নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধ্যান এবং ধারনা অবশ্যই এক না।সমগোত্রীয়।ধারনা পরিবেশ দ্বারা প্রভাবিত,ধ্যান নহে।ধারনা এক হতে পারে, ধ্যানজ্ঞানব্যাক্তিবিশেষ ভিন্ন।

নিদাঘ প্রসুন

আমার মাঝে চরম ইগো প্রবলেম আছে। ইগো বললে ভুল হবে, আমার কড়া ও স্পষ্ট ব্যাক্তিত্ব অনেকের পছন্দ হবে না। কিন্তু আমার এত প্রবলেমের মাঝেও এত বন্ধু আর বড়ভাই আমার পাশে থাকে ভাবতেই অবাক লাগে। হয়তোবা ছেলে হিসেবে অনেক ভাল। আমার পুরো পরিবার আমার ভয়ে থাকে, বলা যায় ভয় পায়। আমি আলালের ঘরের দুলাল। আমার বাবা তার একমাত্র ছেলের শতভুল ক্ষমা করে দিতে পারে সেটা আমি জানি, কারন বাবার এই বিশ্বাস আমি অর্জন করেছি। আশা করি কখনো এই বিশ্বাস নষ্ট হতে দিব না। আমার প্রধান শত্রু আমার আবেগ। কন্ট্রোল করতে হিমশিম খেতে হয়। বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে। বাবা ব্যাংকার মা হোম মিনিষ্টার।একটা ছোট বোন আছে যাকে আমি আমার কবিতার খাতা থেকে ভালবাসি। আমার মায়ের মতে হুমায়ন আহমেদ নামক এক লেখক আমার মাথা নষ্ট করেছে, তাই এই ফালতু লেখক আমার বাসায় নিষিদ্ধ। হাজার চেষ্টা করেও আমাকে বুঝতে পারবেন না। অনেক জটিল মননের মানুষ কিন্তু মধ্যম পন্থা অবলম্বন করি। আমাকে আন্ডারস্টেমিয়েড করা আপনার বৃথা চেষ্টা। ফেসবুক -

নিদাঘ প্রসুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতে বাংলা ভাষা আন্দোলন - আসাম ও মানভূম জেলা

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:০২

আসামের করিমগঞ্জ আর কামরুপ জেলায়
প্রচুর বাঙালীর বসবাস। সময় ১৯৬১ সালের
১৯ শে মে আসামের রাজ্য সরকার
বাঙালীদের দাবি উপেক্ষা করে
অসমীয়া ভাষাকে আসামের একমাত্র
দাপ্তরিক ভাষা করার প্রতিবাদে
শিলচরের রাস্তায় নামে ক্রেজে ভরপুর
বাঙালীরা। সেদিন পুলিশের গুলিতে
প্রান হারালো ১১ জন। কানাইলাল দেব
বুক পেতে দিলেন অন্য বাঙালী
ভাইদের বাঁচাতে। কমিশনের
প্রতিবেদন অনুযায়ী, কামরূপ জেলার ২৫
গ্রামের ৪,০১৯টি কুঁড়েঘর এবং ৫৮টি
বাড়ি ধ্বংস ও আক্রমণ করা হয়; সেই
জেলা ছিল সহিংসতার সবচেয়ে
আক্রান্ত এলাকা। নয়জন বাঙালি
হিন্দুকে হত্যা করা হয় এবং একশতর বেশি
আহত হয়। এতেও ক্রান্ত হয়নি সেই
নরপিশাচরা ১৯৮৬ সালেও গুলি
চালানো হয় বাঙালীদের উপর। সবশেষ
২০১০ সালেও দুইজন শহীদ হন মায়ের
ভাষার জন্য। সহিংসতা উচ্চ রূপ নেয় যখন
প্রায় ৫০,০০০ বাঙালি হিন্দু ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা ছেড়ে
পশ্চিমবঙ্গে পালিয়ে যায়। অন্য ৯০,০০০ বরাক উপত্যকা
ও উত্তর-পূর্বের অন্যত্র পালিয়ে যায়।
এটাই বাঙালীর ক্রেজ সব এক স্বপ্নে
গাথা।

মানভূম :-

মানভূমে বাংলা ভাষা আন্দোলন
১৯৪০ এর দশকের শেষ থেকে ১৯৫০ এর
দশকের মধ্যভাগ পর্যন্ত মানভূম জেলায়
(বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পুরুলিয়া
জেলা ) অনুষ্ঠিত এক আন্দোলন।
তৎকালীন বিহার রাজ্যের মানভূম
জেলায় বসবাসকারী বাংলাভাষী
মানুষদের মধ্যে জোর করে হিন্দী
ভাষা চাপিয়ে দিতে গেলে
তাঁরা বাংলা ভাষা র জন্য এই
আন্দোলন করে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে নতুন
জেলা তৈরী করতে সরকারকে বাধ্য
করেন।

১৭৬৫ খ্রিষ্টাব্দে দ্বিতীয় শাহ আলম
বক্সারের যুদ্ধে পরাজিত হলে তিনি
ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কে
বিহার ও উড়িষ্যা সমেত সমগ্র
বাংলার দেওয়ানী দিতে বাধ্য হন।
কোম্পানি বাংলার জঙ্গলমহল
এলাকায় কর সংগ্রহ করা শুরু করলে
তাঁরা প্রশাসনিক সুবিধার জন্য এই
এলাকাকে ১৭৭৩ খ্রিষ্টাব্দে
পাঞ্চেত , ১৮০৫ খ্রিষ্টাব্দে জঙ্গল
মহল এবং ১৮৩৩ খ্রিষ্টাব্দে মানভূম এই
তিন ভাগে ভাগ করেন। মানভূম
জেলার সদর দপ্তর হয় মানবাজার । এই
জেলা বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের
বাঁকুড়া জেলা ও বর্ধমান জেলা
এবং ঝাড়খন্ড রাজ্যের ধানবাদ , ধলভূম
ও সেরাইকেলা খার্সোয়ান
জেলা র অংশ নিয়ে ৭,৮৯৬ বর্গমাইল
এলাকা জুড়ে তৈরী করা হয়।
পরবর্তীকালে ১৮৪৫, ১৮৪৬, ১৮৭১ ও
১৮৭৯ খৃষ্টাব্দে মানভূমকে আরো ভাগ
করা হয়। ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ
রদ হলেও বাংলা ভাষাভাষী সমগ্র
মানভূম ও ধলভূম জেলাকে নতুন তৈরী
বিহার-উড়িষ্যা রাজ্যের অন্তর্গত
করা হয়। এই বিভক্তির ফলে ঐ
অঞ্চলের নেতৃবৃন্দ প্রতিবাদ
জানালেও ঐ সিদ্ধান্ত রদ হয়নি।
জাতীয় কংগ্রেসের ১৯২০
খ্রিষ্টাব্দের নাগপুর অধিবেশনে
ভাষাভিত্তিক প্রদেশ পুনর্গঠনের
দাবী আনুষ্ঠানিক ভাবে গৃহীত
হয়েছিল। কিন্তু ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে
বিহারে জাতীয় কংগ্রেস মন্ত্রীত্ব
লাভ করার পর ডঃ রাজেন্দ্র
প্রসাদের সভাপতিত্বে 'মানভূম
বিহারী সমিতি' নামক এক সংগঠন
গড়ে ওঠে। এর বিপরীতে মানভূম
জেলার বাঙ্গালীরা ব্যারিস্টার
পি আর দাসের সভাপতিত্বে 'মানভূম
সমিতি' নামক সংগঠন তৈরী করেন।
বিহার সরকার আদিবাসী ও
উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চলে প্রাথমিক
স্তরের বিদ্যালয় খুলতে শুরু করলে
বাঙ্গালীরাও বাংলা স্কুল খুলতে
তৎপর হয়ে পড়েন। এই সময় সতীশচন্দ্র
সিংহ রাঁচি , পালামৌ, সিংভূম ও
মানভূম জেলা নিয়ে ছোটনাগপুর
নামক এক নতুন প্রদেশ গঠন বা বাংলার
সঙ্গে পুনরায় সংযুক্তির প্রস্তাব
করেন।
আন্দোলনের ফলে ১৯৫৩
খ্রিষ্টাব্দের ২৯শে ডিসেম্বর ভারত
সরকার সৈয়দ ফজল আলির
সভাপতিত্বে, হৃদয়নাথ কুঞ্জরু ও কবলম
পানিক্করকে নিয়ে রাজ্য পুনর্গঠন
কমিশন তৈরী করে। এই কমিশন ১৯৫৫
খ্রিষ্টাব্দের ৫ই ফেব্রুয়ারী থেকে
মানভূম জেলায় তদন্ত করে ঐ বছর ১০ই
অক্টোবর তাঁদের বক্তব্য জমা দেন।
তাঁদের বক্তব্যে মানভূম জেলা
থেকে বাঙালী অধ্যুষিত
এলাকাগুলি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে
১৯টি থানা নিয়ে পুরুলিয়া জেলা
নামে এক নতুন জেলা তৈরী করার
প্রস্তাব দেন। তাঁরা মানভূম জেলা
থেকে ধানবাদ মহকুমার ১০টি থানা
ও পুরুলিয়া মহকুমার ২টি থানা বিহার
রাজ্যে রেখে দেওয়ার প্রস্তাব
করেন। অপরদিকে ধলভূম পরগণায়
বাংলাভাষীদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা
স্বীকার করেও যেহেতু ভিন্ন
ভাষাভাষী মানুষ ঐ জেলায় বসবাস
করেন সেই কারণে কমিশন
জামসেদপুরকে পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্ভুক্ত
করতে বা ধলভূম পরগণা ভেঙ্গে
বাংলায় আনতে রাজি ছিলেন না।
এই প্রস্তাবে ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৭
থেকে ২০শে জুন বিহারপন্থীরা
মানভূম জেলায় ধর্মঘটের ডাক দেন।
অপরদিকে বাংলা ভাষা
আন্দোলনকারীরা ধানবাদ
বিহারের অন্তর্ভুক্তিতে খুশি
ছিলেন না।

ফেসবুকে পড়ুন - Click This Link

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৪:২৬

প্রতিবিম্ব প্রতিচ্ছায়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তথ্যগুলো জানানোর জন্য

২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৬:৫৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অজানা তথ্য । ধন্যবাদ অাপনাকে জানানোর জন্য ।

৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:২২

ভিটামিন সি বলেছেন: দাদা নতুন ইতিহাস শিখাইতে আসলেন!! ওপারেই ভালো আছেন দাদা, এখন আবার ভাষার পিছনে কেন লেগেছেন? আমরা যতদুর জানি ভাষার জন্য একমাত্র বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের) সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউর, শফিকসহ আরো নাম না জানা অনেকে জীবন দিয়েছেন ১৯৫২ সালে। বিশ্বের ইতিহাসে আর কোন জাতির এই গৌরব নেই। জামদানি নিয়েছেন, রসগোল্লা নিয়েছেন - ভাষাটা ছাইড়া দেন।
আরো জানি যে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী নবাব সিরাজ উ দ্দৌলা কে পরাজিত করে ১৭৫৭ সালে বাংলা, বিহার, উরিষ্যা, পাটনা দখল করে নেন। আর আপনি কিনা ১৭৬৫ খ্রিষ্টাব্দে দ্বিতীয় শাহ আলমকে বক্সারের যুদ্ধে পরাজিত করে ইষ্ট ইন্ডিয়া কে ক্ষমতা দিলেন!! পুরা ইতিহাসই পাল্টায়া দিলেন!! আপনারা পারেনও বটে দাদা।

৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:৫৭

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: তথ্য...

৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৬

নিদাঘ প্রসুন বলেছেন: হুম.. দাদা। আমি বাংলাদেশী।
আর উপরের তথ্যগুলো সব সত্য। আপনার হয়তো জানা নেই। গুগল ইট।

আর নতুন কিছু জানাতে গেলে এত বাধা দেন কেন আপনারা।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.