![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্লিজ আমাকে মেয়ে বলে ভুল করবেন না। আমি পুরুষ হিসেবেই সুখী।:-) আর আমি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের একজন বিশাল ফ্যান :-)
প্রিমিয়ার লীগ (বার্কলে প্রিমিয়ারশিপ বা বার্কলে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ বা কেবল প্রিমিয়ারশিপ নামেও পরিচিত) ঃ
ইংল্যান্ডের পেশাদারী ফুটবল খেলার প্রতিযোগিতা যেখানে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ পর্যায়ের দলগুলো অংশগ্রহণ করে থাকে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও দামী ফুটবল লীগ। [১]
ফুটবল লীগের উচ্চ বিভাগের দলগুলো নিয়ে এফএ প্রিমিয়ার লীগ (বর্তমান নামে) প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৯২ সালে। এর চোদ্দ মৌসুমে কেবল চারটি দল শিরোপা দখলে সমর্থ হয়েছেঃ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড (নয় বার), আর্সেনাল (তিনবার), চেলসি (দু'বার) ও ব্ল্যাকবার্ন রোভার্স (একবার)। বর্তমান লীগ বিজয়ী দল হচ্ছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড যারা ২০০৬-০৭ মৌসুমে দুটি খেলা বাকি থাকতেই শিরোপা নিশ্চিত করেছে।
এফএ ইউমেন'স প্রিমিয়ার লীগ প্রিমিয়ারশিপের মত নারী খেলোয়াড়দের জন্য একটি প্রতিযোগিতা। কিন্তু এটি প্রিমিয়ারশিপের মত পুরোপুরি পেশাদার নয় এবং জাতীয় ক্ষেত্রেও ততটা জনপ্রিয় নয়।
ইতিহাস
প্রিমিয়ার লীগ শিরোপাধারী
মৌসুম বিজয়ী দল
২০০৬-০৭ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
২০০৫-০৬ চেলসি
২০০৪-০৫ চেলসি
২০০৩-০৪ আর্সেনাল
২০০২–০৩ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
২০০১-০২ আর্সেনাল
২০০০-০১ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
১৯৯৯-০০ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
১৯৯৮-৯৯ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
১৯৯৭-৯৮ আর্সেনাল
১৯৯৬-৯৭ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
১৯৯৫-৯৬ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
১৯৯৪-৯৫ ব্ল্যাকবার্ন রোভারস
১৯৯৩-৯৪ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
১৯৯২-৯৩ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
উৎপত্তি
ইংলিশ ফুটবলের জন্য ৮০ দশক ছিল খুব শোচনীয়। স্টেডিয়ামগুলো ছিল ভাঙ্গাচোরা, দর্শকদের জন্য তেমন কোন সুবিধাদি ছিল না, গুন্ডাগিরি ছিল নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। ১৯৮৫ সালে সংঘটিত হাইসেল দুর্ঘটনার[২] জন্য ইউরোপীয় খেলায় ইংলিশ দলগুলোকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ইংল্যান্ডের ১৮৮৮ থেকে চলতে থাকা শীর্ষস্থানীয় লীগ প্রথম বিভাগ ফুটবল লীগ ইউরোপের অন্যান্য লীগ যেমনঃ ইতালির সিরি এ ও স্পেনের লা লিগা প্রভৃতি থেকে দর্শক ও আয়ের দিক দিয়ে অনেক পিছিয়ে ছিল, ফলে ইংল্যান্ডের কিছু শীর্ষ খেলোয়াড় বিদেশে চলে যায়।[৩] এতকিছুর পরেও ৯০ দশকে অবস্থার পরিবর্তন ঘটতে থাকে। ১৯৯০ সালে অনুষ্ঠিত ফিফা বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড সফল হয় যেখানে তারা টাইব্রেকারে সেমিফাইনালে হেরে যায়। ইউরোপের ফুটবলের নিয়ন্ত্রনকারী প্রতিষ্ঠান উয়েফা ১৯৯০ সাল থেকে ইউরোপীয়ান খেলাতে ইংল্যান্ডের দলগুলোর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়। ১৯৯০ সালের জানুয়ারী মাসে প্রকাশিত টেলরের রিপোর্টে স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নয়নে ব্যয়বহুল উন্নয়ন পরিকল্পনার কথা বলা হয়।[৪]
টেলিভিশনের সম্প্রচারস্বত্বের গুরুত্ব ততদিনে অনেক বেড়ে গিয়েছে। ১৯৮৬ সালে যেখানে ফুটবল লীগ মাত্র ৬.৩ মিলিয়ন পাউন্ড পেয়েছিল দুই বছরের চুক্তির জন্য, সেখানে ১৯৮৮ সালে যখন চুক্তির নবায়ন করা হয় তখন চুক্তির মূল্য মাত্র চার বছরে বেড়ে হয় ৪৪ মিলিয়ন পাউন্ড।[৫] ১৯৮৮ সালের চুক্তিটি ছিল লীগের ভাঙ্গনের একটি চিহ্ন। দশটি দল লীগ ছেড়ে একটি সুপার লীগ গঠনের হুমকি দিলেও পরে লীগে থাকতে রাজি হয়। [৬] স্টেডিয়ামের উন্নতির সাথে সাথে মাঠে দর্শকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে ফলে শীর্ষস্থানীয় দলগুলো খেলায় মূলধনের অন্তঃপ্রবাহ ধরে রাখার জন্য আবার ফুটবল লীগ ত্যাগ করার চিন্তা করেছিল।
প্রতিষ্ঠা
লীগের প্রথম মৌসুম শুরু হয় ১৯৯২-৯৩ সালে ২২টি দল নিয়ে। প্রথম প্রিমিয়ারশিপ গোল করেন ব্রায়ান ডিন শেফিল্ড ইউনাইটেডের হয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে, যে খেলায় তার ২-১ গোলে জয়ী হয়। ঘরোয়া লীগে দলগুলোর খেলার সংখ্যা কমাতে ফিফার চাপের কারনে ১৯৯৫ সালে দলের সংখ্যা কমিয়ে ২০ করা হয় যখন ৪টি দলকে প্রথম বিভাগে নামিয়ে দেয়া হয় ও মাত্র ২টি দলকে প্রিমিয়ার লীগে উন্নীত করা হয়। ২০০৬ সালের ৮ জুন ফিফা সব ইতালির সিরি এ ও স্পেনের লা লিগা সহ প্রধান ইউরোপীয়ান লীগগুলিকে ২০০৭-০৮ মৌসুমে ১৮টি দলে কমিয়ে আনতে অনুরোধ করে। প্রিমিয়ার লীগ দলের সংখ্যা কমানোর জন্য ফিফার প্রস্তাবের বিরোধিতা করে।[৭]
ফেব্রুয়ারি ১২, ২০০৭ তারিখ থেকে প্রিমিয়ার লীগের নাম কেবল 'প্রিমিয়ার লীগ' থেকে পরিবর্তন করে 'এফএ প্রিমিয়ার লীগ' করা হয়েছে।
গঠন
প্রিমিয়ার লীগ তাদের ২০টি সদস্য দলের মাধ্যমে কর্পোরেশন এর মত পরিচালিত হয়। প্রতি দলকে একজন শেয়ারহোল্ডার হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং নিয়ম-কানুন পরিবির্তন বা চুক্তি প্রভৃতি বিষয়ে সকল সদস্য একটি করে ভোট দিতে পারেন। দলগুলো লীগের কার্যক্রম তত্ত্বাবধানের জন্য একজন চেয়ারম্যান, প্রধান নির্বাহী ও পরিচালকমন্ডলী নির্বাচন করে থাকে। [৮] ফুটবল এসোসিয়েশন প্রিমিয়ার লীগের দৈনন্দিন কার্যক্রমের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত নয়, তবে বিশেষ শেয়ারহোল্ডার হিসেবে তাদের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী নির্বাচন অথবা নতুন নিয়ম কানুন প্রণয়নে ভেটো দানের ক্ষমতা আছে।[৯]
উয়েফার ইউরোপীয়ান ক্লাব ফোরাম এ প্রিমিয়ার লীগের প্রতিনিধি থাকে। উয়েফা আনুপাতিক হারে দলের সংখ্যা ও দল নির্বাচন করে। ইউরোপীয়ান ক্লাব ফোরাম উয়েফার দলগত প্রতিযোগিতার কমিটির তিনজন সদস্য নির্বাচন করে, যা উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ বা উয়েফা কাপ এর মত প্রতিযোগিতা পরিচালনায় অংশ নেয়।
প্রতিযোগিতার ধরন ও সৌজন্যস্বত্ব
প্রতিযোগিতা
প্রিমিয়ার লীগে ২০টি দল থাকে। এক মৌসুমে (আগস্ট থেকে মে পর্যন্ত একটি মৌসুম) প্রতিটি দল অন্য দলগুলোর সাথে দু’বার খেলায় মিলিত হয়, একবার নিজস্ব মাঠে অন্যবার বিপক্ষ দলের মাঠে। একটি দল এক মৌসুমে সবমিলিয়ে ৩৮টি খেলা খেলে, একটি মৌসুমে সর্বমোট ৩৮০টি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি জয়ের জন্য বিজয়ী দল ৩ পয়েন্ট পায়, ড্রয়ের জন্য উভয় দল ১ পয়েন্ট করে পায়। হারের জন্য কোন পয়েন্ট দেয়া হয় না। দলগুলোকে উচ্চক্রমে সাজানো হয় প্রথমে মোট পয়েন্ট, তারপর গোল ব্যবধান ও তারপর পক্ষে করা গোলের সংখ্যার উপর। মৌসুম শেষে সর্বোচ্চ পয়েন্টধারী দলকে শিরোপা প্রদান করা হয়। যদি পয়েন্ট সমান হয় তাহলে গোল ব্যবধান ও গোল সংখ্যার উপর নির্ভর করে বিজয়ী নির্ধারন করা হয়। যদি তাও সমান হয় তাহলে দু’দলকেই বিজয়ী ঘোষনা করা হয়। যদি এভাবে শিরোপাধারী দল, রেলিগেশনের আওতায় পড়া দল অথবা অন্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা নির্ধারন করা না যায় তাহলে নিরপেক্ষ মাঠে দলগুলোর খেলা আয়োজন করা হয় (এ পর্যন্ত ঘটে নি)। সর্বনিম্নে থাকা তিনটি দলকে ফুটবল লীগ চ্যাম্পিয়নশিপএ নামিয়ে দেয়া হয়। ফুটবল লীগ চ্যাম্পিয়নশিপের শীর্ষস্থানীয় দু’টি দলকে প্রিমিয়ারশিপে খেলার জন্য উন্নীত করা হয়। তিন থেকে ষষ্ঠ স্থানের চ্যাম্পিয়নশিপের তিনটি দলের মধ্যে খেলার মধ্য থেকে আরও একটি দলকে প্রিমিয়ারশিপে উন্নীত করা হয়।
ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা
বোল্টন ওয়ান্ডারার্স এবং ফুলহ্যাম এফএ কাপে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছে
প্রিমিয়ারশিপের শীর্ষ চার দল উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগের জন্য মনোনীত হয়। শীর্ষ দু’টি দল সরাসরি গ্রুপ পর্যায়ে খেলার সুযোগ পায়। গ্রুপ পর্যায়ে খেলতে হলে তৃতীয় ও চতুর্থ দলদু’টি তৃতীয় যোগ্যতা নির্ধারনী খেলায় অংশগ্রহণ করতে হয় এবং দুইলেগের নক-আউট খেলায় জিততে হয়। পঞ্চম স্থানের দলটি উয়েফা কাপে সরাসরি খেলতে পারে। ষষ্ঠ ও সপ্তম দলদু’টি ঘরোয়া দু’টি লীগের ফলাফলের উপর নির্ভর করে উয়েফা কাপে অংশ নিতে পারে। যদি এফএ কাপের বিজয়ী ও দ্বিতীয় স্থানের দলদু’টি প্রিমিয়ারশিপে প্রথম পাঁচটি দলের ভিতরে থাকে তাহলে ষষ্ঠ দলটি এফএ কাপ কোটায় উয়েফা কাপে অংশ নিতে পারবে। যদি লীগ কাপ বিজয়ী দল ইতোমধ্যে কোন ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়ে যায় তবে পরবর্তী শীর্ষদলটি লীগ কাপ কোটায় উয়েফা কাপে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়। তবে এফএ কাপের মত এক্ষেত্রে লীগ কাপের দ্বিতীয় স্থানের দলকে সুযোগ দেয়া হয় না। যে পরবর্তী শীর্ষস্থানীয় দল চ্যাম্পিয়িনস লীগ বা উয়েফা কাপে স্থান পায়নি তাকে ইন্টারটোটো কাপে প্রতিযোগিতা করার সুযোগ দেয়া হয়, যদি তারা এ কাপে অংশগ্রহণ করার আবেদন জমা দেয়। ইন্টারটোটো বিজয়ী দল সরাসরি উয়েফা কাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করে।
নীতিগতভাবে ফুটবল এসোসিয়েশন (এফএ) যে কোন দলকে ইউরোপে খেলার জন্য মনোনীত করতে পারে, যদিও তারা স্বভাবতই সেরা দলগুলোকেই পাঠায়। এই নিয়মটি আলোচিত হয় যখন ২০০৫ সালে লিভারপুল চ্যাম্পিয়নস লীগ জিতলেও পরবর্তী মৌসুমে খেলার জন্য তারা প্রিমিয়ারশিপে যথেষ্ট উপরে উঠতে ব্যর্থ হয়। ফলে এই প্রথমবারের মত কোন বিগত মৌসুমের ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়ন পরবর্তী চ্যাম্পিয়নস লীগ খেলতে পারবে না এমন আশঙ্কা তৈরী হয়। আসলে এরকম ঘটনা আগেও একবার ঘটেছে ২০০০-০১ মৌসুমে যখন বিগত চ্যাম্পিয়ন রিয়েল মাদ্রিদ লা লিগায় যথেষ্ট উপরে স্থান নিতে পারেনি। সেসময় তারা অবশ্য চ্যাম্পিয়নস লীগে অংশ নিতে পেরেছিল কারন চতুর্থ স্থানীয় দলটিকে অংশগ্রহন থেকে বিরত থেকেছিল। কিন্তু লিভারপুলের ক্ষেত্রে এফএ তাদের সেরা চার নীতিতে অটল ছিল। অধিকন্তু চতুর্থ স্থানীয় দল এভারটন তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ হারাতে চাইছিল না, যা তার অর্জন করেছিল। ফলে যদিও উয়েফা প্রথমে চারটির বেশি ইংলিশ দলকে সুযোগ দিতে চায়নি, কিন্তু পরে তারা ইংলিশ লীগের সেরা চার দল ও বিগত চ্যাম্পিয়ন লিভারপুলসহ পাঁচটি ইংলিশ দলকে চ্যাম্পিয়নস লীগে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়। এর একটি বড় কারণ ছিল উয়েফা প্রেসিডেন্ট লেনার্ট জোহানসন,[১১] ফিফা প্রেসিডেন্ট সেপ ব্লাটার,[১২] ও খেলার প্রসিদ্ধ মুখ ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার প্রমুখের সমর্থন।[১৩] পরবর্তীতে উয়েফা নিয়ম করে যে বিগত চ্যাম্পিয়ন অবশ্যই পরবর্তী চ্যাম্পিয়নস লীগের যোগ্যতা অর্জন করবে, ঘরোয়া লীগে তাদের ফলাফল যাই হোক না কেন।
উয়েফার তালিকা অনুযায়ী ইউরোপীয়ান লীগগুলির মধ্যে স্পেনের লা লিগার পরই প্রিমিয়ারশিপের অবস্থান। তাদের পরই আছে ইতালির সিরি এ। এ তালিকা করা হয়েছে পাঁচ বছরব্যাপী বিভিন্ন ইউরোপীয়ান প্রতিযোগিতার ফলাফল হিসেব করে। [১৪] বর্তমান নিয়মানুযায়ী ইউরোপের শীর্ষ তিন লীগ থেকে চারটি ও অন্যান্য লীগ থেকে তিনটি করে দল চ্যাম্পিয়নস লীগে খেলতে আসে। তবে বর্তমান উয়েফা প্রেসিডেন্ট মিশেল প্লাতিনি ভবিষ্যতে ইউরোপের যেকোন লীগ থেকে কেবলমাত্র তিনটি দলের অংশগ্রহনের প্রস্তাব দিয়েছেন।.
সৌজন্যস্বত্ত্ব
১৯৯৩ সাল থেকে প্রিমিয়ার লীগ সৌজন্যস্বত্ত্ব চুক্তি করেছে। বিজ্ঞাপন বা সৌজন্যদাতা প্রিমিয়ারশিপের নাম ঠিক করার অধিকার পান। এ পর্যন্ত সব স্পন্সর প্রতিযোগিতার নাম 'প্রিমিয়ারশিপ' রেখেছে। নিচে এযাবতকালের সকল সৌজন্যদাতা ও প্রতিযোগিতার নাম দেয়া হয়েছেঃ
• ১৯৯৩–২০০১: কার্লিং (এফএ কার্লিং প্রিমিয়ারশিপ)
• ২০০১–২০০৪: বার্কলেকার্ড কার্ড (বার্কলেকার্ড কার্ড প্রিমিয়ারশিপ)
• ২০০৪–২০১০: বার্কলেস (বার্কলেস কার্ড প্রিমিয়ারশিপ)
অর্থায়ন
ইংল্যান্ড ও অন্যান্য দেশের শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়দের অনেকে প্রিমিয়ারশিপে খেলেন। প্রিমিয়ার লীগ বিশ্বের সবচেয়ে লাভজনক লীগ। ডেলইট টাচ টোহমাতসু এর মতে ২০০৪-০৫ মৌসুমে সব দলের সম্মিলিত আয় ছিল ১.৩ বিলিয়ন পাউন্ডের অধিক যা নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইতালির সিরি এ থেকে ৪০% বেশি।[১৫] ২০০৭-০৮ মৌসুমে আয় আরও বৃদ্ধি পাবে যখন নতুন সম্প্রচার স্বত্ত্বের চুক্তি হবে। জানুয়ারি ২০০৭ এর মুদ্রামান অনুযায়ী ১.৩ বিলিয়ন পাউন্ডের সমতুল্য হচ্ছে ২.৫১ বিলিয়ন ইউএস ডলার। এই আয় বিশ্বে যে কোন খেলার প্রতিযোগিতায় বার্ষিক আয়ের তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে। সামনে আছে কেবল উত্তর আমেরিকার জনপ্রিয় মেজর প্রফেশনাল স্পোর্টস লীগ, (জাতীয় ফুটবল লীগ (এনএফএল), মেজর লীগ বেজবল, ও জাতীয় বাস্কেটবল এসোসিয়েশন (এনবিএ)) এবং ঠিক পিছনেই রয়েছে জাতীয় হকি লীগ। প্রিমিয়ার লীগে কেবল ২০টি দল আছে (এনএফএল এ আছে ৩২টি ও অন্যান্য প্রধান লীগে দলের সংখ্যা ৩০টি) এটি ধরলে ও মুদ্রা বিনিময় হারের ও আয়ের সংজ্ঞার কথা বিবেচনা করে বলা যায় প্রিমিয়ার লীগের প্রতি দলের গড় আয় এনবিএ এর গড় আয়ের সমান বা কোন কোণ ক্ষেত্রে একটু বেশিই।
২০০৫-০৬ মৌসুমে প্রতি খেলায় গড় দর্শক সংখ্যা ৩৩,৮৭৫ যা যেকোন পেশাদার লীগের দর্শকের তালিকায় চতুর্থ। এক্ষেত্রে প্রিমিয়ার লীগ সিরি এ ও লা লিগার আগেই আছে তবে জার্মান বুন্দেসলিগার পেছনে পড়ে গেছে। দর্শকদের সংখ্যা লীগের প্রথম মৌসুমের (১৯৯২-৯৩) তুলনায় ৬০% বেশি যা তখন ছিল গড়ে ২১,১২৬।[১৬] অবশ্য ১৯৯২-৯৩ মৌসুমের শুরুতে অধিকাংশ স্টেডিয়ামের ধারনক্ষমতা কমিয়ে ফেলা হয়েছিল কারন টেলরের রিপোর্ট অনুযায়ী ১৯৯৪-৯৫ সালের ভিতর স্টেডিয়ামের সংস্কারের একটি দাবি ছিল। [১৭][১৮] ২০০৫-০৬ সালের দর্শক সংখ্যা ছিল প্রিমিয়ার লীগের রেকর্ড গড় দর্শক সংখ্যা ৩৫,৪৬৪ যা হয়েছিল ২০০২-০৩ মৌসুমে, এর তুলনায় কম।[১৯]
নতুন তিন বছরের চুক্তি অনুযায়ী প্রিমিয়ারশিপের সম্প্রচারের জন্য স্কাই দেবে ১.৩১৪ বিলিয়ন পাউন্ড ৯২টি খেলার জন্য ও সেটান্টা ৩৯২ মিলিয়ন পাউন্ড দেবে ৫০টি খেলার জন্য। বিদেশী টেলিভিশন সম্প্রচারস্বতত্ত্ব থেকে পাওয়া যাবে ৬২৫ মিলিয়ন পাউন্ড এবং ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন থেকে পাওয়া যাবে আরও ৪০০ মিলিয়ন পাউন্ড। প্রিমিয়ারশিপের বিজয়ী দল পাবে ৫০ মিলিয়ন পাউন্ড (প্রাইজ মানি ও টিভি আয়সহ) যা বর্তমানে আছে ৩০.৪ মিলিয়ন পাউন্ড। ৫০ মিলিয়ন পাউন্ড এনএফএল দলগুলোর টিভিস্বত্ত্ব আয়ের সাথে তুলনীয় (এনএফএল তার টিভিস্বত্ত্বের আয় দলগুলোর সাথে বন্টন করে)। নতুন চুক্তির অধীনে সবচেয়ে নিচের দল পাবে ২৬.৪ মিলিয়ন পাউন্ড। নতুন চুক্তির ফলে প্রিমিয়ার লীগ খেলাধুলায় বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধনী সম্প্রচারস্বত্ত্বের অধিকারী হবে। শীর্ষস্থানটি অবশ্য এখনো উত্তর আমেরিকার জাতীয় ফুটবল লীগের।
গনমাধ্যম প্রচারনা
ইংল্যান্ড
২০০৪ সালে অনুষ্ঠিত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও টোটেনহামের মধ্যকার একটি খেলা
প্রিমিয়ারশিপের ইতিহাসে টেলিভিশনের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রয়েছে। টেলিভিশনের সম্প্রচারস্বত্ত্ব থেকে প্রাপ্ত অর্থ খেলার ভিতর ও বাহির দুই ক্ষেত্রেই উন্নতি ঘটিয়েছে। ১৯৯২ সালে 'ব্রিটিশ স্কাই ব্রডকাস্টিং' কে প্রচারস্বত্ত্ব প্রদানের সিদ্ধান্ত ছিল খুবই সাহসী পদক্ষেপ, পরে যার সুফল পাওয়া গেছে। সে সময় যুক্তরাজ্যের বাজারে পে-চ্যানেলে দর্শকদের খেলা দেখানোটা চিন্তার বাইরে ছিল। কিন্তু স্কাই এর বিপনন ব্যবস্থাপনা ও প্রিমিয়ার লীগের ফুটবলের মানোন্নতির কারনে দর্শকের আগ্রহ দ্রুত বাড়তে থাকে। ফলে প্রিমিয়ারশিপের টিভিস্বত্ত্বের মূল্যও বৃদ্ধি পায়। এছাড়া টিভির কথা বিবেচনায় রেখে খেলার সময়সূচি নির্ধারন করা হয়। সাধারনত রবি ও সোমবার খেলার সময় নির্ধারন করা হয়। এ সময়সূচি সাধারনত অন্য কোন খেলার কথা বিবেচনায় রেখে করা হয় যাতে একই দিনে দুইটি জনপ্রিয় খেলা না পড়ে।
প্রিমিয়ার লীগ এর টিভিস্বত্ত্ব বিক্রি করে থাকে সমষ্টিগতভাবে। সিরি এ, লা লিগা সহ অন্যান্য ইউরোপীয়ান লীগের সাথে এক্ষেত্রে প্রিমিয়ার লীগের কিছু পার্থক্য আছে। ঐসব লীগে দলগুলো তাদের সম্প্রচার স্বত্ত্ব বিক্রি করে আলাদাভাবে। ফলে টিভিস্বত্ত্ব থেকে
২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১২:২৩
্প্রমি বলেছেন: আমি ম্যান ইউ এর ফ্যান বলে লি;পু কে অপছন্দ করিনা
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে নভেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:১৯
মোসতফা মনির সৌরভ বলেছেন: আমি লিভারপুল ফ্যান।সুতরাং.....
চলুন প্রাপ্তিকে ভালবেসে আবারো প্রমাণ করি মানবতা শেষ হয়ে যায়নি