নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজের চেহারার দিকে তাকিয়ে কিছুই দেখি না। তবে, মানুষ হয়ে মানুষকে ভুল বোঝা আমার স্বভাবে নেই, আপনার পেশা যাই হোক না কেন।

প্রসেনজিৎ হালদার

প্রসেনজিৎ হালদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

মনটা খুব আজব জিনিস

২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৫১

মানসিক ব্যাপারটা অনেক কিছুর উর্ধে। শান্তির কোন বাড়িঘর নেই সে মনের মধ্যেই বাস করে। আর, ত্যাগ-ভোগ নিয়েই আমরা মাতামাতি করি। এতেই মানসিক শান্তি-অশান্তি অনুভব করি। অথচ, যা কোনদিন কেউ দেখেনি, তা নিয়েই সব মানুষের গবেষণা। অর্থাৎ মন বা মানসিক অবস্থা।
শ্রম আর অসুস্থতায় শরীর খারাপ হয়। আর, শোকের কারণে মানসিক সমস্যা হয়। এই পেলাম, এই পেলাম না করেই সারা জীবন কেটে যায়। অনেকেরেই তা হয়। এর পর্যায় থেকে বের হয়ে মানুষের সংখ্যা অতি সামান্য। আমিও এই-ই ভাবি। আমার এটা নেই, ওটা নেই। এই হলো না, সেই হলো না। এই ভেবে কষ্ট পাই। মানসিক অশান্তি ভোগ করি। আবার পেটটা ভরা থাকলে চিন্তা করি, মন্দ আছিটা কোথায়? অর্থাৎ, এক মনেই দুই রকম ভাবনা।
দেশটা চোরদের দখলে, অথচ, মনটা যেন একেই ভালোবাসে। ভীষণ দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভূগি। মন নিয়েই যত জ্বালা। প্রেমিকা এখনো জ্বালা দেয়, ‘কেন আমায় নিলে না’ বলে। তাকে অতীত করতে পারিনি। সেটাও মনের খেলা। তবে, আমার বিশ্বাস, একদিন ঠিক এই মনটাকে পরাজিত করা কিংবা বাগে আনতে পারবো। তবে, কত দিনে তা সম্ভব তা বলার উপায় নেই। আর না পারলে, নিজেই পরাজিত হয়ে দুনিয়া ছাড়বো।
মনটা চায়, ইশ! যদি পিঠের ওপর দুটো পাখা থাকতো তবে অনায়াসে দেশ বিদেশ ঘুরতে পারতাম। আবার মনটা এও বলে, ‘সীমানাহীন এই ব্রহ্মাণ্ডে দুটো পাখা দিয়ে লাভ হয় না।’ একদিন ঠিক তা অকেজ হবে। অর্থাৎ, আমি যতই ভাবি না কেন, মনটাকে যতই খাটাই না কেন, তাতে লাভ-লোকসান হওয়ার কোন সুযোগ দেখি না।
বিশ্বাস করুন, সন্যাসীও হতে মন চায়। কিন্তু, সুস্বাদু খাবারের লোভে তা এড়িয়ে যায় মন। অনেক সময় রবিনসন ক্রুসো হতে ইচ্ছে করে। উপকূলে গিয়ে একটা নৌকা নিয়ে অ্যান্টার্কটিকার উদ্দেশ্যে রওনা দিতে মন চায়। হয়তো সেখানে যেতে যেতে কোন এক দ্বীপের সন্ধান পাবো যেখানে নানান রং বে-রংয়ের আঙুর ঝুলে থাকবে। বাকিটা জীবন হয়তো তা খেয়ে পার করা যাবে।
বিপত্তি আরও আছে, বাবা-মা এখানো বিয়েটা দেননি। সেটার প্রতিও আকাঙ্ক্ষা কম নেই। হবে কিনা কে জানে। তবে, সত্যি এও যে, মন চায়। মন শুধু চায়-ই। শেষ কোথায়?
এখান থেকে বসে যখন তারা-নক্ষত্র নিয়ে ভাবি, তখন তারও হিসেব করে মন। বলে, সেখানে না জানি কি আছে। কিন্তু, তার সূক্ষ হিসাবের কাছেও যে পারে না বুঝমান কিংবা অবুঝ মনটা। দেহ নষ্ট হওয়ার আগ পর্যন্ত এই পরিক্রমা চলতে থাকবে, মনটা এও জানান দেয়। কোথায় কার কাছে যাবো তা জানি না, তবে, এটুকুতে মনটাই নিশ্চয়তা দেয়, ‘আমাকে পূর্ণ করা সম্ভব নয়’। মনটা আসলেই খুব আজব জিনিস।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: অনন্ত নক্ষত্ বীথিতে যে রহস্য তার চেয়ে বেশি রহস্য মানুষের মনে।

২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৩১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অনন্যসাধারণ  লেখা। শুভেচ্ছা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.