নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধ্যান এবং ধারনা অবশ্যই এক না।সমগোত্রীয়।ধারনা পরিবেশ দ্বারা প্রভাবিত,ধ্যান নহে।ধারনা এক হতে পারে, ধ্যানজ্ঞানব্যাক্তিবিশেষ ভিন্ন।

নিদাঘ প্রসুন

আমার মাঝে চরম ইগো প্রবলেম আছে। ইগো বললে ভুল হবে, আমার কড়া ও স্পষ্ট ব্যাক্তিত্ব অনেকের পছন্দ হবে না। কিন্তু আমার এত প্রবলেমের মাঝেও এত বন্ধু আর বড়ভাই আমার পাশে থাকে ভাবতেই অবাক লাগে। হয়তোবা ছেলে হিসেবে অনেক ভাল। আমার পুরো পরিবার আমার ভয়ে থাকে, বলা যায় ভয় পায়। আমি আলালের ঘরের দুলাল। আমার বাবা তার একমাত্র ছেলের শতভুল ক্ষমা করে দিতে পারে সেটা আমি জানি, কারন বাবার এই বিশ্বাস আমি অর্জন করেছি। আশা করি কখনো এই বিশ্বাস নষ্ট হতে দিব না। আমার প্রধান শত্রু আমার আবেগ। কন্ট্রোল করতে হিমশিম খেতে হয়। বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে। বাবা ব্যাংকার মা হোম মিনিষ্টার।একটা ছোট বোন আছে যাকে আমি আমার কবিতার খাতা থেকে ভালবাসি। আমার মায়ের মতে হুমায়ন আহমেদ নামক এক লেখক আমার মাথা নষ্ট করেছে, তাই এই ফালতু লেখক আমার বাসায় নিষিদ্ধ। হাজার চেষ্টা করেও আমাকে বুঝতে পারবেন না। অনেক জটিল মননের মানুষ কিন্তু মধ্যম পন্থা অবলম্বন করি। আমাকে আন্ডারস্টেমিয়েড করা আপনার বৃথা চেষ্টা। ফেসবুক -

নিদাঘ প্রসুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

এসপি বাবুল ও আমার পুলিশ অফিসার হওয়ার সাধ !

০৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:৫৩

আমাদের জেনারেশন বলিউডের চুলবুল পান্ডে কিংবা বাজিরাও সিংহম দেখে পুলিশের প্রেমে পড়ে । তাদের সাহসিকতা আর চাল-চলনও এখন ইয়ং ট্রেন্ডে চলে গেছে । কিন্তু ড্যুড জেনারেশন জানে কি আমাদের একজন পুলিশ অফিসার আছেন যিনি ওই বাজিরাও সিংহম থেকে দুর্ধর্ষ এবং সৎ । মিডিয়ায় তার কাজ খুব কমই এসেছে , যেগুলো এসেছে সেগুলো দেখেও আমরা বলতে পারি উনি একজন সত্যিকারের পুলিশ অফিসার ।
উনার জীবন টা এখন সিনেমার মতই হয়ে গেছে । সিনেমাটিক স্টাইলে যেমন একের পর এক সাহসী কাজ করেছেন , জংগী আস্তানা গুড়িয়ে দিয়েছেন , অভিযান চালিয়েছেন ঠিক তেমনি সিনেমাটিক স্টাইলে আজ তার সকল কাজের অনুপ্রেরনা তার ওয়াইফ কে দিনে-দুপুরে লোক ভর্তি রাস্তায় কুপিয়ে ও গুলি করে মেরেছে কিছু নরপিশাচ । অপরাধ তিনি ছিলেন সৎ, দায়িত্ববান ও সাহসী পুলিশ অফিসার ।
ছোট বেলা থেকে অনেক কিছু হতে চেয়েছি কিন্তু কখনও পুলিশ অফিসার হতে চাই নি । কারন এদেশের সকল সাধারন মানুষের মত একসময় আমারও ধারনা ছিল পুলিশ নামান্তেই খারাপ । এরপর দেখা পেলাম এসপি বাবুল আক্তার আর Mashroof Hossain ভাইয়ের।ফলাফল পুলিশ অফিসার হওয়ার ইচ্ছা আমার মাথায় জেঁকে বসেছে । ধারনা হয়ে গেছে ডাক্তারের পর একমাত্র পুলিশই পারে সাধারন মানুষ কে বাঁচাতে ।
এই এসপি বাবুল আক্তার সম্পর্কে কিছু জেনে নিন , তাকে সিনেমার নায়কই মনে হবে । বাবুল অক্তার ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের সাবেক কর্মকর্তা ।২০০৭ সালে স্বেচ্ছায় কাঁধে তুলে নিলেন ‘ভয়ংকর’ ছয় খুনের রহস্য উন্মোচনের দায়। নরসিংদীর ভেলানগরে সে বছরের ১৮ মে ভয়ংকর ঘটনাটি ঘটে। একই পরিবারের ছয় সদস্যকে খুন করে ঘরের ভেতরেই লাশগুলো বস্তাভর্তি করে রাখা হয়েছিল চার দিন। ঘটনার তদন্তের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি চান র‌্যাব অফিসার বাবুল। অনুমতি পাওয়ার পর শুরু হয় বাবুলের অভিযান। ঢাকা, কিশোরগঞ্জ, ভৈরব ঘুরে গ্রেপ্তার করেন বীরুকে। তার সূত্র ধরে পুরো হত্যারহস্য উন্মোচন করে মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন। মামলার বিচার শেষে আসামিদের ফাঁসির রায় দেন আদালত।
সিএমপিতে যোগ দিয়েই সর্বশেষ পুলিশ মার্ডার মামলার আসামি গ্রেপ্তার ও খুনের কাজে ব্যবহৃত ‘কাটনি’ উদ্ধার করে দক্ষতা ও যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন। আর এসব সাফল্যের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে পেয়েছেন স্বীকৃতি- রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক পিপিএম (সেবা) (২০০৮), ২০০৯ পিপিএম (সাহসিকতা), ২০১০ সালে আইজিপি ব্যাজ, ২০১১ সালে পুলিশের সর্বোচ্চ মর্যাদাশীল পুরস্কার বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (সাহসিকতা)। সর্বশেষ বেসরকারি পর্যায়ে ২০১২ সালে সিঙ্গার-চ্যানেল আই (সাহসিকতা) পুরস্কার লাভ করেছেন বাবুল আক্তার। আর এর মধ্যে চার-চারবার অর্জন করেছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের সেরা সহকারী পুলিশ সুপারের মর্যাদা।
‘আইকন’ বাবুল আক্তারকে নিয়ে গর্ব করে বাংলাদেশ পুলিশ। ২০১২ সালের জানুয়ারিতে রাজারবাগ প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরস্কার তুলে দেওয়ার আগ মুহূর্তে পুলিশের আইজি হাসান মাহমুদ খন্দকার বাবুল আক্তারকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন এই বলে, ‘বাবুল আমাদের সবচেয়ে সাহসী অফিসার।’ শুনে প্রধানমন্ত্রী বাহবা দিলেন। বাবুল আক্তার দ্বিতীয় দফা স্যালুট দিলেন প্রধানমন্ত্রীকে। প্রধানমন্ত্রী বাবুলের বুকে পরিয়ে দিলেন ‘বিপিএম’ মেডেল।
পুরান ঢাকা থেকে নানা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ হাজার জাল সনদ, সনদ তৈরির কারখানা এবং এই অপকর্মের দুই হোতাকে আটক করেন।
কোনো এক বছরের ৭ ডিসেম্বরের ঘটনা। চট্টগ্রাম ইপিজেড থানা এলাকা থেকে অপহৃত হন চাকরিজীবী আবুল কালাম। বাবা বেলায়েত বিশ্বাসের কাছে ছয় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। স্থানীয়দের পরামর্শে ভাই শহীদুল ইসলাম ছুটে আসেন বাবুল আক্তারের কাছে। অপহরণের পুরো বৃত্তান্ত শুনে সঙ্গে সঙ্গে কাজে নেমে পড়লেন বাবুল। অপহরণকারীদের দেওয়া ‘বিকাশ’ নম্বর নিয়ে জেনে নিলেন সেটি কোথায় ব্যবহার করা হচ্ছে। আরো কিছু তথ্য উদ্ধারের পর ফোন করলেন সেই নম্বরে, ‘আমি বাবুল আক্তার বলছি, তোমার নম্বরে … টাকা পাঠাতে বলা হয়েছে। আমি তোমার অবস্থান দেখতে পাচ্ছি। তুমি ওদের বলো কামালকে ছেড়ে দিতে। না হলে আমি আসছি। ওদের সঙ্গে তুমিও জেলে যাবে।’ অপহরণকারীরা এ কথা শুনে কালামকে ছেড়ে দেয়। ঝুটঝামেলা ছাড়াই ভাইকে ফিরে পায় ভাই, ছেলেকে ফিরে পান বাবা।
২০১৪ সালের ১১ মার্চ দৈনিক কালের কণ্ঠে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন তুলে ধরা হলো…
‘হাটহাজারী সার্কেলের দায়িত্ব পালনের সময় একবার শহরে এলাম মোবাইল ফোন মেরামতের জন্য। দোকানদার জানতে চাইলেন, ‘আপনি কি পুলিশে চাকরি করেন?’ ‘হ্যাঁ।’ ‘কর্মস্থল?’ ‘হাটহাজারী।’ ‘বাবুল আক্তারকে চেনেন?’ ‘হ্যাঁ।’ কিছুক্ষণ পর বিল তৈরির সময় দোকানি নাম জানতে চাইলেন। ‘বাবুল আক্তার।’ বিশ্বাস করতে পারলেন না। আবার জিজ্ঞেস করলেন। নিশ্চিত হওয়ার পর দোকানদার বললেন, ‘স্যার, আমি টাকা নেব না, আপনি ভালো মানুষ। আমার এক আত্মীয়ের উপকার করেছিলেন।’
তাকে বলা হয় বাংলাদেশ পুলিশের আইকন । অসাধুদের ত্রাস , জংগীদের যম । মাফ করবেন এসপি বাবুল স্যার ।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:১০

লক্ষ্মীছেলে বলেছেন: তাকে বলা হয় বাংলাদেশ পুলিশের আইকন । অসাধুদের ত্রাস , জংগীদের যম । মাফ করবেন এসপি বাবুল স্যার ।

ভালো একটা লেখা দিছেন ভাই। সৎ মানুষ এখনও দুনিয়াতে আছে। আমরাও মাঝে মাঝে খোঁজ দা সার্চ করিয়া আসামি বাইর কইরা ফালাই একেবারে নিখুঁত ভাবে =p~ =p~ =p~ ভালো থাকবেন ভাই।

২| ০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:২২

নিদাঘ প্রসুন বলেছেন: ধন্যবাদ । আমরা বিচারহীনতায় আছি ।

৩| ০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:২২

নিদাঘ প্রসুন বলেছেন: ধন্যবাদ । আমরা বিচারহীনতায় আছি ।

৪| ০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:৩০

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: কি আর হবে? যা হয়ে এসেছে সারাজীবন তাই-ই হবে :(

৫| ০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:২৩

টুথব্রাস বলেছেন:





বন্ধ হতে যাচ্ছে ফেসবুক !

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সর্ববৃহ‍ৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। ২০০৪ সালে প্রাইভেট নেটওয়‍ার্ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবার তিনবছর পর ২০০৭ সালে বিশ্বব্যাপী ফেসবুক তাদের সার্ভিসটি উন্মক্ত করে।

একের পর এক নতুন ও আকর্ষণীয় ফিচার এনে ফেসবুক কর্পোরেশন ইতিমধ্যে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং জগতের ধার‍াই বদলে দিয়েছে।

সম্প্রতি ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ জানিয়েছেন, ২০৭৩ সালে তারা ফেসবুক স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিয়ে গোয়াবুক নামে নতুন একটি সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইট চালু করবেন। ফেসবুকের কোনো ডাটাই সেখানে থাকবেনা। নতুন করে সবকিছূ শুরু করা হবে। এখবরটি শুনে বিশ্বব্যাপী তুম‍ুল হইচই শুরু হয়ে গেছে। বিশ্বের নানাপ্রান্তের ফেসবুক ইউজাররা ইতিমধ্যেই জুকারবার্গের স্ত্রী প্রিসিলা চ্যান কে নিয়ে গালাগ‍ালি শুরু করে দিয়েছে।

প্রিসিলা খুব শীঘ্রই আইডি ডিএকটিভেট করে দিবে বলেও জানিয়েছেন মার্ক জুকারবার্গ। ঘটনাটিতে তিনি খুবই ব্যথিত ও মর্মাহত। – প্রথম আলু ডেস্ক

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.