নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজের চেহারার দিকে তাকিয়ে কিছুই দেখি না। তবে, মানুষ হয়ে মানুষকে ভুল বোঝা আমার স্বভাবে নেই, আপনার পেশা যাই হোক না কেন।

প্রসেনজিৎ হালদার

প্রসেনজিৎ হালদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

কে ভালো?

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫৫

প্রতিদিন তর্ক-বিতর্ক হয়। একাধিক মানুষ, একাধিক ভঙ্গি। দর্শনও আলাদা। কেউ চায় উস্কানি দিতে, কেউ মরিয়া হারাতে। কেউ বা আবার কটাক্ষ করতেও দ্বিধা করে না। তবে, ভালো থাকতে চায় সবাই। একটু ভালো থাকতে এমন আয়োজন চলতেই পারে। চলেও। কখনো চায়ের দোকানে, কখনো খেলার ময়দানে, কখনো বা বাসা-বাড়িতে। নির্বাচনের পরিবেশ এখন। তাই, এ সময় মূল আকর্ষণও এই নির্বাচনই।

প্রার্থী, তাদের সমর্থক, কিংবা আমজনতা; সবাই আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে। অনেকে ফলাফল কি হবে বা হতে পারে তাও অনুমান করতে পারছে। কেটে যাচ্ছে সময়। দেখতে দেখতে ঘনিয়ে আসছে ভোটের দিন। যারা দল সমর্থন করে তাদের ভীষণ বিপত্তি। দেখা যাচ্ছে, যারা ক্ষমতায় রয়েছেন তাদের মাথা ব্যাথা নেই মোটেও। আর যারা বিরোধী, তাদের চোখে ঘুম নেই, খাওয়া-দাওয়া, গোসলও নেই। এ যে কি নেশা তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মদ, গাঁজা, কিংবা মহিলা মানুষকেও হার মানাতে সক্ষম রাজনীতি নামক ক্ষমতার নেশা।

অনেকেই রাজনীতি করেন। এ যে মহৎ পেশা। কিন্তু, রাজনীতির যা কাজ, তার কতটুকু আমাদের দেশে হয়। বরং বাড়ে লুটপাট-দুর্নীতি। গণতন্ত্র সকলের সমান সুযোগের কথা বললেও, রাজনীতির ময়দানে তা আর সম্ভব হয় না। বুঝতেই পারছেন, একজন রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাবান, আরেকজন গায়ের জোরেই বলবান। রাজনীতি যিনি করেন তিনি হয়তো গণতন্ত্রের সংজ্ঞাই ঠিক মতো বোঝেন না। যদি বুঝতেন, তাহলে দেশের মানুষের সেবার ব্যাপারে রাজনীতিবিদদের এতো উদাসীন দেখা যেত না। যেখানে সাধারণের মঙ্গল করাই আসল উদ্দেশ্য, তা আর হয় কোথায়? আর যিনি বলবান, তিনি গায়ের জোরে পাহাড় ঠেলেও তা একটুও নড়াতে পারেন না।

হিরো আলম ভাই, আমাদের গর্ব মাশরাফি, আর মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক তোফায়েল আহমেদ সাহেব- সবাই একই কাতারে দাড়িয়ে আছেন। কারো ক্ষমতা চাই, কাওকে আবার জোর করেই দেওয়া হবে। এদেশ পরিচালনার জন্য মাত্র একজন মানুষেরও অভাব। কোন একজন বিখ্যাত লেখকের লেখায় পেয়েছিলাম এমন, সমাজের সকল শ্রেণী-পেশার বৈশিষ্টসম্পন্ন মানুষগুলো এক করলে যে ব্যাক্তিকে পাওয়া যাবে, সেইই চিরন্তন। আর আমরা তারই এক একটি ক্ষুদ্র অংশ। ধরুন, কেউ শিক্ষক, কেউ ছাত্র, কেউ বিজ্ঞানী, কেউ দিনমজুর, ইত্যাদি ইত্যাদি। সব মানুষের কাজগুলোকে একত্র করে সেই সব বৈশিষ্ট যদি আবার পুনরায় একজন মানুষের মধ্যে দেওয়া হয়। তবেই পাওয়া যাবে আসল মানুষ। কিন্তু তা কি আর সম্ভব!

দেখুন, সেই ভারতীয় বাংলা গানে মতো ‘যে যার নিজের দেশে আমরা স্রোত কুড়োতে যাই/চাই’। এক সময় যিনি নিজ আগ্রহে মানুষের উপকার করতেন, তিনিই আজ ধ্বংস করে বেড়ান। আমি অনেক আগেই বলেছি, আজ যা মিথ্যা আগামীকাল তা সত্য হতেও পারে। আবার, আজ যা সত্য, তা কোন একদিন মিথ্যাও হতে পারে। যদিও যার যেমন চিন্তা তার কাজও তেমন। এ কারণেই, কে কার ধার ধারবে। বললে অপরাধ হয়, না বললে বোবা হয়ে সারা জীবন কাটাতে হয়। দুটোরই ফল আছে। যেটা যে নেন।

রক্ত মাংসের মানুষ হয়েছি বিধায় কাউকেই দোষ দিই না। আবার ছেড়েও দিই না। বিপরীতমুখী কাজ হলেও এমন মানুষ পাওয়া যায়। যিনি, একই কাজ দিয়ে অপরাধও করবেন, আবার সেই কাজ দ্বারাই ওই অপরাধ থেকে মুক্তি পাবেন। ধরুন, সত্য-মিথ্যার ব্যাপারটাই ধরা যাক। অনেক সময় সত্য বললেও আপনি দোষী হবেন। সে সময় মিথ্যা বলেও আপনি পার পেতে পারেন। আবার এমন হতে পারে যে, কোন বিবাদ মিমাংসা করে মাত্র একটি মিথ্যা বলেও আপনি বহু ভালো কাজের ফল পেতে পারেন।

কে বলেছে- মিথ্যা বলবেন না, চুরি করবেন না, কিংবা অসৎ পথে যাবেন না। সব বাদ দিয়ে যা মনে চায় তাই করুন। তবে একটি ব্যাপার মাথায় রাখবেন। আপনি যেমন মানুষ, আমিও একজন মানুষ। এখানে যারা আছেন, তারাও সবাই মানুষ। তাই মিলে মিশে একটা কিছু করাই ভালো। কিন্তু তা আর হলো কোথায়? এইতো ভোট আমেজ চলছে। বাজারের সবজি বিক্রেতার দিকে হাত বাড়িয়ে ‘‘হ্যান্ডশেক’’ করছেন প্রার্থী। অথচ, দু’দিন পরই দেখা যাবে সেই পুরোনো চিত্র। ভোটারের এখন বলার ক্ষমতা নেই ‘‘আপনি ভালো নন’’। কারণ, প্রার্থী যে দয়ার ভিক্ষারী! অথচ, কিছুদিন পর সে এতো ধনী হবে, যখন তার জন্যই দেশের রক্ত-মাংসের মানুষগুলোকে বরাদ্দ দেওয়া হবে। বলা হবে, একেই লুট করে খান, কখনো ওয়াসার পানির নামে, কখনো তিতাসের গ্যাসের নামে, কখনো পল্লী বিদ্যুতের বিদ্যুতের নামে।

যদি জানতে চান, তবে জানতে পারবেন না। কিভাবে কিংবা কেন এটা এভাবে হলো? তার উত্তর তো পাবেন না। বরং দিনের আলোতেও নিজের ঘনিষ্টজন দ্বারাই অমঙ্গল হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাইতো বলি, আসলে কে ভালো? বিশ্বাস করি, প্রথমে আমি নিজে ভালো। তারপর ভালো সবাই। এ কারণেই কাওকে বলি না। বলার প্রয়োজন নেই। কারণ, ভেতরেই একটি চুলা বানিয়েছি। মাঝে মাঝে আগুন জ্বালাই। পুড়ে ফেলি ভালো-মন্দের জেরের হিসাব। আবার নতুন করে শুরু করি। আবার পুড়ি। এভাবেই চলছে। তবে, বিশ্বাস করুন, সেই পুরোনো প্রশ্ন আমার মনে নেই- কে ভালো?

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৯

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ভেতরেই একটি চুলা বানিয়েছি। মাঝে মাঝে আগুন জ্বালাই। পুড়ে ফেলি ভালো-মন্দের জেরের হিসাব। আবার নতুন করে শুরু করি। আবার পুড়ি। এভাবেই চলছে। তবে, বিশ্বাস করুন, সেই পুরোনো প্রশ্ন আমার মনে নেই- কে ভালো?

এই কথাটা আমার খুব ভালো লেগেছে।
পোষ্টে ++ জানিয়ে গেলাম।

২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল সুন্দর পোষ্ট।

৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৮

প্রসেনজিৎ হালদার বলেছেন: অনুপ্রেরণাই শক্তি। পাশে থাকার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.