নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধ্যান এবং ধারনা অবশ্যই এক না।সমগোত্রীয়।ধারনা পরিবেশ দ্বারা প্রভাবিত,ধ্যান নহে।ধারনা এক হতে পারে, ধ্যানজ্ঞানব্যাক্তিবিশেষ ভিন্ন।

নিদাঘ প্রসুন

আমার মাঝে চরম ইগো প্রবলেম আছে। ইগো বললে ভুল হবে, আমার কড়া ও স্পষ্ট ব্যাক্তিত্ব অনেকের পছন্দ হবে না। কিন্তু আমার এত প্রবলেমের মাঝেও এত বন্ধু আর বড়ভাই আমার পাশে থাকে ভাবতেই অবাক লাগে। হয়তোবা ছেলে হিসেবে অনেক ভাল। আমার পুরো পরিবার আমার ভয়ে থাকে, বলা যায় ভয় পায়। আমি আলালের ঘরের দুলাল। আমার বাবা তার একমাত্র ছেলের শতভুল ক্ষমা করে দিতে পারে সেটা আমি জানি, কারন বাবার এই বিশ্বাস আমি অর্জন করেছি। আশা করি কখনো এই বিশ্বাস নষ্ট হতে দিব না। আমার প্রধান শত্রু আমার আবেগ। কন্ট্রোল করতে হিমশিম খেতে হয়। বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে। বাবা ব্যাংকার মা হোম মিনিষ্টার।একটা ছোট বোন আছে যাকে আমি আমার কবিতার খাতা থেকে ভালবাসি। আমার মায়ের মতে হুমায়ন আহমেদ নামক এক লেখক আমার মাথা নষ্ট করেছে, তাই এই ফালতু লেখক আমার বাসায় নিষিদ্ধ। হাজার চেষ্টা করেও আমাকে বুঝতে পারবেন না। অনেক জটিল মননের মানুষ কিন্তু মধ্যম পন্থা অবলম্বন করি। আমাকে আন্ডারস্টেমিয়েড করা আপনার বৃথা চেষ্টা। ফেসবুক -

নিদাঘ প্রসুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

জন ডেনভার ও তার কান্ট্রি মিউজিক

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৪

কান্ট্রি মিউজিক পছন্দ করেন অথচ জন ডেনভারকে চেনেন না, এমন মানুষ এই পৃথিবীতে দূর্লভ। ‍"“কান্ট্রি রোডস্"”,
"“অ্যানিস সং”"," “সান শাইন”, “ড্রিমল্যান্ড এক্সপ্রেস”" ইত্যাদি কালজয়ী গানের স্রষ্টা জন ডেনভার। অসাধারণ
লিরিক, সুর, মায়াবী কন্ঠস্বর আর একুস্টিক গীটারে তাঁর অসাধারণ দক্ষতায় সারা বিশ্বের কান্ট্রি মিউজিক
প্রেমীদের মন জয় করেছিলেন খুব সহজেই। তার মৃত্যুর ১৮ বছর পর আজো লাখো-কোটি ভক্তকুল তাঁকে স্বরণ করে
শ্রদ্ধার সাথে।
জন ডেনভারের জন্ম আমেরিকার নিউমেক্সিকো অঙ্গরাজ্যের রোজওয়েলে। বাবা ছিলেন এয়ার ফোর্সের
ইন্সট্রাকটর, বংশ পরম্পরায় জার্মান। আমেরিকার দক্ষিনাংশে বসত গড়ার পর জনের জন্ম এবং সেখানেই বেড়ে
ওঠা। অবশ্য জন ডেনভার তার গ্রাজুয়েশন করেন টেক্সাসের আরলিংটন হাইটস হাই স্কুল থেকে। টেক্সাস টেক
ইউনিভার্সিটিতে আর্কিটেকচারে পড়তেন, কিন্তু ১৯৬৪ সালে গানের জন্য পারি জমান লস এঞ্জেলস-এ।
সেখানে আন্ডারগ্রাউন্ড ফোক দলগুলোর সাথে গান গাওয়া শুরু করেন। "চাদ মিচেল ট্রিও" ব্যান্ডে লিড
সিংগার হিসাবে যোগ দেয়াটা জনের জীবনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলোর একটি। এখানেই প্রথম পরিচয়
বান্ধবী (পরে স্ত্রী) অ্যানি মার্টেল এর সাথে।
জন ডেনভারের সলো ক্যারিয়ার শুরু হয় ১৯৬৯ সালে। “"রাইমস এন্ড রিজনস্”" তাঁর প্রথম অ্যালবাম। খুব বেশী জনপ্রিয়
না হলেও এই অ্যালবামেই ছিল তার বিখ্যাত “ লিভিং অন এ জেট প্লেন” গানটা। ১৯৭০ সালটা জনের জন্য
সাফল্যের শুরু বলা যায়। দুটি অ্যালবাম বের হয় এবছর একটি হলো "“হুজ গার্ডেন ওয়াজ দিস"” এবং অন্যটি “ "টেক মি টু
টমরো"”। খ্যাতির চুড়ায় উঠলেন ১৯৭১ সালে রিলিজ হওয়া "“পোয়েমস, প্রেয়ারস, প্রোমিজেস"” অ্যালবামটি
রিলিজ হলে।
১৯৭২-৭৪ জুড়ে শুধুই সাফল্য। জন ডেনভারের বিখ্যাত গান “অ্যানিস সং” এই সময়কার গান- তারঁ স্ত্রী- অ্যানি
মার্টেলকে নিয়ে লেখা। কি অসাধারণ কথা আর সুর! অ্যানিস সং যারা শোনেননি তাঁদের কাছে এর আবেদন
বলে বা লিখে বোঝানো যাবে না। ১৯৭৪ সালে সারা পৃথিবী জুড়ে তাঁর নাম ছড়িয়ে পড়ে। তাঁর নতুন যে
কোন গানই টপ চার্টে চলে যেত। “"আই এম সরি” / “থ্যাংক গড আই’ম অ্যা কান্ট্রি বয়”" টানা দুই বছর আমেরিকান টপ
চার্টে থাকে।
অ্যানিস সং লাইভ
জন ডেনভারকে কলোরাডো রাজ্যের "পোয়েট লরিয়েট" ঘোষণা করা হয়। পুরো আশির দশক পূর্ব থেকে
পশ্চিম....সারা পৃথিবী চষে বেড়ান।
ততদিনে জীবন্ত ইতিহাস হয়ে গেছেন।
মাত্র বার বছর বয়েসে দাদীর কিনে দেয়া একটি গীবসন জ্যাজ গীটার সাথে করে তার যে পথচলা শুরু, ১৯৯৭
সালের ১২ ই অক্টোবর সেই পথচলা জাগতিকভাবে শেষ হয় একটি বিমান দুর্ঘটনায়, তার মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে। leaving on a jet plane গানটি সত্য হয়ে গেল..
জন ডেনভারের গানের সাথে যারা পরিচিত নন,তারা আশা করি গানগুলো শুনবেন,সঙ্গীতের এই অনন্য
দিকপালের সাথে পরিচিত হবেন।আর পুরোন শ্রোতারা একটু রোমন্থন করুন পুরোন ভালোলাগা।যদিও জন
ডেনভার আর তাঁর গান - কোনটাই পুরোন হবার নয়।
জন ডেনভার এক অসাধারণ প্রতিভা।
একটি ইতিহাস।
আমার এই প্রিয় শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৭

অগ্নিপাখি বলেছেন: "লিভিং অন আ জেট প্লেন" / ডেনভারের এই গানটি আমার অনেক বেশি পছন্দের।

২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২২

অগ্নিপাখি বলেছেন: জন ডেনভারের যে গানগুলো প্রায় শোনা হয়- "লিভিং অন আ জেট প্লেন" / "অ্যানিস সং"/ "কান্ট্রি রোড টেইক মি হোম"/ "কলোরাডো রকি মাউনটেন হাই" ---- অসাধারণ লিরিক, জাদুময় সুর--- কখনও পুরনো হবার নয়।

৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৪

নিদাঘ প্রসুন বলেছেন: hmm..

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.