![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
The greatest enemy of knowledge is not ignorance, it is the illusion of knowledge.- Stephen Hawking
যায় যায় দিন আর শফিক রেহমান, বাংলাদেশের মানুষের কাছে দু'টোই পরিচিত নাম। অনেক কারণেই তারা পরিচিতি পেয়েছেন - এর মধ্যে একট হচ্ছে বাংলা বানানে পরিবর্তন আনা। ক্রিকেটকে যাযাদিতে লেখা হয় কৃকেট, প্রিন্টকে লেখা হয় পৃন্ট হিসেবে। যতদূর জানা যায় শফিক রেহমানই নাকি এর উদ্যোক্তা (এই তথ্যটা কি সঠিক?)।
যে-ই এটা চালু করে থাকুক মূল কথা হচ্ছে যাযাদি এই স্ট্যান্ডার্ড গ্রহন করেছে যা আমরা সচরাচরই দেখছি। যাযাদি'র সাথে সংশ্লিষ্টদের কাছে জিজ্ঞাসা, আপনাদের যুক্তিটা কি? মৃত্যু আর ম্রিত্যু শব্দ দু'টোতে আপনারা কি বানানগত কোন বৈসাদৃশ্য খুঁজে পান না? ফলা আর কার তো এক নয়। ফলা আসে ব্যাঞ্জনবর্ণ থেকে আর কার আসে স্বরবর্ণ থেকে। স্বরবর্ণ আর ব্যাঞ্জনবর্ণের উচ্চারণগত পার্থক্য নিশ্চয়ই আপনাদেরকে মনে করিয়ে দিতে বলবেন না! 'ঋ' আর 'র' এর ধ্বনিগত দ্যোতনা প্রায় এক পর্যারের হলেও এরা স্বয়ংসম্পূর্ণ পৃথক পৃথক বর্ণ। যার ফলে এদের থেকে উৎপন্ন হওয়া কার ও ফলা যে সকল ব্যাঞ্জনবর্ণের সাথে যুক্ত হয় তাদের উচ্চারণেও স্বভাবতই ভিন্নতা থাকে।
যাযাদি'র সাথে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে তাদের ব্যাখ্যাটা শুনতে চাই।
২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:০৯
প্রশ্নোত্তর বলেছেন: আপনার মতামত দিন।
২| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:০৩
কন্টক বলেছেন: চইলতে থাকুক
৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:০৩
চাণক্য বলেছেন: বৎস, শফিক বালকটি বাংলা ভাষাকে বিকৃত করিতেছেন। তোমরা তাহাকে দমন কর।
২৬ শে নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:১৭
প্রশ্নোত্তর বলেছেন: গুরুজি আপনি অভিসম্পাত সমেত কঠিন এক বাণ ছাড়ুন।
৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:০৪
রাঙা মীয়া বলেছেন: আলোচনা থেকে দূরে রইলাম। ছাড়া পেলেন কবে ? শুভ ব্লগিং.........হাত খুলে লিখে যান
২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:২০
প্রশ্নোত্তর বলেছেন: আপনাদের আলোচনার জন্যই তো এই পোস্টের অবতারণা, দূরে থাকলে চলবে কি করে!
ছাড়া? মাঝ সেপ্টেম্বরে। কয়েকটা লেখা পোস্ট করেছি এ মাসে, সময় করে পড়ার নিমন্ত্রণ রইল।
৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:০৫
অক্ষর বলেছেন: সংশিষ্টরা এসে বলবে, " যা জানেন না তা নিয়ে কথা না বলাই শ্রেয়"
৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:০৯
বিডি আইডল বলেছেন: ভারতকে ইন্ডিয়া
২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:১২
প্রশ্নোত্তর বলেছেন: এর সাথে বাংলা বানানের সম্পর্ক কি?
৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:১১
পথিক!!!!!!! বলেছেন: বিষয়টি বছর দুই আগে আমি তুলেছিলাম ব্লগে ...
২৬ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:৪৬
প্রশ্নোত্তর বলেছেন: হুমমম...পড়েছি। +
৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:১৪
বিডি আইডল বলেছেন: যাযাদি এটা চালু করেছে..
২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:১৭
প্রশ্নোত্তর বলেছেন: কোনটা ভারতের বদলে ইন্ডিয়া বলা? তাতে কি ভারত বা ইন্ডিয়া দু'টো শব্দের কোন একটার বানানের হের ফের হয়েছে? এই থ্রেডে শুধু বানান নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। প্রসঙ্গে থাকুন।
৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:১৭
বন্ধনহীন বলেছেন:
প্রসংগটা আনার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এসব বানান বিকৃতি তো বিরক্তি লাগেই। তার উপর ছিল অযথা ইংরেজী ব্যবহার। আমার রীতিমত নোংরা লাগতো। অসহ্য!!!
২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:২৫
প্রশ্নোত্তর বলেছেন: তাহলে আপনি কি মনে করেন, যাযাদি অনুসৃত বানানরীতিতে গলদ আছে?
১০| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:১৯
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আগে আপনার কাছে দুটো প্রশ্ন :
১.শফিক রেহমান স্বরবর্ণ-ব্যঞ্জনবর্ণের পার্থক্য বোঝে বলে মনে করেন আপনি?
২. 'ধ্বনিগত দ্যোতনা' 'ব্যঞ্জনা' ইত্যাদি শব্দের অর্থ তার বোধগম্যতার ভেতরে আসলে বলে বিশ্বাস করেন?
২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:২৪
প্রশ্নোত্তর বলেছেন: আমার মনে হয় ওনাদের বক্তব্য শোনার আগে নেতিবাচক কোন মন্তব্য না করাই উচিৎ হবে। আমার ব্যাক্তিগত রিডিং হচ্ছে শফিক রেহমান পরিবর্তনে বিশ্বাস করেন, নতুন কিছু 'ট্রাই' করে দেখার মত সাহস আছে তার। তবে যাচাই-বাছাই ছাড়া নতুনের স্বাদ নিতে যাওয়াটা সবসময়ই যে কল্যান আনে তা কিন্তু নয়।
১১| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:২৪
অক্ষর বলেছেন: আহমাদ মোস্তফা কামাল ভাই স্বরবর্ণ-ব্যঞ্জনবর্ণের পার্থক্য আমিও তো জানি
এখন কি তাহলে ক্রিকেট-কে কিরিইকেট বলা শুরু করবো?
২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:২৭
প্রশ্নোত্তর বলেছেন: আরেকটু বিস্তারিত বলুন দয়া করেঃ যাযাদি কিন্তু ক্রিকেটকে কিরিকেইট বলছে না।
১২| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:২৬
মাহমুদ৬৯ বলেছেন:
ঐ বেটা একটা রাম ছাগল।
এ ব্যাপারে বাংলা একাডেমীর ভূমিকা কি? বাংলা একাডেমীতো প্রমিত বানান রীতি প্রকাশ করেছিলো।
ধন্যবাদ আপনাকে আলোচনার টেবিলে এটা নিয়ে আসার জন্য।
২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:২৮
প্রশ্নোত্তর বলেছেন: দয়া করে সংযত থাকুন, গালাগাল শুধু আলোচনার আমেজটাকেই নষ্ট করবে আর কিছু নয়।
আপনার মতামত কি?
১৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:২৯
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: তাহলে উনাদের বক্তব্য শোনেন, আমি যাই। পরে কোনো একসময় এসে উনাদের উত্তর শুনে যাবো।
ভাই অক্ষর, বাংলা বর্ণের ধ্বনিবৈচিত্র্য সম্বন্ধে যার নূণ্যতম ধারণা আছে সে এই ধরনের উচ্চারণ করবে না। আপনি যেহেতু পার্থক্যটা জানেন, আপনিও করবেন না, আমি নিশ্চিত!
২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৩০
প্রশ্নোত্তর বলেছেন: এতক্ষন সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। ওনাদের বক্তব্য পেলেই আমি আপডেট দেব।
১৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৩২
নাজিরুল হক বলেছেন: আমার মতে এই টাইপের বাংলা বানানকে সমর্থন করা উচিৎ না।
এই নিয়ে জোরালো ভাবে প্রতিবাদ করা উচিৎ।
২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৩৩
প্রশ্নোত্তর বলেছেন: কেন উচিৎ নয়?
১৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৩২
কুঙ্গ থাঙ বলেছেন:
যতদুর মনে পড়ে এর পেছনে যুক্তিগুলো ছিল এরকম-
১. ইংরেজী বা বিদেশী শব্দের বাংলা বানানের ক্ষেত্রে প্রমিত এবং সবার কাছে গ্রহনযোগ্য কোন রীতি প্রবর্তন করা হয়নি। সুতরাং বিদেশী শব্দ যেগুলো তৎসম/ অর্ধ-তৎসম / তদ্ভব শব্দের আওতায় পড়ে না, সেগুলোর বানানের ক্ষেত্রে রক্ষনশীলতা থেকে বেরিয়ে আসা দরকার।
২. দ্বিতীয় কথা হলো সময় ও শ্রমের অপচয় কমানো। যেমন ধরুন ক্রিকেট" বা "প্রিন্ট" লিখার জন্য কীবোর্ডের যতগুলো অক্ষর চাপতে হয় "কৃকেট" বা "পৃন্ট" এর থেকে কম অক্ষর চাটতে হয়। এত শ্রম এবং সময় দুই বাচে।
আরো কিছু যুক্তি ছিল, এই মুহুর্তে মনে পড়ছে না। যাযাদি কিন্তু তৎসম/ অর্ধ-তৎসম / তদ্ভব শব্দের ক্ষেত্রে প্রচলিত রীতিই অনুসরন করছে।
২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৪৮
প্রশ্নোত্তর বলেছেন: রক্ষনশীলতা থেকে বেরিয়ে আসারটার ব্যাপারটা খুবই ভাল কথা - আমিও সমর্থন করি। কিন্তু শুধু পরিবর্তন করতে হবে তাই ভুল শুদ্ধ যাচাই না করে পরিবর্তন করাটা সমর্থনের যোগ্য নয়।
বিদেশি শব্দ বাংলায় লিখার ক্ষেত্রে এই রীতি ভাঙ্গার স্বাধীনতাটুকু সবচেয়ে বেশি। কিন্তু যাযাদি যে পরিবর্তন করছে তা কি সঠিক? আসলে এটিই মূল আলোচ্য বিষয়।
১৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৩২
পারভেজ রবিন বলেছেন: আমি যায়যায়দিনের পুরোনো পাঠক হিসেবে এর কারনটা জানি। বাংলা শব্দের বানানের ক্ষেত্রে যাযাদি কোন পরিবর্তন ঘটায় নি। আপনি এখানে যে দুটো শব্দ দিয়েছেন তারা শুধু এমন ইংরেজী শব্দ বাংলায় লেখার ক্ষেতে এই পরিবর্তনটা ঘটিয়েছে, কোন বাংলা শব্দের বেলায় এমনটি করেন নি, যেমন 'প্রীতি' কে 'পৃতি' লেখা হয় নি। ইংরেজী শব্দ বাংলায় লেখার নিয়মটা হচ্ছে ফোনেটিক। যার ফলে যেভাবেই লেখা হোক না কেন তা উচ্চারণ অক্ষুণ্ণ থাকলেই চলে। আর এটা করা হয়েছে টাইপিংয়ের সময় বাচানো জন্য (যাযাদি এই যুক্তি দিয়েছিল)। যেমন ক্রি লিখতে তিনটি Key চাপতে হয়, আর কৃ লিখতে দুটি key চাপতে হয়।
বুদ্ধিটা শফিক রেহমানের মাথা হতে এসেছিল কিনা জানি না, তবে এটা যাযাদিরই উদ্যোগ।
যাযাদি'র অন্য কিছু বিদেশী বানানের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম পালন করত যা আমি মানতে পারি নি। যেমন তারা Turkey লিখত টার্কি, তুর্কি নয়( কিন্তু এটাই প্রকৃত উচ্চারণ), অর্থাৎ U কে আ উচ্চারণ করত। কিন্তু u সবসময় আ উচ্চারণ করে না, 'উ'-ও উচ্চারণ করে থাকে। চায়না লিখে, চীন নয়। তাদের যুক্তি এটাই তাদের আসল নাম, সারা বিশ্বে এই নামে পরিচিত। চায়না দেশটির সরকারী ইংরেজী নাম, কিন্তু তাদের যুক্তি মানলে বলতে হবে 'চুন কো' কারন এটাই দেশটির আসল নাম। উল্লেখ্য চীন সংষ্কৃত। তারপর 'বিশ্বাকাপ' শব্দটি বাদ দিয়ে বাংলায় 'ওয়ার্ল্ড কাপ' প্রচলন করার চেষ্টা করে।
২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৪৩
প্রশ্নোত্তর বলেছেন: কম্পিউটারে টাইপ করতে তাড়াতাড়ি হবে এই যুক্তিটা একেবারেই ধোপে টেকে না। প্রথমতঃ কোন ভাষার বানানরীতি নির্দিষ্ট কোন যন্ত্রের ওপর নির্ভর করতে পারে না। দ্বিতীয়তঃ কম্পিউটারের সফটওয়্যারে পরিবর্তন এই যুক্তি নাকচ করে দিতে পারে। যেমন, অভ্র ফোনেটিক কী-বোর্ডে যাযাদি-রীতিতে 'কৃ' টাইপ করতে চারটি কী চাপতে হয় -
কৃ = ক + র + র + ই
আর ক্রি টাইপ করতে চাপতে হয় তিনটি কী -
ক্রি = ক + র + ই
১৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৩৭
মনির হাসান বলেছেন: ... ভালো বিষয় তো ...
আমি ব্যাকারনে বিশেসজ্ঞ নই তবু'ও আমার মতঃ
... যাযাদির রীতিটা নতুন এবং আপাতভাবে মনে হচ্ছে লিখতে গেলে কম কষ্ট হবে ... যেমন " প্রিয় " হাতে বা প্রিন্টে লিখতে গেলে
একটি ফলা ও একটি কার দিতে হয় ... এক্ষেত্রে পৃয় লিখতে শুধুই একটু ঋ-কার দিলেই হচ্ছে ... বোধকরি উচ্চারন'ও ভেদ নাই । যদি থাকে তো কানে সেটা ধরা যাবে কিনা জানিনা ।
... বাংলা ভাষায় নতুন শব্দ গুলোকে (বিশেষ করে অন্য ভাষার শব্দ গুলোকে ) এভাবে লিখে আলাদা একটা পরিচয় দেয়ার একটা নিয়ম আছে ... সে ক্ষেত্রে যাযাদি রীতি'টা খারাপ কিছুনা ।
... আর পুরোন বানানের নতুন রীতি জটিলতা বাড়াবে, কারন সবাই আগের বানান'এ অভ্যস্ত হয়ে গেছি ।
... ভাষাবীদদের মধ্যে আবার কোন্দল দেখা দিবে এসব ক্ষেত্রে ... এম্নিতেই ... দেশে কোন্দলের অভাব নাই তাই .... !!!!!!
... এমন কি ভাষার রাজনীতি'ও শুরু হয়ে যেতে পারে ।
... প্রাচীন বাংলার বানানগুলোর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এগুলোকে অবিকৃত রাখা উচিত ।
১৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৩৯
মাহমুদ৬৯ বলেছেন: আমার মতে আমরা যেটাতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করি এবং প্রচলিত সেটাই ব্যবহার করা উচিত। সময় বাঁচানোর যে অজুহাতের কথা বলা হচ্ছে সেটা ঠিক নয়, অন্য দশটা পত্রিকা যেখানে প্রমিত বানান রীতি মেনে চলছে যাযাদি কেনো মেনে চলতে পারবেনা?
২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৫৩
প্রশ্নোত্তর বলেছেন: যাযাদি'র যদি কোন যুক্তি থাকের সেটা যদি ভাষাবিদরা খন্ডাতে না পেরে মেনে নেন সেক্ষেত্রে অন্য দশটা পত্রিকা কি করছে না করছে সেটা অর্থহীন হয়ে যাবে।
১৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৪৩
বিডি আইডল বলেছেন: ভারতকে ইন্ডিয়া বলা অনেকের কাছে ই বিকৃতি মনে হয়...এই ব্লগেই দেখেছি বেশ কয়েকবার।
বানানরীতি তো স্হির কিছু নয়। সময়ের সাথে পাল্টাবে। আমরা এবং আম্রা তে ব্যাকরণ গত কোন সমস্যা হয় কিনা জানা নেই..কিন্তু অর্থের তো তারতম্য হবার কথা নয়। চলিত রীতিতে সবই পরিবর্তনশীল
২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৫১
প্রশ্নোত্তর বলেছেন: ভাষারীতি পরিবর্তিত হয় এবং সেকারণে বানানরীতিতে পরিবর্তন আসতে পারে। কিন্তু পরিবর্তনটা সঠিক না বেঠিক সেটা বিবেচনা না করে শুধু পরিবর্তন করে চললে তা ভাষার জন্য ক্ষতিকর বৈকি
২০| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৫২
কুঙ্গ থাঙ বলেছেন: >>প্রশ্নোত্তর বলেছেন: কম্পিউটারের সফটওয়্যারে পরিবর্তন এই যুক্তি নাকচ করে দিতে পারে।
আপনার এই যুক্তিটা অকাট্য। ফোনেটিক কী বোর্ডের বিষয়টি হয়তো তখন তাদের মাথায় আসেনি ...তবে যাযাদির বানানরীতিটা শুধুমাত্র বিদেশী শব্দের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। বিদেশী শব্দের বানান কিরকম হবে তা নিয়ে কিন্তু কলকাতার আনন্দবাজার গ্রুপ এবং বাংলা একাডেমীর নীতিমালার মধ্যে যথেস্ঠ পার্থক্য রয়েছে। যতদিন পর্যন্ত মীমাংসায় না আসা হচ্ছে আমার মনে হয় এগুলি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলতে দেয়াই উচিত।
২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৫৮
প্রশ্নোত্তর বলেছেন: অবশ্যই, পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলুক (এই আলোচনা হয়তে তাতে কোন কাজে লাগলেও লাগতে পারে )।
বিদেশি বানানের ক্ষেত্রে আমার বক্তব্য হচ্ছে, বানানটা হতে হবে সংশ্লিষ্ট ভাষায় শব্দটির উচ্চারণের ভিত্তিতে। যেমন ইংরেজী Gate কে বাংলা লিখা হয় গেট, অথচ সেটি ইংরেজীতে উচ্চারিত হয় গেইট হিসেবে। অর্থাৎ আমরা নিজেদের অজান্তেই অন্য ভাষার শব্দকে বিকৃত করে গ্রহন করছি। এটি অন্যতম লক্ষ্যণীয় একটি বিষয়।
২১| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৫৮
বিধান রিবেরু* বলেছেন: চলিত রীতি যতই পরিবর্তনশীল হোক, এভাবে যদি যে যার যার মতো বানান লেখা শুরু করে তাহলে ভাষার অবস্থাটা কি দাঁড়ায়, ভাবুন তো একবার। চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে। যদি পাল্টাতেই চান তবে আগে প্রমান যে রীতি আছে সেটাকে আগে চ্যালেঞ্জ করুন। বাংলা একাডেমীর সঙ্গে বসুন, বলুন এটা ঠিক, ওইটা ঠিক নয়। ভাষা বিশেষজ্ঞ ও ভাষা প্রেমীদের জন্য উন্মুক্ত করা হোক ঐ ভাষা বিতর্ক। এতে অনেকে যেমন জ্ঞান আহরণ করতে পারবে তেমনি রীতির ব্যাপারে একটা সুরাহা করা যাবে। কিন্তু না করে, আপনার হাতে মিডিয়া আছে আপনি যা ইচ্ছা তাই করলেন, তাহলে কীভাবে চলবে? মগের মুল্লুক নাকি? বাংলা ভাষার কি মা-বাপ নাই। আমার যা ইচ্ছা হলো, যেমন ইচ্ছা হলো করলাম? এ তো ভাষার বলাৎকার ছাড়া কিছু নয়। আমার শফিক রেহমানকে এ ব্যাপারে বিকৃত মনে হয়। আর কার নাম রহমান থেকে রেহমান হয়ে যায় সেটাও বোঝার ব্যাপার আছে। আপন দেশের জল মাটি গায়ে মেখে পশ্চিমা হওয়ার স্বপ্নে বিভোর থাকাকে এডোয়ার্ড সায়িদ একটা গালি দিয়েছেন। গালিটা হলো: ওরিয়েন্টালিজম। রেহমান ভাই (থুক্কু সাহেব) কে তাই অনুসরণ বা সঠিক মনে করার কিছু নাই। আর অন্যভাবে দেখলে বলা যায়- সমাজে ওরকম দুএকটা ক্র্যাক থাকেই। ওসব পাত্তা না দিলেই হলো। শুধু সাবধান বাড়িতে স্কুল পড়ুয়া বাচ্চা থাকলে যাযাদি রাখবেন না, তাহলে পরীক্ষায় নির্ঘাত ফেল!!!!
২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:১১
প্রশ্নোত্তর বলেছেন: মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
আপনার বক্তব্যের প্রথম অংশের সাথে একমত।
কিন্তু পাত্তা না দেয়ার ব্যাপারে আমার আপত্তি আছে।
২২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:০১
পারভেজ রবিন বলেছেন: যাযাদি সম্ভবতঃ বিজয় ব্যাবহার করে।
আমার বেশি কষ্ট লাগে অন্য একটা যায়গায়, যখন দেখি বিদেশী শব্দের বানানে 'ষ' ও 'ণ' ব্যাবহার করা হয়। এটা এই ব্লগ সাহ সারা দেশে মহা সমারোহে করা হচ্ছে।
২৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:০৫
দুরের পাখি বলেছেন: ভাষার জন্য ক্ষতিকর কল্যাণকর বলে তেমন কিছু আসলে আছে কি? ভাষা কিন্তু মানুষের আগে না । মানুষ যেভাবে বলে সেটাই ভাষা । তার উল্টাটা তো না । ভাষা যেভাবে আছে তার সাথে মানুষকে মানিয়ে চলতে হবে এমন তো কোনো ব্যাপার নাই । তারপরও কাজ চলার জন্য , একে অন্যের লেখা বুঝার জন্যই তো একটা প্রমিত বানানরীতি করা । লোকজন যদি সবাই বোঝে তাহলে ক্রিকেট কে কৃকেট কেন কিরিকেট বলাতেও সমস্যা কোথায় ।
মূল ব্যাপারটা শেষে দাঁড়াচ্ছে গিয়া হয়ত কনভিন্স করা নিয়া । যাযাদি যদি পারে যথেষ্ঠ সংখ্যক মানুষকে কনভিন্স করতে , তাহলে কিন্তু আখেরে সেটাই টিকে যাবে । আপনি কনভিন্স না হতে পারেন, সেটা সম্পূর্ণ ঠিকাছে । কিন্ত তার কারণ হিসাবে ভাষার বিশুদ্ধার ব্যাপারটা আনা ঠিক না । কারণটা ব্যাক্তিগত পছন্দ অপছন্দের ব্যাপার ।
২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:২০
প্রশ্নোত্তর বলেছেন: ভাষার কল্যান-ক্ষতির ব্যাপারটা আপেক্ষিক এটা ঠিক।
কনভিন্সের ব্যাপারটা কিন্তু আসলে ব্যাক্তিগত নয়, হতেই পারে না। ব্যাক্তির চিন্তা অনুশাসিত হয় প্রচলন ও প্রচলিতের চারধারে ঘুরে ঘুরে।
ভাষার বানানরীতি আসলেই কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। 'কি' আর 'কী' এই দু'টো শব্দের মধ্যেও কিন্তু পার্থক্য আছে। ইংরেজি Paste আর Pest শব্দ দু'টোকেই বাংলায় যদি লেখা হয় 'পেস্ট' (আসলে কিন্তু তাই হচ্ছে!) তাহলে কি তা সমর্থন পেতে পারে?
২৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:০৯
পারভেজ রবিন বলেছেন: @বিধান রিবেরু (কবি ও প্রাবন্ধিক)- শফিক রেহমান নামের ক্ষেত্রে একজন পরাজিত মানুষ। বিদেশীরা উচ্চারণ করতে পারে না বলে নিজেই সেই বিকৃতিতে যোগ দিয়ে নিজের নামের উচ্চারণ পাল্টে দেয়াটা হীন রুচির প্রকাশ। বিদেশীদের নাম বিকৃত করে উচ্চারণ করা পশ্চিমাদের বিলাসিতা। তার অতীন উচ্চারণ করতে পারে না, অস্টিন উচ্চারণ কারতে পারে, অলি উচ্চারণ করতে পারে না অলিস্টার উচ্চারণ করতে পারে।
২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:২৮
প্রশ্নোত্তর বলেছেন: বিদেশিরা উচ্চারণ করতে পারে না - এই কারণে উনি নামের বানান পরিবর্তন করেছিলেন? ইন্টারেস্টিং! আমিতো জানতাম আগে থেকেই উনি রেহমান ব্যবহার করতেন যেমন করতেন শামসুর রাহমান।
২৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৩০
মুজিব মেহদী বলেছেন: বাংলা ভাষাকে যথেচ্ছ ধর্ষণ করবার অধিকার বাঙালিরা রফিক রেহমানকে দেয়নি। তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন এবং এখনো করে চলেছেন। ব্যবহার্য ভাষায় একটা ভয়ানক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপরাধে যাযাদি ও তার সম্পাদকের নামে মামলা হওয়া উচিত। বাংলা ভাষার অভিভাবক হিসেবে মামলাটি করতে পারে বাংলা একাডেমিই।
গণমাধ্যমসমূহ বাংলা একাডেমি প্রস্তাবিত প্রমিতরীতির সমস্যাসমূহ (যদি থাকে) চিহ্নিত করে তার সংস্কারে আলোচনা-সমালোচনার স্বচ্ছ একটা প্রক্রিয়া অবলম্বন করার দায়িত্ব নিতে পারত। কিন্তু তা না করে অধিকাংশ সংবাদপত্রই (অন্যগুলো তবু সহনীয়, যাযাদি অসহনীয়) তাদের মতো করে একটা যাচ্ছেতাই বানানরীতি তৈরি করে নিয়েছে। এতে এ সিদ্ধান্ত টানাই যায় যে, এরা বাংলাকে ভালোবাসে না। যেখানে পুরানো রীতি ও নবোদ্ভাবিত রীতির মধ্যে একটা সমন্বয়হীনতা এমনিতেই সচল, সেখানে সমন্বয় সাধন চেষ্টা না করে সমন্বয়হীনতাকে আরো উসকে দেয়া কোনো ভাষাপ্রেমীর কাজ হতে পারে না।
শফিক রেহমানদের এরকম প্রয়াসকে প্রতিহত করার উদ্যোগ যত দ্রুত নেয়া যাবে ততই মঙ্গল।
২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৩২
প্রশ্নোত্তর বলেছেন: আমরা বাঙলা ব্লগোস্ফিয়ার থেকেই এ উদ্যোগ নিই না কেন?
২৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৩৮
ফাহমিদুল হক বলেছেন: এই নিরীক্ষা ৃফলাসর্বস্ব। ফলত ব্যর্থ।
এ এক অপরাধ।
২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৫২
প্রশ্নোত্তর বলেছেন: ধন্যবাদ। যাযাদি'র কেউ এখন এলো না! তাদের বক্তব্যটা জরুরী।
২৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৩৯
নকীবুল বারী বলেছেন: যাযাদির বানান রীতি তাদের নিজস্ব। পারভেজ রবিনের সাথে একমত। স্পেস সেভ, এবং টাইপিং-এ যেন কম কি চাপতে হয় এ বিষয়টি মাথা আনা হয়েছে। ক্রি.......কৃ দুইটার পাশাপাশি জায়গা খেয়াল করুন। আর বিজয়-ও ক্রি লিখতে তিনটি কি চাপতে হয় সেখানে কৃ লিখতে দুইটা। ইংরেজী শব্দকে সরাসরি বাংলায় লেখার জন্য ফোনেটিকের উপর জোর দেয়া হয়েছে...বানান রীতি নয়। যেমন ইজরায়েল-কে লেখা হতো ইসরেল এখানে ফোনেটিকের ঠিক রাখার পাশাপাশি একটি বর্ণ কমানো হয়েছে। খুব ভালো করে হিসেব করলে এ ছোট ছোট স্পেস গুলো ইন্টিগেট করলে পরবর্তীতে বেশ ভালো অংশ সেভ হবার কথা।
যাযাদি সবসময় অন্যরমক কিছু আইডিয়া নিয়ে আসার চিন্তা করতো। এটা ইতিবাচক। এক্সপেরিমেন্টাল কিছু না হলে নতুন কিছূ তৈরী হবে কিভাবে?
২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৪৮
প্রশ্নোত্তর বলেছেন: পারভেজ রবিনকে দেয়া উত্তর দেখুন।
কার আর ফলার উচ্চারণ এক নয়। সুতরাং বিদেশি শব্দ বাংলায় লিখতে গেলে সেটাকে উচ্চারণের সঠিক মাত্রাভেদে 'কার' বা 'ফলা' ব্যবহার করতে কোন অসুবিধা নেই। জোর করে যা খুশি একটা লেখাতে ফায়দাটা আসলে কি?
মুজিব মেহদীর মন্তব্য দেখতে পারেন।
২৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৪৪
অ্যামাটার বলেছেন: শফিক রেহমান সময়ের চেয়েও আধুনিক মানুষ, আর আমাদের মাঝে কেন যেন পরিবর্তন/সংস্কারকে সহজভাবে নিতে পারার মানসিকতা গরে ওঠেনি।
২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৫০
প্রশ্নোত্তর বলেছেন: শফিক রেহমান সময়ের চেয়েও আধুনিক মানুষ হয়েও যদি একটা ভুল জিনিস প্রচার করে তবে তাকে কি আর ততোটা আধুনিক বলা যায়? বরং বলতে হয় অচল।
২৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৫৩
নকীবুল বারী বলেছেন: আমি বলেছি বিজয় দিয়ে লিখতে গেলে..... অভ্র ফোনেটিকে নয়।
বিজয় দিয়ে লিখতে গেলে একটা কি অবশ্যই কম চাপতে হয়।
পাশাপাশি যেন বর্ণ কম লাগে এবং জায়গা সেভ হয়। কেয়াল করুন প্রিন্স.....আর পৃন্স দুইটার উইথ্ড সেইম না।
ইজরায়েল---ইসরেল....এইটি বর্ণ কম লাগছে....................................
এটা শুধুমাত্র কৃ আর ক্রি এর ব্যাপার না।
২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:১৭
প্রশ্নোত্তর বলেছেন: না বুঝতে চাইলে কি আর করা! একটা সফটওয়্যার ঠিক করে দেবে একটা ভাষার বানান কিভাবে হবে? চিন্তার পরিধিটা আরো একটু বড় করা যায় না?
৩০| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৫৪
মোহাম্মদ আরজু বলেছেন: ধন্যবাদ।
বিষয়টি আলোচনায় আনার জন্য।
তবে আমি ছদ্মনামের সাথে আলোচনায় আগ্রহী নই। সুতরাং আপনার সাথে আমার আলোচনা করার সুযোগ নেই।
---------------------------
ছদ্মনাম ছাড়া যারা মন্তব্য করেছেন তাদের ক'জনের উদ্দেশ্য বলি-
@আহমাদ মোস্তফা কামাল
>কপাল খারাপ। জ্ঞানের ক্ষেত্রে সম্ভবত ইনি মনোপলিতে বিশ্বাস করেন। কিন্তু আমার কাছেই সব , তোমার কাছে কিছু নেই- এটা আর যাই হোক জ্ঞানের ক্ষেত্রে চলেনা।
@মুজিব মেহদী
তার মন্তব্যের অংশবিশেষ এরকম- 'বাংলা একাডেমি প্রস্তাবিত প্রমিতরীতির সমস্যাসমূহ (যদি থাকে)'। 'যদি থাকে'র ওপর ভর করে তিনি নতুন বানানরীতিকে বলছেন ভাষার 'ধর্ষণ'।
@ ফাহমিদুল হক
ফাহমিদ স্যার বলছেন- 'এই নিরীক্ষা ৃফলাসর্বস্ব', মনে হয় স্যার যাযাদি খেয়াল করে খুব কমই পড়েছেন। শুধু ৃফলা'র মধ্যেই যাযাদি'র নয়া বানানরীতির প্রকৃতি-পাঠ শেষ? আশ্চর্য।
২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:১৩
প্রশ্নোত্তর বলেছেন: ছদ্মনাম বিষয়ে আপনার চুলকানি থাকলে দয়া করে আর আসবেন না। আপনার নাম মোহাম্মাদ আরজু হোক বা মোহাম্মাদ কিসলু হোক তাতে আপনার মত/বক্তব্যের হেরফের হবে কেন? আপনাকে যেহেতু আমি ব্যাক্তিগতভাবে চিনি না সুতরাং আপনার নাম আমি ছদ্মনাম বলেই ধরে নিচ্ছি। বলতে বাধ্য হচ্ছিঃ আপনার রুচিবোধ নিতান্তই নীচুশ্রেণীর।
৩১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:০৬
পারভেজ রবিন বলেছেন: @লেখক বলেছেন: বিদেশিরা উচ্চারণ করতে পারে না...... আমি যাযাদিতে পড়েছি, কোন সংখ্যায় মনে নেই, লেখা টা সম্ভবতঃ শফিক রেহমানেরই ছিল। তার পিতৃদ্ত্ত নাম শফিক রহমান। পরে তিনি এটি পরিবর্তন করেন। বিদেশীরা রহমান উচ্চারণ করতে পারে না, করে রেহমান। তার নিজের নাম নিয়ে যা ইচ্ছে করার অধিকার আছে।
কিন্তু ভারতীয় সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব এ আর রহমান কে নিয়ে? যাযাদি তাকে ও রেহমান বানিয়ে দিয়েছে। এটা করেছে দৈনিকের একটা সাপ্লিমেন্টারিতে, এ আর রহমান কে নিয়ে একটা লেখায়।
৩২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:০৯
নকীবুল বারী বলেছেন: @পারভৈজ রবিন: কারো নাম বিকৃত করে লেখা অন্যায়..................
২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:১৫
প্রশ্নোত্তর বলেছেন: আপনি নিজেই তো পারভেজকে লিখেছেন পারভৈজ। হা হা হা নকীব এত উত্তেজিত হওয়ার কিছু নেই।
৩৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:২৪
নকীবুল বারী বলেছেন: হা হা......শিফট চেপেই ে কার দিয়ে ফেলেছি। যাই হোক পারভেজ সাহেব কি এর জন্য মানহাণীর মামলা করবেন.....
আমি যাযাদির বানার রীতির তিনটি কারণ বলেছি
১. কি যেন কম চাপতে হয়
২. শব্দের প্রস্থ কমিয়ে আনা
৩.বর্ণ সংখ্যা কমানো
ইকোনিমিক্যাল দিক থেকে দেখলে কিছূটা জায়গা তো সেভ হয়ই আর সেখানে বিজ্ঞাপন দিতে পারলে অবস্থান ভেদে ১০০০ থেতে ১০০০০০০ টাকা
২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:৩১
প্রশ্নোত্তর বলেছেন: আসেন জায়গা সেভ করে বিজ্ঞাপণ দেয়ার জন্য চীনের ভাষা ব্যবহার শুরু করি...জাতি হিসেবে আমরা কম ইকোনমিক্যাল চিন্তার অধিকারী নাকি!
২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:৩৬
প্রশ্নোত্তর বলেছেন: আমরা যখন কবিতা লিখব তখনো একটু একটু করে জায়গা বাঁচাব যেন বিজ্ঞাপণ দিয়ে টুপাইস কামাতে পারি। পরীক্ষার খাতায় একটু একটু করে জায়গা বাঁচাব যদি লাইগা যায়। ডিকশনারী টাইপের হোৎকা 'জিনিস' বিদেয় করে দিই যেন চটি আকৃতির 'নানান জিনিসে' বিজ্ঞাপণ দিতে পারি...
৩৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:২৫
টিউলিপফুল বলেছেন: ইহা দেকিতেচি অতিচয় গিয়ানি পুস্ট!
৩৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:৩৫
পারভেজ রবিন বলেছেন: @নকীবুল বারী.... আমি আবার নাম বিকৃত করলাম কোথায়?
৩৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:৫৯
দূরন্ত বলেছেন: স্বাভাবিকভাবে লেখা হয় (প্রচলিত).....
১. বৃষ্টি, কৃষ্টি, সৃষ্টি, কৃমি = বাংলা ভাষার শব্দ
২. ক্রিমিনাল, প্রিমিয়াম, ক্রিকেট, গ্রিন = বিদেশী শব্দ
যায়যায়দিন বলতো যে, এই দুই ধরনের (১,২) উচ্চারণে তেমন কোনো পার্থক্য নাই। তাই কঠিন করে না লিখে সহজ করে লেখাই ভালো।
অর্থাৎ,
২ এর পরিবর্তে. কৃমিনাল, পৃমিয়াম, কৃকেট, গৃন।
যেমন,
বাংলা ভাষায় "কৃমি" যদি লেখা যায় তাহলে "কৃমিনাল" লেখতেও কোনো সমস্যা হবার কথা না (ক্রিমিনালের পরিবর্তে)।
বিদেশী দেশগুলোর নাম বিষয়ে:
সারা বিশ্বে যেটা ইংরেজিতে প্রচলিত সেটাই ফলো করা হতো। যেমন চীন, মিসর, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য......এসব নাম সেসব দেশে প্রচলিত না।
ব্রিটিশরা কখনোই শুনে নাই যে তাদের দেশকে যুক্তরাজ্য বলা হয়।
ফলে চায়না, ইজিপ্ট এইসব লেখা হতো। ইন্ডিয়া শব্দটা বললে সারা বিশ্বের মানুষ চিনবে। কিন্তু ভারত বললে কেউ চিনবে না। মিসর শব্দটাও এমন।
(পুরো ব্যাপারটা আমার জানা নাই। যতোদূর জানি লিখলাম। এগুলোর সাথে আমি পুরোপুরি একমতও নই...)
২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:০৪
প্রশ্নোত্তর বলেছেন: আচ্ছা...
ফ্রুট লিখবে কিভাবে তাহলে?
৩৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:১১
দূরন্ত বলেছেন: সম্ভবত অক্ষর কমানোর চেয়ে সঠিক উচ্চারণটাই প্রাধান্য দেয়া হতো।
যেমন গ্রাজুয়েট এর ক্ষেত্রে লেখা হতো গ্র্যাজুয়েট, নম্বর কে লেখা হতো নাম্বার (একটা অক্ষর বেশী)। সে হিসাবে ফ্রুট কে ফুট লেখার কোনো উপায় নাই
২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:১৬
প্রশ্নোত্তর বলেছেন: সঠিক উচ্চারণই যদি মূল কাঙ্খা হয় তবে স্বর ও ব্যাঞ্জনবর্ণের উচ্চারণ ও ব্যবহারের ভিত্তিতেই শব্দের বানান নির্ধারন (প্রয়োজন হলে প্রচলিত বানান পুনঃনির্ধারন) করতে হবে।
৩৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ ভোর ৬:১৭
প্রশ্নোত্তর বলেছেন: যাযাদি'র কেউ এখনো এলো না! তাদের বক্তব্যটা শোনা জরুরী।
৩৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:১৫
পারভেজ রবিন বলেছেন: সম্ভবতঃ এখানের যাযাদি(বর্তমানে মৌচাকে ঢিল)-র কেউ এখানে নেই।
আসল সমস্যাটা হচ্ছে অভ্যস্ততায়। যদি প্রথম থেকে 'কৃকেট' লেখা হত অর পরে কেউ 'ক্রিকেট' লিখত তবে আমাদের মনে হত 'ক্রিকেট' ভুল। কৃকেট এবং ক্রিকেট দুটোই Cricket শব্দটির অবিকৃত উচ্চারণের প্রতিণিধিত্ব করে। আপনি দেখবেন অনেক ইংরেজী শব্দ বাংলায় লিখার সময় ি বা ী যেটাই লিখুক সঠিক বলে ধরা হয়।
আর চুড়ান্ত বিষয় হচ্ছে আপনি এই প্রশ্নে যাযাদিকে কাঠগড়ায় দাড় করাতে পারবেন না। কারন বাংলাব্যাকরণের কোন রীতি এক্ষেত্রে যাযাদির বিপক্ষে সাক্ষ দেবে না।
যাযাদি অনেক প্রচলিত বাংলা শব্দের বদলে ইংরেজী প্রচলণ করার চেষ্টা করেছে। যেমন, আন্তর্জাতিকের বদলে ইন্টারন্যাশনাল, উপদেষ্টার বদলে এডভাইজার ইত্যাদি ইত্যাদি অসংখ্য। এ বিষয়ে কেউ কিছু তুলল না! আর গত এক দশকে বাংলা ভাষার সবচে' বেশি ক্ষতি করেছে ডিজুস, লাতিন বর্ণমালায় বাংলার ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে। আজ পর্যন্ত এটা নিয়ে কেউ আপত্তি তুলল না! ডিজুসের এই ব্যাপারটি নিয়ে একটা লেখা দেবার চিন্তা ভাবনা করছি।
২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:০১
প্রশ্নোত্তর বলেছেন: বিদেশী শব্দকে বাংলায় লেখার ক্ষেত্রে দু'টো বিষয় মাথায় রাখা উচিৎ:
১) প্রচলিত শব্দসমূহকে যথেচ্ছ নতুন বানানে লিখতে গেলে গোলমাল পাকিয়ে যাবে
২) বিদেশী শব্দ বাংলায় লেখার সময় যেহেতু উচ্চারণকেই গুরুত্ব দেয়া হয় তাই সঠিক উচ্চারণেই লিখতে হবে। যেমন শিট আর শীট দু'টো যদি একই বানানে লেখা হয় তাতে ভয়ানক বিপত্তি বাঁধবে।
বিদেশী শব্দকে অবিকৃতভাবে বাংলা হরফে লেখার ব্যাপারটা বোধগম্য হচ্ছে না। যদি বাংলায় ইতিমধ্যে সমার্থক শব্দ প্রচলিত থাকে তাহলে কেন তা ব্যবহার করা যাবে না? যদিও অনেক শব্দই বাংলায় আছে যা বিদেশী শব্দের অর্থ হিসেবে ব্যবহৃত হয় ঠিকই কিন্তু মানানসই নয়, সেগুলোর ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে।
ডি'জ্যুসের ব্যাপারে আপনার সাথে একমত। নতুন আসা রেডিও চ্যানেলগুলোও কম ভূমিকা রাখছে না এই ধরনের বিকৃতিতে।
৪০| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:২১
পারভেজ রবিন বলেছেন: @নকীবুল বারী বলেছেন: হা হা......শিফট চেপেই ে কার দিয়ে ফেলেছি। যাই হোক পারভেজ সাহেব কি এর জন্য মানহাণীর মামলা করবেন.....
আমি কিছু মনে করি নি। অনলাইনে বসে লেখাটা একটা ঝামেলা। এধরনের টাইপিং ভুল হতেই পারে। অনেক সময় মাথাও ঠিক থাকে না।
কিন্তু বললেন না যে কোথায় নাম বিকৃতি করেছি?
২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:৫৯
প্রশ্নোত্তর বলেছেন: উনি মনে হয় খানিকটা উত্তেজিত ছিলেন
৪১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:০৬
আরিফুর রহমান বলেছেন: এমাটারের ২৮ নম্বর কমেন্ট পড়ে হাহাপগে
২৪ শে নভেম্বর, ২০০৮ ভোর ৬:১২
প্রশ্নোত্তর বলেছেন: তার মানে কি এরকম সম্ভবনা নাকচ করা যায় না যে ডানপন্থীদের এর পরের পার্চেজ লিস্টে শফিক রেহমান থাকতে পারেন?
৪২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:৩৮
প্রশ্নোত্তর বলেছেন: ব্লগার রিজভিকে ইনভাইট করে এসেছিলাম, এসে ঘুরে গেছেন কোন মন্তব্য করেননি। উনি কি না বুঝেই যাযাদি স্টাইল ফলো করেন?
৪৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:২৩
আছহাবুল ইয়ামিন বলেছেন: 'ক্রি' এর পরিবর্তে 'কৃ' লিখলে একটি বোতাম কম চাপতে হয়, যদি এটি যাযাদির যুক্তি হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই আমি এর বিপক্ষে। বাংলায় এভাবে শর্টহ্যান্ড পদ্ধতির উদ্ভাবন হতে থাকলে আরও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে। লেখকের সাথে একমত যে, একটি সফটওয়্যার কোন ভাষার বানানরীতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।
বিদেশী শব্দের ক্ষেত্রে বাংলা একাডেমী (এখানে বিদেশী শব্দ একাডেমী বানানে কিন্তু ঈ-কার) যতটুকু মনে পড়ে ষ, ণ, ী, ূ, এসবের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছিল। 'ৃ' (ঋ-কার) ও বিদেশী শব্দের সাথে ঠিক যায় না অথবা আমরা অভ্যস্ত না, সেটির ব্যবহারকেও অনুৎসাহিত করা উচিত ছিল।
৪৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৫৮
ভালো-মানুষ বলেছেন: কুনটা ঠিক বানান? কাগু না কাকু?
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩২
প্রশ্নোত্তর বলেছেন: শফিক রেহমান সাহেবকে জিজ্ঞেস করতে হবে
৪৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:০৯
আলিফ দেওয়ান বলেছেন: শপিক রহমান বিদিষিদের কতা ছিন্তা করি বাপের দেউয়া নাম পাল্ঠাই পেল্ল। যুদি কাগুর কতা একঠু ছিন্তা করিত তাহইলে শফিক না লিকি শপিক লিকিত। পথৃকার নাম রাকিত যাইযাইদিন।
আর এমাঠার ছাগুকে বলিতেছি, থুমার থ নথুন কিচু গহনের মানুষিকতা পুরাই বিদ্দমান। আগামিকাল হইথে এক ঠেঙ উছু করি মুথা শুরু করিউ।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩২
প্রশ্নোত্তর বলেছেন: হাহাপগে কাগু!
৪৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:১১
আলিফ দেওয়ান বলেছেন: বিজুয় সপ্টয়ারে শফিক লিকিতে গেলে শিপ্ট চাপি দরি শ তারপর শিপ্ট চাপি দরি ফ লিকিতে হই। উহার নামের বানান পাল্ঠাই সপিক করা হউক। তাহইলে দুইটা বুথামে টিফ না দিলেউ ছলে। উক্ত টিফগুলি কুন ভালু জাইগাই পয়ুগ করিলে আঙগুলে মঝা মিলিবেক।
৪৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৩৮
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: 'মৃত্যু' শব্দটা দেখামাত্রই যে একটা বিষাদময় অনুভূতি তৈরি হয় মনে, 'ম্রিত্যু' দেখে সেটা হয় না। বড়জোর শফিক রেহমানকে একটা থাপ্পড় দেওয়ার অনুভূতি তৈরি হয়। 'গোলাপ' শব্দ শোনামাত্রই যে মিষ্টি গন্ধ অনুভব করা যায়, "গোলাফ" থেকে তো সেটা পাওয়া যায় না।
আমার মতে, যে কয়েকটি কারণে যায়যায়দিনকে পাঠকরা দূরে ঠেলে দিয়েছে, বিদঘুটে বানানরীতি তার মধ্যে একটি। মূল কথা হল, শব্দকে অনুভব করতে হবে। যে শব্দ থেকে গন্ধ বেরোবে না, সেটা কোনো শব্দই নয়।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:৩৬
প্রশ্নোত্তর বলেছেন: কে বুঝাবে কাকে!
৪৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:৩৮
অ্যামাটার বলেছেন: আড়িপুলের ৪১ নং কমেন্ট পইড়া হাহাউখাপগে! Click This Link
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:০১
আরিফ থেকে আনা বলেছেন: চলুক আলোচনা।