চ ভালোর সাথে তুলনা করলে স্বীয় অবস্থান সম্পর্কে ধারনা পাবেন।
সময়ের সাথে সাথে মানুষের জীবনযাত্রার মান, সেবার মান, পারিপার্শ্বিক পরিবেশ উন্নত হওয়ারই কথা, এজন্যই প্রশাসন আছে আর মানুষ আয়কর দেয়। কোন কিছুইতো আর ফ্রী নয়। প্রশ্ন হলো আপনি দশ টাকা খরচ করে যদি দু'টাকার উন্নয়ন দেখান সেখানে প্রশ্ন আসবেই। বাংলাদেশে আমি ইন্টারনেট ব্যবহার শুরু করি খুব সম্ভবত ১৯৯৯ কিংবা ২০০০ সাল থেকে। দু'দশকে দেশ খুব বেশী এগিয়েছে বলে আমার মনে হয় না। উদাহরণ দিচ্ছি, একটি বেসরকারি ইন্টারনেট সেবাদানকারী কোম্পানী ৮৫০ টাকায় আমাকে ১০ এম.বি.পি.এস. এর কানেকশান দিয়েছে। অন্যদিকে নিউ ইয়র্কে ৩০০/৩০০ (আপ/ডাউন) এম.বি.পি.এস কানেকশানের জন্য আমি মাসে প্রায় ৪৫০০ টাকা বিল দিচ্ছি। সে দিক থেকে বাংলাদেশে সমগতির ইন্টারনেটের জন্য বাংলাদেশে প্রায় ভ্যাটসহ ২৬ হাজার টাকার মত পে করতে হবে। এটা একটা রাফ হিসেব। আপনি বুঝতে পারছেন যে বাংলাদেশে আপনি অতিরিক্ত পে করেও ভালো সেবা পাচ্ছেন না?! তাহলে প্রশ্ন হলো উন্নয়নটা হলো কোথায়? আপনি যে "সেবা" নিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলছেন তা সত্যিই দুঃখজনক। খুব সম্ভবত এ কারনেই আপনাদের থেকে চাপ আসে না মান উন্নয়নের জন্য।
আমি কোয়ালিফাইড কি না জানি না তবে আমি অতি মাত্রার অপিমিস্টিক টাইপ লোক নই। কেউ আমার কাছে আজ দুধের দাম রেখে, আগামীকাল দুখ খাওয়াবে আশা দিয়ে আজ ঘোল খাওয়ালে সেটা মেনে নেয়া আমার জন্য কঠিন। মনে রাখবেন জবাবদিহিতা না থাকলে আর উন্নয়নের সর্বোচ্চ ক্ষুধা না থাকলে সে জাতি কোনদিও প্রকৃত সাফল্য অর্জনের স্বাদ আস্বাদন করতে পারেনি। যারা "টিকে আছে" ভাবছেন তারা আসলে দাস হয়ে বেঁচে আছে, এর চেয়ে বেশী কিছু নয়। সারাজীবন তৃতীয় বিশ্বের নাগরিক হয়ে আপনি তৃপ্তির ঢেকুর তুললেও আমি সেটা করতে অপারগ। বাংলাদেশ ক্যান, স্যুড এন্ড মাস্ট ডু বেটার দ্যান দিস। ধন্যবাদ।
৪| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৩:৩৫
বিষন্ন পথিক বলেছেন: সমস্যা হলে প্রোভাইডার বদলান, বসুন্ধরা কি বাংলাদেশের সবচেয়ে এলিট এলাকা, যেভাবে বললেন! আমার বাসা ঢাকার অতটা "এলিট" এলাকায় না কিস্তু দুই বছরের নিম্নমানের ইথারনেট ক্যাবল দিয়ে দিব্বি চলছে, আমি দেখেছি কিভাবে তিনশ চারশো মাইটার কেবল টেনেছে তারা, এতো নেটওয়ার্ক জ্ঞানী মানুষ, বাংলাদেশ এর হাই স্পিড ভোক্তা কিভাবে পাবে সেই তরিকা বলেন, আপনি চলেন অপটিক্যাল ফাইবারে newyork এ , হয়ত আপনার বাসা থেকে ৫০ মিটার কপার wire, বাংলাদেশে এতো নিম্ন মানের কপার ওয়্যার দিয়ে হাই স্পিড দেয়া সম্ভব না. আর রেমিটেন্স পাঠান সরকারী একাউন্ট এ না, আপনার আত্মীয় স্বজন কে, আত্মীয় না হলেও নিজের ব্যাঙ্ক একাউন্ট এ যাতে হাই ইন্টারেস্ট পাবেন। তার আগে দেশের মিনিমাম ইনকাম যারা করেন তাদের কে ট্যাক্স এর আওতায় আনেন আমেরিকার মতো , খালি তুলনা গল্প দিয়ে লাভ নাই. আপনি তো কম্পিউটার হার্ডওয়্যার নিয়ে বিশাল ব্লগ লেখেন, কিভাবে হাই স্পিড ইন্টারনেট প্রত্যন্ত এলাকায় দেয়া যায় সেই বিষয়ে একটা লিখেন, আমরাও আপনার বিশেষজ্ঞ মতামত নেই.
১১ ই মার্চ, ২০২৪ ভোর ৪:৫৪
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আপনার মন্তব্যের উত্তরগুলো পয়েন্ট আকারে দিচ্ছি বোঝার সুবিধার্থে।
১) আপনি বসুন্ধরার আবাসিক এলাকা কতটুকু চেনেন বা জানেন সেটা পরিষ্কার নয় তাই ব্যখ্যা করতে হচ্ছে। ঢাকা শহরে যতগুলো আবাসিক এলাকা আছে তাদের মধ্যে খুব সম্ভবত বসুন্ধরা অনেক বেশী প্ল্যান্ড। গুলশান কিংবা ধানমন্ডির মত এলাকার তুলনায় এখানে অবকাঠামোগত নাগরিক সুবিধা অনেকটাই ভালো বলে আমার মনে হয়েছে। এখানকার বেশীরভাগ বাড়িগুলোই বিভিন্ন ব্লকের অর্ন্তগত তাই ইন্টারনেট সুবিধার জন্য পর্যাপ্ত অবকাঠামোগত সুবিধা থাকলেও মাথামোটা লোকজন সেটাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারছে বলে আমার মনে হয় না। আপনি "এলিট" এলাকা বলছেন মূলত কটাক্ষমূলক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে।
২) আপনি যে ধরনের ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন (ইথারনেট) এগুলো সভ্য দেশের কোথাও হয় না বা চলে না। আপনি এখনো ৯০ এর দশকে আছেন। এগুলোকে ডেডিকেটেড ইন্টারনেট কানেশন বলে না, রাদার শেয়ারড কানেকশান। বিষয়গুলো বোঝার জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি আপনার উন্নত দেশে ভ্রমণ বা দীর্ঘ সময় অবস্থান করতে হবে সম্ভব হলে। অপটিক্যাল ফাইবার বাংলাদেশেও এখন ব্যবহার হচ্ছে তবে তাদের কেবলের মান ও কানেকশান ডিস্ট্রিবিউশনে সমস্যা আছে। আমার বাসায় সে প্রোভাইডার কানেকশান দিয়েছে তারা বাংলাদেশে উৎপাদিত একটি ব্র্যান্ডের কেবল ব্যবহার করছে।
৩) রেমিটেন্স এর কারনে সরকার ফরেন কারেন্সি বা মুদ্রা পেয়ে থাকে যা সরকার আপনাদের জন্য বিদেশী সেবা বা পণ্য ক্রয়ের জন্য খরচ করে থাকে। প্রবাসীদের পাঠানো টাকা বাংলাদেশের জন্য আয় সেটা যেই একাউন্টেই জমা হোক না কেন। বিষয়গুলো আপনার জানা উচিত। বাই দ্যা ওয়ে, আমি কোন ধরনের ইন্টারেস্ট আয় করি না। আইন অনুযায়ী আমাকে আমেরিকায় সেভিংস একাউন্টে সুদ দেয়া হচ্ছিলো জেনে সেটা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। সুদ যেটা জমা হয়েছিলো তা গরীবদের দান করে দিয়েছি। যাইহোক, আপনারা যে এখন ফরেন রিজার্ভ ও ডলার নিয়ে কান্নাকাটি করছেন তার বিরাট একটা অংশ এই রেমিটেন্স থেকেই আসে। পকেটে ডলার থাকলে আপনারা রমজানে "বরই" না খেয়ে খেজুর খেতে পারতেন কিংবা টাকার মূল্যমান আরো ভালো থাকতে পারতো। সেটা সম্ভব হয় নি কারন, আপনারা অযাচিত খরচ বাড়িয়ে ডলার শেষ করেছেন। আর কথাগুলো এসেছে মূলত আমার দেশের ব্যাপারে "ভূমিকা রাখার" আলোচনা থেকে।
৪) সবাইকে ট্যাক্সের আওতায় আনা আপনাদের ও আপনাদের প্রশাসনের ব্যাপার, সেটা আমার মাথা ব্যাথা নয়। "তুলনা গল্প" দিতে হয় আয়নায় নিজের চেহারাটা দেখার বা দেখানোর জন্য।
৫) প্রত্যন্ত এলাকায় হাই স্পিড কিভাবে দেয়া যায় সেটা নির্ধারণ করবেন আপনারা আর আপনাদের প্রশাসন। আমি এ ব্যাপারে কোন বিশেষজ্ঞ নই। তবে অভিজ্ঞতার আলোকে মতামত দিতে পারি অবশ্যই। বাংলাদেশের বড় বড় ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিডিং-এর মাধ্যমে বিভিন্ন জেলায় বা বিভাগে সেবা (ইন্টারনেট, ল্যান্ডফোন, টিভি চ্যানেল) দেওয়ার জন্য সরকার দায়িত্ব দিতে পারে। এখান থেকে সরকার একটা সুর্নিদিষ্ট (ব্যবহারকারীর সংখ্যা হিসেবে) অংকের টাকা ব্যান্ডউইডথ ও অন্যান্য কাজের জন্য চার্জ করবে। সরকারের কাজ হবে প্রতিটি জেলায় উচ্চ গতির অপটিক্যাল ফাইবার টেনে দেয়া (ল্যান্ডিং পয়েন্ট)। সেটা হয়ে গেলে বড় বড় আই.এস.পি. গুলো নিজ দায়িত্বে (অথবা সরকার সমন্বয় করে দিতে পারে) বিদ্যুৎ বিভাগের কাছ থেকে বিদ্যুতের খুঁটি ব্যবহারের জন্য লিজ নেবে। এগুলো ব্যবহার করে আই.এস.পি. কোম্পানী নিজস্ব হাই স্পিড ইন্টারনেট কেবল টেনে নেবে। আর প্রতিটি বাসা বাড়িতে কানেকশান যাবে মূলত এক একটি খুঁটি থেকে (অনেকটাই বিদ্যুতের মত)। এভাবে হলে একই এলাকায় দশজন ছোট ছোট ইন্টারনেট প্রোভাইডার হাজার হাজার তার খুঁটিতে ঝুলিয়ে রাখতে পারবে না (মূল উদ্দেশ্য এটাই)। এ জন্য প্রয়োজনে আইন হতে পারে যাতে যদু-মধু ইথারনেট দিয়ে আপনাদের কাছে শেয়ারড ইথারনেট ইন্টারনেট বিক্রি করতে না করতে পারে। অবস্থাভেদে কিছু পরিবর্তন ও পরিবর্ধন আসতে পারে।
আশা করছি বুঝতে পেরেছেন। ধন্যবাদ।
৫| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৭:২৫
বিষন্ন পথিক বলেছেন: যথাযথ উত্তর বা গুছিয়ে বলতে পারিনা, সেজন্য ব্লগ লিখতে ভয় হয়, তারপর আপনার কিছু উত্তর দেবার প্রয়োজন মনে করছি। আপনি যেভাবে শুরু করেছেন তাতে বসুন্ধরা নাই মানে কোথাও থাকতে পারেনা, বসুন্ধরাকে আপনি স্ট্যান্ডার্ড ধরেছেন। আপনি যেভাবে "আপনাদের দেশ" বলছেন সেটা ইমিগ্রান্টদের সেকেন্ড জেনারেশন যারা বিদেশে জন্ম এবং বড় হয়েছে তারাও শুনলে লজ্জা পাবে। নাকি আপনি দেশ থেকেই মার্কিন পাসপোর্ট পেয়েছেন?
দেশের সমস্যা সবাই কমবেশি জানি, কিন্তু রেমিটেন্স নিয়ে আমরা যেভাবে বলি যেন গরীব কোনো দেশকে চ্যারিটি করছি, রেমিটেন্স দুই জনেরই লাভ সেটা নিয়ে অহংকার করার কিছু নাই. যেভাবে নেটওয়ার্কিং এর বর্ণনা দিলেন অনেক কিছু জানলাম এবং শিখলাম, ধন্যবাদ আপনাকে। ব্লগে অনেক প্রবাসী আছেন, অনেক শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন, আপনি তাদেরই একজন, কিন্তু আপনার অহমিকা অন্য লেভেলের, হয়ত আপনি নিজেই ৯০ দশকের মানসিকতায় পড়ে আছেন। আপনার উপদেশ মনে রাখবো, উন্নত দেশে ঘুরতে হবে এবং পড়াশোনা করতে হবে. তবে আমি যেসব দেশে থেকেছি, থাকছি আর কাজ করেছি (আপনার নীল পাসপোর্টের দেশ সহ ) সেটা আপনার কাছে বলার প্রয়োজন দেখছিনা, কম্পিউটার হার্ডওয়ারের যে বর্ণনা ব্লগে দেন, সেই হার্ডওয়্যার ডিজাইন করা আমার পেশা। পড়াশোনা আর যোগ্যতায় পিছিয়ে থেকেও আপনার থেকে দেশের প্রতি সন্মান অনেক উপরে। দেশ নিয়ে ফ্রাসট্রেশন থাকবে, কিন্তু দেশে বড় হয়ে নীল/লাল পাসপোর্টের জোরে "আপনাদের দেশ" বলাটা চরম হাস্যকর এবং মানিসকতার লেভেলের পরিচয় দেয়.
খারাপ লেগেছে, হয়ত বাজে কথা বলে ফেলেছি, আন্তরিক ভাবে দুঃখিত! শুভকামনা
১১ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:৫৮
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: হুম, আবারও ব্যাখা করার প্রয়োজন বোধ করছি..
আধুনিক বিশ্বের বড় বড় মেট্রোপলিটন শহরগুলোর রেসিডেন্সিয়াল এরিয়া মূলত ব্লক আকারেই থাকে, এর সুবিধা আছে অনেক। নাগরিক সব সুবিধার কথা মাথায় রেখেই ওভাবে প্ল্যানিং করে করা হয়েছে। বসুন্ধরা একটা উদাহরণ মাত্র। এটা নিয়ে খুব বেশী কচলাকচলির প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। মনে হচ্ছে বিষয়টা আপনাকে বেশ খোঁচা দিয়েছে।
আমরা যখন "আমার/আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসবেন" কিংবা "আপনার বাড়িটা বেশ সুন্দর হয়েছে" বলে কথা বলি তখন "আমার বাড়ি" আর "আপনার বাড়ি" কথার ধারনাটা দিয়ে কি বোঝায় সেটা বুঝতে পারেন? দুটো কি একই জিনিস? এই আমার বাড়ি আর আপনার বাড়ি কখনোই এক নয়। আপনি আপনার দৃষ্টিকোণ থেকে যে বাংলাদেশকে দেখছেন বা দেখতে চাচ্ছেন, সেটা আমার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা বা দেখতে চাওয়া বাংলাদেশের সাথে কোন মিল নেই। আশা করছি "আপনাদের দেশ" বলতে যা বুঝিয়েছি সেটা বুঝতে পেরেছেন। আর হ্যাঁ এই দেশেই আমার জন্ম। ইচ্ছে করলেই সন্তানকেও প্রবাসে জন্ম নেয়াতে পারতাম তদুপরি আমার ছেলের বাংলাদেশে জন্মানোটা আমার ইচ্ছেতেই হয়েছে। বুঝেছেন?
হুন্ডি যেহেতু করছি না, নাগরিক সুবিধা যেহেতু নিচ্ছিনা, ঢাকা শহর যেহেতু বছরের পর বছর ধরে ল্যাদাচ্ছি না, কিছুটা ভাবতো থাকবেই। সেটাতেও যদি জ্বলুনি হয়, জ্বলুকনা কিছুটা! আর বরই দিয়ে কিন্তু ইফতার করতে ভুলবেন না যেন তাতে জ্বলুনি কিছুটা প্রশমিত হতে পারে
আবারও বলছি আমি অত্যন্ত সাধারণ খেটেখাওয়া মানুষ। সমগ্র পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে অনেক অনেক শিক্ষিত, জ্ঞাণী, যোগ্যতাসম্পন্ন সম্মানী বাংলাদেশী ব্যক্তি রয়েছেন। তাদের কয়েকজনের সাথে কথা বলার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। তাদের দেখেই আমি কম-বেশী শিখেছি জেনেছি, বাংলাদেশ ক্যান এন্ড মাস্ট ডু বেটার। না হলে দুর্নীতিতে তলানির দেশ হওয়ার আনন্দ উপভোগ করুন। শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।
৬| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৭:৩১
রানার ব্লগ বলেছেন: একদিন এই গার্বেজ থাকবে না। কোন দেশ উন্নয়ন এর দিকে চললে এমন।কিছু গার্বেজ সৃষ্টি হয়। এটাই স্বাভাবিক। আজ আপনি যে উন্নত বিশ্বে থাকছেন ওখানেও গার্বেজ ছিলো, খুদার্ত মুখ ছিলো, বস্তি ছিলো, উন্নায়নের ধারার সাথে সাথে আস্তে আস্তে সেই সব গার্বেজ, খুদার্ত মুখ বস্তি মিলিয়ে গেছে।
১১ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:১৩
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: দেশের গার্বেজগুলো কিন্তু মানব সৃষ্ট সুতরাং ইচ্ছে থাকলে এবং উদ্যোগ নিলে এগুলোর অপসারণ সম্ভব। ঠিক যেভাবে এই সোনামনি বাচ্চাগুলো আপনাদের গার্বেজ সরাচ্ছে।
৭| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:০৩
বিষাদ সময় বলেছেন: ঠিক কোন বিষয়টি "অতিরঞ্জিত এবং মুদ্রার একপিঠ" বলে মনে হলো সেটা খুলে বললে ভালো হতো।
আপনার পুরো পোস্টটিই নেতিবাচক এবং তিক্ততার নির্জাস। আপনি এখানে এসে এমন অবস্হার মধ্য পড়েছেন যে নেটওয়ার্কের কারণে আপনার অফিস করা দুরুহ হয়ে গেছে। অথচ এ দেশে কয়েক ডজন সফ্টওয়ার প্রতিষ্ঠান আছে যারা এ দেশে বসে আমেরিকান নামকরা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কাজ করছে। এ রকম অন্ততঃ দুটো প্রতিষ্ঠানের ইনকাম ট্যাক্সের কনসালটেন্সি আমরা করি। তাদের মুখেও আপনার মতো এতো অভিযোাগ শুনিনি। আর এ দেশের নানা সমস্যার কথাতো আমি স্বীকার করেই নিয়েছি । কিন্ত এ দেশে এসে আপনি কি ভাল কিছুই দেখেননি?
তুলনা যদি করতেই হয় তবে আপনি সর্বোচ্চ ভালোর সাথে তুলনা করলে স্বীয় অবস্থান সম্পর্কে ধারনা পাবেন।
আপনার এ কথার সাথে বেশির ভাগ মানুষ একমত হবেন না। তুলনা করতে হবে অর্থনৈতিক এবং সমাজিকভাবে কাছাকাছি রাষ্ট্রের সাথে না হলে হতাশা বাড়বে, লাভ কিছু হবেনা।
প্রশ্ন হলো আপনি দশ টাকা খরচ করে যদি দু'টাকার উন্নয়ন দেখান সেখানে প্রশ্ন আসবেই।
এ কথাটি একেবারে একটি কাল্পনিক এবং আপেেক্ষিক । নিরপেক্ষ গবেষনা ছাড়া ক'টাকা খরচ করে ক'টাকা পাচ্ছি তা বলা মনে হয় সম্ভব না। দেশে দুর্নীতি যে হচ্ছে এটা অনস্বীকার্য কিন্ত দু যুগ আগেও কি আমরা চারবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান হইনি?
আপনি যে "সেবা" নিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলছেন তা সত্যিই দুঃখজনক
আমি তৃপ্তির ঢেকুর তুলছি এ কথাটি কোথায় পেলেন? আমি শুধু ভালোকে গ্রহণ আর খারাপকে বর্জন করতে শিখেছি।কোন গাছে আগাছা আছে বলে গাছটিকেই উপড়ে ফেলিনা। তাছাড়া আমার আগের মন্তব্যেও আমি নেতিবাচক দিকগুলো স্বীকার করে নিয়েছি।
বাংলাদেশে আমি ইন্টারনেট ব্যবহার শুরু করি খুব সম্ভবত ১৯৯৯ কিংবা ২০০০ সাল থেকে। দু'দশকে দেশ খুব বেশী এগিয়েছে বলে আমার মনে হয় না।
একেবারেই অবাস্তব মন্তব্য।
তা ছাড়া আপনি হয়তো আরো আগে থেকেই এ দেশে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারতেন কিন্তু কেন বাংলাদশের মানুষেরা সেটা পারেনি তা নিশ্চয় আপনার জানা আছে।
মনে রাখবেন জবাবদিহিতা না থাকলে আর উন্নয়নের সর্বোচ্চ ক্ষুধা না থাকলে সে জাতি কোনদিও প্রকৃত সাফল্য অর্জনের স্বাদ আস্বাদন করতে পারেনি।
বাংলাদেশে কবে জবাবদিহিতা ছিল? শুধু ছিল সামরিক শাসন , হরতাল, জ্বালাও, পোড়াও আর একদিনের জন্য নির্বচন নামক প্রহসন। নির্বাচনটি সামান্য সান্তনা ছিল মাত্র এখন শুধু সেটি নাই। আর উন্নয়নের সর্বোচ্চ ক্ষুধা এক সময় পাশবিকতার জন্ম দেয়, যার উদাহরণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দিচ্ছে।
বাংলাদেশ ক্যান, স্যুড এন্ড মাস্ট ডু বেটার দ্যান দিস।
আমিও এ কথা স্বীকার করি। কিন্তু কিছু মানুষ আছেন যারা দেশ যতই ভাল করুক এই একই কথা বলতে থাকেন তারা আসলে এই শব্দটিকে একটি ছদ্দাবরনে মড়িয়ে রাখেন। ধন্যবাদ।
৮| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: সব সত্য কথা লিখেছেন।
এইসব নিয়েই আমরা এই দেশে বেচে আছি। এসবে আমরা অভুস্ত হয়ে গেছি।
অথচ সরকার বলছে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে।
১১ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:০৯
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: রাজীব ভাই ধন্যবাদ। উপরে যারা মন্তব্য করেছেন তাদের মূলত সমস্য এই "অভ্যস্ত" হয়ে যাওয়াই। তারা আমার লিখা পড়ছেন, পড়ার জন্য, মাজেযা না বুঝে ব্যক্তিগতভাবে সুরসুরি দেয়ার চেষ্টার করছেন এই যা। ভালো থাকবেন।
৯| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৫৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বাংলাদেশ আমাদের জননী। আমাদের মা।
মা গরীব হতে পারেন।
তাকে আমরা ভালোবাসি।
আপনার পছন্দ না হলে সৎমাকে নিয়ে ভালো থাকেন।
১১ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:০৭
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: জন্ম দিলে জন্মদাত্রী হওয়া যায় আর মা হতে হলে জন্মদাত্রীর চেয়েও বেশী কিছু হতে হয়। মা গরীব কারন সন্তানেরা অকর্মন্য, বেকার, অলস তার চেয়েও বড় সমস্যা তারা অসৎ ও দুর্নীতিপরায়ণ। মা'কে দু মুঠো খাওয়াতে না পারলে ভালোবাসা-বাসি দিয়ে তার পেটতো ভরবে না। চেষ্টা আর বেগবান করতে হবে, পরিশ্রম করতে হবে আরো, দুর্নীতি কমিয়ে নিয়ে আসতে হবে শূন্যের কোঠায়, আইনকে পরিবর্তন করতে হবে, মানতে হবে আর মানাতে হবে। শুভ কামনা থাকছে।
১০| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২১
ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনার লেখায় এত নেগেটিভ কমেন্ট দেখে খুব অবাক হলাম। দেশকে ডিজিটাল, স্মার্ট ইত্যাদি দাবী করা হচ্ছে কিন্ত ত্রুটিগুলো দেখিয়ে দিলে অনেকে বিরক্ত কেন হচ্ছেন বুঝলাম না। উন্নত ও সভ্য দেশের উন্নত টেকনোলজির সুবিধা যারা পাচ্ছেন , তারাতো সেটা নিয়ে লিখবেই। উন্নত টেকনোলজির কল্যানে এখন অধিকাংশ কাজই অনলাইনে হয়ে যায়। লেখক দেশের ইন্টারনেট এর সেবা নিয়ে যা লিখেছেন তা খুবই ফিল করি দেশে গেলে। সরকারী অফিস আদালতের অনলাইন সাইটের বিষয় নিয়ে আর কি বলব! পাসপোর্ট , এনআইডি, জন্মনিবন্ধনের বিষয়গুলো যে কি ভয়ঙ্কর জটিল আমাদের দেশে তাতো বলার অপেক্ষা রাখে না।ব্যাংকের অবস্থাতো খুবই খারাপ। আপনি এখন এলসি খুলতে যান , বিদেশে টাকা টাকা পাঠাতে যান , তাহলে বুঝবেন কি জটিল সমস্যার চক্করে পড়েছেন!
এই সমস্যাগুলোর মুল কারন হচ্ছে দুর্নীতি। কোটি কোটি টাকার ঘুষ লেনদেনের বানিজ্য বন্ধ হয়ে যাবে যদি দক্ষ ও যোগ্য ব্যক্তিরা দেশকে সত্যিকার অর্থে ডিজিটাল বাংলাদেশে রুপান্তর করে।
১২ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:১৪
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: বিষয়গুলো অনেকের জন্যই গা-সওয়া ব্যাপার। কিন্তু সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের উদ্যেগ কেউ নিচ্ছেন না। আধুনিক বিশ্বে বাংলাদেশীরা অনেক ক্ষেত্রেই প্রিমিয়াম ফি পে করার পরেও প্রিমিয়াম সুবিধা পাচ্ছেন না। এটা এক ধরনের প্রতারণা হলেও এ ব্যাপারে অনেকেই উদাসীন। শেষ দিকে যেটা বলেছেন সেটা সত্য হলেও কর্তৃপক্ষ নির্বিকার। ধন্যবাদ।
১১| ১২ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:৪৪
আরিফ রুবেল বলেছেন: বসুন্ধরা এলাকাটা আমার কাছে ওভাররেটেড মনে হয়। এখানকার অধিবাসীরা বসুন্ধরা গ্রুপের কাছে জিম্মি। যাই হোক সেটা ভিন্ন আলাপ। আপনি বেশ কিছু বিষয় পয়েন্ট আউট করেছেন তার মধ্যে আপনার সমস্যাগুলোর মধ্যে ইন্টারনেট সমস্যাটার সাথে আমার ধারনা ঢাকা তথা বাংলাদেশের সকল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী পরিচিত। তারপরও আপনি সম্ভবত একটু বেশিই প্যারা খেয়েছেন। আমি জানি না আপনি অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার করেন কি না ? যদি করে থাকেন তাহলে আমি বলব একটা বা দু'টো (নির্ভর করে আসন্ন লোডশেডিং মৌসুমে কি পরিমাণ লোডশেডিং থাকে তার উপর) মিনি ইউপিএস কিনে নিতে পারেন। দারাজে পাবেন। মিনি ইউপিএসের সুবিধা হল লোডশেডিং হলেও কিছু সময় ব্যাক আপ দেবে। দাম২২০০-২৫০০ এর মধ্যে। আমি জানি না লোকাল আইএসপি হিসেবে কার লাইন আপনি ব্যবহার করছেন তবে আম্বার আইটি নামে একটা প্রতিষ্ঠান আছে ওদের ওয়েব সাইট ভিজিট করে আপনার প্রয়োজনটা কাস্টমার কেয়ারে বললে দুই-একদিনের ভেতরে ওরা লাইন দিয়ে যাবে। এরকম আরো কিছু প্রতিষ্ঠান আছে খোজ নিয়ে দেখতে পারেন। আর আপনি যেহেতু বাংলাদেশ সময় রাতে কাজ করেন ওই সময়টায় এমনিতেই চাপ কম থাকায় স্পিড তুলনামূলকভাবে ভালো থাকে। তবে লোকাল আইএসপি প্রফেশনাল হয় না।
আসা যাক ডিজিটালাইজেশনের ব্যাপারে। গত পনের বছরে বিশ্বে টেকনোলজির দিক থেকে অনেক এগিয়েছে। বাংলাদেশ যে আগায়নি ব্যাপারটা কিন্তু এমন না। শুধুমাত্র মোবাইল ব্যাংকিং এর যে প্রভাব সেটা নিয়ে ভুরি ভুরি রিসার্চ পেপার অনলাইনে এভেইলেবল আছে। উবারের দেশি ভার্সন পাঠাও কিংবা ফুড ডেলিভারি সার্ভিস ফুডপাণ্ডা কিংবা ফেসবুকভিত্তিক অনলাইন মার্কেটপ্লেস গোটা বাজারব্যবস্থায় একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। আপনি দেখেন পোলাপান ইউটিউব দেখছে, টিকটক বানাচ্ছে কিন্তু আমি দেখি এরা ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে টাকা আয় করার চেষ্টা করছে। এটা করতে গিয়ে এরা যে ভুল পথে যাচ্ছে না তা না। প্রচুর প্রতারনা ও অপরাধের সাথে ইন্টারনেট ব্যাপারটা যুক্ত। টেকনলজি ব্যবহার করে অপরাধ করার প্রবনতা বেড়েছে। হাতে হাতে স্মার্টফোন থাকার সুবাদে ঘরে ঘরে অনলাইন জুয়া পৌছে গেছে। আজকে থেকে পনের বছর আগে এমন ছিল না।
আপনারা যারা বিদেশে চলে গেছেন এবং সেখানে স্থায়ীভাবে বা বেশ অনেক দিন যাবত বসবাস করছেন, তাদের দেশের মাটিতে, পানিতে, বাতাসে সমস্যা হবে এটাই স্বাভাবিক। কোরোনার প্রথম দফা লকডাউনে আমরা টের পেয়েছিলাম বিশুদ্ধ বাতাসে দম নিতে কেমন লাগে, আকাশে তারা এখনও আছে শুধু ঢাকার আকাশে দূষনের কারণে দেখা যায় না। এই মরার শহরে দম নেয়াটাই কষ্টকর সেখানে অন্যান্য সমস্যা আসলে সেই অর্থে চোখে পড়ে না।
শুধুমাত্র ট্রাফিক জ্যামে আমাদের প্রতি দিন কি পরিমাণ কর্মঘন্টা নষ্ট হয় এবং তার অর্থনৈতিক ক্ষতি কি পরিমাণ সেটা বিভিন্ন সময় পত্রপত্রিকায় এসেছে। ঢাকায় বেশ কিছু প্রযেক্ট চলমান আছে। আমরা আশায় আছি সেগুলো চালু হলে হয়ত অবস্থার কিছু পরিবর্তন হবে।
১২ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৮
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: বসুন্ধরা কি রকম রেটেড আমি জানি না। মূল কথা এটাই বোঝাতে চেয়েছি যে পরিকল্পিত শহরের আবাসিক এলাকার মানচিত্র উন্নত দেশেও অনেকটা এমনই। কে কার হাতে জিম্মি এগুলো আসলে আমার আলোচনার বিষয় নয়, এগুলোর জন্য প্রশাসন আছে তারা ভাবুক।
বাসায় দু'টোই অপটিক্যাল ফাইবার কানেকশান রয়েছে। হাস্যকর বিষয় হলো ২০/৫০ এম.বি.পি.এস কানেকশানের জন্য অপটিক্যাল ফাইবার দরকার নেই, ইথারনেটই যথেষ্ট হওয়ার কথা। তবে তারা কেন অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার করেন সেটা আমি বুঝতে পারি। তবে বিষয়টি হাস্যকর। অনেকটা মশা মারতে কামান দাগার মতোই ব্যাপার। তবুও ঠিকই আছে.. সমস্যা নেই।
ইউ.পি.এস. দিয়ে আমার হবে না। সজন্যেই মূলত একটা ভালো ল্যাপটপ (৫/৬ ঘন্টা চলতে পারে) ও সাথে ল্যাপটপ চার্জ করার মতো ব্যাটারী (এ্যাঙ্কার) নিয়ে এসেছি। আর ইন্টারনেটে সংযুক্ত থাকার জন্য গ্রামীনের ৪জি ইউ.এস.বি. ইন্টারনেট মোডেমই যথেষ্ট। ইতোমধ্যেই আমি একদিন ঐ মডেমটি টানা ৬/৭ ঘন্টা ব্যবহার করেছি ল্যাপটপ থেকে সেদিক থেকে হয়তো আমি অল সেট।
ডিজিটালাইজেশনে বাংলাদেশ যে আগায়নি সেটা আমি কখনোই বলিনি। বোঝাতে চেয়েছি অনেক সার্ভিস চালু হলেও তাদের সবার সেবার মান ভালো নয়। ফুডপান্ডায় খাবার অর্ডার দিয়ে প্রত্যাশিত সময়ে অনেক পরে খাবার পাওয়া, কিংবা ছবি বা খাবারের সাথে তেমন মিল না থাকা, আইটেম মিসিং থাকার ঘটনা বিরল নয়। পাঠাও-এ যারা ডাইভিং সেবা দিচ্ছেন তাদের বেশীরভাগের গাড়িই পুরোনো আর বেশ নোংরা থাকে, ড্রাইভারদের অনেকেই খুবই আনপ্রফেশনাল। যদিও ভালো ড্রাইভার আমি পেয়েছি আর তাকে প্রায় ২০০ টাকা বখশিশও দিয়েছি তার ব্যবহারের জন্য। পুরো বিষয়গুলোই প্রশেনালিজমের সাথে জড়িত।
পাসপোর্টে ভিসার জন্য অনলাইনে এ্যাপলিকেশন করা বাধ্যতামূলক, কিন্তু সাইট ঠিক মতো কাজ করছে বলে মনে হচ্ছে না। অফিসে তথ্য পাওয়া গেলেও তা সন্তোষজনক মনে হয় নি। একজন অরেকজনের গায়ের উপর দিয়ে উঠে যাচ্ছে, এক সাথে একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে নিজেই বিরক্তি দেখাচ্ছে। অফিসের গেটে থেকেই বিড়ম্বনার শুরু হয়। আবারও বলি, প্রোডাক্ট তৈরাী করাই শেষ কথা নয় সেটার সার্ভিসও ভালো হওয়া উচিত এটাই যা বোঝাতে চেয়েছি।
সুপেয় পানি নেই, গ্যাস নেই, বিদ্যুৎ নেই, সেবার মান ভালো নেই কিন্তু বছর বছর দাম বাড়িয়েই যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে ঢাকা ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে যাবে এক সময়। সঠিক পরিকল্পনার অভাব মোটামুটি সব জায়গায় দৃশ্যমান। তবে সত্যি বলতে কি, সবচেয়ে বড় সমস্যা এ দেশোর মানুষগুলোই। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:৪৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এটাই হয় ।
কেউ একবার বিদেশে গিয়ে ভালো পরিবেশ পেয়ে গেলে দেশের কোন কিছুই তাদের আর ভালো লাগে না।
কিন্তু তারা দেশের পরিস্থিতি উন্নয়নে কোন ভূমিকা রাখে না।